Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
তিনি ফোনে কথা বলছিলেন এতক্ষণ। একটু আগেই পাকিস্তানের নেভি সাবমেরিন পিএনএস গাজির ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। জাফর এসে দেখলেন ঘরে আরও কয়েকজন। চেনা মানুষ। পাকিস্তান নেভির ডেটা অপারেটর, কোড অ্যানালিস্ট এবং রেডিও ট্রান্সমিটার ডিরেক্টর জালালউদ্দিন। তাঁরা ইঙ্গিতে ক্যাপ্টেন জাফরকে বলেছেন, বসতে। ক্যাপ্টেন ভুমবাল টেলিফোনে কয়েকবার বললেন, জি জনাব...জি জনাব... জরুর জনাব। বোঝা গেল, ফোনের অন্য প্রান্তে কোনও এক রাজনীতিবিদ কিংবা পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কেউ। তাই এত সন্ত্রস্ত ক্যাপ্টেন ভুমবাল! 
ফোন রেখে ক্যাপ্টেন জাফরকে ক্যাপ্টেন ভুমবাল বললেন, জেন্টলম্যান, মনে হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটা যুদ্ধে যাচ্ছি। সিচ্যুয়েশন সেদিকেই এগচ্ছে। আপনাদের তৈরি থাকতে হবে যে কোনও অবস্থার জন্য। আপনারা জানেন, যেভাবে ইন্ডিয়ান নেভির ডিরেক্ট ট্রেনিং আর ডিরেকশনে ইস্ট পাকিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের প্লাস একঝাঁক বিদেশি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, এটা আমাদের কাছে এক আন্তর্জাতিক লজ্জা। তাই বদলা নিতে হবে। জনাব প্রেসিডেন্ট সেরকমই চাইছেন। আমরা পাল্টা এমন এক আঘাত করব ইন্ডিয়াকে যে, আসল যুদ্ধ শুরু হওয়ার অনেক আগেই  ইন্ডিয়ার শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে। তাই আমাদের টার্গেট ইন্ডিয়ার  যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। আপনারা জানেন যে, ওই যুদ্ধজাহাজ ইন্ডিয়ার কাছে খুব প্রেস্টিজিয়াস। ওটাকে আমরা অ্যাটাক করতে পারলে মেন্টাল যুদ্ধে আমরা এগিয়ে যাব অনেকটাই। এই দায়িত্ব নেবে পিএনএস গাজি। যার ক্যাপ্টেন আপনি, জনাব জাফর। 
জাফর মহম্মদ খান এতক্ষণ মন দিয়ে শুনছিলেন। এবার বললেন, জনাব, এটা এক ভয়ঙ্কর প্ল্যান। ইন্ডিয়ান নেভি সামান্যতম আঁচ পেলেই উল্টে আমাদের ডিরেক্ট অ্যাটাক করবে। তাই এই প্ল্যান যেন আমাদের আর্মি, এয়ারফোর্স আর নেভির মধ্যেও খুব বেশি কেউ না জানতে পারে। 
ক্যাপ্টেন ভুমবাল আশ্বস্ত করলেন। বললেন, কেউ জানবে না। চিন্তা নেই। আমরা কয়েকজন। অপারেশনে থাকা ক্রু আর অফিসাররা। কোডিং ডিপার্টমেন্ট। ক্যাপ্টেন ভুমবাল তাঁর সামনেই রাখা একটি ফোল্ডার এগিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খানকে। বললেন, জাফর, এই ফোল্ডারে আপনি পাবেন আইএনএস বিক্রান্ত সম্পর্কে ডিটেইলস। ড্রট, ডেড ওয়েট, ফ্রিবোর্ড, ডিসপ্লেসমেন্ট, স্টিল প্লেট, অস্ত্রশস্ত্রের লোকেশন, ফুয়েল ট্যাঙ্ক সব দেওয়া আছে এখানে। ডায়াগ্রাম রয়েছে আলাদা করে। ঠিক কী ধরনের এয়ারক্র্যাফট ক্যারি করে এই বিক্রান্ত, সেটাও মেনশন করে দিয়েছে আমাদের এয়ারফোর্স। আপনি আজ এটা গো থ্রু করুন। তারপর নিজের টিম তৈরি করে ফাইনাল প্ল্যান জানান। আর শুনুন একটা কথা। এটাই কিন্তু আইডিয়াল টাইম বিক্রান্তকে ধ্বংস করার। 
মহম্মদ জাফর বিস্মিত। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন। তাঁর প্রশ্ন একথা কেন বলছেন ক্যাপ্টেন ভুমবাল! ক্যাপ্টেন  প্রত্যেকের সামনে মাথাটা ঝুঁকিয়ে যেন গোপন তথ্য দেওয়ার ভঙ্গিতে বললেন, বিক্রান্তের স্পিড গত এক বছর ধরে কমে গিয়েছে। শুনছি বয়লারে ক্র্যাক ধরা পড়েছে। ওরা ওটা মেরামতির চেষ্টা করছে। 
ক্যাপ্টেন জাফর জানতে চাইলেন, স্যার, বিক্রান্তের এখন লোকেশন কোথায়?
ক্যাপ্টেন ভুমবাল বললেন, ন্যাভাল ইন্টেলিজেন্সে সর্বশেষ যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেটা থেকে জানা যাচ্ছে, বিক্রান্তকে লাস্ট দেখা গিয়েছে বম্বের কাছে। জাফর ভাই এই সুযোগ ছাড়া যাবে না। জাফর মহম্মদ খানের চোয়াল শক্ত হল একটু। এরকম চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি পছন্দ করেন। অনেকদিন ধরেই শুনছেন, ইন্ডিয়ান নেভির ট্রেনিং আর প্ল্যানিংয়ে একের পর এক পাকিস্তান ওয়ারশিপ, কোস্টাল  ফোর্সের বোট ধ্বংস হয়ে চলেছে। এসব করছে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা বাহিনী। কিন্তু আদতে পিছনে মস্তিষ্ক, ইনস্ট্রাকটার আর পরিকল্পনা সবই ইন্ডিয়ান নেভির। এবার পাকিস্তান চাইছে শিক্ষা দিতে ইন্ডিয়াকে। আর সেই কাজটা যে তাঁর হাতে এসে পড়বে এটা ভাবাই যায় না। পিএনএস গাজির নাম আগামী দিনে পাকিস্তানের ইতিহাসে অমর করে দেবেন তিনি। পিএনএস গাজির টিমের উপর ক্যাপ্টেন জাফরের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আমরা একাই আইএনএস বিক্রান্তকে ধ্বংস করে দিতে পারি। মনে মনে এই  শপথবাক্য নিয়ে মিটিং থেকে উঠে পড়লেন পিএনএস গাজির ক্যাপ্টেন জাফর। 
যারা ছুটিতে ছিল, তাদের সকলকেই জরুরি নির্দেশ দিয়ে বলা হল, ইমিডিয়েট জয়েন করতে গাজিতে। ক্যাপ্টেন জাফর, তাঁর টিম নিয়ে বসলেন বৈঠকে। কিছু কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এই ইনফর্মেশন চাই আমার। অ্যাজ আর্লি অ্যাজ পসিবল! কোথায় আছে বিক্রান্ত? ক’জন ক্রু মেম্বার অপারেট করছে? কটা এয়ারক্র্যাফট এখন ক্যারি করছে সে? কোন স্কোয়াড্রন বিক্রান্তের পোস্টেড? লাস্ট মুভমেন্টের ডিটেইলস। আর এখন বিক্রান্তের স্পিড কত? শেষ প্রশ্নটার একেবারে সঠিক উত্তর আমাদের জানা দরকার। কুইক বয়েজ! ক্যাপ্টেন জাফর সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বললেন, ইয়ে হামারে সবহিকে কেরিয়ার অওর পাকিস্তানকি শান কে  লিয়ে গোল্ডেন চান্স হ্যায়। ইয়াদ রাখনা। 
....
নভেম্বর ১৯৭১। ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তের ক্যাপ্টেন স্বরাজ প্রকাশ বসে আছেন এক কাপ কফি নিয়ে। মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি উদ্বিগ্ন। কপালে দুটো ভাঁজ। মনে অস্থিরতা। তাঁর সামনের টেবিলে রাখা এক টুকরো কাগজ। এই কাগজে আছে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট। যে রিপোর্টে বলা হয়েছে, আইএনএস বিক্রান্তের চারটে বয়লারই খারাপ হয়ে গিয়েছে। রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া উপায় নেই। আর চারটে বয়লারকে সরিয়ে নতুন বয়লার লাগানোর প্রক্রিয়া অনেক সময় নেবে। অথচ এখনই বিক্রান্তকে ইস্টার্ন ফ্লিট এরিয়ায় যেতে হবে। কারণ, প্রথমত এতক্ষণে পাকিস্তান সম্ভবত জেনে গিয়েছে যে, বিক্রান্তের মধ্যে টেকনিক্যাল ফল্ট আছে। সেটা জানার পর তারা প্রাণপণের চেষ্টা করবে যেভাবেই হোক অ্যাটাক করে বিক্রান্তকে ধ্বংস করার। আরব সাগরে ওয়েস্টার্ন ফ্লিটে তাই বিক্রান্তকে রাখা নিরাপদ নয়। সরাতে হবে বঙ্গোপসাগরের দিকে। আর মনে হচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে রীতিমতো যুদ্ধজাহাজের সারি মোতায়েন করতে হবে। এখনও অফিসিয়ালি যুদ্ধ শুরু হয়নি বটে, তবে পাকিস্তানকে হেল্প করার জন্য শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই আমেরিকান ওয়ারশিপ আসতে পারে। পাশাপাশি দুটো সাবমেরিন। সেটা কি সত্যি? 
ক্যাপ্টেন স্বরাজ প্রকাশ ভাবছিলেন আইএনএস বিক্রান্তের জার্নির কথা। ১৯৪৩ সালে ব্রিটেনে তৈরি হয়েছিল এই যুদ্ধজাহাজ। সেই সময় নাম ছিল এইচ এম এস হারকিউলিস। ব্রিটিশ নেভির অন্যতম শক্তি। এটা তৈরিই হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু যতদিনে এটা পূর্ণভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেছে, ততদিনে প্রায় যুদ্ধ শেষ। অতএব বিশেষ যে কাজে লাগল হারকিউলিস তা নয়। 
সেই হারকিউলিসকে ভারত সরকার কিনে নিয়েছিল ১৯৫৭ সালে। নতুন নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। সমস্যা হল, বিক্রান্তের বয়স হয়েছে এখন। আর কতদিন পারবে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করতে। অনেক কাজ করাতে হবে। অথচ সময় নেই। ক্যাপ্টেন স্বরাজ প্রকাশের সঙ্গে গতকাল ঩দেখা হয়েছিল অ্যাডমিরাল নন্দার। নেভি চিফ। কমান্ডার কনফারেন্সের ফাঁকে আচমকা তাঁকে ডেকে নিলেন অ্যাডমিরাল। জানতে চাইলেন, বিক্রান্ত কেমন কাজ করছে? স্পষ্টভাবেই জানালেন স্বরাজ প্রকাশ যে, স্যার, আশাপ্রদ নয়। অ্যাডমিরাল নন্দা তুখোড় এক নৌসেনা প্রধান। এই বিরাট ভারতীয় নৌসেনার প্রায় প্রতিটি যুদ্ধজাহাজ আর সাবমেরিনের গতিপ্রকৃতি তাঁর নখদর্পণে। তিনি ভুরু নাচিয়ে বললেন, দ্যাট বয়লার প্রবলেম? ক্যাপ্টেন প্রকাশ বললেন, ইয়েস স্যার। নন্দা জানতে চাইলেন, এখন কত নটস? অর্থাৎ আইএনএস বিক্রান্ত কত নটস গতিতে চলছে। 
ক্যাপ্টেন প্রকাশ চিন্তিত কণ্ঠে বললেন, অনলি ফোরটিন স্যার। ইট মাস্ট বি টুয়েন্টি ফোর ইউ নো!
মাথা নাড়লেন অ্যাডমিরাল নন্দা। বললেন, সি.ই কী বলছে?
প্রকাশ বললেন, অন্তত এক মাস তো বটেই। 
ওহ! দ্যাটস ইমপসিবল! আমাদের হাতে অত সময় কোথায়? 
স্বরাজ প্রকাশ বললেন, ইয়েস স্যার। কিন্তু কী করা উচিত? অ্যাডমিরাল নন্দা বললেন, কাল একবার টেকনিক্যাল টিমকে নিয়ে বোসো। আমাকে জানিও। পাকিস্তান ইস কুকিং সামথিং! আমাদের হাতে এতগুলো শিপ ধ্বংস নিশ্চয়ই চুপচাপ হজম করবে না। সামথিং ডার্টি মাস্ট বি ইন দেওয়ার মাইন্ড! বুঝতে পারছি না। বাট জানি না কী প্ল্যান করবে। বাট আমাদের রেডি থাকতে হবে ফর এনি কাইন্ড অব ইভেনচুয়ালিটি। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার? এতক্ষণে আরও কয়েকজন ক্যাপ্টেন আশপাশে এসে গিয়েছিলেন। হঠাৎ অ্যাডমিরালের এই উচ্চকণ্ঠের আহ্বানকে তাঁদের যেন মনে হল কমান্ড। তাই স্বভাবসিদ্ধভাবে প্রত্যেকেই চিৎকার করে উঠলেন, ইয়েস স্যার! 
ক্যাপ্টেন স্বরাজ প্রকাশ তারপর থেকেই ভাবছেন কী করা উচিত। সবথেকে বড় সমস্যা ও চিন্তার বিষয় হল, পাকিস্তানের ড্যাফেন ক্লাস সাবমেরিন এতটাই উচ্চমানের যে, তাদের আক্রমণ এবং পালিয়ে যাওয়ার উভয় ক্ষমতাই অনেক শক্তিশালী। ভারতের পশ্চিমদিকে ওয়েস্টার্ন ফ্লিটে মোতায়েন থাকা দুটি সাবমেরিন আইএনএস করৌঞ্জ এবং আইএনএস কুরসুরাকে পাকিস্তানের সাবমেরিন টার্গেট করতেই পারে। ন্যাভাল ইনটেলিজেন্স বার্তা দিয়েছে আইএনএস বিক্রান্তকে ইস্টার্ন ফ্লিটে নিয়ে যাওয়া হোক। চট্টগ্রাম আর খুলনা বন্দরকে টার্গেট করা যাবে এই বিক্রান্ত থেকে। কারণ যে ৬টি এয়ারক্র্যাফটের স্কোয়াড্রন এই বিক্রান্তে মোতায়েন থাকবে, তাদের উপর দায়িত্ব রয়েছে, যে কোনও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, চট্টগ্রাম আর খুলনার দিকে অগ্রসর হয়ে সেখানে মোতায়েন হওয়া পাকিস্তানের এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ারে বম্বিং করতে হবে। কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন আইএনএস বিক্রান্তের স্পিড বাড়বে। অন্তত ২৪ নট গতি না থাকলে এয়ারক্র্যাফট উড়তে পারবে না এই মাঝসমুদ্র থেকে।  স্বরাজ প্রকাশ  চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বেরলেন। 
....
বম্বে বন্দরের কাছে হোটেল মাইকায় দু’জন বোর্ডার একটি ঘরে বসে আছে। ১২ নভেম্বর। হোটেলে বেছে বেছে এমন একটি রুম তারা নিয়েছে, যেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায়। বিশেষ করে বন্দরকে। সঙ্গে রয়েছে বাইনোকুলার এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটি রেডিও ট্রান্সমিটার। বড় একটা জানলা থেকে সমুদ্রে বাতাস এসে আছড়ে পড়ছে। বাইনোকুলার চোখে লাগানো লোকটির নাম রজার। কোড নেম। তার সঙ্গী ইয়ান্নি। এটাও কোড নেম। ভারতীয় নামে তারা দুজনে এই হোটেলে ঢুকেছে। আসলে দুজনেই পাকিস্তানি চর। উদ্বাস্তু সেজে ঢুকেছে ত্রিপুরায়। সেখান থেকে মেঘালয় হয়ে বম্বেতে। মেঘালয়ে তারা লক্ষ করেছে ভারতীয় সেনা একঝাঁক ক্যাম্প করেছে। নতুন ক্যাম্প বোঝা‌ যা঩চ্ছে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে আসা বাঙালি উদ্বাস্তুদের এখান থেকে রিফিউজি সংক্রান্ত কিছু কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। সেখানে ঢুকে এই দু‌ই ব্যক্তি দুটি রিফিউজি কার্ড নিয়েছে। তাদের যাওয়ার কথা ছিল অসমে। কিন্তু তারা চলে এসেছে বম্বে। তাদের ওপর দায়িত্ব আইএনএস বিক্রান্তকে চিহ্নিত করা। নজরদারি করা। জানা যাচ্ছে, মাদ্রাজ থেকে আইএনএস বিক্রান্ত এখন বম্বেতেই আছে। কিছু মেরামতির জন্য। গত পাঁচদিন ধরে। চতুর্থ দিন সকালে উঠে রজার বাইনোকুলার চোখে লাগিয়ে চমকে উঠল। 
রোজ সকাল-দুপুর-রাতে তারা যে লোকেট করে রাখে আইএনএস বিক্রান্তকে। সেইমতো এনক্রিপটেড মেসেজ পাঠায় ভারতের মধ্যেই। সেই মেসেজ চলে যায় ঢাকায়। তারপর করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। এই রেডিও ট্রান্সমিটারের ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষীর মেসেজের। তাই ভারতীয় গুপ্তচর ‌এবং গোয়েন্দাবাহিনীর ইন্টারসেপশনে এই মেসেজ ধরা পড়লেও খুব বেশি সন্দেহজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে, সেই মেসেজ নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না। কিন্তু এ কী? কোথায় গেল বিক্রান্ত! দিশাহারা হয়ে গেল এই দুই পাকিস্তানি স্পাই! 
করাচির ন্যাভাল হেডকোয়ার্টারে বসে সেই সময় একইরকম টেনশনে ক্যাপ্টেন ভুমবালু। জানা যাচ্ছে না কোথায় গেল বিক্রান্ত! এই তো ছিল বম্বেতে। তাহলে? ইন্ডিয়া কি কিছু জানতে পেরেছে? 
অন্যদিকে, কলকাতার ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারে কর্মরত এক অফিসার ৩৬ ঘণ্টা ধরে কোয়ার্টারে ফিরছেন না। তাঁর নাম মেজর ধরম দেব দত্ত! তাঁকে তাঁর সহকর্মীরা সম্বোধন করেন একটি বিশেষ নামে। থ্রি ডি। থ্রি ডি একটি কাজে সাংঘাতিক পারদর্শী। যে কোনও গোপন মেসেজ ডিকোড করতে। গত একমাস ধরেই তাঁকে বলা হয়েছে আরও বেশি সতর্ক থাকতে। কারণ, পাকিস্তানের দিক থেকে কোনও একটা প্ল্যান করা হতে পারে। ভারত যেন অপ্রস্তুত না হয়। থ্রি ডি তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সত্যিই তাই। হঠাৎ গ্রুন্ডিগ টেপ রেকর্ডারে অনেক বেশি রেডিও মেসেজ এসে জড়ো হচ্ছে। মেসেজের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে কেন? বিশেষ করে ইস্টার্ন বর্ডার থেকে পাওয়া যাচ্ছে লোকেশন। র‌্যাকাল আর এ ওয়ান ফিফটি রেডিও রিসিভারের নব ঘোরাচ্ছেন থ্রি ডি। পাঁচটি থেকে ছটি স্প্যানিশ শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো আগে কখনও শোনা যায়নি। কী মানে এসবের? থ্রি ডি বুঝতে পারছেন না। তবে করাচি এবং ঢাকার মধ্যে চালাচালি হচ্ছে এসব মেসেজ, সেটা বোঝা যাচ্ছে। ধরম দেব দত্ত হাল ছাড়ছেন না। এটাই তাঁর বৈশিষ্ট্য। তিনি  সীমান্তের যুদ্ধে একটি পা হারিয়েছেন। এখন তাই নন ডিসএবেলড অফিসার হিসেবে এই ডিকোডিং সেকশনে তাঁর কাজ। তাঁর পা নেই বলে তিনি যে অপদার্থ নয়, এটা প্রমাণ করার মরিয়া প্রয়াস সর্বদাই তাঁকে উত্তেজিত করে রাখে। সুতরাং এই মেসেজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোপন বার্তা তিনি পাবেন না, এটা হতে পারে না। ৩৬ ঘণ্টা ধরে অফিসেই  থাকছেন। ঘুম নেই চোখে। 
চারদিন হয়ে গেল। আচমকা ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় একটি মেসেজ ধরা পড়ল রেডিও রিসিভারে। শেষ উচ্চারণটি রজার! রজার? এটা কয়েকদিন আগেও পাওয়া যাচ্ছে। সেনডার্স ভয়েস! তারপর হু হু করে একসঙ্গে চারটি বাক্য! এবার আলোর রেখা। বোঝা যাচ্ছে কিছুটা। খুব তাড়াতাড়ি উত্তেজিত কণ্ঠে কিছু বলতে গিয়ে স্প্যানিশ আর রাশিয়ানের মধ্যে ঢুকে পড়ছে ইন্ডিয়ান উপমহাদেশের কিছু শব্দ। তিনবার শোনার পর টের পাওয়া গেল মেসেজের অর্থ। হাসি ফুটছে মেজর ধরম দেব দত্তের মুখে। আইএনএস বিক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে। আর একটি শব্দের অর্থ হল, মিসিং! অর্থাৎ বিক্রান্তকে কেউ খুঁজছে? কে খুঁজছে? ঢাকা থেকে করাচি মেসেজ। থ্রি ডি রিপোর্ট লিখলেন, বিক্রান্ত ইন টার্গেট! তার মধ্যেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল জেকবকে জানিয়েছে, আরবসাগরের উপর দিয়ে দুটি পশ্চিমী বিমান উড়ে গিয়েছে সম্প্রতি। সেটা ছবি তুলেছে কিছু। কাদের এই পশ্চিমী বিমান? কীসের ছবি তুলেছে? আইএনএস বিক্রান্তের ছবি তুলেছে তারা। পাঠিয়েছে পাকিস্তানকে। অর্থাৎ লোকেশন আইডেন্টিফাই করতে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে একটি বিশেষ বিদেশি রাষ্ট্র! কারা তারা? কিন্তু সেই ছবি পেয়ে লাভ হল না পাকিস্তানের। কারণ, সেই ছবি পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল বম্বে হারবার থেকে আইএনএস বিক্রান্ত উধাও! আশ্চর্য তো! রাতারাতি কোথায় গেল একটা আস্ত যুদ্ধজাহাজ!
 
07th  November, 2021
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

08:17:29 AM

জরিমানা বার্সার
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনা। পিএসজি’র কাছে ঘরের মাঠে ...বিশদ

08:15:00 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিতে পৌঁছলেন দক্ষিণী অভিনেতা অজিত কুমার

08:14:55 AM

মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গোটা দেশের ...বিশদ

08:12:00 AM

বিপুল মাত্রায় ভোট দিয়ে উজ্জ্বল ভারত গড়ার আহ্বান কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

08:11:59 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন ১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন ১৮৮২: ...বিশদ

08:05:59 AM