Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখে মাস্ক বেঁধে চলাফেরা করতে করতে আমরা তো এখন প্রায় ভুলে যেতে বসেছি যে, এমন দিনও ছিল যখন আমরা ইতিউতি অজস্র ঘটনায় হো হো করে হেসে উঠতাম। আমাদের হাসির ছররা চলকে গিয়ে লাগত পাশের মানুষগুলোর গায়ে আর হাসির ভিতর দিয়ে এমন একটা সেতু তৈরি হতো, যেখানে আত্মীয়তা-অনাত্মীয়তার ভেদটাই যেত অস্পষ্ট হয়ে। হ্যাঁ, এমনটাও হয়েছে যে সব হাসি সবসময় সঠিক কারণে উৎসারিত হয়নি। কোনও-কোনওটার পিছনে এমন কিছু কারণ ছিল, যেগুলো না-থাকাই উচিত। কিন্তু হাসির ধর্ম যেহেতু কলুষ ধুয়ে দেওয়া। তাই সেই বাইরের খোলসগুলো গুরুত্বহীন হয়ে মিলিয়ে গিয়েছে একটা সময়। হাসি-মজার আবহটাই সানাইয়ের মতো বাজতে থেকেছে।
সানাই যখন এল বিয়ের কথাই বা আসবে না কেন? ছোটবেলায় দেখেছি, কৃষ্ণকমল দাদুকে দু’-চারজন লোক ভাড়া করত, পাত্রীপক্ষের লোকের সঙ্গে কথা বলার জন্য। উদ্দেশ্যটা অত্যন্ত খারাপ ছিল, নগদ টাকা এবং গয়নাগাটির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু দাদু যেভাবে কথাটা পাড়তেন তাতে উপস্থিত সকলেই হেসে ফেলত। পেশায় কীর্তনীয়া দাদুর স্টাইল ছিল কথা বলতে বলতে হঠাৎ উচ্চমার্গের একটা বিষয় এনে ফেলা। একদিনের কথা বলি। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে বসে দাদু বললেন, ‘মাইয়ারে যখন শ্বশুরবাড়ি পাঠাইতাসেন, তখন মনে রাখবেন যে, মা লক্ষ্মীরে পাঠাইতাসেন, গৌরাঙ্গরে নয়।’ কথার নিহিতার্থ বুঝতে না পেরে যখন এ-ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে, দাদু আবার মুখ খুললেন, ‘গৌরাঙ্গরে খালি পায়ে, খালি গায়ে চাদর জড়াইয়া সংকীর্তন করতে করতে পাঠাইয়া দেওন যায়, যেখানে খুশি। কিন্তু লক্ষ্মীরে কোথাও দিয়া আইতে গেলে খেয়াল রাখতে হয়, তার গা-ভর্তি গয়না যেন থাকে। নইলে লক্ষ্মীরও অসম্মান আর যারা পাঠাইতাসে তাদেরও অসম্মান।’
কৃষ্ণকমল দাদুর ব্যাখ্যা শুনে হাসির ফোয়ারা বয়ে যাওয়ায় ওইসব দাবিদাওয়া আদায় খানিক সহজ হয়ে গিয়েছিল হয়তো। কিন্তু শহরতলির প্রত্যন্তে একটা অপরিকল্পিত উদ্বাস্তু কলোনির ভাঙাচোরা দুটো ঘরে থাকা কৃষ্ণকমল যখন নিজের মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্যের আশায় আমাদের পাড়ার বাড়ি-বাড়ি ঘুরছিলেন, তখন নিশ্চয়ই ছিনাথ বহুরূপীর গা থেকে খসে পড়া বাঘছালের মতো ওই ইয়ার্কিগুলোও খসে পড়ে গিয়েছিল কিংবা পেরেকের মতো বিঁধছিল ওঁর নিজেরই গায়ে।
তবে দুঃখ-টুঃখকে পাত্তা না দিয়ে শব্দ তার খুশি তৈরি করার ক্ষমতা নিয়ে সবসময়ই জেগে থাকে আমাদের চারপাশে। পরীক্ষার হলে গার্ড দিতে গিয়ে আমার নিজেরই তেমন এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আবার প্রশ্নের টানে প্রশ্ন আসে। একটি পরীক্ষার খাতার কথা শুনেছিলাম যেখানে ‘জাহাজ কেন জলে ভাসে’র উত্তরে পরীক্ষার্থী লিখেছিল, ‘নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে।’ বলুন, কোথায় এর নম্বর কাটা যায়? কারণ ছাড়া কিছু কি হয় দুনিয়ায়?
আমি যেমন একবার এক অ্যামেচার নাটকের দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম। সেই দলের নাম ছিল ‘মৃগশিরা’। দলের সর্বময় পরিচালিকার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এরকম অদ্ভুত নাম কেন দলের। তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর যেহেতু ‘মৃগশিরা’ নক্ষত্রে জন্ম তাই নিজের দলের ওইরকম নামকরণ করেছেন।
‘আপনি পৃথিবীতে জন্মাননি আমাদের মতো? নক্ষত্রে জন্মেছেন? কই দেখলে বোঝা যায় না তো যে আপনি ইটি!’ আর একটু হলেই বলে ফেলেছিলাম ।
পরিচালিকা কিছু আন্দাজ করে আমায় দিকে তাকালেন খর চোখে।
আমি আমতা আমতা করে বলে ফেললাম, ‘আমি পৃথিবীতেই জন্মেছি।’
‘ধ্যাত্তেরি, ওটা আমার জন্মকালীন নক্ষত্র। মানুষের ছকে যেমন রাশি, লগ্ন থাকে, তেমন নক্ষত্রও থাকে একটা, বুঝলেন?’ নায়িকা জবাব দিলেন।
মৃগশিরা আমাদের পরিচালিকাকে নক্ষত্র বানায়নি অবশ্য। তবে নক্ষত্র হলেই যে তাকে নিয়ে মজা করতে পারবে না কেউ, তেমনও নয়। বাংলা চলচ্চিত্রের এক সুপ্রাচীন নক্ষত্রকে নিয়েই যেমন মজা হতে দেখেছিলাম একদিন।
আমার তখন চিত্রনাট্য লেখার সুবাদে অল্পস্বল্প যাতায়াত স্টুডিও-পাড়ায়। একজন তরুণ এবং আর একজন অতি-তরুণ অভিনেতা একদিন সেই নক্ষত্রের গলায় রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন টালিগঞ্জের এক স্টুডিওর একটি ফ্লোরে। নক্ষত্র খানিকটা আপ্লুত হয়েই বলেছিলেন, ‘আরে এসবের আবার কী দরকার, শ্রদ্ধা করো সে তো জানিই। তাছাড়া আজ তো আমার জন্মদিনও নয়!’
অতি-তরুণ অভিনেতাটি উত্তরে একগাল হাসি হেসে বললেন, ‘জন্মদিন-টন্মদিন বলে নয়, আপনার গলায় মালা পরালাম আমরা, কারণ আজ আপনার অন্যের পয়সায় মদ্যপানের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল।’
কথাটা শেষ হতেই একটা পিন-পতনের নিস্তব্ধতা সারা ঘরে কিন্তু সে আর কতক্ষণ? মুহূর্তেই একটা সিলিং-ফাটানো হাসি শ্যুটিং ফ্লোরের দেওয়াল থেকে দেওয়ালে পাক খেতে থাকল।
আর নক্ষত্র কেমন এক চুপসে যাওয়া চেহারায় বসে রইলেন।
সকলে অবশ্য চুপসে যাওয়ার বান্দা নন। এক রিটায়ার্ড গেজেটেড অফিসারকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলাম একদা, যিনি প্রায় প্রতিমাসে ক্যুরিয়ার মারফত অন্তত দুটো চিঠি পাঠাতেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের জনৈক পাণ্ডার নামে। সেই পাণ্ডা নাকি এই অবসরপ্রাপ্ত ভদ্রলোকের থেকে কড়কড়ে দেড় হাজার টাকা নিয়ে রেখেছিলেন প্রসাদী প্যাঁড়া পাঠাবেন বলে। কিন্তু মাস পেরিয়ে বছর গড়ালেও সেই প্যাঁড়া আর কলকাতা এসে পৌঁছয়নি। এদিকে প্যাঁড়া কলকাতায় এসে না পৌঁছলে ভদ্রলোক আবার ছাদনাতলায় যেতেও পারছিলেন না। কারণ এবার যে ভদ্রমহিলাকে পছন্দ করেছেন তিনি কাশীর প্রসাদ না আসা পর্যন্ত এক-পা এগতেও অনিচ্ছুক। এমতাবস্থায় এই রিটায়ার্ড ভদ্রলোকের কাশীর ওই পাণ্ডাকে পরের পর চিঠি পাঠানো ছাড়া উপায় কী? সেই চিঠিগুলির একটির কিয়দংশ শুনিয়েই এই লেখা শেষ করব।
‘ ...আমি তাই প্রতিমাকে ঘুরাইতে শুরু করিলাম। আর নিজেও ওর সঙ্গে ঘুরিতে শুরু করিলাম। একদিন শিয়ালদহ স্টেশন হইতে কলেজ স্ট্রিটের দিকে হাঁটিতে হাঁটিতে প্রতিমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিলাম, বাঁদিকের বিবাহের কার্ডের দোকানগুলির দিকে। সেই নয়-দশ বৎসর পূর্বে আমার একমাত্র কন্যার বিবাহের সময় (এখন সে পুত্র-কন্যা লইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস মহকুমায় স্বামীর সহিত সুখে কালাতিপাত করিতেছে) এইসব দোকানের একটিতে ঢুকিয়া যে প্রশ্ন করিয়াছিলাম, আজও সেই একই প্রশ্ন মুখ হইতে নির্গত হইল, যদিদং কত করে? দোকানি উত্তর দিবার পূর্বেই প্রতিমা দোকান হইতে বাহির হইয়া গিয়াছিল। আমি উহাকে ভিতরে আনিবার নিমিত্ত বাহিরে যাইতেই ও নাকিসুরে যাহা বলিল তাহার মর্মার্থ, একজন বিধবার এসবের মধ্যে থাকা উচিত নহে। আচ্ছা, মেসি খেলিলেও আর্জেন্তিনা গোল খাইতে পারে, বিরাট কোহলি ব্যাট করিলেও হারিতে পারে ভারত। কিন্তু আমি যখন জীবিত, তখন প্রতিমা বিধবা থাকিতে পারে কী করিয়া? সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই উহাকে বিবাহ প্রস্তাব দিই। কিন্তু সেই আচারনিষ্ঠ বাল্যবিধবা আমাকে কাশী হইতে ফাঁড়া কাটাইয়া আসিতে বলিল।’
ফাঁড়া কাটুক না কাটুক, এই দুঃসময়েও এরকম চিঠি পড়লে মুখ আর মনের মেঘ কেটে যায় কি না বলুন? 
20th  September, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM