Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স। কালো টি-শার্ট। বুকে লেখা ক্যালিফোর্নিয়া। বারমুডা টাইপের শর্টস পরা। ক’দিন আগের কলপ করা কালো চুল আজ এলোমেলো।
মণ্ডলবাবুরা একটু আগেও ওঁর কথা আলোচনা করছিলেন। ‘ব্যাপারটা কী? লোকটি তো কখনও দেরি করেন না? এখনও পাত্তা নেই কেন?’
তারপরেই ওঁর মঞ্চে প্রবেশ। কোমরে হাত দিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন।
বয়স্ক প্রেসিডেন্ট সাহেবের খুবই প্রিয় মানুষ। দু’জনে শলাপরামর্শ করেন রোজ, আবাসনের ভালো-মন্দ এইসব নিয়ে। অথচ আজ রেগে-মেগে একসা!
প্রেসিডেন্ট হতবাক।
‘বলি তোমার ফ্ল্যাটের সামনে কী ফেলেছে? ফেললে, কে ফেলেছে, তা তো বলবে? না বললে বুঝব কী করে?’
মিত্রবাবু বলে উঠলেন, ‘নিশ্চয়ই উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের আবর্জনা!’
মণ্ডল অনেক ভেবে বললেন, ‘আপনার কোনও শত্রু আছে কি?’
গায়েনবাবু এতক্ষণ চুপচাপ ছিলেন।
তিনিও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন—
‘বলি, মেনটেন্যান্সের টাকা ক্লিয়ার আছে? সেক্রেটারি সাহেব বোর্ডে নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছেন। তিন মাস ডিউ হলেই কোনও সার্ভিস পাওয়া যাবে না। তাই হয়তো আপনার গারবেজ কেউ তোলেনি।’
ব্যানার্জিবাবু আরও খেপচুরিয়াস—
‘ফালতু বকবেন না তো? আমার ছেলে আমেরিকায় বিশাল চাকরি করে। বিশাল বাংলো। বছরে মাইনে পঞ্চাশ লক্ষ আর আমি নিজে এক্স-মিলিটারি অফিসার। আমার টাকা কে খায় তার ঠিক নেই। আর আমি মেনটেন্যান্সের টাকা দিইনি!’
প্রেসিডেন্ট মুচকি হেসে বলেন, ‘তোমার বাড়িতে নাকি থরে থরে বিদেশি সিঙ্গল মল্ট স্কচ আছে। রোজই বলো আমাদের খাওয়াবে! কিন্তু...’
‘সে সব পরে হবে’খন। কিন্তু আপনি আমার ব্যাপারটা বিহিত করবেন, প্লিজ? রিয়েলি আই অ্যাম ইন স্যুপ’
মিত্রবাবু মজা করেন, ‘তোমার গিন্নির হাতের গারলিক চিকেন স্যুপের নাকি হেভি টেস্ট! সেটাও জুটল না আমাদের।’
‘আরে বাবা! সেই স্যুপ আর এই স্যুপ এক নয়। রিয়েলি আই অ্যাম ইন বিগ ট্রাবল।’
‘আরে ধুর, সেটা কী তা তো বলবেন।’
‘বলতে দিচ্ছেন কোথায়?... শুনুন কে বা কারা যেন আমার ফ্ল্যাটের সামনে কার্তিক ঠাকুর ফেলে দিয়েছে। আমি তো প্রথমে বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা কী? গিন্নি তো আবার ঠাকুর-দেবতা বলতে অজ্ঞান। রোজ পঁচিশটা সন্দেশ লাগে প্রসাদ হিসেবে, পঁচিশটা ঠাকুরের জন্য। গিন্নিকে ডেকে দেখাতেই সে দু’বার প্রণাম করে বলে, আজ কার্তিক পুজো। ইস্‌ কী সুন্দর তাই না? এখন নাকি ওই ঠাকুরকে পুজো করতে হবে। আর এটাই নাকি নিয়ম! যার বাড়ির সামনে ঠাকুর ফেলবে তাকে পুজো করতেই হবে। এবার বলুন মটকা গরম হয় কি না।’
মণ্ডলবাবুর চোখ কপালে। ‘বলেন কী মশাই? শেষে আপনার ফ্ল্যাটে?’
‘এখন আপনার বয়স কত? এই বয়েসে—’
‘হ্যাঁ, সবে সাতান্নতে রিটায়ার করেছি। বাড়িতে থেকে থেকে একটু কুঁড়েও হয়ে গিয়েছি। আর এই বয়েসে এখন পুরুতের খোঁজ করতে হবে নাকি?’
‘কথাটা তা না। আপনার তো সোনার টুকরো ছেলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও আপনার ফ্ল্যাটে কার্তিক ফেলল? ডেঁপোমির একটা লিমিট থাকা উচিত প্রেসিডেন্ট সাহেব। সত্যি এর একটা বিহিত করতে হবে। সাধারণত বিয়ের পর যাদের বাচ্চা-কাচ্চা না হয় তাদের বাড়িতে কার্তিক ফেলে। ব্যানার্জিবাবু তো আর তা নয়। তবে?’
প্রেসিডেন্ট সাহেব বললেন, ‘তবে আর কী ঠাকুরটি জলে ভাসিয়ে দাও। ল্যাটা চুকে যাবে। আমারও একই কেস হয়েছিল। বহুবছর আগে। বিয়ে করার ঠিক এক বছরের মাথায় পাড়ার ছোঁড়াগুলো দরজার সামনে কার্তিক ফেলে পালায়। আমার বাবা ছিলেন প্রচণ্ড রাসভারী লোক। বাবা তো খেপে লাল। শেষে বাড়ির কাজের লোককে দিয়ে পুকুরে ডুবিয়ে দিতে বললেন। মা দৌড়ে এসে বাধা দিলেন। এসব করলে নাকি পাপ হবে। শেষমেশ, পাড়ায় নাথবুড়িকে দিয়ে দিলেন। সঙ্গে টাকা। সে-ই পুজো আচ্চা যা করার করল। আর ছোঁড়াগুলো সাতজনের লিস্ট দিয়ে ঠাকুরটার গায়ে লটকে দিয়েছিল। এখনও নামগুলো মনে আছে ফচে, বাটুল, ভোম, কালু...। কি না তাদের পেটপুরে খাওয়াতে হবে! তারা আর ভয়ে বাবার সামনে আসেনি! পরে একদিন আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম। তারা প্রায় কেঁদে ফেলে। দাদা, কার্তিক কেনার দামটা অন্তত দিয়ে দিন। আমরা বেকার। কোনরকমে টাকাটা জোগাড় করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল পাতপেড়ে খাওয়া। বুঝলে, ব্যানার্জি ওঁদের সেই করুণ মুখ দেখে কেমন মায়া হয়েছিল। কিছু টাকা দিয়ে বলেছিলাম, যা একদিন মাংসভাত খেয়ে নিবি। সেই খুশি খুশি মুখগুলো কী আনন্দই না পেয়েছিল। তারাও হয়তো কত বুড়ো হয়ে গিয়েছে। পুরনো পাড়া ছেড়ে আসার পর আর যাওয়া হয়নি।’
মিত্রবাবু শুনে বললেন, ‘তা আপনাকে কোনও লিস্ট দিয়েছে?’
‘উহু! দিলে তো হয়েই যেত।’
‘কাউকে সন্দেহ করেন?’
‘মনে হচ্ছে মর্নিংওয়াক করা ছোকরাগুলো।’
‘যারা পুকুরপাড়ে বসে আড্ডা মারে?’
‘হুম! কিন্তু প্রমাণ তো কিছু নেই।’
গায়েনবাবু রামদেবের ফোঁস ফোঁস করা বন্ধ করে বললেন, ‘যান আগে সামনের মন্দিরে গিয়ে দেবু পুরোহিতকে খুঁজুন। ফস্কে গেলে সমস্যায় পড়ে যাবেন। বিশ্বকর্মা আর সরস্বতী পুজোর মতো আজও কিন্তু কার্তিক পুজোর ডিমান্ড আছে! এখন কোভিডের জন্য সব ব্যাটার ওয়ার্ক ফর্ম হোম। অফুরন্ত সময় হাতে। তাই বদমাইশি করে বেড়াচ্ছে। কানাঘুষো শুনছি, এবারে নাকি টার্গেট বয়স্করা।’
ব্যানার্জি হন হন করে হাঁটা লাগালেন। আঙুল তুলে বলে গেলেন, ‘তবে আমি কিন্তু খুঁজে বের করবই। যে লোক শত্রুপক্ষের বিভিন্ন স্পট খুঁজে বের করে মিসাইল চালাবার প্ল্যান করে দিতে পারত তার কাছে এসব জলভাত।’
‘তা ওদের ক্ষেত্রেও কি মিসাইল চালাবেন না কি?’
‘হ্যা...হ্যা করবেন না! নিজের হলে বুঝতেন। এখন পুরুত পাওয়া দুষ্কর।’
দুই
এদিকে দেবু পুরোহিত তো হাঁ হয়ে গেল। ‘বলেন কি স্যার আপনার ফ্ল্যাটে!’ ব্যানার্জিবাবু একটু ধাক্কা খেলেন যেন।
‘হ্যাঁ। আসলে দেখেছে আমার গিন্নি একটু ঠাকুর ভক্ত। তাই কেউ এইসব বদমাইশি করেছে।’
‘তা ঠিক। ম্যাডাম তো প্রতি শনি, মঙ্গলবার পুজো দিতে আসেন। দুঃখ করে বলেন, বুঝলে দেবু, ছেলেটা আর দেশে ফিরবে না! ছেলে থেকেও নেই।’
‘এইসব বলে বুঝি। এখন তুমি বল দিকি, ওই ঠাকুরের দায়িত্ব নিয়ে যা করার করে জলে ভাসিয়ে দিতে পারবে কি না! গিন্নিকে যে করে হোক তোমাকেই বোঝাতে হবে...’
ঠিক তখনই ভাস্কর, তমাল, সৌরভদের দেওয়া কড়কড়ে দু’শো টাকার নোটটা ওর পকেটে চারাপোনার মতো ছরছর করে উঠল। বেচারা এখন কোনদিকে যাবে? ছোঁড়াগুলো পই পই করে বলে গিয়েছে। তুমি কেবল বাড়ি গিয়ে পুজো করতে যাবে। পুজো যেন ওই ফ্ল্যাটেই হয়! অন্য কোনও কিছুতে রাজি হবে না। দায়িত্ব তোমার। বুঝতে পারছ, ফ্ল্যাটে পুজো হলেই ভালো-মন্দ খাওয়া জুটবে। ব্যাটা, হাড় কিপটে, শুধু ডলারের গল্প।
একটু বাজিয়ে দেখার জন্য দেবু পুরোহিত জিজ্ঞেস করল। কিন্তু স্যার কাজটা কারা করল, কিছু আন্দাজ করতে পারছেন?
‘ও নিয়ে ভেবো না। সে আমি বুঝে নেব, মিলিটারির লোক আমি। বাড়িতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল আছে। মাথার খুলি যদি না উড়িয়ে দিয়েছি তো আমার নাম কর্নেল ব্যানার্জি নয়। শালা, কর্নেলের বাড়িতে কার্তিক!’
‘কী সাহস!’
ব্যস, পিস্তলের নাম শুনে দেবুর আত্মারাম খাঁচা ছাড়া। যদি একবার দানা পুরে দেয়। খেল খতম, পয়সা হজম। কিন্তু এদিকে ছেলেগুলো সব জিম করা জিমজিমে চেহারা। একটা মারও বাইরে পড়বে না। এই প্রথম তার পুরুত জীবনের প্রতি রাগ হতে থাকে। ধুস, বাপের লাইনে না এলেই ভালো হতো। গ্র্যাজুয়েট হয়ে চাকরি নেই। বাড়িতে অভাব বাড়তে থাকে। ভাইবোনেদের পড়াশোনা চালানো মুশকিল হল। তখন ওর বাবা বলেছিল, দেখ, বামুনের গলায় পইতে আর ফসলি জমি এক। পইতে ঝুলিয়ে সংস্কৃত মন্ত্র শিখে লাইনে নেমে পড়। যজমানি করে সারা বছর যা টাকা পাবি, চলে যাবে। ব্যস, তারপর থেকে দেবু পুরোহিত!
কর্নেল গম্ভীর গলায় বলে। ‘হলটা কী? কিছু তো বল?’
‘স্যার, শাস্ত্রে কিন্তু আছে এসব ক্ষেত্রে বাড়িতেই পুজো করতে হয়। না হলে কার্তিক ঠাকুর রুষ্ট হবেন, তিনি আপনার মতো কর্নেল নন ঠিক কথা, কিন্তু তিনি স্বয়ং ইন্দ্রের সেনাপতি। বিশাল যোদ্ধা! তাছাড়া, ম্যাডাম শাস্ত্রের বাইরে গিয়েছি জানলে, আমাকে আস্ত রাখবেন না। আপনাকেও ছাড়বেন না।’
‘ইস্‌, ঩কি বেইজ্জতি ব্যাপার বুঝতে পারছ? আমার আমেরিকান ছেলে জানতে পারলে কী ভাববে বল দিকি।’
‘বলবেন, ঠাকুর দেবতার ব্যাপার কিছু করার ছিল না। আর ম্যাডাম তো বলেছেন ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’
ব্যানার্জি একটু উদাসীন হলেন, আকাশের উড়ন্ত কালো মেঘটা যেন মুখ ঢাকা দিল।
একটু থতমত খেয়ে বললেন, ‘যাকগে একটা ফর্দটর্দ দাও। বাজারে যেতে হবে তো।’
‘তা দিচ্ছি। পুজোর ফর্দ জেরক্স করাই আছে। তবে যে বা যারা ফেলেছে তাদের অবশ্যই প্রসাদ সমেত পেটপুরে খাওয়াবেন। এটাও শাস্ত্রে লেখা আছে। জানাবার কথা তাই জানালাম। পরে ম্যাডাম হয়তো বলে বসবেন, দেবু তুমি জানাওনি কেন?’
‘নিকুচি করেছে শাস্ত্রের! একজন কর্নেলকে এসব বুজরুকি দিচ্ছো?’
‘না স্যার! যা সত্যি তাই বললাম। এটা আমার কর্তব্য। ম্যাডাম পরে জানতে পারলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।’
একটু বোমকে গেলেন কর্নেল ব্যানার্জি। ‘তাদের জানলে তো!’
‘ঠিক জেনে যাবেন স্যার।’
যাইহোক ব্যানার্জিবাবু, যতই মিসাইল ম্যান হোন না কেন গিন্নির কাছে একেবারে কেঁচো। ওই একটা ডোজেই উনি ব্যাগ নিয়ে বাজারে ছুটলেন।

মিসেস ব্যানার্জি পুজো করতে ভালোবাসেন। ফুলের গন্ধ, ধূপধুনোর সুবাস, শাঁখের শব্দ ওঁকে টানে। তাই আবাসনের যত পুজো হয় সবটাতেই ব্যানার্জি আন্টি বা কাকিমা আবাসনের সবার প্রিয়। উনি কার্তিক ঠাকুরের বেদি রঙিন কাগজ দিয়ে সাজাচ্ছিলেন। বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল। উনি বাঁ-হাত দিয়ে মুচ্ছিলেন। কিন্তু কেন? এই ক’দিন আগেও বারান্দায় ব্যানার্জিবাবুর সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। রাত জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছিল বিশ্ব চরাচর। বহুদূর আকাশে মিটমিট করছে তারা। ঠিক সেই সময়ে একটা উড়োজাহাজ মুহূর্তের জন্য দেখা দিয়ে কোথায় যেন মিলিয়ে গেল। সেই প্রথম ব্যানার্জিবাবু ওঁর স্ত্রীর হাতটা ধরে কেঁদেছিলেন। বলেছিলেন, হ্যাঁ গো ছেলেটা সত্যি আর ফিরবে না? ও যে এত দুর্ব্যবহার করবে ভাবতে পারিনি। কেন রে বাবা, বাবা-মা কি তোকে মানুষ করেনি! বুঝলে নীচের রায়বাবু একদিন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দাদা সত্যিই কি আপনার ছেলে মানুষ হয়েছে?’ আমি রেগে বলেছিলাম, ৫০ লক্ষ টাকার চাকরি, বাংলো সবই আছে। একে কী বলে? মানুষ হওয়া নয়? শুনে উনি আবার প্রশ্ন করেছিলেন,
—আর...
—আর আবার কী?
বুঝলে,আমার দুর্বলতা ধরা পড়ার ভয়ে আমার ছেলে যা নয় তা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলি। সেটা কেউ বোঝে না। আমি সেই সুখেই ছিলাম। কিন্তু আজকের উড়োজাহাজটা মনে হল আমার ছেলে! মনটাকে ভেঙে তছনছ করে দিয়ে— আকাশে মিলিয়ে গেল।
ডোরবেলের শব্দে মিসেস ব্যানার্জির সংবিৎ ফিরল। উনি দরজা খুলে দিলেন। ব্যানার্জিবাবুর সেই কালসিটে মুখ উধাও। হাল্কা শরতের মেঘ যেন উড়ছে। লোকটা ওইরকমই। এই রাগ, এই অভিমান, আবার হিমশীতল, ফুরফুরে শরতের বাতাস!
‘কী গো, দেবুর সঙ্গে কথা বলেছ?’
‘হ্যাঁ! ও আসবে।’
‘তাহলে ফর্দটা নিয়ে বাজারটা করে আনলে না কেন?’
ইতিমধ্যে মিসেস গরম চা নিয়ে এসেছেন। ব্যানার্জিবাবু চুমুক মেরে বললেন, ‘বাজারের দিকে গিয়েও কেনা হলো না। কারণ...’
মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপের ম্যাসেজটা মেলে ধরলেন।
‘কাকু, অপরাধ নেবেন না। কাকিমার হাতে একটু ভোগ আর পায়েস খাবার ইচ্ছে হয়েছিল, তাই এই দুষ্কর্মটি করে ফেলেছি। বিনীত— পুকুর পাড়ের আড্ডাবাজরা।’
মিসেস ব্যানার্জি হেসে ফেললেন। ‘পাগল ছেলে সব। ওরা বলতেই পারত। মিছিমিছি কার্তিক ফেলার কী দরকার ছিল?’
‘এই প্রথম ওই হাসিখুশি, আড্ডামারা ছেলেগুলোর মুখের মধ্যে আমার প্রকৃত সন্তান খুঁজে পেলাম। ওরাই তো যত্ন করে পিকনিকে নিয়ে যায়, হঠাৎ ইলিশ উৎসব করে ডাক দেয়। সেবার ঠিক পুজোর একাদশীর দিন আমার বুকে ব্যথা হয়েছিল, ওরা কাল বিলম্ব না করে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল। মনে আছে?’
‘তবে—’
‘তবে আর কী? একটা ভালো করে লিস্ট করে দাও। আমি উত্তরে ওদের আসার কথা বলে দিই।’
মিসেসের মুখে এক তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল।
ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ট সাহেবের ফোন।
‘হারামজাদারা আমার ফ্ল্যাটের সামনেও কার্তিক ফেলেছে। আসলে গতকাল মেয়ের ফ্ল্যাটে ছিলাম। সকালে ওখান থেকেই মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলাম। তাই জানতাম না। এখন আমার গিন্নির কড়া আদেশ পুজো করতে হবে। কী ফ্যাসাদ বল তো। আমার ছেলেও তো বিদেশে। যদিও সে এ দেশের মুখ দর্শন করে না। বলে ওখানে কী আছে? একটা মৃত শহর।’
ব্যানার্জিবাবু হেসে বললেন, ‘ওরা একটা মেসেজ দিতে চাইছে, বিশেষ করে ছেলে বিদেশে থাকা বাপেদের কাছে।’
‘বুঝলাম না। কী মেসেজ।’
বলতে চাইছে, ‘আমারও তোমাদের দেশি ছেলেপুলে। হা হা হা...’ 
28th  February, 2021
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৯/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:46:02 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি হেডের, হায়দরাবাদ ৬২/০ (৩ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:44:18 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM