Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তুমি কখন লেখ? শতাব্দ নিশ্চিত জবাব দেবে শিবরাম চক্রবর্তীর মতো, কেন পরদিন।
তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। তারপর স্নান এবং সামান্য ঘুম। ঘুমের আগে ফোন করি হয়তো চন্দননগরের বিশ্বজিৎ কিংবা চাকদহের গৌতম বা আরও পিছিয়ে রানাঘাটের মিলন বা বসিরহাটের অনিলকে। গড়গড়িয়ে কথা বলি। তার ভিতরেই তাদের কেউ হয়তো বলে, গগনদা আমার একটা ফোন আসছে, ফোনটা ধরি। হুঁ, ধরো। জানি ফোন ছাড়াবার ভালো উপায় হচ্ছে, আর একটি ফোন আসছে বলা। কিংবা ক্রমাগত হ্যালো হ্যালো করে যাওয়া। যেন ওদিকের কথা শোনাই যাচ্ছে না। আমার বয়স কম না। বুঝি আমার সঙ্গে তরুণ, অতি তরুণ কথা বলবে কেন? কী কথা বলবে। বুড়ো হলে জ্ঞান দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আমার জ্ঞান শুনবে কেন তারা? কিন্তু স্বভাব যায় না ম’লে। মধ্যাহ্নের আহারের পর দিবা ঘুমের অভ্যাস আমার নেই। তখন বই নিয়ে বসি। পড়তে পড়তে বেলা গড়ায়, তখন মনে হয় ফোন করি। কথা বলি।
বছরটা একেবারে শূন্য গেল। সেই মার্চের পনেরো কুড়ি থেকে চলছে টানা। বাইশ তারিখে বর্ধমান যাওয়ার কথা ছিল। দোল পূর্ণিমা গেছে কোন তারিখে মনে নেই, অযোধ্যা পাহাড়ে বসন্ত উৎসবের আমন্ত্রণ ছিল। রাতের ট্রেনে রওনা, বরাভূম স্টেশনে নেমে ট্রেকারে চেপে অযোধ্যা পাহাড়। বসন্তোৎসব। যাওয়া হয়নি। তারপর দীর্ঘ গ্রীষ্ম গেল ভয়ের ভিতরে ডুবে। বর্ষা গেল। উম-পুন ঝড় গেল। বর্ষা শেষ হল। ঋতু বদল হতে হতে এখন অঘ্রান মাস। বিবাহের মাস। বন্ধু দেবাঞ্জনের মেয়ের বিয়ে হল। ফোনে জানাল। যাইনি। ভয়ে যায়নি। একা একা দিন কাটছে। ফোন করে দিন কাটছে। প্রতিটি ফোনের পর স্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করে। কেন ওদের বিরক্ত কর তুমি, ওদের তো কাজকম্মো আছে।
—যাদের নেই, তাদের ফোন করি।
—কাদের নেই? 
—ইস্কুল খোলেনি, কলেজ খোলেনি, বাড়িতে বসে আছে।
—না বসে নেই, অনলাইন ক্লাস হয়।
—সন্ধ্যায় কি অনলাইন ক্লাস হয়?
উনি, শ্রীমতী চন্দ্রাবতী বলেন, তাদের তো অন্য কাজও আছে, এত ফোন করবে না।
চন্দ্রাবতীর চাপে আমার ফোন করা কমেছে। কিন্তু তিনি যখন পাশের ঘরে টেলিভিশনে সিনেমা কিংবা সিরিয়াল দেখেন আমি কানে হিয়ারিং কর্ড ফিট করে ফোন করি, সুজিত কেমন আছো?
—আছি, ভালো আছি।
—তোমাদের ওখানে করোনার দাপট কেমন?
—কমেছে মনে হয়।
—কী পড়লে? 
—আবার বিভূতিভূষণ। 
—তোমাদের ডুলং নদী কেমন আছে?
—ভালো আছে, গতকাল নদীর ধারে গিয়ে বসেছিলাম, ওপারে শাল জঙ্গল, আমাদের এখান থেকে সিংভূমের পাহাড় দেখা যায়।
—একবার তোমাদের ওখানে যেতে ইচ্ছে হয়।
সুজিত বলল, আসুন না, করোনা কমুক। 
—কী করছ এখন।
—সিনেমা... গগনদা, আমাকে জ্যোতির্ময় ফোন করছে, ফোনটা ধরি। 
আমার কী মনে হল, জ্যোতির্ময়কে একটি ফোন করি। জ্যোতির্ময় থাকে বাঁকুড়ায়। দেখি সুজিতকে সে ফোন করেছে কি না। কিন্তু ফোন করতে গিয়েও চুপ করে গেলাম। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমিই সব ফোন করি। আমারও ফোন আসে। পুরনো বন্ধু বহুদিন বাদে ফোন করে। সে বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। করোনা হয়েছিল। ২১ দিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু খুব সাবধানে আছে। করোনা পরবর্তী বিপদ না আসে। বন্ধু সুজন বলল, কে জানে তার হার্ট, লাংস নষ্ট করে দিয়ে গেছে কিনা ভাইরাস। এসব ফোন আমার ভালো লাগে না। সুজনই খবর দিল জিতেন চলে গেছে। সকালে বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। হার্ট অ্যাটাক। মন খারাপ লাগল। জিতেন আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিল। পত্র-পত্রিকায় কবিতা লিখত যৌবনে। তারপর ইউনিয়নের ম্যাগাজিনে লিখত। অবসরের পর রিইউনিয়নে গিয়ে কবিতা পড়ে শোনাত। মন সন্ধে থেকেই খারাপ। মনে হচ্ছিল আবার যদি কাউকে ফোন করি, সেও হয়তো কোনও খারাপ খবর দেবে। তাইই তো। চঞ্চল বসু পাড়ার লোক, মর্নিং ওয়াকের সঙ্গী, তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়েছি জগন্নাথবাবু মারা গেছেন। কোভিড নেগেটিভ, জ্বর ছাড়ছিল না। 
আমি ল্যাপটপে ইউটিউবে সিনেমা দেখি। ‘অপুর সংসার’ দেখছিলাম। বউ এসে বলল, আজ যে ফোন কম!
—সিনেমা দেখছি। 
—সিনেমা তো এখন, তার আগে ফোন করনি তো।
চন্দ্রার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি, কেউ ফোন ধরছে না বুঝি।
জিতেনের মৃত্যু সংবাদ দিলাম না। জিতেনকে চন্দ্রা চিনত না। হার্ট অ্যাটাক এক অদ্ভুত ঘটনা। এই আছে এই নেই। খবর দিয়ে আসে না। পরদিন বেলা গড়িয়ে আসতে ফোন করলাম শতাব্দকে। শতাব্দ আমেদ। থাকে সোনামুখী। আমি একসময় ওই অঞ্চলে কাটিয়েছি। সেই ৩৫ বছর আগে। শতাব্দর বয়স বছর ২৪। তার মানে আমি যখন ছিলাম ওই গঞ্জে, শতাব্দর জন্ম হয়নি। শতাব্দ গল্প লেখে। মাসখানেক আগে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল অনেক। বলেছিলাম, ফোন কর না কেন?
—আপনাকে বিরক্ত করব, সেই ভয়ে ফোন করি না স্যার।
—স্যার আবার কী কথা শতাব্দ? 
—আমাকে অলীক বসু স্যার বলতে বলেছেন, নাহলে নাকি কলকাতার লোক রাগ করে!
হা হা করে হেসেছিলাম। আমি তোমার সহযাত্রী লেখক শতাব্দ। স্যার বলতে হবে না। তখন শতাব্দ বলেছিল, স্যার মানে মহাশয়, তাহলে কি মহাশয় বলব স্যার? 
শতাব্দ রসিক যুবক। গল্প লেখে। ওর গল্প পড়ে আমার ভালোও লেগেছে। এখন নানা জায়গায় ওর লেখা বেরতে শুরু করেছে। ক’দিন আগে বর্ষার আমন ধান রোপণ নিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। ঘন মেঘের বিবরণ দিয়েছিল কী ভালো। মেঘ নীচে নেমে এসেছে। চিকুর হানা শুরু হয়ে গেছে। বজ্রপাত হতে পারে। বাপ তার ভিতরে ছেলেকে ধান রোয়ার কাজ শেখাচ্ছে। পড়তে পড়তে মনে পড়ে গিয়েছিল আমার যৌবনকালের কথা। সোনামুখীর সবুজ কৃষিক্ষেত্রের মাথায় ঘন মেঘ। শতাব্দ আমার ফোন ধরল না। মন খারাপ হল আরও। জিতেন আমার সঙ্গে সোনামুখীতেই চাকরি করেছে। সোনামুখীর কথা শুনতেই শতাব্দকে ফোন করা। শিবুদার চায়ের দোকানটি আছে? ন্যারো গেজ ট্রেন এখন ব্রড গেজ হয়ে গেছে। লালমাটি, শাল জঙ্গল। এখন কি পাতা ঝরতে আরম্ভ করেছে শতাব্দ? আমি আর জিতেন পাতা ঝরা শালবনে ঘুরেছি শীতের দিনে। তখন দলমার হাতি নেমে আসত না ওদিকে। এখন হাতির উপদ্রব খুব বেশি। সোনামুখী থেকে বেলিয়াতোড়ে যেতে একটি গ্রামে হেমন্ত দাস বাউল থাকতেন। তাঁর আখড়ায় গিয়ে আমরা দুই বন্ধু গান শুনেছি। শতাব্দ এবং সোনামুখীর কথা মানে মৃত বন্ধুকে স্মরণ করা। ফোন এল। রিং টোন বদলেছি আমি আজই ভোরে। ‘ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে...’ গানটি গায়ে শিহরন নিয়ে এল। ভুলেই গেছি ভোরে এই গান নিয়ে এসেছি জিতেনকে স্মরণ করতে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে খুব পছন্দ করত জিতেন। আমার একটি ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। ব্ল্যাঙ্ক ক্যাসেটে হেমন্তর পঞ্চাশটি গান ভরে জিতেন আমাকে উপহার দিয়েছিল। তার প্রথম গান এই গান। শেষ গানও ছিল এই গান। জিতেন বলেছিল আরম্ভে শুনবি। শেষেও শুনবি। গানটা আমাকে মনে করাবে গগন।  
—মহাশয় ফোন করেছিলেন? শতাব্দ জিজ্ঞেস করে।
—আমি না করলে মনে পড়ে না লেখক আমাকে?
—খুব কাজের চাপ মহাশয়।  
—কাজ তো চিরকাল আছে, ফোন করা যায় না একটা?
শতাব্দ বলল, বেশি কথা বলি কখন মহাশয়, ধান কাটা হচ্ছে, ভোরে বেরিয়ে যাই, কাটছি, আঁটি বাঁধছি, ঘর আনছি, আব্বার বয়স হয়েছে মহাশয়।
—ধান কাটা চলছে এখন?
—হ্যাঁ মহাশয়, এখন আমার সময় নেই, আমি তো এক ছেলে, বোন আছে এক। সে ছোট। সেও কাজ করে মহাশয়, উঠোন নিকিয়েছে গোবরে, খেজুর পাতার পাটি বুনেছে সে, সেই পাটিতেই ধানের বোঝা রাখছি।
সেই যে বাপ-বেটায় ধান রোয়া করছিল বর্ষার মেঘের নীচে, সেই ধান ঘরে উঠছে। ওদের মজুর নেই। ওদের সে ক্ষমতা নেই, জোয়ান ছেলে নিজেই করছে সব।
—তোমার বাবার বয়স হয়েছে, উনিও কি?
কথা অসমাপ্ত থেকে গেল, শতাব্দ বলল, আব্বু পারে, তবে বেশি পারে না, নিচু হয়ে কোমর বাঁকিয়ে ধান কাটায় কষ্ট কম না।
ধান উঠলে নিশ্চিন্ত। আমি বললাম।
শতাব্দ বলল, মেশিনে ঝাড়তে হবে, কলে নিয়ে গিয়ে ভানতে হবে।
—এখন আর ঢেঁকি নেই না শতাব্দ?
—না, কবে উঠে গেছে ঢেঁকি মহাশয়।
আমি গগন সরকার। কম বয়সে গ্রামে চাকরি করেছি। গ্রাম যা দেখেছি তা লিখেছি। কিন্তু আমি ভাবতে পারছি না শতাব্দ গল্প লেখে আবার ধান কাটে। ধান উঠলে সর্ষে বুনবে। এই এখনই সর্ষে বুনতে শুরু করেছে। আর শীতের সব্জি। বাঁধা কপি, মুলো, পালং...। বুনবে শতাব্দ নিজেই। আব্বু পারে না। বয়স হয়েছে। চাষা খাটতে খাটতে তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায় মহাশয়। আমি বললাম, লিখছ।
—সারাদিন এইসব করে সন্ধের পর শরীর আর নেয় না মহাশয়।
তাহলে? জিজ্ঞেস করলাম উদ্বিগ্ন হয়ে। 
—লিখতে সময় পাচ্ছি না, অথচ লেখা মাথায় এসে গেছে।
—তাহলে লিখতে তো হবে।
হ্যাঁ মহাশয়, লিখতে হবে, না লিখলে হবে না। শতাব্দ বলল।
—তাহলে লিখে ফেল। 
—না লিখতে পেরে খুব কষ্ট হচ্ছে, লেখা এসে গেছে, কিন্তু সময় নাই।
তোমায় একটা সময় বের করতে হবে। বললাম। 
শতাব্দ বলল, মহাশয়, একটা গল্প মাথায় ঘুরছে খুব, এদিকে ধান কাটা লাগল, শীতের চাষ লাগল, দিল্লি তো যাব না, দিল্লির দিকে চাষিরা হাঁটছে,  কতকাল ধরে চাষিদের সব্বোনাশ হয়ে যাচ্ছে, আরও সব্বোনাশ সামনে, চাষি গলায় দড়ি দিচ্ছে ফসলের দাম না পেয়ে,... গল্প এসে গেছে, আমি তো চাষি, মহাশয়, মিছিলে নাই বলে লিখতে পারব না! মহাশয়, আমি বলতে পারব না— পরের দিন লিখব, চাষ পরের দিন হয় না। শিবরাম এমন বলেছিলেন না, পরের দিন লেখেন।
হ্যাঁ, ঠাট্টা করে, আলিস্যি করে, কিন্তু এই গল্প দিনের দিন না লিখলে হবে না, আমি বললাম।
তারপর  আমি আর শতাব্দ আলোচনা করতে লাগলাম কখন লেখা যায়। দিনের দিনেই। সন্ধেতে ঘুম আসে। ঘুমিয়ে নাও, তারপর ঘণ্টা খানেক বাদে উঠে পড়।
শতাব্দ বলে, ভাবতে হবে মহাশয়, আপনি বলুন, বলুন না, কিছু পরামর্শ দিন। আমি আর শতাব্দ আলাপ করতে লাগলাম, সারাদিনের খাটনির পর যে ঘুমটি আসে, সেই ঘুম ছাড়িয়ে উঠবে কী করে এই লেখক। লেখক ধান কাটেন। লেখক বীজ বোনেন। লেখক লেখেন। লেখাও তো বীজ বোনা, পরের দিনের কথা ভেব না শতাব্দ, চাষ পরের দিন হয় না। আচ্ছা লেখক, সোনামুখীর শিবুদার চায়ের দোকান চেনো?
কে বটে? শতাব্দ বলে, আপনার আমলের কেউ নাই মহাশয়। 
জিতেনের কথাটি আমি বলতে পারলাম না শতাব্দকে। ফোন নীরব হল আবার বেজে ওঠার জন্য। আমার কত সময়। কিন্তু আমার দিন যায় পরের দিন নয়, আগের দিনের কথা ভেবে। সে আমলের কথা ভেবে।
13th  December, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর গুলির মধ্যে দশমস্থানে দিল্লি
অতিমারির পর গোটা বিশ্বের মানুষ আরও বেশি করে বিমানে চড়েছেন। ...বিশদ

11:59:42 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে অভিজিৎ দাসকে (ববি) প্রার্থী করল বিজেপি

11:40:35 AM

এক্স নিয়ে নতুন ঘোষণা মাস্কের
এক্স (টুইটার) নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন এলন মাস্ক। নতুন এক্স ...বিশদ

11:39:38 AM

জাজপুরে বাস দুর্ঘটনা: শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ওড়িশার জাজপুরের দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দুর্ঘটনার ফলে ...বিশদ

11:28:53 AM

শ্রীনগরে ঝিলম নদীতে নৌকাডুবি, মৃত ৪ পড়ুয়া

11:05:52 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: উত্তরপ্রদেশে আরও ১১টি আসনে প্রার্থী দিল বিএসপি

11:05:52 AM