Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল। বনগাঁ লাইনে ট্রেনে জানলার ধারে সিট পাওয়া মানে রীতিমতো লটারি পাওয়া। অবশ্য এটা সম্ভব হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির জন্য। খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ আর এখন শখ করে বাইরে বের হয় না। মাত্র দেড় দু’বছরের মধ্যে জীবনযাপন পরিস্থিতি সব যেন অলক্ষ্য থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। আর আমরা পৃথিবী গ্রহের সব থেকে উন্নত প্রাণী দু’পেয়ে জীবরা সেই নিয়ন্ত্রকের হাতে সুতোয় বাঁধা পুতুল। যেমন নাচাচ্ছে তেমনি নাচছি। সেদিন ট্রেনে চোখ লেগে গেলে ওই স্বপ্নটা দেখে ধড়ফড় করে জেগে যায় রাই। কুলকুল করে ঘামছে তখন। মনে হচ্ছে গলার কাছটা কে যেন চেপে ধরেছে। উল্টোদিকে বসা এক বয়স্কা মহিলা বলে, ‘ও মেয়ে তোমার কী হয়েছে? শরীর খারাপ লাগছে? ব্যাগে জলের বোতল আছে? থাকলে খাও। চোখেমুখে জলের ছিটে দাও।’ 
বৃদ্ধার বলার মধ্যে এমন কিছু ছিল যে, রাইয়ের গলার কাছে দলা পাকিয়ে থাকা বোতলের দৈত্যের মতো কষ্টটা একটু একটু করে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর সেটা গোপন করতে তাড়াতাড়ি চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেয় রাই। বিশুদ্ধ চোখের জল আর পিউরিফায়েড ওয়াটার একাকার হয়ে যায়। বাকি জলটুকু গলায় ঢেলে দেয়। বৃদ্ধার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসে। বৃদ্ধা আর বাড়তি কৌতূহল দেখায় না।
রাই বরং জিজ্ঞাসা করে, ‘কোথায় নামবেন?‘  
‘হাবড়া।’ উত্তর দিয়ে আবার মৌন হয়ে যায় বৃদ্ধা। 
আগে এই ট্রেনে যাতায়াতের পথে ট্রেন-সম্পর্কে কত জন কত কিছু হয়ে উঠেছিল। কারও কারও সঙ্গে বাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের গল্পও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ভালো-মন্দ রান্না করলে নিয়ে আসা, ভাগ করে সিটে বসা, পুজো পালাপার্বণে উপহার দেওয়া নেওয়া পর্যন্ত। সে সব যেন অতীত। রাই বরাবর মিতভাষী। অরুণের চলে যাওয়ার পর থেকে আরও হয়ে গিয়েছে। আর সিদ্ধার্থ বিদেশে পড়তে চলে যাওয়ার পর যেন মূক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন এই বৃদ্ধার সঙ্গে খুব কথা বলতে ইচ্ছা করে। তাই জিজ্ঞাসা করে, ‘এখন বাইরে বেরিয়েছেন, খুব দরকার ছিল?’ 
বৃদ্ধার বেশভূষা বলে দিচ্ছে নিম্নবিত্তের গল্প। 
উত্তর দেয়, ‘না গো মেয়ে, বাবুসোনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। বারাসাতে একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে আমি দেখাশোনা করতাম। তা ওর মা-র গতবার লকডাউনের সময় থেকে ঘরে বসে কাজ শুরু হয়েছে। তাই আমাকে আর বাবুসোনাকে দেখতে হয় না। সেই জন্ম থেকে কোলেপিঠে মানুষ করেছি তো ভুলে থাকতে পারি না। মাঝে মাঝে দেখতে চলে যাই। ওর মা গেলে না খাইয়ে ছাড়ে না। বাড়িতে এখন বের হলে খুব বকে। কিন্তু কী করব বড্ড মায়া গো বাবুসোনার প্রতি। দেখলেই এসে গলা জড়িয়ে ধরে। তা ওর মা আজ বলল, মাসি, এ অবস্থায় এখন এসো না, একটু ঠিক হোক সব। ঠিকই বলেছে। কিন্তু কবে যে সব ঠিক হবে!’ 
রাইয়ের সমস্ত কথারা ফুলঝুরির আগুনের মতো চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে, গুছিয়ে কিছু বলবার মতো শব্দবন্ধ তৈরি হয় না। বৃদ্ধার ঘোলা ঘোলা চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।  
বৃদ্ধা হাসে। বলে, ‘দাঁড়াও মেয়ে তোমাকে বাবুসোনার ছবি দেখাচ্ছি’, বলে  জায়গায় জায়গায় আস্তরণ উঠে যাওয়া কোনও এক সময়ের খয়েরি রঙের চামড়ার ব্যাগের ভেতরে প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট থেকে খুব যত্ন করে একটা কাগজের প্যাকেট বের করে। তার ভেতর থেকে গোলগাল ছোট্ট একটা বাচ্চার ছবি বের করে মেলে ধরে রাইয়ের সামনে। 
রাই একটু ঝুঁকে ছবিটা দেখে বলে, ‘খুব মিষ্টি।’ 
‘খুব দুষ্টু। এটা ওর তিন বছর জন্মদিনের ছবি।’ বলবার সময় গলাটা কেঁপে যায় বৃদ্ধার। 
মুখ তুলে রাই দেখে বৃদ্ধার দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে যাচ্ছে। 
রাই কী যেন বলতে যাচ্ছিল তার আগেই ট্রেন থামে।
‘ওই দেখো কথায় কথায় হাবড়া এসে গিয়েছে,’ বলে উঠে পড়ে। নেমে যায় বৃদ্ধা। রাইয়ের জানা হয় না ওর বাড়িতে কে কে আছে। বা ওই বাচ্চাটার বাড়ি থেকে কিছু করে হলেও মাইনের টাকা দেয় কি না। 
বৃদ্ধা জানলার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে। তারপর ধীরে ধীরে স্টেশনের বাইরে যাওয়ার দিকে হাঁটতে শুরু করে। 
রাই যে কোনওদিন খুব একটা প্রচণ্ডরকমের হাসিখুশি উচ্ছল ধরনের ছিল তা না। তবে প্রাণবন্ত পজিটিভ ভাইভস যাদের আছে তাদের সঙ্গ বরাবরের পছন্দের ছিল। আর এখন এই দেড় দু’বছর ধরে সব যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। হুল্লোড় করে বেঁচে থাকা বা বাঁচতে জানা মানুষগুলো কোথায় যে সব হারিয়ে গেল! অসময়ের শ্রাবণ মেঘ ঢেকে দিয়েছে মানুষের যাপিত জীবন। ট্রেনটা আবার স্পিড নিয়েছে। দৌড়োচ্ছে তার গন্তব্যের দিকে। উদাসীন দৃষ্টিতে রাই জানলার দিকে তাকিয়ে। খুব গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে। নিজেকেই যেন বলে, ‘এভাবে আর কত দিন!’ 
আর তখনই একটা চেনা কণ্ঠ ডেকে ওঠে, ‘রাই দিদি, কেমন আছো? কত্তদিন পরে দেখলাম গো।’
রাইও সোজা হয়ে বসে খুশিখুশি গলায় বলে, ‘আরে সীতুকুমার যে! কোথায় ছিলে এতদিন। আমি তো প্রায় অফিস যাই। রোস্টার ডিউটি চলছে। তোমাকে দেখি না তো।’ 
সীতুকুমারের একটা পরিচয় আছে। শীতকালে সে যাত্রা দলের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘোরে। বাঁশি বাজায়। পার্টও করে নাকি। বাঁশি ওর সঙ্গে সব সময় থাকে। কেউ একটু শুনতে চাইলে, প্রথমটা লজ্জা লজ্জা করলেও শুনিয়ে দেয়। তবে বনগাঁ লোকালের যে মৌমাছির চাকের মতো বিজবিজে ভিড় কে আর বাঁশি শুনতে চাইবে! তবু রাতের দিকে কামরা একটু ফাঁকা থাকলে কেউ কেউ বলে, সীতু একটু শোনা না। সীতু শোনায়। তখন সেই শিয়ালদা থেকে ঝগড়া করতে করতে আসা কমবয়সি বউটাও কেমন বাধ্য বালিকার মতো চুপ করে যায়। ফণা গুটিয়ে নিয়ে নিজেই ঝাঁপির মধ্যে ঢুকে যায়। সীতুকুমার ট্রেনে শশা, পেয়ারা বেচে। আর বাকি সময়টা যাত্রার দল। পুরো নাম নাকি সীতাপতি সর্দার। এটা নাকি যাত্রা দলের অধিকারী মশাইয়ের দেওয়া। একদিন কে যেন জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তা বাপ সীতুকুমার তোর আসল মানে বাপ-মায়ের দেওয়া নামটা কী বল একটু শুনি।’ 
মাথা নেড়ে বলে, ‘শুনি কাজ নাই। উটি নামটা ভালো নয়।’ 
আর এই কথায় সবার কৌতূহল বেড়ে যায়। চেপে ধরে। ‘বল, বল সীতু।’ 
সীতুকুমার মুখ নিচু করে সলাজ হেসে বলেছিল, ‘ধনপতি।’ 
সমস্ত কামরা হাসিতে ফেটে পড়ে। 
সীতুকুমার কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে, ‘জানতাম তুমরা হাসপে। তাই বলতি চাইনি।’ 
সেদিন রাইও ছিল ওই কামরায়। রাই সীতুর মনের চোরা দুঃখে জোনাকি জ্বালার মতো বলে ওঠে, ‘তুমি কান দিও না সীতু। একটু বাঁশি শোনাও দেখি। আর আমাকে পাঁচশো শশা দাও।’ 
মন কেমন করা বাঁশি শুনিয়েছিল সেদিন সীতু। সমস্ত কামরা থমথমে হয়ে যায়। 
আজ অনেকদিন পর সীতুকুমারকে দেখে সে সব মনে পড়ে যায়। রাই দেখে সীতুর হাতে শশা বা পেয়ারার ঝাঁকার বদলে একটা লম্বা লাঠির সঙ্গে আড়াআড়ি করে কতগুলো লাঠি বাঁধা আর তাতে দড়ি, সেপ্টিপিন দিয়ে মাস্ক ঝোলানো। রাই সেদিকে তাকালে সীতু নিজেই বলে, ‘এখন তো বাইরে আর কেউ কিছু খায় না। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। গতবছর যাত্রাও হয়নি। তাই মাস্ক বিক্রি করছি।’ 
অনলাইনে একগাদা ডিস্পোজাল মাস্ক কেনা আছে রাইয়ের ঘরে। মাস্ক কেনার কোনও দরকার নেই। তবু মন চায় সীতুকুমারকে কিছু সাহায্য করতে। গেটের উল্টোদিকে শুধু কমবয়সি একটা মেয়ে ছিল। সে শিয়ালদা থেকে পুরো সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল। গোবরডাঙা আসতে নেমে গেল।
রাই বলে, ‘সীতু একটু বাঁশি শোনাও। কত দিন শুনিনি।’
সীতু বেশ খুশি মনেই কাঁধের ঝোলা ব্যাগটা থেকে বাঁশি বের করে বাজায়। সুরটা রাই চেনে না। কিন্তু বাঁশি তো বাঁশিই। বড় করুণ এর ধুন। মন কেমন করে। শেষ করে সীতু হাসিমুখে তাকায় রাইয়ের দিকে।
রাই বলে, ‘মনটা ভরে গেল গো সীতুকুমার।’ 
ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বের করে দিতে গেলে সীতু বলে, ‘এমা রাই দিদি তুমি কি কোনওদিন দেখেছো বাঁশি শুনিয়ে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি!’ 
রাই বুঝতে পারে, ভুল হয়ে গিয়েছে তার। একজন শিল্পীর ভেতরকার অহং-এ ঘা দিয়ে ফেলেছে সে। তাড়াতাড়ি বলে, ‘তাহলে দুটো মাস্ক দাও দেখি।’ 
চাঁদপাড়া এলে, ‘আসি গো রাই দিদি’ বলে নেমে যায় সীতু। নেমে গিয়েও ছুটে আসে জানলার কাছে। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। সীতু হাওয়ার গতিবেগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিৎকার করে বলে, ‘রাই দিদি, ট্রেনে যে শিবুদা, গঙ্গাদি ছিল না, গান গাইতো। শিবুদা করোনায় একমাস হল মরে গিয়েছে।’  
ট্রেন স্পিড নিয়ে নেওয়ায় সীতুর আর কোনও কথা রাই শুনতে পায় না, আর রাইও কী যেন বলতে যাচ্ছিল আর বলা হয় না। 
হাতে ধরে থাকা মাস্ক দুটো ব্যাগের ভেতর ভরে নেয় রাই। হাতে একটু স্যানিটাইজার দেয়। সেদিন ফেসবুকে একটা মিমস দেখছিল, ঠাকুরঘরে গঙ্গাজলের বোতলে স্যানিটাইজার রাখা। সিটে একটু হেলান দেয় রাই। চোখটা বন্ধ করে। স্বপ্নটার কথা মনে হয়। সারি দিয়ে চিতা জ্বলছে। চিতার লকলকে আগুন। সব কোভিডে আক্রান্তদের শরীর। আর তখনই ট্রেনটা সিগ্যনাল না পেয়ে থেমে যেতে একটা ঝাঁকুনিতে চোখ খোলে রাই। পুরো কামরাটায় সে এখন একা। জীবনের প্রথম অবিশ্বাস্য ঘটনা। খাঁ খাঁ করছে যেন। সীতুর কথাটা মনে পড়ে। কী যেন বলছিল সে, শিবু গঙ্গা মানে সেই অন্ধ স্বামী-স্ত্রী। মাইক্রোফোন দিয়ে গান গেয়ে ট্রেনে ভিক্ষা করত। ওদের তো একটা মেয়েও আছে শুনেছিল। বনগাঁ গার্লস স্কুলে পড়ে। নতুন ক্লাসে উঠলে গতবার রাই একটা বই কেনার দামও দিয়েছিল। অনেকেই দেয়। ইসস স্বামীটা মারা গেলে বউটা একা একা কী করে সব সামলাবে! একে তো অন্ধ মানুষ। মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। 

বনগাঁ অন্তিম স্টেশন বলে নামার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ধীরেসুস্থে নামে রাই। নাকের উপর মাস্কটা একটু টেনে নেয়। সামনের সপ্তাহ থেকে আবার নাকি লকডাউন হবে শোনা যাচ্ছে। লকডাউনে দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর দুরবস্থার শেষ থাকে না। ট্রেন বন্ধ মানে সীতুদের মতো মানুষদের রুটিরুজিও বন্ধ। কবে যে সব ঠিক হবে কে জানে। অনেকে বলে, এ নাকি প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা করার প্রতিশোধ নিচ্ছে সে। রাই মনে মনে বলে, ‘না অনেক হয়েছে আর নিও না প্রতিশোধ।’ 
স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ একটা গানের সুর কানে আসে। গানটা কিশোরকুমারের জনপ্রিয় গান। ‘চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না কভি আলবিদা না কহে না...’ বেশ কমবয়সি মেয়ের গলা। ভালো সুরেই গাইছে। পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে দেখে গঙ্গা। আর বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না কমবয়সি মেয়েটা তারই মেয়ে। রাই দাঁড়িয়ে পড়ে। 
গান শেষ হলে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি গাইছ তোমার মা এখন আর গায় না?’ 
মেয়েটি মাথা নাড়ে। বলে, ‘বাবা মরে যাওয়ার পর থেকে মা আর গান গায় না। আর আমারও তো স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই আমিই গাই।’ 
রাই একটু চুপ করে যায়। তারপর বলে, ‘বন্ধ মানে! অনলাইন ক্লাস তো হচ্ছে।’ 
মেয়েটা হাসলে বাঁ গালে টোল পড়ে। সেই টোল ফেলে হেসে বলে, ‘আমাদের তো স্মার্টফোন নেই দিদি। একটা কাকু বলেছে আমার গানের গলা খুব ভালো। কলকাতায় ভালো জায়গায় গান গাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। তখন ওই ফোন কিনব। ক্লাস করব।’ 
রাই জবুথবু হয়ে বসে থাকা গঙ্গার দিকে ভালো করে তাকায়। মনে হয় ভাগ্যিস গঙ্গা চোখে দেখে না। তাহলে রাইকে হয়তো চিনতে পারত। জিজ্ঞাসা করত, রাইদিদি মেয়েটাকে ওই কাকুর সঙ্গে কলকাতায় গান গাইতে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে? 
ব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট ওদের সামনে রাখা পাত্রটায় রেখে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে রাই।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
07th  November, 2021
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়াও হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়ারও ছবি তুলেছে রাজারাম, জানাল পুলিস

06:41:00 PM

মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূল নেতৃত্বের। উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী ...বিশদ

06:16:29 PM

নিজের মোবাইল থেকে একাধিক ছবি ও তথ্য ডিলিট করেছে রাজারাম, ফরেন্সিকে পাঠানো হল ফোন

06:11:00 PM

বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM