Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সন্ধ্যার শিকার
অভিজিৎ তরফদার

—জানতাম, তুমি আসবে।
—তাই? আপনি কি হাত গুনতে জানেন?
—না। কিন্তু মনে হয়েছিল। বলতে পারো সিক্স সেন্স।
—আর কী মনে হয়েছিল?
—মনে হয়েছিল, অসীমটা কী লাকি! মনে হয়েছিল... থাক, তুমি এলে কী ভালো যে লাগছে!
—এসেছি কিন্তু দরকারে।
—দরকার?
—হ্যাঁ। একটা জিনিস দিতে এসেছি।
—কী জিনিস?
—বলব, পরে।
—জিনিসটা অসীমের?
—বলতে পারেন। তবে আমারও।
—খালি হেঁয়ালি। একটু বসতে পারবে? হাতে সময় আছে?
—অঢেল। বলুন কতক্ষণ বসতে হবে?
—বেশিক্ষণ নয়। একজন প্রোডিউসার এসেছেন। সইসাবুদের ব্যাপার। সেরে নিয়েই...
—ঠিক আছে। আমি অপেক্ষা করছি।
---
—ফ্ল্যাটটা আপনার?
—হ্যাঁ।
কি-হোলে চাবি ঢোকাতে গিয়ে দেখলাম হাত কাঁপছে। আমার মতন মানুষের এমন হওয়া উচিত নয়। কিন্তু উত্তেজনা হলেই আমার হাত কাঁপে, গলা শুকিয়ে যায়।
সোহিনী দাঁড়িয়ে আছে খুব কাছে। একটা মিষ্টি গন্ধ... আচ্ছা ও কী ব্র্যান্ডের পারফিউম ইউজ করে?
—অন্ধকারে খুঁজে পাচ্ছেন না? দিন, আমাকে দিন।
হাত থেকে চাবির রিংটা নেবার সময় সোহিনীর হাতের আঙুল আমাকে ছুঁয়ে গেল। নরম, ভিজে ভিজে। শিউরে উঠলাম। ঢুকে আলো জ্বাললাম। এসি অন করলাম। সোফায় বসতে বসতে সোহিনী বলল, দারুণ তো ফ্ল্যাটটা! ওয়াশরুম হয়ে এসে মুখোমুখি বসে বললাম, তোমার পছন্দ হয়েছে?
—পছন্দ হলে কী করবেন? দেবেন আমাকে?
কথা ঘোরালাম,—আসতে পারো মাঝেমাঝে। একটা ডুপ্লিকেট চাবি করিয়ে দেব। কাছে রেখে দিও। যখন ইচ্ছে চলে এসো।
চারপাশ দেখতে দেখতে সোহিনী বলল, এখানে কী করেন? লেখেন?
—তা... বলতে পারো।
—আপনি সত্যিই ভাগ্যবান।
—কেন?
—লেখবার জন্য আস্ত একখানা ফ্ল্যাট আপনার।
—অসীম কি চেয়ার-টেবিলে বসে লিখত?
—নাঃ, ওর অদ্ভুত স্বভাব ছিল, খাটে শুয়ে লিখত। শেষদিকে অবশ্য সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
—কী হয়েছিল অসীমের? সেই যে তোমাকে নিয়ে ও এসেছিল... তারপর... যা কিছু শোনা অন্যদের মুখে। একটু যদি আগে জানতে পারতাম।
—কী করতেন জানলে?
—যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম। চিকিৎসার যাতে কোনও ত্রুটি না হয়।
—ওটা কি রান্নাঘর?
—হ্যাঁ। যাবে?
উঠে রান্নাঘরে গেল সোহিনী। সেখান থেকেই ওর গলা শোনা গেল।
—বাঃ! দারুণ অ্যারেঞ্জমেন্ট তো। আপনি রান্না করতে পারেন?
— অল্পস্বল্প।
—কফিরও সরঞ্জাম আছে। বানাই?
—বানাও।
—আপনি চিনি খান তো?
—এক চামচ।
দু-কাপ কফি হাতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আবার সোফার মুখোমুখি এসে বসল সোহিনী।
—তাহলে বলছেন প্রথমদিন দেখেই আপনার মনে হয়েছিল আমি আবার আসব।
—না এসে পারবে না।
—কেন মনে হয়েছিল?
—তোমার চোখের ভাষায় এমন কিছু ছিল।
—এমন কিছু?
—ঠিক বোঝাতে পারব না। যেন কিছু বলতে চাইছিলে। একটা সংকেত।
—সংকেত?
—মনে হচ্ছিল, অসীম তোমাকে সব কিছু দিতে পারছে না। একটা অতৃপ্তি। একটা ভয়েড। শূন্যতা!
—সেই অভাব, আপনার ধারণা, আপনার কাছে এলেই পূরণ হবে?
—অবশ্যই হবে।
চায়ের কাপ টেবিলে রেখে সোহিনীর কাছে গেলাম। হাত রাখলাম কাঁধে।
—একটা চান্স দাও। কথা দিচ্ছি ঠকবে না। আমার চোখের ভেতর কী যেন খুঁজল সোহিনী। কাপটা টেবিলে রাখল। উঠে দাঁড়াল।
---
বাথরুমে জলের শব্দ। সোহিনী।
ড্রয়িংরুমের পুব দিকে একটা বড় জানলা। পর্দা সরিয়ে দিলাম। চাঁদ উঠেছে গোটা। আজ কি পূর্ণিমা? হাত বাড়িয়ে গড়িয়ে আলোর স্যুইচটা অফ করে দিলাম। চাঁদের আলো উপচে এল ঘরে। বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ। গন্ধ! ঘর অন্ধকার দেখে বলে উঠল, এ কী? অন্ধকার কেন?
—চাঁদের আলো আসছে। তোমার খারাপ লাগছে? আলো জ্বালিয়ে দেব?
—থাক।
সোফায় বসল সোহিনী। দু’পা ছড়িয়ে দিল সামনে। আঁচলে মুখ মুছল।
শি ইজ আ জেম। রাখতে পারব তো? দেখলাম উত্তেজনাটা আবার ফিরে আসছে। হাত কাঁপছে অল্প অল্প।
—এবার বলো।
—কী বলব?
—কেন এলে?
হাসল সোহিনী। অন্ধকারেও ওর দাঁত ঝকঝক করে উঠল।
—যে দিন ওকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম, মনে আছে?
—কেন থাকবে না? কী পাগলামিটাই না করছিল অসীম! ওকে ধরে রাখা যাচ্ছিল না।
—পাগলামি?
—নয়তো কী? কত করে বোঝাবার চেষ্টা করছিলাম। স্ক্রিপ্টটা আমি পড়ে দেখেছিলাম। দেখিয়েওছিলাম দু-একজনকে। কিছু ছিল না ওটাতে। ও’রকম স্ক্রিপ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে গড়াগড়ি খায়, কেউ ছুঁয়েও দেখে না। অত কিছু তো বলা যায় না। আভাসে-ইঙ্গিতে চেষ্টা করছিলাম বোঝাবার। কিছুতেই মানতে চাইছিল না অসীম।... আর এক কাপ কফি খাবে? এবারে আমি বানাই।
—কফি?... মন্দ হয় না।
সোহিনীর একটা পাশ দেখা যাচ্ছিল, অন্ধকার অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সোহিনীর ফিচার্স ধারালো। চোখে চোখ রেখে কথা বলে। আর আসল জায়গায়...। প্রোটেকশন অবধি নিতে দিল না। কিন্তু কেন এসেছে ও? এতদিন পর? এখনও ভাঙল না। কফিতে চুমুক দিয়ে আরামের একটা শব্দ করল সোহিনী।
—দারুণ!
—বলছ?
—আরও অনেক কিছুর মতো।
—যেমন?
—যেমন স্ক্রিপ্ট লেখা।
—ওটা আমার প্রফেশন। প্যাশনও বলতে পারো।
—মনে আছে, ‘সন্ধ্যার শিকার’ যখন রিলিজ করল, শুরু থেকেই হইহই। অসাধারণ চিত্রনাট্য! ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অবধি পৌঁছে দিল আপনাকে, ওই একখানা স্ক্রিপ্ট।
—হ্যাঁ, ওটা আমার কেরিয়ারের একটা মাইল স্টোন।
—লোকের মুখে প্রশংসা শুনে আপনার বন্ধুও দেখতে গিয়েছিল ‘সন্ধ্যার শিকার’। দেখতে দেখতেই ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে হয়।
—অসুস্থ? কী হয়েছিল? ...আর একটু কফি দিই?
—দিন।... বুক ভেঙে গিয়েছিল ওর। পৃথিবীটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল।
—কেন? কী এমন ছিল সিনেমাটায়?
—চিত্রনাট্য। যে স্ক্রিপ্টটা ও আপনাকে পড়তে দিয়েছিল, সেটাই হুবহু আত্মসাৎ করে ‘সন্ধ্যার শিকার’-এ নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন আপনি।
—কী বলছ আবোলতাবোল? কোনও প্রমাণ আছে?
—নেই। একমাত্র সাক্ষী আমি। দেবার আগে আমাকে পড়তে দিয়েছিল। ওই পর্যন্ত। তারপর পাণ্ডুলিপিটা সোজা আপনার হাতে তুলে দিয়েছিল। একটা কপি পর্যন্ত না রেখে। বন্ধুর ওপর এমনই অগাধ বিশ্বাস ছিল ওর।
—বাজে বকা বন্ধ করবে?
—এখনও তো আসল কথা শুরুই করিনি। সিনেমাটা দেখে অবধি কী যে হল, খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিল। সিগারেট খেতে লাগল দিনে চল্লিশ-পঞ্চাশটা। একদিন মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত উঠতে শুরু করল। বাড়ির কাছাকাছি নার্সিংহোম, সেখানেই ভর্তি করলাম।
—নার্সিংহোমেই চলে গেল অসীম?
—না। তখনই চলে গেলে আপনার কাছে আমার আসা হয়েই উঠত না। রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না। ডাক্তার বললেন রক্ত দিতে হবে। দিলাম, আরও রক্ত চাই। তখন বাধ্য হয়েই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রক্ত জোগাড় করল। প্রাইভেট ব্লাডব্যাঙ্কের রক্ত। চার প্যাকেট।
—সেরে উঠল?
—তখনকার মতো। বাড়ি ফিরে এল। কিন্তু ঘন ঘন অসুস্থ হতে লাগল। আবার ভর্তি, এর মধ্যে চাকরিটাও গিয়েছে। আর নার্সিংহোম পারলাম না। মেডিক্যাল কলেজ সেখানেই ধরা পড়ল অসুখটা।
—অসুখ?
—হ্যাঁ। দেখা গেল ও এইচআইভি পজিটিভ। নার্সিংহোমে যে রক্ত দেওয়া হয়েছিল খুব সম্ভবত সেখান থেকেই ওর শরীরে এসেছে।
কাঁপুনিটা আবার ফিরে আসছে।
ধরা গলায় বললাম, তারপর?
—চিকিৎসা হল। ট্রপিক্যালের ডাক্তারবাবুরা যত্ন করে চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু বাঁচার ইচ্ছাটাই চলে গিয়েছিল ওর। ওষুধ ঠিকমতো খেত না। দিলে লুকিয়ে রাখত। বকাবকি করলে ছেলেমানুষের মতো কান্নাকাটি করত। একসময় আমিও হাল ছেড়ে দিলাম।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। বললাম, যে চলে গিয়েছে তাকে নিয়ে তো সারাটা জীবন কাটানো যায় না। এবারে নিজের কথা ভাবো।
—সেটাই তো বলতে এসেছি। একসময় আবিষ্কার করলাম ওর অসুখ আমার শরীরেও বাসা বেঁধেছে। আমিও পজিটিভ।
—কী বলছ?
আর্তনাদটা অজান্তেই মুখ থেকে বেরিয়ে এল। 
23rd  August, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM