সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
পরমেশ্বর থমথমে মুখে বসে আছে। একটু দূরে মাথা নিচু করে বসে আছে সুজি। টেবিলের সামনে ভানুদা গালে হাত দিয়ে, শঙ্কর অন্যদিকে তাকিয়ে সিগারেট টানছে।
সহজ বুঝল, এদের কোনও মিটিং হচ্ছে। সে না বুঝেই চলে এসেছে। অথচ অফিসঘরের নীচে অনেকেই দাঁড়িয়ে জটলা করছে। কেউ কিন্তু সহজকে বারণ করেনি, বলেনি— ওপরে যেও না। বরং তাকে রাস্তা ছেড়ে দিল। সেটা জেনে বুঝেই দিল। ওরা মনে করেছে পরমেশ্বর ওদের মতো সহজকেও খেদিয়ে দেবে। তখন সহজকে নিয়ে ওরা একটু খিল্লি করবে।
ভেজানো দেখেও সহজ দরজা ঠেলল। তখনই তার নজরে এল ঘরের ভেতরকার দৃশ্যে। সহজ থমকে দাঁড়াল। পারলে দরজাটা আবার ভেজিয়ে দিয়ে চলে আসে। ‘—সরি, তোমরা কথা বলো আমি পরে আসছি।’ সহজ দরজাটা টানতে যাবে, তার আগে পরমেশ্বর বলল, ‘তুই আয়! তোর সঙ্গে দরকার আছে।’
ভানুদা বলল, ‘এসো ভাই।’
সহজ ঢুকে বসতে যাবে, তখনই সিগারেটটা অ্যাসট্রে মধ্যে চেপে ধরে শঙ্কর বলল, ‘এই তুমি তো বহুত ফালতু ছেলে, ক্যাপ্টেন মজা করছে সুজির সঙ্গে আর তুমি সেটা সিরিয়াসভাবে প্রচার করছ!’
শঙ্করের কথার উত্তর দিল না সহজ, কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল, ‘কী বলছ বলো তো?’
‘তুমি বুঝতে পারছ না? আমি সব খবর পেয়েছি—তুমি ওকে নিয়ে খিল্লি করেছ।’
সহজ ততোধিক গলায় বলল, ‘কোন ব্যাপারে?’
পরমেশ্বর হাত তুলে খুব বিরক্তির সঙ্গে শঙ্করকে থামাল। বলল, ‘এই সেদিন ক্যাপ্টেন যখন এইসব কথাগুলো বলছিল তুই সামনে ছিলি?’
সহজ বলল, ‘ছিলাম।’
‘তাহলে থামালি না কেন?’
‘আমার ক্ষমতা ছিল না, প্রথম দিন যখন তোমাদের ক্যাপ্টেন নচেকে বলেছিল— তোর অপঘাত মৃত্যু, তুমি পেরেছিলে ওকে থামাতে। তুমি কি নচের খবর জানো, খবর নাও, ও ডিপ্রেশনে ভুগছে। সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে বের হয় না। ঠেকে এলেও আমার সঙ্গে সেঁটে থাকে। আসার আগে আমাকে ফোন করে বলে, আজ যাব। একটু খাব। তুমি থেকো। কেন বলে তুমি কি জানো? ওর ধারণা ক্যাপ্টেন ঠিকই বলেছে—ও অপঘাতে মরবে।’
পরমেশ্বর দুম করে একটা ঘুসি মারল টেবিলে। ভানুদা বলল, ‘এসব কী হচ্ছে রে?’
শঙ্কর বলল, ‘দুর ক্যাপ্টেনের কথা কেউ ধরে? ও পাগল ছাগল মানুষ!’
‘পাগল ছাগলের কথা তোমরা ধরো কেন? তুমি ধরো, পরমেশ্বরদা ধরে, এখন নচে ধরেছে। তোমরা আমাকেও ধরানোর চেষ্টা করছ। আর হয়তো সুজিদাও ধরবে—।’
সহজের কথায় কেউ কোনও উত্তর দিল না। সবাই ঘরের ভেতর কেমন গুম মেরে গেল। হঠাৎ শঙ্কর বলে উঠল, ‘আমি কী ধরি? কে তোমাকে কী খাইয়েছে, ঝেড়ে কাশো তো!’
সহজ হাসল, ‘শঙ্করদা তুমি গল্প-কথা হয়ে গেছ। তোমার আঙুলে হীরের আংটি। তোমার ব্যক্তিগত জীবন, প্লিজ, আমি সব না জানলেও আর পাঁচজনের মতো অনেকটা জানি। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাইছি না। আমি আমার কথা উইথড্র করলাম। তুমি ক্যাপ্টেনের কথায় চলো না। তুমি ঠিক আছো।’
শঙ্কর হতভম্ব হয়ে সহজের দিকে তাকিয়ে থাকল। ওর মুখে কোনও কথা নেই। শঙ্কর ভাবতে পারেনি ওর মুখের ওপর সহজ এত কথা বলবে। কিন্তু এতগুলো কথা শুনে তার যেমন জ্বলে ওঠার কথা ছিল, তেমন সে জ্বলল না। বরং কেমন যেন নিজেকে সরিয়ে গুম হয়ে গেল।
সহজ বলল, ‘পরমেশ্বরদা, তুমি কি পার না এক মাস এলাকায় টানা থেকে যেতে? তুমি কনফার্ম একমাস টানা এলাকায় থাকলে তুমি মার্ডার হয়ে যাবে?’
‘মানে?’
‘মানে আমি যেটুকু জানি, তুমি ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী মেনে এলাকায় একুশ দিন টানা থাকো না।’
‘ব্যাপারটা তুই এত সিরিয়াসলি নিচ্ছিস কেন?’ পরমেশ্বর খুব মৃদু গলায় বলল।
‘আমি নিচ্ছি না তো, তুমি নিয়েছ। আমি তোমাকে বলছি, এবার ঝেড়ে ফেলে দেখো।’
পরমেশ্বর বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর খুব ঠান্ডা গলায় বলল, ‘ক্যাপ্টেনকে দিয়ে এটা আমিই বলিয়েছি— আমার এই পুরো মাস এলাকায় না থাকাটা— এটা আমার রটানো। কারণ, আমার অন্য জায়গায় বিজনেস আছে। শঙ্কর জানে। আমাকে মাসে একবার করে সেখানে যেতেই হয়। না গেলে চলবে না। কিন্তু আমি যখন এই কথাটা রটিয়েছিলাম, তখন পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আমার প্রোমোটিং করা নিয়ে পার্টির লোকাল কমিটি আমাকে তুলোধনা করছে। ওপর থেকেও চাপ এসেছে প্রোমোটিং ব্যবসায় ঢুকো না। আমি জেদ করে ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু জানি যে, কোনও সময় এটা বন্ধ করে দিতে হবে। আমি পাশাপাশি অন্য ব্যবসা করেছি। কলকাতার বাইরে। এবার আমি যদি এখানে সেই ব্যবসার কথা বলি— তাহলে আমার টিম ভেঙে যাবে। কোথাও একটা অবিশ্বাস তৈরি হবে। সবাই মনে করবে, আমি বহুত টাকা করছি। চারদিকে ব্যবসা ফাঁদছি। একটা সময় এমন ছিল, আমার এখানকার প্রোমোটিংয়ের টাকার বেশির ভাগ লাভের অংশ আর পাঁচজনের মধ্যেই ভাগ হতো। আমি পারতাম, একা প্রোমোটিং করতে, আমি সবসময় ওপেন দু-তিনজন পার্টনার রেখেছি, আমার গোপনেও দু-চারজন পার্টনার আছে। যা সুজি জানে। আমি সবাইকে নিয়েই চলি। আমি পারি— এলাকায় টানা একমাস দু’মাস থেকে যেতে। আমি থেকে গেলে সুজির কি সমস্যা মিটবে? তাহলে আমি একমাসের বেশি এলাকায় থেকে যাব।’
সুজি ঝাঁপিয়ে ওঠে, ‘আমার সমস্যাটা আমাকে বুঝতে দে। আমি ডিএনএ টেস্ট করাব। কাকের বাসায় কোকিল কি না আমি দেখে নেব। আমার বউয়ের এত ভয়ের কী আছে? সে কেন তোদের বলেছে, ও টেস্ট চায় না। ও তাই জন্য ড্রামাবাজি করছে। ক্যাপ্টেন ট্যাপ্টেন আমি মানি না। সন্দেহ আমার। অসুখ আমার। ওষুধ আমি খুঁজে নেব।’
ভানুদা শান্ত গলায় বলল, ‘সুজি, তুই কাল রাতে বউকে মেরেছিস। ওর ন’মাস। ভরা সময়। ঠিক করিসনি।’
‘সে কৈফিয়ত আমি তোমাকে দেব না।’
ভেজানো দরজা খুলল অমল। পরমেশ্বর বলল, ‘অমল, একটা ঝামেলায় আছি রে। বিকেলে আয়। আর শোন, পাঁচটা চা বলে দিস।’ ঘাড় নেড়ে অমল চলে গেল।
ঘরের ভেতর অখণ্ড নীরবতা। শঙ্কর ঘড়ি দেখছে। প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ঠুকছে। প্যাকেট এবার সে সুজির দিকে এগিয়ে দিল। সুজি নিয়ে ছুড়ে দিল টেবিলে। শঙ্কর বিড়বিড় করে বলল, ‘চা খেয়ে বেরিয়ে যাব, একটা কাজ আছে।’
‘বলে দে যেতে দেরি হবে,’ পরমেশ্বর কথাটা লুফে নিয়ে বলল।
শঙ্কর পাল্টা কোনও কথা বলল না। নিজের মুণ্ডুটা এপাশ ওপাশ করে ঘাড় ফাটাল। চা এল। সবার হাতে গেলাস। পরমেশ্বর চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, ‘সুজি, তুই কী চাস?’
‘আমি কী চাই মানে?’
‘বিষয়টা আজ এখানে এবং এখনই শেষ করতে হবে।’ পরমেশ্বরের গলার স্বর বেশ কঠিন।
সুজি বলল, ‘শোন, ব্যাপারটা মজা নয়। ইয়ার্কি হলে আমি বুঝতাম। সহজ আর আমি ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়েছিলাম। দু-একটা কথার পর ক্যাপ্টেন হঠাৎই কেমন খেপে উঠল। আমাকে অ্যাটাক করল— বলল, আমি কোকিলের ছানা মানুষ করব। বিশ্বাস কর, ব্যাপারটা ইয়ার্কি ছিল না। ক্যাপ্টেন মজা করে কথাটা বলেনি। বা একফোঁটা মদ খায়নি যে, মাতাল ভাবব। সকালবেলা! সকালবেলায় ক্যাপ্টেন যা বলে—।’
সুজির হাতটা ঠক ঠক করে কাঁপছে। দুঠোঁট শুকনো হয়ে ঝুলে। চায়ে লম্বা একটা চুমুক দিয়ে বলল, ‘বিশ্বাস কর— ক্যাপ্টেনের কথাটা আমি নিতে পারছি না। সহজ আমাকে অনেক বলেছে, ক্যাপ্টেন ফালতু কথা বলেছে। কোনও কারণে আমাকে অপমান করতে চাইছে। কিন্তু, সন্তান খুব সেনসেটিভ বিষয়। আমি ঠিক মেনে নিতে পারছি না। আমি সারারাত ঘুমাইনি। সারারাত ধরে ভেবেছি, ক্যাপ্টেন কেন আমাকে অমন করে বলল? কী কারণ? যদি কোনও কারণ খুঁজে পেতাম, তাহলে বুঝতাম ক্যাপ্টেন আমাকে স্কিম করেছে। কিন্তু কোনও কারণ পাইনি। কোনও কারণ নেই। ক্যাপ্টেনের মনে হয়েছে, তাই বলেছে। তাহলে ক্যাপ্টেনের মনে হল কেন? আমার এত বছর সন্তান হয়নি। কার দোষ, কার গুণ আমি বলছি না। এখন হঠাৎ সন্তান হচ্ছে— না, না, ক্যাপ্টেন কিছু একটা গোপন করছে। সেটা কী আমাকে জানতে হবে। আমি সত্যিটা জানতে চাই। এটা আমার অধিকার।’
ভানুদা ঠোঁটের সামনে চায়ের গেলাস রেখে বলল, ‘সেটা তো পরের দিন ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়ে কেন বলেছে জানতে পারতিস।’
‘পারতাম, অন্যকিছু হলে পারতাম। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি নিতে পারছিলাম না। আমি জানি, সহজ আবার গিয়েছিল ক্যাপ্টেনের বাড়ি। সহজ গিয়ে জানতে চেয়েছিল— ক্যাপ্টেন বলেছে, রাগে বলেছে। ও আমাকে সহ্য করতে পারে না। তাইজন্যে বলেছে। আমাকে নিয়ে স্কিম করেছে। আমার প্রশ্ন, আমি তো এমন কিছু করিনি, তাহলে হঠাৎ কেন ক্যাপ্টেন ওই কথাগুলো বলল?’
‘আবারও বলছি— খুব সিম্পল, তোমার ওপর রাগ। তোমাকে উনি সহ্য করতে পারেন না। আমাকে এটাই বলেছেন। আসলে তোমাকে আঘাত করতে চেয়েছেন, আর কিছু না। আর একটা কথা কী জানো— তোমাদের ক্যাপ্টেন কিছু চমৎকারী, তাক লাগানো কথা বলে সব আলো নিজের মুখে ফেলতে চায়।’
ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে সুজি। ‘আমি কী করেছি! কেন রাগ থাকবে আমার ওপর? সহজ তুমি ক্যাপ্টেনকে জানো না, চেনো না। উনি সকালবেলা এভাবেই কথা বলেন— হঠাৎ করেই বলেন— আর যা বলেন— তার কিছু সত্যি থাকে। আমি সেটাই মিলিয়ে দেখে নিতে চাই। আমি ঠকে যাচ্ছি না তো?’
পরমেশ্বর বলল, ‘এটাই তাহলে তোর ফাইনাল ডিসিশন, তুই ডিএনএ টেস্ট করাবি, কিন্তু মৈত্রেয়ী এটা মেনে নেবে না। তুই ক’দিন ধরেই এটা নিয়ে ঝামেলা করছিস। ও আজ বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। যাওয়ার আগে ওই শরীর নিয়ে আমাদের বাড়ি এসেছিল, ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমার মা, আমার স্ত্রীকে সামনে রেখে বলে গিয়েছে, এটা সে হতে দেবে না।’
‘তার মানে ওর মধ্যে গলতি আছে?’ ফুঁসে ওঠে সুজি।
‘আমার কথা শেষ করতে দে। ও বলেছে, একমাত্র একটি শর্তে ও ডিএনএ টেস্ট করতে রাজি হবে, সেটা হবে— ও দু একদিনের মধ্যে ডিভোর্স কেস ফাইল করবে। তারপর ছ-মাস তোর সঙ্গে সেপারেশনে থাকবে। যদি তুই মিউচ্যুয়াল ডিভোর্স দিস, ডিভোর্স নিয়ে ও টেস্ট করাবে। আমি, মা, আমার স্ত্রী ওকে এসময় এত টেনশন, উত্তেজনা না নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু ও রাজি হয়নি। ও কোনওভাবেই তোর সঙ্গে সংসার করবে না, এটা ওর ফাইনাল ডিসিশন। আমি একদিন ওর কাছে সময় নিয়েছি, তোর সঙ্গে কথা বলার জন্য। তোর কথা জানতে চাইলাম— তুই তোর ডিসিশন জানিয়ে দিয়েছিস।’
ভানুদা বিড়বিড় করল, ‘রামচন্দ্র বিশ্বাস করেননি, সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল—। তিনিও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।’
পরমেশ্বর বলল, ‘সুজি, তুই কি একদিন ভাবার সময় নিবি? মাথা ঠান্ডা করে কাল জানা। এমন পাগলামি করিস না।’
‘না, আমার জানানোর কিছু নেই। আমি এত সন্দেহ নিয়ে থাকতে পারব না। সামান্য ব্যাপার, ও কেন মেনে নিতে পারছে না। ও ঠিক থাকলে ঝামেলা মিটে গেল।’
‘এত অবিশ্বাস নিয়ে মৈত্রেয়ী কেন তোর সঙ্গে থাকবে? যা, এখান থেকে তুই চলে যা। আর শোন, তুই যদি কোনও ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করিস, আমি তোকে ছাড়ব না। আমরা সবাই মৈত্রেয়ীর পক্ষে।’
সুজি উঠে দাঁড়াল, ‘তুই বন্ধুত্ব ভাঙছিস।’
‘একদম। বিজনেসও ভাঙছি। এখানে তুই আর আসবি না। তোর সঙ্গে আমার পার্টনারশিপ শেষ। আমি তোর সব হিসেব শম্ভুবাবুকে করতে বলব— এক সপ্তাহের মধ্যে তোর সব টাকা দিয়ে দেব।’
শঙ্কর উঠে দাঁড়ায়, ‘এই পরমেশ্বর—এটা কী হচ্ছে, এর সঙ্গে বিজনেস কেন?’
‘তুই বোস শঙ্কর, ওর নামে ব্যবসা থেকে টাকা সরানো নানা অ্যালিগেশন আছে। বেশকিছু প্রমাণও আছে। আমি ওকে অনেক বারণ করেছি। ও নিজের ব্যবসা থেকে কমিশন খায়। আমি সব সহ্য করে নিয়েছিলাম। ওর কাটমানি খাওয়া নিয়ে মজা করতাম, হাসতাম। কিন্তু এত অবিশ্বাস নিয়ে থাকা যায় না। প্লিজ, সুজি ব্যবসা নিয়ে বাইরে নাটক করবি না। তোর পুরো টাকা তুই পেয়ে যাবি। এক টাকাও মার যাবে না। যা চলে যা, আর আসিস না এখানে। আমি আমার মাকে কথা দিয়ে এসেছি— বন্ধুকৃত করব না।’
সুজি উঠে দাঁড়াল। ‘কাজটা ভালো করলি না। মৈত্রেয়ীকে নিয়ে তুই গেম খেলছিস পরম। একদিন আমি হিসেব বরাবর করে দেব! মাছ কিন্তু সব পাখিই খায়, দোষ হয় মাছরাঙার। তা, বাচ্চার বাবাটা কে— তুই!’
(চলবে)