Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ঘাম

ধ্রুব মুখোপাধ্যায়: টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো। চেরি রঙের আলমারি আর তার ঠিক পাশেই একটা টিভি যার সামনে ছেলেমানুষের মতো গড়াগড়ি খাচ্ছে চ্যানেল চেঞ্জ করার নব। আমাদের শোবার ঘরটা বরাবর এমনই। গ্রীষ্মের সন্ধেতে, চটা-ওঠা লাল মেঝেতে জল ঢেলে, আলো বন্ধ করে, মা আমাকে ডাকল, ‘বাবু শুবি তো আয়! ঘরটা কেমন ঠান্ডা করে দিয়েছি দেখ।’ আমি তখন মাঠ থেকে ফিরে ঘামে ভিজে একসার। মুছলেও মুহূর্তে ভিজে যাচ্ছে শরীর। মায়ের পাশে শুলাম বটে তবে মেজাজটা একেবারে তুঙ্গে। ‘ধুর, এভাবে ঠান্ডা হয়? বাবাকে বলে জল ছাদটা করালেই তো পারো!’ বলতেই মা পাশ ফিরে বুকে হাত বুলিয়ে বলল, ‘কীরকম ঘেমেছিস রে!’ আমি সঙ্গে সঙ্গে শরীরটাকে উল্টিয়ে, উপুড় হয়ে শুলাম। মেঝেতে শুয়ে পিঠটা কেমন ঘেমেছে, সেটা দেখাতে। ‘স্থির হয়ে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস গোন। দেখ গরম কমে যাবে। তারপর দেখবি এই ঘর, এই জগৎ সংসার সবই কেমন ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।’ মায়ের কথা শুনে ভিতরটা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল। ‘জগৎ সংসার আর ঠান্ডা করতে হবে না, আগে নিজের ঘরটা ঠান্ডা করলেই তো পারো,’ খেঁকিয়ে বলতেই মা শাড়ির আঁচল দিয়ে পিঠটা মুছতে মুছতে বলল, ‘জগৎ সংসার গরম বলেই না ঘরটা গরম।’ উত্তর দিতে না পারার আফশোসটা কমন হলেও মায়ের কাছে উত্তর করতে না পারার ক্ষোভটা ছেলেপুলেদের খেপিয়ে দেয়। মায়েরা বোধ হয় এই জন্যই সবার আগে চুপ থাকার কৌশলটা শিখে রাখে। আমি একটু কসরত দেখিয়ে উঠে টিভিটা চালালাম। নবটাকে টেবিলের সামনে থেকে তুলে, টিভির বেখাপ্পা ভাবে বেরিয়ে থাকা সাদা হুকটাতে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পটপট করে রেগুলেটরটাকে যতদূর ঘোরানো সম্ভব ঘুরিয়ে নিলাম। তারপর পিছনে ঘুরিয়ে একটা গানের চ্যানেলে রেখে আবার একটু কেরামতি দেখিয়ে শুতে যাব কী, ‘উঠলি-ই যখন এক গ্লাস জল দিবি। সেই দুপুর থেকে জল খায়নি।’ আমি ‘পারব না’ বলে আবার শুতে গেলে, মা নিজেই পাশ ফিরে উঠতে লাগল। আবার সেই। কিছু করতে না পারার ক্ষোভ। ‘থাক, আর উঠতে হবে না’ বলে দু’লাফে রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়ামের কলসিটা গড়িয়ে এক গ্লাস জল এনে আবার কেরামতি দেখিয়ে শুয়ে পড়লাম ঠিক সেই একই জায়গায়। গলগল করে ঘামলেও মায়ের আটপৌরে শাড়ির আঁচলের স্পর্শটা বেশ লাগছিল। সাদা-কালো টিভির ঝিলঝিল করা ভিডিওটাও তখন যেন স্পষ্ট। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরের জানলায় ঝুলিয়ে রাখা প্রায়-শুকনো চাদরগুলোকে উড়িয়ে শুরু হল কালবৈশাখী। এক ঝলক বিদ্যুতে, সন্ধের আকাশের সঙ্গে ঘরের ভিতরটাও ঝলসে উঠল। মায়ের হাতটা কখন যে আমার চোখ দুটোকে চেপে ধরেছিল আমি বুঝিনি। তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাতটা সরিয়ে দিতেই গুরগুর আওয়াজে কেঁপে উঠল গোটা ঘর। একতলার ঘরে কালবৈশাখী শুধু ঠান্ডা বাতাস আনে না, ফ্রিতে মুঠো মুঠো ধুলোও ছুড়ে দিয়ে যায়। মা তাই তড়িঘড়ি টিভির প্ল্যাগটা খুলে, বন্ধ করে দিল সবক’টা জানলা। আর শেষে এক ডেকচি আচার হাতে বলল, ‘চেখে দেখ তো। তেলটা কেমন মজেছে।’ আমার ভিতরটাও যেন অনেকক্ষণ ধরে কিছু একটা চাইছিল। কিন্তু সেই চাওয়া-পাওয়ার হিসাবটা এভাবে হুবহু মিলে যাবে বুঝিনি। আচারটা মুখে দিতেই কিস্তিমাত! ‘আমাকে না হয় না বলিস, কিন্তু অন্য কেউ জল চাইলে দিস যেন বাবু,’ আবার শুরু করল মা। মায়েরা সব বোঝে। সন্তান কখন কোন মুডে কী চায় এমনকী সমস্ত রকম মুডের ওষুধও। তবে আমি আর কোনও প্রতিবাদ করিনি। আর মা-ও যেন খুব ভালো করেই জানত যে, আমি কোনও প্রতিবাদ করব না। তাই সেই সুযোগে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ‘মরার সময় মুখে জলটা দিবি তো?’ এবার আর পারিনি, ‘পাশে শুলেই কি তোমাকে যতসব বাজে বকতে হয়? দু-দণ্ড শান্তিতে শুলে কি গায়ে জ্বালা ধরে?’ আর তারপরেই সব চুপ। এরকম ঘটনা আমার স্কুল জীবনে বহুবার ঘটেছে আর প্রতিবারই মা সেই একই বস্তাপচা কথাগুলো বলে এসেছে, ‘দশ মাস, দশ দিন পেটে ধরলাম। কিছু তো সাধ থাকবেই! নিজে যখন বাপ-মা হবি বুঝবি।’ কিন্তু এবার আর কিছু বলল না। বার কয়েক আওয়াজ দিলেও চুপ! পাশ ফিরে মায়ের শরীরটাকে জোরে জোরে ঝাঁকালাম আমি। কিন্তু দেহটা যেন অসাড়। গলাটা শুকিয়ে আসছিল। কালবৈশাখীর শেষে বাইরে তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। জগৎ সংসার ভীষণ ঠান্ডা। ঠান্ডায় আমার হাড়গোড় কাঁপছে তবুও সারা শরীরে ঘাম। ভিতরটা হালকা হয়ে আসছিল। ‘মা, কিছু তো বলো।’ চিৎকার করতেই ঘুমটা ভেঙে গেল। হকচকিয়ে উঠে দেখি ঘরের ভিতরটা হিম শীতল। যদিও সারা শরীর ঘেমে একসার। আলোটা জ্বলছিল। বোতল থেকে এক ঢোঁক জল খেতেই আরও ঘেমে গেলাম। রুমের জানলাটা তখন হাঁ করে গিলে খাচ্ছে বাইরের ঠান্ডা বাতাস। এদেশে জানলা খুলে ঘুমানো মানে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। জানলাটা নামিয়ে, ঘামে ভেজা শরীরটা মুছতেই হাজার হাজার প্রশ্ন যেন চারপাশ থেকে ঘিরে ধরছিল। এমনটা তো আগে কক্ষনও হয়নি! এর আগে আমি মনে রাখার মতো, ভয়ঙ্কর, ঘাম ঝরানো স্বপ্ন দেখেছি মাত্র একটাই, এইচএসে অঙ্ক পরীক্ষার দিন ইংলিশ পড়ে যাবার স্বপ্ন। কিন্তু...। থেকে থেকে ভিতরটা হালকা হয়ে আসছিল।
সাউথ হ্যাম্পটন শহরটা বড্ড একঘেয়ে। আটলান্টিকের ঠান্ডা হাওয়া, ইংলিশ চ্যানেলের পার থেকে প্রাণবন্ত ফ্রান্সের হাতছানি আর মেঘ-বৃষ্টির হুটোপুটি। একটানা অনেকদিন থাকলে ডিপ্রেস্‌ড লাগে। আর আমার তো বছর পাঁচেক হয়েই গেল। অফিস, বাড়ি আর মাঝে মধ্যে ছুটিতে সামনের সাধের আইল অফ হোয়াইট। বাড়িতে বাড়িতে টাইটানিকে ডুবে যাওয়া মৃতের গল্পে ভরা এই শহরে উচ্চমাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষায় ইংরেজি পড়ে যাওয়ার স্বপ্নও যেন বিলাসিতা। মনকে এভাবেই অনেকক্ষণ মানানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। তাহলে ভিডিওটা? মা কী...? সন্ধে থেকে বারবার মাকে ফোন করলেও, ফোনটা সুইচড অফ। মায়ের মুখটা এভাবে কোনওদিনও মনে পড়েনি। পড়বেই বা কী করে! সারাটা জীবন তো দৌড়েই গেলাম। সেই কবে গ্রীষ্মের দুপুরে ঘামে ভিজে যাওয়া শরীর নিয়ে বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, পালাব এই ঘামের দেশ ছেড়ে। তারপর থেকেই বাবার পান বিড়ির দোকানটাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর প্ল্যান। বাবা যদিও বেশি কিছু বলার সুযোগ পায়নি, তবে মা পেয়েছে। কিন্তু মা আবার কোনওদিনও কিছু বললই না। আফশোসটা হুট করে রাগ হয়ে গেল। ‘কেন কিছু বলল না মা?’ বহুদিন পর আবার আবার সেই, মায়ের উপর রাগ।
আবারও ফোন করলাম। কিন্তু সেই এক। তাহলে কী মায়ের? মা বরাবর চুপচাপ। টাকা পাঠালে উদাস হয়ে বলে, ‘কী হবে টাকা নিয়ে?’ তবে শরীর খারাপ হলে আমি যখন তেড়েমেড়ে বলেছি, ‘একটু ভালো করে খাও! একাদশী-অমাবস্যা করলে কি আর বাবা ফিরে আসবে?’ তখন কিছুটা জোর গলায় বলেছে, ‘একার জন্য আর রাঁধতে ভালো লাগে না রে।’ মায়ের ভিতরটা হয়তো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে শুধু আমাকে একবার বলতে যে, ‘বাবু, ফিরে আয়।’ কিন্তু বলেনি। আমিও সুযোগ যে খুব একটা কম পেয়েছি তা নয়! পঁচিশে ডিসেম্বরের লম্বা ছুটিতে কিংবা অ্যানুয়াল লিভে বছরে অন্তত একবার তো যেতেই পারতাম। কিন্তু বারবার সেই বিশাল অঙ্কের টিকিট অথবা ফিরলে একেবারেই ফিরে যাব, দড়ি বেঁধে আটকে দিয়েছে। ‘ছিঃ’ কে যেন কানের পাশে বলল। ভীষণ যেতে ইচ্ছে করছিল! কিন্তু আমার ইচ্ছেগুলো বরাবরই এইরকম। বেইমান। 
বিগত এক মাস ধরে গোটা বিশ্বে লক-ডাউন। ভারতে তো বাড়ি থেকে পাড়ার দোকানে যেতেও হাজার বিধি নিষেধ। সেখানে এই ইংল্যান্ড থেকে জল, স্থল পার করে ভারতবর্ষ! ভিতরটা ভারহীন লাগছিল। মোবাইলে আবার দেখলাম ভিডিওটা। একটা জেসিবি, প্যাকেটে মোড়া দেহটাকে পুঁতে দিচ্ছে একটা মাঠে। খুব ভালো করে দেখলাম। জায়গাটা ভীষণ চেনা। গ্রামের স্কুল-বাড়ির পিছনের ধু-ধু প্রান্তরটাই। দূরের সারি সারি গাছের জঙ্গলটাও বেশ স্পষ্ট। মুখাগ্নি করার মাঠ। গ্রামে সেভাবে কেউ চেনে না আমাকে। বাবা মারা যাবার পরপরই মফস্‌স঩লের বাড়িটা বেচে গ্রামেই বাড়ি তৈরি করেছে মা। বড্ড জেদ। বলে, ‘তোর বাবাও নেই, তোকে পড়ানোর ভালো স্কুলেরও আর দরকার নেই। কেন থাকব বলত?’ আমিও কতবার বলেছি আসতে। কিন্তু আসেনি। কিছু করতে না পারার রাগটা আস্তে আস্তে মাথায় উঠছিল। আবার ফোন করলাম। কিন্তু কোনও লাভ হল না। অবশেষে, সুমনকে কল করলাম। সুমন গ্রামেরই ছেলে। মুদির দোকান আছে। গ্রামের মোটামুটি সবাইকেই চেনে। কিন্তু সুমনও তুলল না। ভিতরটা হালকা হয়ে আসছিল। ভিডিওটাতে আমি স্পষ্ট শুনেছি, ‘একাকী মহিলার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। করোনা সন্দেহে প্রশাসনের তৎপরতায় জেসিবি করে দেহ কবর দিল গ্রামবাসী।’ ‘মরার সময় মুখে জল দিবি তো?’ ভাবতেই বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। আমি আরও আরও নেট ঘাঁটলাম কিন্তু শুধু ওইটুকুই। আর কোনও খবরই নেই। তাহলে কী? রু
মের জানলাটা তুলে দিলাম। গরমটা আর সহ্য হচ্ছিল না। এর থেকে আমার ভারতের ভর দুপুর অনেক অনেক স্বস্তির। পাগলের মতো মায়ের মোবাইল নম্বরটার নীচের সবুজ বটনটাকে টিপেই গেলাম। কিন্তু সেই এক! মোবাইলটা বিছানায় ছুঁড়ে মুখটা বের করে দিলাম জানলার বাইরে। একটা স্থির ঠান্ডা গলাটাকে আস্তে আস্তে চেপে ধরছিল। শ্বাস নিতে কষ্ট হলেও আমার বেশ লাগছিল। আর ঠিক তক্ষুনি বেজে উঠল ফোনটা। মায়ের নম্বর! ওয়েব কল করাটা মাকে বেশ ভালোই শিখিয়ে দিয়েছে সুমন। সেই সঙ্গে জিএমটি আর ডে-লাইট সেভিংস এর ফান্ডাটাও। আমি ব্যস্ততার সঙ্গে ফোনটা ধরলেও কিছু শুনতেই পেলাম না। পকেটে থাকা মোবাইল থেকে ভুল করে কল চলে গেলে যেমনটা হয়, ঠিক তেমনটা। হুট করে চোখ গেল ঘড়িতে, ভোর পাঁচটা। এখানকার সময়ের হিসাব মা বেশ ভালোই জানে। তাছাড়া এই অসময়ে কখনও ফোনও করেনি মা! তাহলে কী গ্রামের কেউ? ফিরতি পথে? অস্থিরতায় দরদর করে ঘেমে গেল গোটা শরীর। আবার পাগলের মতো মায়ের মোবাইল নম্বরের নীচের সবুজ বটন। কিন্তু সে-ই এক! আধ-খোলা জানলায় মুখটা বের করে দাঁড়ালাম আবার। ভোরের সূর্য তখন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। একটা লালচে আলো চারিপাশটাকে ঘিরে ধরছে। সেই সঙ্গে আমাকেও যেন ঘিরে ধরছে একটা ভয়। ঘামে ভিজে যাওয়ার ভয়। ঠিক তক্ষুনি আবার বেজে উঠল ফোনটা। আমি আর নম্বরও দেখিনি। উন্মাদের মতো বলে উঠেছিলাম , ‘মা’। ওপার থেকে শুধু একটাই কথা, ‘কিরে বাবু! ঘুম আসছে না?’ আমি কী শুনেছিলাম জানি না, তবে রাগে তখন আমার মেজাজ তুঙ্গে। 
‘একটা ফোনও করতে পারো না?’ 
‘করলাম তো কালকেই! কী হয়েছে বাবু?’
‘তোমার ফোন লাগছিল না কেন?’
‘চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল ফোনের। কারেন্ট নাই, কাল থেকে। এই এল।’
‘মা খুব গরম, কষ্ট হচ্ছে।’ কথাগুলো নিজে থেকেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল। ‘ঘেমে গেছিস নাকি? কারেন্ট নাই?’ মায়ের পরের কথাগুলো আমাকে নিজে থেকেই বলিয়ে নিল,‘মা বাড়ি যাব।’ আর বাড়ির কথা বলতেই মা যেন প্রাণ ফিরে পেল। 
‘চলে আয়! কতদিন তোকে সামনে থেকে দেখিনি। পাঁজরের হাড়গুলো বেরিয়ে গেছে এতদিনে!’
‘কিন্তু এখন তো সব বন্ধ। লকডাউন,’ বলতে বলতেই, ঘামে ভিজে একসার আমি। এই ঘামের থেকেই তো পালিয়ে বাঁচতে এসেছিলাম! নিজের উপর ভীষণ হাসি পাচ্ছিল। তারপর থেকে যতদিন লকডাউন চলেছে, যতদিন দেশে ফিরতে পারিনি, ততদিন আমি রোজ শ্বাস-প্রশ্বাস গুনেছি। যাতে আর ঘামতে না হয়।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
01st  August, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
একনজরে
শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার ঘোষণা হবে, আর তাতে বাঙালি বিজ্ঞানীদের রমরমা থাকবে না, এমন ছবি বহু বছর দেখা যায়নি। এবারের ১১ জন পুরস্কার প্রাপকদের তালিকাতেও রয়েছেন চারজন বাঙালি। ...

রাজ্যের শস্যভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমানে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘শস্য গ্যাং’এর দাপট। জেলার বিভিন্ন গোডাউন থেকে শস্য লুটের ঘটনায় ঘুম উবেছে পুলিসের। গত ১০দিনের ব্যবধানে জেলায় দুই জায়গায় ...

ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হল তিন জনের। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার মন্টানায়। শিকাগো থেকে সিয়াটেলের মধ্যে রেল পরিষেবা প্রদানকারী আমট্রাক কর্পোরেশনের ট্রেনটিতে মোট ১৪১ জন যাত্রী ও ১৬ জন ক্রু ছিলেন। ...

লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের সদস্য সংখ্যার বিচারে একাধিক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতির পদ ধরে রাখা কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৮৩৩: বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৩২: ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
২০০৮: প্রখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম)  
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম)  
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

 ১০ আশ্বিন ১৪২৮, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১। ষষ্ঠী ২৫/৩৩ দিবা ৩/৪৪। রোহিণী নক্ষত্র ৩০/২৮ সন্ধ্যা ৫/৪২। সূর্যোদয় ৫/৩০/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৯ গতে ১১/৪ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৭ গতে ৩/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১০ আশ্বিন ১৪২৮, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১। ষষ্ঠী দিবা ১/৮। রোহিণী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৭ গতে ১০/৫৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/২৮ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৮ গতে ১১/২৯ মধ্যে।
 ১৯ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২১ : রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

11:06:59 PM

আইপিএল ২০২১ : হায়দরাবাদ : ৯১/১ (১০ ওভার)

10:14:16 PM

আইপিএল ২০২১ : সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬৫ রান

09:38:30 PM

আইপিএল ২০২১ : রাজস্থান ৮১/৩ (১১ ওভার)

08:27:31 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ...বিশদ

08:25:56 PM

কয়লাপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার লালা ঘনিষ্ঠ ৪ অভিযুক্ত
আজ, সোমবার কয়লাপাচার কাণ্ডে লালা ওরফে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠ ৪ ...বিশদ

05:31:00 PM