Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অশান্তি পূর্ণ সহাবস্থানে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনতা রায়চৌধুরী।

১০ 

শারদোৎসবের আলো ঝলমলে কলকাতা নগরীকে পিছনে ফেলে আমরা যাত্রা করলাম জলদাপাড়া অভয়ারণ্য দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে। এনজিপি’তে নেমে একখানি গাড়ি ভাড়া করে যথাসময়ে পৌঁছে গেলাম হলং ফরেস্ট বাংলোয়। এক বন্ধুকে বলা ছিল, ঘর পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অসুবিধাই হল। এক ভিভিআইপি-র হলং সফরে আসার কথা। তাই ওখানে ঘর পাওয়া যাবে না।
সেই বন্ধুবর আমাদের হতাশ হতে না দিয়ে তখনই পাঠিয়ে দিল মাদারিহাট ফরেস্ট বাংলোয়। গাড়ি ঘুরল মাদারিহাটের রাস্তায়। একটু পরেই মন ভালো হয়ে গেল। দু’পাশে অনন্ত চা-বাগিচা যেন সবুজ গালিচা পেতে রেখেছে। সেখানে রং-বেরঙের পোশাক পরে পিঠে ঝুড়ি নিয়ে ঠোঁটে মোহিনী সুর গুনগুনিয়ে ‘পাতি’ তুলে চলেছে পাহাড়ি রমণীরা।
কিছুক্ষণ পরে পৌঁছে গেলাম ফরেস্ট বাংলোয়। বেশ একটা অ্যান্টিক ভাব আছে পুরনো দিনের এই হোটেলটায়। এখান থেকেও যাওয়া যাবে অভয়ারণ্য পরিদর্শনে। হাতির পিঠে সওয়ারি হয়ে এক শৃঙ্গ গণ্ডার দর্শনও করা যাবে। এইসব শুনতে শুনতে আমি বাংলো ধরনের ঘরগুলির দিকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। প্রত্যেকটা ঘরই আলাদা আলাদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাজানো। এই বিশাল বাগানের মধ্যে ওরা নিজস্বতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যে সময়ের কথা বলছি তখনও নেট দুনিয়ার অপ্রতিরোধ্য আগ্রাসন ঘটে যায়নি আমাদের জীবনে। আমাদের ঘরখানির আয়তন বিশাল, তার মাঝখানে পাতা খাটখানিকে পালঙ্ক বলাই ভালো। বাইরে বাগানের শোভা আর তার সঙ্গে একখানা মস্ত আকাশ দেখা যাচ্ছে। একটু পরেই সূর্য ঢলে গেল আর গোধূলির আলো ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত বাংলোয়, সেই মায়া মাধুরী আমাকে এমন মুগ্ধ করে দিল যে হলং ফরেস্টে জায়গা না পাওয়ার দুঃখ নিমেষেই ভুলে গেলাম।
রাত নেমেছে নিঃশব্দে। আমি বালিশে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে আছি। রাত বাড়তেই ঘরের অন্যসব আলো নিভে গিয়েছে। মাত্র একটি রাত-আলো জ্বলছে ঘরের কোণে। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। বাগান থেকে আলো আসছে। অষ্টমী কিংবা নবমীর চাঁদ থেকেও মোহিনী আলো আসছে ঘরে।
হঠাৎ খট-খট-খট করে তিনবার শব্দ হল।
আমি চমকে উঠলাম। আবার থেকে থেকেই সেই শব্দ। কোথা থেকে আসছে আওয়াজটা, বুঝতে পারছি না। সঙ্গের মানুষটিকে না ডেকে পারলাম না। সেও বুঝতে পারছে না, আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে। বলল, ‘ঘুমিয়ে পড়ো। বাইরে হয়তো কোনও রাত জাগা পাখি ডাকছে।’
আমি পারছি না। কেবলই সেই খট-খট-খট। যেন কেউ নক করছে। যেন কিছু বলতে চাইছে। কৌতূহলে আমি মনে মনে রীতিমতো বিপর্যস্ত। হাত বাড়িয়ে বেলটা টিপেই ফেললাম।
জানতাম টুয়েন্টি-ফোর আওয়ার্স রুম সার্ভিস এখানে। কেউ না কেউ আসবেনই। সত্যিই দরজায় এসে বেল টিপলেন কেউ। আমিই গিয়ে দরজা খুললাম। একজন বয়স্ক বেয়ারা ঘরে এলেন ‘কিছু চাই ম্যাডাম?’
‘কিছু চাই না। একটা শব্দ আসছে থেকে থেকে। ওটা কীসের শব্দ?’
‘শব্দ?’ লোকটি অবাক হলেন। ‘কোন শব্দ?’
‘একটু দাঁড়ান। এখনই শুনতে পাবেন।’
সঙ্গে সঙ্গে সেই শব্দটি হল? কট-কট-কট।
‘ও কিছু না। তক্ষক ডাকছে।’
‘তক্ষক? তক্ষক তো সাপ! কোথায় ডাকছে?’ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। লোকটি হাসলেন, বললেন, ‘আপনার মাথার ওপরে। কোনও ভয় নেই।’
‘মানে? আমরা দু’জনেই চমকে উঠলাম। তাকালাম সিলিংয়ের দিকে। ঝকঝকে সিলিং!’ কী বলছেন ভাই? সিলিংয়ে তো কিছু নেই।’
‘দেখা যাবে না। ওপরে টালি আর ঘরের ফলস সিলিং, এই দুইয়ের মধ্যে ওরা আছে। থাক না। ওরা বেরিয়ে আসবে না।’
‘না-না-না। প্লিজ তাড়িয়ে দিন তক্ষকটাকে।’ আমার ভয়ার্ত গলা।
আমার ভয়কে ছাপিয়ে হেসে উঠলেন লোকটি, ‘তাড়িয়ে দেব? কটা তাড়াব ম্যাডাম। ওরা অগুনতি। টালি আর সিলিংয়ের মধ্যে ওদের বাসা।’
‘বাসা? সিলিংয়ের পিছনে অসংখ্য তক্ষকের বাস? কী বলছেন!’
‘ঠিকই বলছি। ওরা আমাদের কখনও ক্ষতি করে না। আমরাও ওদের ঘাঁটাই না। সে সাহসও কারও নেই।’
‘যদি রাতে জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে আসে? কামড়ে দেয়?’
‘কিছু করে না। কখনও বেরয় না ওরা। ওই শুধু একটু ডাকে খট খট খট।’
আমার শরীর কাঁপছিল, ‘আমাদের ঘরটা চেঞ্জ করে দিন।’
হা হা করে হেসে উঠলেন তিনি, যেন মজার কথা শুনছেন। বলে উঠলেন, সব ঘরের সিলিংয়েই ওরা আছে। কত বছর ধরে আছে কেউ জানে না। পাহারা দেয় ওরা বাংলোটাকে রাতে। ঘুমিয়ে পড়ুন আপনারা। কোনও ভয় নেই। গুড নাইট।’
‘খট খট খট।’ আবার ওদের কেউ একজন ডাকল। গুডনাইট জানাচ্ছে নাকি আমাদের? আমার বীরপুরুষটি শুয়ে পড়ল এই উপদেশ দিয়ে, ‘ঘুমিয়ে পড়। এক ঘুমে রাত কেটে যাবে। তাছাড়া শুনলে তো ওরা কিছু করে না।’ আমার পক্ষে ঘুমনো অসম্ভব। ছোট মেয়েটা সঙ্গে রয়েছে। শোনো, আমরা পালা করে পাহারা দেব রাতটা। জানলা দিয়ে ঢুকছে যদি দেখি...।
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ছোট মেয়ের বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে।
খাটে বালিশ হেলান দিয়ে আমি জেগে বসে রইলাম। একাই পাহারা দেব সারা রাত। ঘুমবই না। চোখ রইল জানলার দিকে। মাঝে মাঝেই জানান আসছে খট-খট-খট। ওরাও জেগে আছে।
বড় বড় জানলা। শার্সি নেই। বন্ধও করা যাবে না। আমার নির্নিমেষ নয়ন আটকে রইল জানলায়, ঢুকলেই দেখতে পাব।
রাত বেড়ে চলেছে। কোনও সৌন্দর্য আমাকে আর টানছে না। আমার সাবধানি দৃষ্টি জানলায় নিবদ্ধ। হঠাৎ মনে হল একটা বড়সড় টিকটিকির মতো প্রাণী। ধীরে ধীরে জানলা দিয়ে মাথা গলিয়ে দিল। আস্তে আস্তে ঢুকছে। খুব ধীরে সন্তর্পণে। একজন পাহারাদার মা জেগে আছে আন্দাজ করছে নাকি? জানলার দিক থেকে চোখ সরাতে পারছি না। ঢুকে আসছে বুকে হেঁটে। তক্ষক সাপ এইরকম দেখতে হয় নাকি? শুনেছিলাম যেন এরকমই। কী করে আটকাব ওকে? প্রাণপণে সঙ্গের মানুষটিকে ডাকতে লাগলাম। এই এই, ওঠো ওঠো। বুক ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছি কিন্তু আওয়াজ বেরচ্ছে না। ভয়ে, উৎকণ্ঠায়, বেদনায় চোখ থেকে জল গড়িয়ে আসছে। ঠিক সেই মুহূর্তে দরজায় কেউ নক করছে শুনতে পেলাম।
ধড়মড় করে উঠে বসলাম। দেখলাম সকাল হয়ে গিয়েছে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি। স্বপ্ন দেখছিলাম তাহলে? আসল বিপদ আসেনি! কান পেতে শুনতে চাইলাম সেই আওয়াজটা। না, সেই নাইট ওয়াচারদের ডাক থেমে গিয়েছে। ভোর হতে আমরা উঠে পড়েছি। ওরা বোধহয় ঘুমতে গিয়েছে এখন।
বুক থেকে আতঙ্কের ভার নেমে গেল। কিন্তু মাথার মধ্যে জেগে থাকল সেই রোমাঞ্চকর অসাধারণ রাতের স্মৃতি। অসংখ্য তক্ষকের সঙ্গে একটি রাত পাশাপাশি কাটিয়েছি। অশান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে। 
30th  August, 2020
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়াও হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়ারও ছবি তুলেছে রাজারাম, জানাল পুলিস

06:41:00 PM

মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূল নেতৃত্বের। উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী ...বিশদ

06:16:29 PM

নিজের মোবাইল থেকে একাধিক ছবি ও তথ্য ডিলিট করেছে রাজারাম, ফরেন্সিকে পাঠানো হল ফোন

06:11:00 PM

বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM