Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। তারপর...
  চিঠিটা নিয়ে সিঁড়িতে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল সহজ। চিঠিটা এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। ‘স্বদেশ’ পত্রিকায়  তার লেখা ছাপা হবে! তার গল্প! গল্পের নাম  ‘দারোগাবাড়ির ছোটবউ’। এই গল্পটা সহজ লিখে পড়তে দিয়েছিল বনিকে আর পরমেশ্বরদাকে। ওদের কেউ সে গল্প পাঠিয়ে দিয়েছে পত্রিকা অফিসে। বনি নয়, পরমেশ্বরই হবে। কিন্তু তাকে জানানোর কোনও উপায় নেই। সে এলাকায় নেই। রোববার সকালে সে পরমেশ্বরের অফিসে গেল। দেখল গম্ভীর মুখে দু’হাত টেবিলে রেখে সুরজিৎ বসে। সামনে অ্যাসট্রে, চায়ের একটা খালি গ্লাস।
সুরজিৎ ওকে দেখে বেশ খুশি হল। বলল, ‘এসো তোমার কথাই ভাবছিলাম।’
সুজির কথা শুনে চমকে উঠল সহজ। বলল, ‘আমার কথা?’
‘হ্যাঁ, তোমার কথাই ভাবছিল— আজ দাদা নেই তুমি কি আর আসবে এদিকে? তোমার কেসটা কাল শুনলাম। পরম আমাকে কাল বিকেলে বেরনোর আগে খবর দিল। বলল, ক্যাপ্টেন ফ্লপ!’ কথাটা বলে সুরজিৎ আত্মপ্রসাদের হাসি হাসল। সহজ হ্যাঁ না কিছু বলতে পারল না। সে আলটাগরায় কথা নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে।
‘আরে দাঁড়িয়ে রইলে কেন? বসো বসো। চা খাবে?’ সুজি নিজেই উঠে দোতলার জানলা দিয়ে নীচে চায়ের অর্ডার দিল। বলল, ‘শোনো, ওই ক্যাপ্টেনের আর আগের পাওয়ার নেই। আগের পাওয়ার থাকলে আমি একটু ভাবতাম।  সেদিন আমি জানতাম ও তোমাকে নিয়ে বড্ড বেশি হাঁক ডাক করছে, ওর কথা ফলবে না।’ 
চা এল।  চায়ে চুমুক মেরে সুজি বলল, ‘আমি কিন্তু মালটাকে পাত্তা দিই না। এই তোমাদের গডফাদার পরমেশ্বরদাদা ওকে নিয়ে মাতামাতি করে। আর তোমার দাদার লেজুড় শঙ্কর, উনি তো ঠাকুরের সিংহাসনে ক্যাপ্টেনের মূর্তি স্থাপন করবে। না করে উপায় নেই। তোমাদের শঙ্করদা একশো একটা মেয়েলি কেসে ফেঁসে আছে। গুলটুর বোন রাধা শঙ্করের বিয়ে করা বউ। খুব ভালো মেয়ে। ওদের দুটো মেয়েও আছে। কিন্তু শঙ্কর সংসার করে রোবটকালীর সঙ্গে। তারও আবার দুটো মেয়ে। একটা শঙ্করের, আর একটা প্রথম পক্ষের। মানে হল, শঙ্করের ছ’কোণে ছ’টি নারী। ফলে, শঙ্করকে ওই ক্যাপ্টেনের শরণাপন্ন হয়ে থাকতেই হচ্ছে। ও ফেঁসে গিয়েছে। ক্যাপ্টেন কিন্তু আমাকে ফাঁসাতে পারেনি।
আমাকে তো এত বছর ওই ক্যাপ্টেন দেখছে— আমার সম্পর্কে একটাও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি। করতে পারেনি। আমি চান্স দিইনি, উনি স্কোপ পাননি। আমি স্পেস দিই না। তুমি যেই হও তোমার জায়গায় থাকো বাবা।  আমি এইসব ঢপের মানুষকে ঠাকুর বানাতে পারব না।’ সুজি টেবিলে চাপড় মারে। একনাগাড়ে কথাগুলো বলে এসে সুজি থামল। তলানির চাটুকুও চকাৎ করে টেনে ঠক করে গ্লাসটা টেবিলে রাখে। বলল, ‘তুমি আমার সঙ্গে বিকেলে চলো। ওর বাড়ি গিয়ে ওকে খিস্তি দিয়ে আসব। তোমার সামনে খিস্তি দেব, দেখবে আমি কত বড় বাপের বেটা।’ 
কথা শেষ করে সুজি বুক চিতিয়ে টানটান হয়ে বসল। বলল, ‘সেদিন খেল দেখলে—অন্তত এক কিলো মাংস খেল। আমি আপত্তি করিনি। তুমি কী ভাবছ আমি কিছু বুঝিনি। ওকে শঙ্কর খবর নিতে পাঠিয়েছে। হয়তো দেখো, আমার হয়ে বউ নিয়ে আসার জন্য নেমন্তন্নই করে দিয়েছে। ওই রকম একটা সুন্দরী বাচ্চা মেয়েকে ফাঁসিয়েছে বুড়োটা। কীভাবে ফাঁসাল? দু’দিন যাক আমি ঠিক বের করে ফেলব।’  
 ‘কবে যাবে সুজিদা?’
‘কবে যেতে চাও?’
‘আজ।’
‘আজই? আজ তো হবে না ভাই, কাল চলো। তোমার বাইক নিয়ে আসবে, আমাকে তুলে নেবে। আটটা -ন’টা।’
‘সকাল না রা‌ত?’
‘না, না, রাতে নয়, রাতে নয়। সকাল।’ সুজি আঁতকে উঠে বলে, ‘রাতের বেলা ও শালা কী সব পুজো টুজো করে।  বিশ্বাস নেই কোনও চক্করে ফেলে দেবে। মালটার বদনাম আছে।’
‘কী বদনাম?’ খুব আলতো গলায় সহজ প্রশ্ন করে।
ঘাড় নাড়ায় সুজি, ‘ওসব তুমি বুঝবে না বাবু। অনেক চক্কর! যদিও ওসব বুজরুকি আমি বিশ্বাস করি না। যত্ত ফালতু কথা।’ কথাটা বলে সুজি চুপ করে থাকে। সময় নেয়। যেন ভাবে বলবে কি বলবে না। ‘তুমি তো সায়েন্সের স্টুডেন্ট তুমি বিশ্বাস করবে কেন? আমি মাধ্যমিক ফেল—আমিই করি না।’
‘তুমি বলোই না, শুনি।’ সহজ আশ্বস্ত করে।
‘এটা ঠিক কথা, সবকিছু শুনে রাখতে হয়। নইলে হট করে কেউ কিছু বললে ঠকে যাবে। কিন্তু তুমি যদি শুনে টুনে তৈরি থাকো, তাহলে কোনটা খেলা বুঝতে পারবে।’ হালকা গলা খাকারি দেয় সুজি, ‘দাঁড়াও একটা সিগারেট ধরাই।’ সিগারেট ধরিয়ে খুব আয়েশ করে বসে সুজি, যেন কত গল্প বলবে। ‘শোনো, এটা আমি কার থেকে শুনেছি তার নাম বলব না। সে ক্যাপ্টেনকে মারাত্মক ডরায়। এটা দেখার পর, মানে জানার পর ক্যাপ্টেন নাকি তাকে বলেছিল— কাউকে বলিস নে। বললে তোর ক্ষতি হবে। পরিষ্কার ভয় দেখিয়েছিল। কিন্তু সে যে কোনও কারণেই হোক আমাকে বলে ফেলেছে। বলেছে, মানে নেশার ঝোঁকে বলেছে। সে আর ক্যাপ্টেন নাকি একদিন মাল খাচ্ছিল। সে-ই কিনেছিল। খাবারও কিনেছে। দু’জনে বসেছে ক্যাপ্টেনের ঠেকে। সাধু সন্ন্যাসীদের আশ্রম থাকে, এই মালটার আছে ওই ঠেক। বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া বড় একটা হলঘর। হলঘরটার মাথায় টালি চাপানো। পরমেশ্বর কতবার বলেছে— ক্যাপ্টেন ক’টা পিলার তুলে ছাদটা ঢেলে দিচ্ছি। ক্যাপ্টেন রাজি হয়নি। লোকটার এটা কিন্তু একটা মহৎ গুণ, অন্যের টাকায় কোনও লোভ নেই। লোভ আছে খাওয়ার আর সঙ্গের—। ওর যদি কাউকে পছন্দ হয়, ঠিক তাকে কিছু একটা করে ম্যানেজ করে ফেলে। আর সে-ও ক্যাপ্টেনের পিছন পিছন ঘরে। অথচ অনেকে আছে তারা ক্যাপ্টেনের সঙ্গ পাওয়ার জন্য বার বার যায়, নানা ফলমূল দেয়। ভেট চড়ায়। ক্যাপ্টেন তাদের এমন বেইজ্জত করে, তা সহ্য করা যায় না। ক্যাপ্টেনের ওই ঠেকে আমিও দু’-দুবার মাল খেয়েছি। কিন্তু বিষয়টা আমি কোনওদিন দেখিনি। সে বলেছে, ব্যাপারটার মধ্যে নাকি তিথি নক্ষত্রের যোগ আছে। সে ওই তিথি নক্ষত্রের খোপে পড়ে গিয়েছিল। ওই যোগ ছিল সেইদিন। সেদিন তারা দু’জনেই ছিল। ক্যাপ্টেনের কি পুজো টুজো ছিল। সারাদিন উপোস করে পুজো টুজো সেরে উঠে ফল প্রসাদ আর তেলেভাজা মুড়ি খাচ্ছিল। উপোস করে তেলে ভাজা মুড়ি— সত্যিই ও পিচাশ! নিজেকে ও ঠিকই বলে। তো যার কথা বলছি সে আর ক্যাপ্টেন বসেছে। সে-ই সব নিয়ে গিয়েছে, সে কোনও একটা ব্যাপারে ক্যাপ্টেনকে ম্যানেজ করতে চাইছিল। সেটা কী ভেঙে বলেনি। তবে আন্দাজ করতে পেরেছিলাম, সে ক্যাপ্টেনের মন জুগিয়ে শঙ্করকে ধরতে চাইছিল। শঙ্করের প্রজেক্টে মাল সাপ্লাই করবে আর কী! বেশ ঘটা করে আয়োজন করেছে। কাবাব, চিকেন ফ্রাই নিয়ে গিয়েছে। গ্লাসে মাল ঢালা হয়েছে। দু’জন লোক তিনটে গ্লাস। দুটো কাচের, একটা প্লাস্টিকের।  সে ভেবেছে, ক্যাপ্টেনের বুঝি দুটোই কাচের গ্লাস আছে। তাই তৃতীয়জনের গ্লাস প্লাস্টিক। তবে সে এখনও আসেনি।   
 ক্যাপ্টেন কিন্তু তিনটে গ্লাসই রেডি করে বসল। তারপর প্লাস্টিকের গ্লাসটা নিয়ে গিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে এল। রেডি করা পাক্কা এক গেলাস মাল। সে বলল, ক্যাপ্টেন ওখানে রাখছ কেন? ক্যাপ্টেন বলেছিল, থাক শালার ভাগের জিনিস, যখন মনে হবে এসে খেয়ে যাবে। তো খাওয়া শুরু হল। কিন্তু তৃতীয়জন আর এল না। এদিকে খাওয়া চলছে। এক সময় বোতল খতম। তখনও তৃতীয়জন এল না। সে বলল, ক্যাপ্টেন তোমার লোক আর আসবে না। ওই গ্লাসটা নিয়ে আসি। ভাগ করে খাওয়া যাবে। ক্যাপ্টেন বলল, ও কি আর আছে রে? ঠিক খেয়ে গিয়েছে। দেখ যদি পড়ে থাকে নিয়ে আয়, খাই। শুনে সে ঘরের কোণ থেকে গ্লাসটা আনতে যায়। গিয়ে দেখে অবাক কাণ্ড, গ্লাসটা শুকনো খটখটে, এক ফোঁটা মাল নেই। সে চিৎকার করে— ক্যাপ্টেন মাল কোথায় গেল? ক্যাপ্টেন বলল, তাহলে ওই শালা কখন এসে খেয়ে গিয়েছে।’ সুজি থামল, কিছুক্ষণ সহজের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল। বলল, ‘তুমি কি আমার গল্পের মানে বুঝলে? অনেককে মাল খাওয়ার সময় দেখবে, গ্লাস থেকে ক’ফোঁটা নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ধরিত্রীকে জলদান করল। আর ওই ক্যাপ্টেন নাকি এক গ্লাস মাল নিয়ে ঘরের কোণে রেখে আসে। কে খায় জানিস— ওটা নাকি পিশাচ খাবে। সে বার বার জিজ্ঞেস করায় ক্যাপ্টেন পিশাচের নামই বলেছে। সেইসঙ্গে এটাও বলেছে, তোর পয়সায় কেনা মাল পিশাচ খেয়েছে, এটা কাউকে বলবি না। বললে তোর ক্ষতি হবে। কিন্তু সে বিষয়টা হজম করতে পারেনি। আমাকে বলেছিল।’
‘তার কোনও ক্ষতি হয়নি? খোঁজ নিয়েছিলে।’ সহজ বলল।
সুজি ঘাড় ফাটায়, ‘শোনো আমাদের ক্ষতি তো সবসময় হচ্ছে।  এই যে আকাশদীপের তিনটে ফ্ল্যাট কিছুতেই বুকিং হচ্ছে না। এটাও একটা ক্ষতি। ক্ষতি ধরলে হবে না।’ সুজি গম্ভীর মুখে বলে। ‘তাছাড়া কথাটা আমি একদিন তোমার পরমেশ্বরদাদাকে বলেছিলাম। সে রা-টি কাটল না। চুপচাপ শুনে গোল্ডফিসের মতো মুখ করে বসে থাকল।’
‘তুমি শঙ্করদাকে জিজ্ঞেস করনি?’
‘করেছিলাম। ও একটা ফালতু ছেলে। আমাকে বলল—তুই একটা মালের বোতল আর খাবার কিনে ক্যাপ্টেনের ঠেকে চলে যা। নিজের চোখে দেখে আয়। তিথি নক্ষত্র আমি বলে দেব। যা, যা, তোর টাকায় কোনও  মানুষ তো  মাল খেতে পারবে না,  পিশাচই খাক। এটা একটা উত্তর হল। সেদিন আমার খাওয়াদাওয়া হচ্ছে দেখে শঙ্করই ক্যাপ্টেনকে পাঠিয়েছিল। তবে হ্যাঁ, আমিও ছাড়নেওয়ালা ছেলে নই। আমাদের পার্টির সঙ্গে যুক্ত কিছু সায়েন্সের ছেলেপত্তর আছে। তাদের নাম ধাম গোপন রেখে ফুল কেসটা বললাম। তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলাম— গ্লাসের মদ কোথায় গেল?’
‘তারা কী বলল?’
‘তারা বলল— গ্লাসে ফুটো ছিল।
কিন্তু ফুটো থাকলে তো ঘরের মেঝে ভাসবে। এক গ্লাস জল কম নয়। ওরা বলল, ‘ট্রিকস কিছু আছে। খোঁজ নাও। নইলে চলো একদিন, সামনাসামনি দেখি। কিন্তু কে নিয়ে যাবে?  ওরা বলছিল— গ্লাসের তলায় কী ছিল? যে আমাকে বলেছিল, তাকে আমি ধরেছিলাম, সে বলল, ঘরের কোণে বালির তৈরি একটা আসন করা আছে, সেখানে গ্লাস রেখেছিল। তখনই আমার মনে পড়ে গেল— ক্যাপ্টেনের ঘরের মেঝেটা মাটির। বালি মাটি এক গ্লাস মাল শুষে নিয়েছে।’
সহজ বলল, ‘তাহলে তো তোমার হিসেব মিলেই গেল, গ্লাসে ফুটো ছিল। বালির আসন জল খেয়ে নিয়েছে।’
সুজি মুখ গম্ভীর করল, বলল, ‘একটা কথা কি জানো, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ও বলছে, মেঝে বালি সব শুকনো। কোথাও ভিজেভাবও ছিল না। ও নিজে দেখেছে।’
সহজ বলল, ‘ও নেশার ঘোরে দেখেছে—। ওর কথা কী করে বিশ্বাস করবে?’
সুজি চুপ করে বসে থাকল। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘এরকম তিথি নক্ষত্রে কিন্তু আর একজন পড়েছিল। সে-ও অদ্ভুত একটা কথা বলেছিল। তার কথা শুনে আমি খিস্তি দিয়েছিলাম। সে-ও এই এক জিনিস দেখেছে। তবে সে কোনও প্রশ্ন করেনি। মাল খেতে বসে দেখেছে ক্যাপ্টেন একটা গ্লাস রেডি করে ঘরের কোণে রেখে দিল।  খাওয়া শেষে ক্যাপ্টেন খালি গ্লাস এনে রাখল। সে আরও একটা জিনিস দেখেছে, ক্যাপ্টেন নাকি একটা সিগারেট ধরিয়ে বালির আসনের দিকে ছুড়ে মারল। সিগারেটটা বালির ওপর গিয়ে পড়ল। কিন্তু সেটা নিভে গেল না, ধিকি ধিকি জ্বলতে জ্বলতে পুরো শেষ হল। একদম স্বাভাবিকভাবেই ফিল্টারের কাছে এসে। এমনকী সে দেখেছিল, ঘরের কোণে সিগারেটের ধোঁয়া তালগোল পাকাচ্ছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, কেউ ওখানে বসে স্মোক করছে।’
সহজ হাসল, ‘এই ব্যক্তিও নিশ্চয়ই নেশার ঘোরে ছিল?’
সুজি কঠিন গলায় বলল, ‘ওই তো বললাম, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।’
(চলবে)
09th  May, 2021
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM