Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মিষ্টু
উৎপল দাস

শেষ পর্যন্ত মিষ্টুকে বিদায় করতেই হল।
মিষ্টু মানে একটা বেড়ালছানা। কয়েকদিন আগের ঘটনা। প্রতি রোববারের মতো সেদিনও সকালে অবিনাশ বাজারে গিয়েছিল। সে একটু গুছিয়ে বাজার করতে ভালোবাসে। ছুটির দিন বলে ওই দিনটাতে বাজারে নানা ধরনের মাছ আসে। অবিনাশ, রিমা দু’জনেই মাছের ভক্ত। রিন্টু যখন বাড়িতে ছিল তখন মাংস কিনতে হতো। এখন সে ব্যাঙ্গালোরে পড়তে চলে যাওয়ায় মাংসের পাট বাড়ি থেকে প্রায় উঠেই গিয়েছে। তো মাছ ও অন্য তরিতরকারি কিনে অবিনাশ হেঁটেই বাড়ির দিকে আসছিল। দোরগোড়ায় কাছে এসে দেখে নোংরা কাদা জলে ভেজা একরত্তি এক বেড়ালছানা খুব করুণ স্বরে মিউ মিউ করছে। অবিনাশ বুঝতে পারল বেড়াল বাচ্চাটা নর্দমায় পড়ে গিয়েছিল। কোনওভাবে উঠে এসে হয়তো মাকে খুঁজছে।  ডিসেম্বর মাস। ভেজা গায়ে বেড়ালছানা থরথর করে কাঁপছিল। অবিনাশ এদিক ওদিক কোথাও মা বেড়াল কেন কোনও বেড়ালকেই দেখতে পেল না। ওর চিরকালই জীব-জন্তুর ওপর বড় মায়া। সে ছানাটিকে বাড়ির ভেতর নিয়ে এসে সাবান আর ডেটল জলে ভালো করে স্নান করিয়ে হালকা গরম দুধ দিল। ছানাটির দুধ খাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল কতকাল খায়নি বেচারা। একটু পরেই বেড়ালছানাটা চনমন করে উঠতেই  এতক্ষণ চেপে রাখা রিমার রাগ অবিনাশের ওপর আছড়ে পড়ল। 
অনেক হয়েছে। এবার এই মুহূর্তে ওটাকে বাইরে বের করে দাও, নইলে—।
অবিনাশ তার বিশ বছরের বিবাহিত জীবনে এরকম ঝড় অনেক দেখেছে। জানে অল্পতেই মাথা গরম হয় রিমার। আবার কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সে রিমাকে থামিয়ে বলে উঠল— 
রিন্টু ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ায় বলেছিলে না, ভীষণ একা লাগছে! এবার একে নিয়ে তোমার সময় ভালোই কাটবে।
রিমা এ ব্যাপারে অবিনাশের ঠিক উল্টো। কুকুর, বেড়াল ওর কাছে আপদ। বেড়ালছানাকে নিয়ে অবিনাশের আদিখ্যেতা দেখে সে রাগে গরগর করতে লাগল।
—আমাকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে দাও। আমি ব্যাঙ্গালোরে রিন্টুর কাছে গিয়ে থাকব। তুমি এখানে এসব আপদবালাই নিয়ে ঘর করো। 
—আহা অত রাগের কী হল? ক’দিন দেখওই না, দেখবে থাকতে থাকতে তোমার মায়া পড়ে গিয়েছে।
অবিনাশ পরিবেশ লঘু করার চেষ্টা চালাল।
দুপুরে বেড়ালছানা মাছ দিয়ে আয়েশ করে ভাত খেল। বিপত্তি বাধল শোয়ার সময়। ছানা ঠান্ডায় মেঝেতে শোবে না। একেবারে লাফ দিয়ে সোফায় উঠে দিব্যি গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়ল। এর মধ্যেই রিমার চোখে পড়েছে ব্যাটা কখন বেডরুমের পাপোশ নোংরা করে এসেছে। রিমা চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করল। এক্ষুনি আপদ বিদায় করতে হবে। নইলে সে নিজেই বাড়ি ছাড়া হবে। ফোনে ছেলের কাছে কান্নাকাটি করে একপ্রস্থ নালিশ হয়ে গেল। ছেলেও সেরকম। মায়ের সমস্যা গায়ে মাখল না। উল্টে মাকে উপদেশ দিল ছানাটাকে যত্ন করে রাখার জন্য। দরকার হলে যেন কোনও ভেটেনারি ডাক্তারের সঙ্গে কনসাল্ট করে নেয়।
রিমার ব্যাঙ্গালোরে কেন, কোথাও যাওয়া হয় না। সেই বেড়ালছানাও অবিনাশের দেওয়া মিষ্টু নাম নিয়ে রিমার প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ওদের সংসারে জায়গা করে নিল।
দিন যায় আর মিষ্টুর দৌরাত্ম্যে রিমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আজ এটা ভাঙছে কাল ওটা ফেলছে। মিষ্টু একটু চোখের আড়াল হলেই রিমার উদ্বেগ বাড়ে। আবার কোথায় কোন অপকর্ম করে বসে! অবিনাশ তো সারাদিন অফিসে থাকে আর এদিকে রিমা স্নান খাওয়া মাথায় তুলে মিষ্টুর পরিচর্যা আর ওর ওপর নজরদারি করতে করতে রাগে ফুঁসতে থাকে। কাজের মাসি মালতীর মা আবার হুমকি দিয়ে গিয়েছে—
‘বউদি, এটা কিন্তু মাদি, বছর ঘুরলেই বিয়োবে। সারা বাড়ি জুড়ে বিড়াল আর বিড়াল। ম্যাগো। তুমি বউদি এখন থেকেই লোক দ্যাকো। আমি বাপু পারবুনি।’
রোজ অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলেই রিমা তেড়ে তেড়ে আসে।
আগে এটাকে বাড়ি থেকে বিদায় করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। অবিনাশ বোঝাতে গেলেই আরও রেগে যায় রিমা। এর মধ্যে ছেলে ফোনে ফোড়ন কাটে—
‘ভালোই তো সময় কাটছে মা। তখন তো বলতে তুই না থাকলে কী করে সময় কাটাব!’
রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই। 
অবিনাশ একদিন ওর এক বন্ধু সুবীর আর তার বউ পরমাকে বাড়িতে ডাকল। ওরা জন্তু জানোয়ার ভীষণ ভালোবাসে। রাস্তায় একটা আহত কাক দেখলেও তাকে তুলে এনে সেবা শুশ্রূষা করে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে শান্তি পায়। বাড়িটাকে মোটামুটি একটা চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছে। তিনটে কুকুর, পাঁচটা বেড়াল তো আছেই। এছাড়া একটা টিয়া, একটা কাঠবেড়ালি আর অজস্র পায়রা। সবাই ছাড়া থাকে কিন্তু কারওর সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। রিমা জন্তু জানোয়ার পছন্দ না করলেও সুবীর আর পরমার সাহচর্য খুব পছন্দ করে। কারণ পরমা দারুণ রান্না করে আর রিমার নানারকম রান্না শেখার ভীষণ শখ।
সুবীর আর পরমাও অনেক বোঝাল রিমাকে । 
এরপর কয়েকদিন বেশ কাটল। কোনওদিক থেকে সাপোর্ট না পেয়ে রিমা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিষ্টুর পরিচর্যায় মন দিল। ছানাটাকে সবসময় চোখে চোখে রাখে, ঠিক ঠাক খাওয়ায়। অবিনাশও কাছাকাছি এক ভেটেনারি ডাক্তারের কাছে মিষ্টুকে দেখিয়ে নিয়ে এল। শরীরস্বাস্থ্য ঠিকই আছে শুধু কয়েকটা ভ্যাকসিন দিতে হবে।
কিন্তু কপাল খারাপ হলে কী করা যাবে! শেষরক্ষা হল না। কোথা থেকে একদিন মিষ্টু একটা মড়া টিকটিকি মুখে করে রান্নাঘরে নিয়ে এল। ব্যস! আর যায় কোথায়। সন্ধেবেলা অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলে রাগে ফেটে পড়ল রিমা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আর কি! অবিনাশ অনেক বোঝাল কিন্তু নিজে বুঝল এবার সাধারণ ঝড় নয়, তুফান এসেছে। ব্যাপারটা এমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পোঁছল যে, শেষ পর্যন্ত রিমাকে অবিনাশ আশ্বস্ত করল, আগামী কাল মিষ্টুকে কোথাও ছেড়ে দিয়ে আসবে। পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় ছলছল চোখে অবিনাশ মিষ্টুকে একটা বাজারের ব্যাগের মধ্যে করে নিয়ে চলে গেল। দূরে কোনও মাছের বাজারে ছেড়ে দেবে, অন্তত না খেয়ে মরবে না। মিষ্টু যেতে রিমা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সন্ধেবেলা খালি হাতে অবিনাশকে অফিস থেকে ফিরতে দেখে রিমার আর আনন্দ ধরে না। তাড়াতাড়ি এক কাপ চা আর গরম পকোড়া নিয়ে এসে অবিনাশকে ধরিয়ে দিল আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিতে ভুলল না, রাতে ওর প্রিয় চিংড়ির মালাইকারি আছে। অবিনাশ গম্ভীর মুখে শুধু চা খেল, পকোড়া ছুঁয়েও দেখল না। কৌতূহল চাপতে না পেরে রিমা জিজ্ঞাসা করে বসল ওটাকে কোথায় ছেড়ে এলে?
‘বাজারে।’ ব্যাজার মুখে অবিনাশের সংক্ষিপ্ত উত্তর।
 —মালতীর মা বলছিল ওরা নাকি ঠিক পথ চিনে চিনে আবার ফিরে আসে। মিষ্টু  ফিরে আসবে না তো?
এবার আর উত্তর না দিয়ে বিরক্ত অবিনাশ বাথরুমে ঢুকে গেল।
রাতে খেতে বসে অবিনাশ চিংড়ির মালাইকারি মুখে দিয়েই প্রচণ্ড রেগে গেল ।
—কেন এত তেল মশলা দিয়েছ? জানো না আমার ট্রাইগ্লিসারিড হাই?
কোনওমতে একটু খেয়ে উঠে পড়ে সে। সামান্য কারণে অবিনাশকে রাগতে দেখে রিমা বুঝতে পারল মিষ্টুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়াই এর কারণ। ছেলেও মায়ের ওপর একচোট নিল— 
‘মা, মিষ্টুকে বের করে দিলে? তুমি এত নির্দয়!’
রিমার দু’চোখ ভরে জল। এরা কেউ তার পক্ষে নেই, বাপ-বেটা দু’জনের কাছেই মিষ্টু আগে ।
পরের দিন একই রকম গম্ভীর মুখে অবিনাশ অফিস চলে গেল। মালতীর মা এসেই খোঁজ নিল,
—মিষ্টু ফিরে এসেছে বউদি? 
রিমা মাথা নাড়াতেই বলে উঠল—
‘বাড়ি থেকে একেবারে বের না করে দিলেই ভালো ছিল গো। কী মায়া মাখানো মুখটা। তার ওপর মা ষষ্ঠীর বাহন।’
বলেই ডান হাতটা মাথায় ঠেকিয়ে নিল। রিমার বুকটা কেঁপে উঠল। ওরও হাত কপাল ছুঁল। হে মা ষষ্ঠী, রিন্টুর যেন কোনও ক্ষতি কোরো না।
মালতীর মা চলে যাওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতে হাউমাউ করে খানিক কাঁদল সে। হঠাৎ মিউ বলে মিষ্টু যেন ডেকে উঠল। রিমা চমকে এদিক ওদিক দেখল। সদর দরজা খুলে বাইরে দেখল কেউ কোথাও নেই, পুরোটাই মনের ভুল। 
কাজ করতে ইচ্ছে করছে না রিমার। ক’দিনের জন্য এসে মিষ্টু ওর জীবনের সুর তাল সব কেটে দিয়ে গিয়েছে। সবাই মিষ্টুর কথা ভাবছে, ওর কষ্টটা কেউ বুঝতে চাইছে না। হঠাৎ করে যেন বড় একা হয়ে গেল রিমা। 
মিষ্টুহীন তিনদিন কেটে গেল। অবিনাশ প্রয়োজন ছাড়া রিমার সঙ্গে প্রায় কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। রিন্টু বারবার ফোনে খবর নেয় মিষ্টু ফিরে এসেছে কি না। মালতীর মা বলে, ‘কাজটা বোধহয় ঠিক হল না বউদি। কেমন তোমার পিছু পিছু ঘুরত বাচ্চাটা। আহা রে! কে ওকে খেতে দেবে? না খেতে পেয়ে মরেই গিয়েছে হয়তো।’ 
রিমার ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। ও এতটা ভাবেনি। মিষ্টু মরে যাক সেটা ও চায়নি। সত্যি তো, মিষ্টুর জন্য ওরও মনটা খারাপ লাগছে! সারাদিন মিউ মিউ করে পায়ে পায়ে ঘুরত। অবলা প্রাণী, তার ওপর বাচ্চা। উল্টোপাল্টা না হয় কিছু করত। সে তো রিন্টুও ছেলেবেলায় কত দুষ্টুমি করত, কই তখন তো কোনওদিন ছেলের সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করেনি সে।
একটা অপরাধবোধ তাড়া করে ফেরে রিমাকে। সারাদিন ফাঁকা বাড়িতে সময় কাটতে চায় না। সব সময় মনে হয় সুখ শান্তি যেন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। 
সেদিন অবিনাশ অফিস থেকে ফিরতে রিমা কথায় কথায় বলে,
‘মালতীর মা যে বলেছিল বেড়ালরা ঠিক পথ চিনে ফিরে আসে। কই মিষ্টু তো ফিরে এল না?’
‘আমার অফিসের কলিগরাও একই কথা বলছিল। কিন্তু ফিরে এলেই বা কী? তুমি তো ওকে ঢুকতে দেবে না।’
একটু থেমে অবিনাশ বলল, ‘তোমায় কখনও কঠিন কথা আমি বলি না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তুমিও ছোটবেলায় তোমার মাকে হারিয়েছ, বাবার কাছে মানুষ হয়েছ।’
এবার রিমা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল।
‘আমি বড় ভুল করে ফেলেছি গো।’ 
 অবিনাশ রেগে যায়। 
‘এখন আর কেঁদে কী হবে?’
রিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘বিশ্বাস করো মিষ্টু যদি ফিরে আসে, আমি ওকে নিয়ে আর আপত্তি করব না। তুমি কাল একবার যেখানে ছেড়ে এসেছিলে, সেখানে গিয়ে দেখো। যদি পাওয়া যায়।’
পরদিন সকালে সম্ভাব্য জায়গাগুলোয় খুঁজে কোথাও মিষ্টুকে পাওয়া গেল না। রিমা আরও মুষড়ে পড়ল । 
যাক যা হওয়ার ছিল হয়ে গিয়েছে, বলে অবিনাশ চলে গেল অফিসে।
সন্ধেবেলা টিভির সামনে বসেছিল রিমা। টিভিতে চোখ, কিন্তু মনের মধ্যে হাহাকার। মিষ্টুকে বের করে দিয়ে কী ভুলই না করে ফেলেছে। আঁচলের খোঁটা দিয়ে চোখ মুছতে যাবে, এমন সময় মিউ ডাক শুনে চমকে উঠল। এ তো মিষ্টুর আওয়াজ। ভুল শোনেনি তো? টিভি মিউট করে দিয়ে কান পাতল। আবার ‘মিউ’। এবার রিমা একদৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে। দেখে, দোরগোড়ায় বসে আছে মিষ্টু।
পাগলের মতো কোলে তুলে নেয় ওকে। আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে দিতে রান্নাঘরের দিকে এগয়। ওকে যে এখনই গরম দুধ খাওয়াবে!
একটু পরেই অবিনাশ ফেরে। মিষ্টুকে দেখে চমকে ওঠে ও।
সেকি মিষ্টু! কোথা থেকে এল?
রিমা খুশিতে ডগমগ।
মালতীর মার কথাই সত্যি হল গো, মিষ্টু ঠিক রাস্তা চিনে চলে এসেছে। 
অবিনাশের চোখে বিস্ময়ের ঘোর। রিমা মিষ্টুকে ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চা তৈরি করতে চলে গেল ।
অবিনাশ মিষ্টুকে বুকে জড়িয়ে ধরে সোফায় বসে গা এলিয়ে দিল। মুখে এক চিলতে হাসি।
ভাগ্যিস সুবীর আর পরমা কয়েক দিনের জন্য মিষ্টুকে ওদের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল!     
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
11th  April, 2021
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি নারেনের, কেকেআর ১০০/১ (১০ ওভার)(বিপক্ষ রাজস্থান)

08:19:09 PM

আইপিএল: কেকেআর ৫৬/১ (৬ ওভার)(বিপক্ষ রাজস্থান)

08:13:20 PM

আইপিএল: ১০ রানে আউট সল্ট , কেকেআর ২১/১ (৩.৩ ওভার)(বিপক্ষ রাজস্থান)

07:59:57 PM

আইপিএল: কেকেআর ২/ ০ (১ ওভার)(বিপক্ষ রাজস্থান)

07:47:31 PM

আইপিএল: কেকেআর-এর বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত রাজস্থানের

07:14:21 PM

আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ ঘোষণা
আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করে ...বিশদ

05:32:32 PM