Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত।

আমাকে যাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন, তাঁরা জানেন ‘হাত ঘড়ি’ ও ‘রোদ চশমা’-এ দুটি জিনিসের প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ আছে। সংগ্রহের শখও আছে বলা যেতে পারে। তবে এ শখের জন্ম শৈশব বা কৈশোরে নয়, অনেক পরে। সাতের দশকে যাঁদের মফস্‌সল শহরে শৈশব বা কৈশোর অতিবাহিত হয়েছে, সে সময় ছেলেবেলাতে হাতে ঘড়ি পরা বা রোদ চশমা চোখে পরার ব্যাপারটাকে ডেঁপোমি হিসেবেই চিহ্নিত করা হতো। আমার অনেক সহপাঠীদের মতো আমিও প্রথম হাত ঘড়ি পরি ক্লাস টেনের মাঝামাঝি সময়। ব্যাঙ্গালোর থেকে আমার কাকার কিনে এনে দেওয়া সস্তা দামের ইলেকট্রনিক্স রিস্ট ওয়াচ। ঘড়ি মিলিয়ে টেস্ট পেপার সল্ভ করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তবে টেস্ট পরীক্ষা দেবার আগে পর্যন্ত সে ঘড়ি হাতে পরে বাইরে যাবার অনুমতি ছিল না। আর সত্যি কথা বলতে সে সময় ঘড়ি, জুতো-জামার প্রতি আমাদের কোনও আগ্রহও ছিল না। বরং এ সবের থেকে অনেক বেশি আগ্রহের বিষয় ছিল গল্প-কমিক্সের বই, তাপ্পি দেওয়া চামড়ার ফুটবল, শীতকালে ক্রিকেট ব্যাট। বাড়িতে আমার চাকুরিরত বাবা-কাকা-পিসিরা ঘড়ি পরতেন, মা-কাকিমাদের তেমন ঘড়ি পরতে দেখিনি। ভোরবেলাতে ঘুলঘুলির ফাঁক গলে আসা দিনের প্রথম আলো আর শক্ত টিনের পাতে মোড়া টেবিল ঘড়ির কর্কশ ধাতব শব্দ জানিয়ে দিত এবার বিছানা ছাড়তে হবে। বেলা ন’টায় দেওয়াল ঘড়ির শব্দ জানাত এবার বই গুটিয়ে স্নান-খাওয়া সেরে রওনা হতে হবে স্কুলের দিকে। ঠিক যেমন ইস্কুলের শেষ ঘণ্টার শব্দ জানিয়ে দিত বেলা সাড়ে চারটে বাজে। বাড়ির কাছেই স্কুল। বাড়ি ফিরে কোনওরকমে খাবার নাকে মুখে গুজেই সোজা ছুট দেওয়া খেলার মাঠে। হ্যাঁ, সে সময় আমাদের খেলার মাঠ ছিল। সে মাঠে গ্রীষ্ম-বর্ষায় ফুটবল ছিল, শীতকালে ক্রিকেট। কেউ কেউ ঘুড়িও ওড়াত। মাঠ সংলগ্ন রেল কোয়ার্টারের আউট হাউসের বাসিন্দারা কয়লার আগুন জ্বালাত। সূর্য ডোবার পর তাদের উনুনের ধোঁয়া পেঁজা তুলোর মতো মাঠে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলেই আমরা বুঝতে পারতাম কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুপ করে অন্ধকার নামবে, এবার খেলা থামিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। অন্ধকার নামার আগে, বাড়িতে শাঁখ বাজার আগেই স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের বাড়ি ফেরার কঠোর নিয়ম ছিল আমাদের মফস্‌স঩লে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে সামান্য টিফিন করে আবার বই নিয়ে পড়তে বসা। যখন মা-পিসিরা খাবারের জন্য ডাক দিতেন, তখন আমরা বুঝতে পারতাম রাত ন’টা বাজে। খাবার পর সোজা বিছানাতে। এ ভাবেই হাত ঘড়ি বিহীন অবস্থাতে অথচ সময় মেনেই ছেলেবেলা, স্কুল জীবন অতিবাহিত হতো আমাদের।
আমার বেশ কিছু সহপাঠী আমাদের পাড়াতেই বসবাস করত। একই পাড়াতে এক সঙ্গেই বেড়ে উঠতাম আমরা। এক সঙ্গে আমরা খেলতাম, স্কুলে টিফিন আর মাস্টারমশাইদের বেতের দাগ ভাগ করে নিতাম, দুর্গাপুজোতে একসঙ্গে দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরতাম। আমার তেমনই এক সহপাঠীর নাম ছিল শঙ্কর এবং তার বাবার নাম ছিল রমাপতি বাবু। বলা বাহুল্য এ ক্ষেত্রে আমি কাল্পনিক নামের আশ্রয় নিলাম। তবে যে ঘটনা বলতে যাচ্ছি তা সত্যি। শঙ্কর ছিল বেশ নিরীহ গোছের ছেলে আর রমাপতি ছিলেন অত্যন্ত গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। তাঁর চেহারা ছিল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, মাথায় কদম ছাঁট চুল। ভদ্রলোকের যেমন কুস্তিগীর ধরনের চেহারা, তেমনিই বাজখাই গলা! আমার সহপাঠী শঙ্কর তো বটেই এমনকী তার বাড়ির অন্য সবাইও সব সময় তটস্থ হয়ে থাকত ভদ্রলোকের ভয়ে। উচ্চপদস্থ সরকারি চাকুরে রমাপতি অসম্ভব নিয়ম ও সময় মেনে তাঁর জীবন যাত্রা পরিচালনা করতেন। তাঁর বাজখাই গলার সামনে কোনও সময় দাঁড়াতে হলে পা কাঁপত আমাদের। বন্ধু শঙ্করের মুখেই শুনেছিলাম যে, তার বাবার হাতের সোনালি ডায়ালের ঘড়িটা অ্যাংলো সুইস ঘড়ি। সে ঘড়ি আসলে ছিল শঙ্করের প্রয়াত ঠাকুরদা অর্থাৎ রমাপতির পিতৃদেবের সম্পত্তি। ঘড়িটার বয়স নাকি পঞ্চাশ বছর। রমাপতি নিয়মিত দম দিয়ে, প্রয়োজন মতো অয়েলিং করিয়ে চালু রেখেছেন সেই রিস্ট ওয়াচ। ও ঘড়ি স্পর্শ করার অধিকার নেই কারও। আর ওই ঘড়িই নাকি আসলে পরিচালিত করে রাশভারী রমাপতি বাবু ও তাঁর সংসারকে।
আমরা যখন ক্লাস টেনে উঠলাম তখন সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা বলে পড়াশোনার চাপ একটু বেশি হয়ে উঠল ইস্কুল বা বাড়িতে। তখন আমাদের পড়াশোনা প্রধানত স্কুলকেন্দ্রিকই ছিল, প্রাইভেট টিউশনকেন্দ্রিক নয়! কাজেই ক্লাস টেনে ওঠার পর পারত পক্ষে স্কুল কামাই করতাম না আমরা। টেস্ট পরীক্ষার কিছুদিন আগের ঘটনা, হঠাৎই একটানা তিনদিন স্কুলে উপস্থিত হল না শঙ্কর! একই পাড়াতে বাড়ি হলেও রমাপতির সামনে পাছে গিয়ে দাঁড়াতে হয় সেই ভয়ে আমরা শঙ্করের খোঁজও নিতে যেতে পারলাম না। তিনদিন পর শঙ্কর যখন স্কুলে ফিরল তখন তাকে দেখে আমরা সহপাঠীরা তো বটেই, এমন কী মাস্টারমশাইদের অনেকেই শিউরে উঠলেন। শঙ্করের সারা শরীরে কালশিটে দাগ। প্রহারের স্পষ্ট চিহ্ন! ঘটনাটা জানা গেল শঙ্করের কাছেই। সে তার বাবার অবর্তমানে সেই অ্যাংলো সুইস ঘড়িটা নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল এবং তা করতে গিয়ে কীভাবে যেন ঘড়ির চাবিটা খুলে যায় আর তার ফলশ্রুতি হিসাবে রমাপতি বেল্ট দিয়ে পিটিয়েছেন শঙ্করকে। তিন দিন জ্বরে পড়েছিল শঙ্কর। তাই সে স্কুলে আসেনি। স্কুলে বা বাড়িতে সে সময় কম-বেশি মার আমরা অনেকেই খেতাম। সে যুগে শাসনের অঙ্গ ছিল এটা। তবে শঙ্করের মতো বীভৎস মার আমরা কাউকে খেতে দেখিনি। 
যাই হোক, একসময় মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন এসে গেল। আমি বাবার এইচএমটি ঘড়ি পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতাম। এক বেঞ্চে আমার আর শঙ্করের সিট। শঙ্করও ঘড়ি পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেত। তবে সেটা তার মামার কিনে দেওয়া অন্য একটা ঘড়ি, রমাপতির অ্যাংলো সুইস ঘড়ি নয়। সেদিন অঙ্ক পরীক্ষা। প্রচণ্ড টেনশন সবার মনে। আমার পিসি আমাকে পরীক্ষার ঘরে বসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে পরীক্ষা শুরু হবে। একে একে অন্য অভিভাবকরাও নিজেদের ছেলেদের বসিয়ে হল ত্যাগ করছেন। ঠিক সেই সময় আমি হঠাৎ আঁতকে উঠলাম। আমার মুখ থেকে আর্তনাদের মতো বেরিয়ে এল– ‘এমা! আমি ঘড়ি পরে আসিনি!’ রমাপতি তখন আমার পাশে শঙ্করকে বসিয়ে ঘর থেকে বেরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আমার আর্তনাদ শুনে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন আমার পাণ্ডুর মুখের দিকে। তারপর আমাকে আর শঙ্করকে বিস্মিত করে তাঁর হাতের সেই অ্যাংলো সুইস ঘড়িটা আমার হাতে পরিয়ে দিয়ে গম্ভীরভাবে বললেন, ‘ঘাবড়াবে না। মন দিয়ে পরীক্ষা দেবে। প্রয়োজন হলে বাকি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘড়িটা তোমার কাছে রেখে দিতে পার,’ একথা বলে ঘর ছাড়লেন তিনি। যে ঘড়ির জন্য নিজের ছেলের গায়ে নির্মম ক্ষতচিহ্ন এঁকেছিলেন রমাপতি, সে ঘড়ি হাতে দিয়েই আমি মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষা দিয়েছিলাম। 
বহু দিন হয়ে গেল রমাপতি তাঁর ঘড়ির মায়া কাটিয়ে সেই অনন্তলোকের দিকে যাত্রা করেছেন যেখানে সম্ভবত ঘড়ির প্রয়োজন হয় না। শঙ্কর আজ একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ। আজকাল অনেক সময় শুনি যে, এই ইঁদুর দৌড়ের যুগে কিছু কিছু অভিভাবকরা নাকি তাঁদের সন্তানদের বলেন যে, পরীক্ষাকেন্দ্রে তাদের সহপাঠীদের পেন-পেন্সিল না দিতে। কারণ, পরীক্ষা মানেই হল অন্যদের পিছনে ফেলার প্রতিযোগিতা। এ কথা শুনলেই আজও মনে পড়ে যায় পরীক্ষা হলের ঘটনাটার কথা। আসলে সে যুগে রমাপতিবাবুর মতো মানুষরা ছিলেন অনেকটা বাজপাখির মতো— নখও ছিল, আবার বিরাট বুকে শক্ত ডানার আড়ালে তাঁরা অন্যকে আশ্রয় দেবার ক্ষমতাও রাখতেন। সহপাঠী শঙ্করের দেহে নির্মম আঘাতের চিহ্ন দেখে আমি কষ্ট পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই আমি আজও দেখতে পাই আমার হাতে পরিয়ে দেওয়া রমাপতিবাবুর সোনালি অ্যাংলো সুইস ঘড়ি।                অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
29th  November, 2020
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভিভিপ্যাট-ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় আজ নির্দেশিকা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট

11:03:33 AM

২৮৮ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

10:39:10 AM

ডানকুনির কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন
ডানকুনিতে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আজ, বুধবার ...বিশদ

10:32:45 AM

বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, তীব্র যানজট
বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সাতসকালে ডিভাইডারে ধাক্কা লরির। জানা গিয়েছে, রাস্তায় আচমকা ...বিশদ

10:14:46 AM

বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ যুবকের, শুরু তল্লাশি
সাতসকালে বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, ...বিশদ

09:46:43 AM

সাংবিধানিক অধিকার
ছ’মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি  রয়েছে। সেইসঙ্গে শিশু সন্তানের দেখভালের জন্য দু’বছরের ...বিশদ

09:33:34 AM