Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বাগবাজারের আশালতা

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী।

ছোটবেলাটা বাগবাজারে কাটিয়েছি। লকডাউনের আগে মাসে একবার করে হলেও ওদিকে যেতাম, এ-গলি ও-গলি ঘুরে বেড়িয়ে মনের নানাবিধ ভাবসঞ্চার আস্বাদন করতাম। কেতাবাজ প্রবীর এখন স্থবির। একবার বলেছিল, পকেটে চিরুনি থাকলে বের কর। তারপর বুক পকেট থেকে একটা ডাঁটি বাইরে ঝোলানো সানগ্লাসটা চোখে পরে নিয়ে (সানগ্লাসকে গগলস্‌ বলতাম, যেমন অমলেটকে মামলেট) বলেছিল দেখ, আমার চোখের কাচে মুখ দেখতে পাচ্ছিস তো, মাথাটা আঁচড়ে নে। কথায় কথায় ঘুষি মেরে দাঁত ফেলে দেব বলা টোকলা এখন পুরো ফোকলা। যে সেলুনটির মালিক নকুলদা একদা অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল—‘দেখে নিস, এই উত্তম ছাঁটটাই উঠে যাবে। দেখে নিস, এই জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন। দেখে নিস, ফুটবল খেলা দেখতে লোক যাবে না।’ আমার বাল্যবয়সে এসব ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। কিন্তু কিছু কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ফলেছিল। বছর বারো আগে দেখা— বৃদ্ধ হয়েছেন, নিজে চুল কাটেন না, কর্মচারী রাখা আছে। বললেন, ‘বলে রাখলুম, এই বাগবাজারে আবার বাঘ ফিরে আসবে।’ এটাও মিলে গিয়েছে। বাগবাজারে গেলে দেখতে পাবেন, বাটা মোড়ের কাছাকাছি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রোল-চাউমিনের দোকানের দিকে তাকিয়ে হাঁ করে আছে। গিরিশ মঞ্চের কাছাকাছি এক জায়গায় বাঘে হরিণে একসঙ্গে জল খাচ্ছে, ঝরনার জল। সব সৌন্দর্যায়ণ আর কি। ঘুরতে ঘুরতে কখনও যেন মনে হয় মা সারদা গঙ্গাস্নান করে দুর্গাচরণ মুখার্জি স্ট্রিট দিয়ে হেঁটে গেলেন এইমাত্র। ওঁর সাদা শাড়ি থেকে ঝরা জল ফোঁটাফোঁটা পড়ে আছে, গিরিশ ঘোষের বাড়ির ছাদ থেকে পেটকাটি ঘুড়ি উড়ছে, ক্ষিরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের ছাদে মুখপোড়া। ঘুড়ির লড়াই চলছে, পশুপতি বসুর বাড়ির ইলিশ মাছ ভাজার গন্ধে পাড়া ম’ম’ করছে। (বেণী ঝোলানো শাড়ি পরা মেয়েরা যাচ্ছে নিবেদিতার ইস্কুলে) নিধুবাবুর শিষ্য মোহনচাঁদ গলা সাধছেন, জানলায় দাঁড়িয়ে শুনছেন গোপাল উড়ে।
এরকম কত কিছু। গলিতে গলিতে গুপ্ত গল্প। একদিন মারহাট্টা ডিচ লেন দিয়ে হাঁটছি, দেখছি জজ সাহেবের বাড়ির সিঁড়িতে বসে বিড়ি বাঁধছে কয়েকজন আর সিংহটার মুখের ভিতরে বসে আছে একটা পায়রা। (ফটিক সাহার মুদি দোকানটাকে তিন টুকরো করে তিন ছেলে বসছে) কটকটি-তেলেভাজার দোকানটায় মোবাইল রিচার্জ হয়, জেরক্সও। ডাল বড়াটা কী ভালোই না করত। এমন সময় এক প্রৌঢ়া আমার সামনে এসে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়াল।
‘কী গো, চিনতে পারছ?’ চোখ-মুখে কারুকাজ, হাসছে, ও হাসির ব্যাখ্যা কোনও মানে বইতে থাকবে না। একটা চোখ মৃদু টিপে দিল। দাঁতে ঠোঁট টিপল। সামনে দুটো দাঁতই নেই।
খুব চেনা লাগছে, অথচ চিনতে পাচ্ছি না। আমি মাথা নাড়াই, না-তো...।
‘এত ঝাড়ি কত্তে, আমি কলের জলে নাইতে এলে তুমি তোমাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। তাছাড়া তুমি আমাকে এই দোকানটা থেকে ডালবড়া খাইয়েচ কত দিন, কাপের আইসকিরিম একদিন, তাছাড়া...’
আমি চিনতে পারি। ওর মাকে আশার মা বলত। মেয়েটা ছোটবেলা থেকেই দারুণ দেখতে ছিল। ছেলেদের সঙ্গে ডাংগুলি খেলত। কর্পোরেশনের ইস্কুলে পড়ত। জগা, তাপস, মনারা বলত স্কিপিং লাফাত দেখি, কেমন পারিস! একশো লাফালে দুটো ডালবড়া। ও স্কিপিং লাফাত। তখন ও ফ্রক। তেরো-চোদ্দো বছর বয়েস। আমি ক্লাস সিক্স।
তোমার মতন দেখতে একজন আছে, জানো তো, টিভিতে দেখি মাঝে মাঝে।
আমি বলি, তাই বুঝি? কী নাম?
‘কে জানে কী নাম? ওসব ফালতু পোগ্‌গাম দেখি নাকি তাই? কিন্তু এক্কেবারে তোমার মতোই দেকতে। মাইরি বলছি। থাকগে যাক। আমাকে চিনতে পারছ তো! কতদিন পরে দেকা, আমার নামটা কী বল তো, আমার নামে কিন্তু একজন সিনিমা আর্টিস ছিল, হিরোইন। হিন্টু দিলুম’, হি হি।
হিন্ট লাগত না। তুমি তো আশাদি। কিন্তু তুমি তো বিলেত চলে গিয়েছিলে, পাবলো তোমায় বিয়ে করেছিল না? পাবলো ছিল যুগোশ্লোভিয়ান সাহেব। তখন সল্টলেক ভরাট করার কাজ চলছিল। ড্রেজারে গঙ্গার মাটি কেটে কাদা করে সল্টলেকে পাঠাবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটা যুগোশ্লাভ কোম্পানিকে। অনেক সাহেব থাকত তখন। কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের খুব ভাব হয়েছিল। ডাংগুলি, সাতগুটি এসব খেলত। আমাদের একটা খেলাও ছিল— যেখানে জিতলে বা হারলে ‘টাকা’ দিতে হতো। আমাদের কাছে টাকার বাণ্ডিল থাকত মানে সিগারেটের প্যাকেট থেকে টাকা তৈরি হতো। পাসিং শো-এর প্যাকেটের দাম ছিল কম। ক্যাপস্টেন, গোল্ড ফ্লেকের বেশি। ফাইভ ফিফটি ফাইভ হাজার টাকা। পেতাম না তো। যুগোশ্লাভ সাহেবরা ওদের দেশের সিগারেটের খালি প্যাকেট দিত। সেগুলোর দাম ধরা হতো দু’হাজার টাকা। সাহেবদের নাম ছিল পাবলো, টিটো, ড্যানিয়েল, জোসেফ...। পাবলো এই মেয়েটাকে ড্রেজারে নিয়ে যেত। তারপর উনিশশো ছেষট্টি নাগাদ পাবলো মেয়েটাকে নিয়ে চলে গিয়েছিল। খিলখিল হেসে উঠল ফোকলা আশাদি। বলল, ‘সে তো সেই কবেকার কথা। তারপর কত জল বয়ে গেল গঙ্গায়। পাবলো বছর পাঁচ রেখেছিল। অ্যাই পুঞ্চু, আয় আয়... ইদিকে আয়!
একটা বছর চারেকের ছেলে রাস্তায় শুয়ে থাকা কুকুরের লেজ সোজা করছে। ‘এই দেকো পাবলোর চিন্নো।’ দেখি ওর চোখের নীল তারা। রং ফর্সা। বলল, ‘আমার নাতি। মানে, আমার আর পাবলোর একটা মেয়ে হয়। মেরি। গোয়াতে গান গায়। নাতিটা আমার কাছেই থাকে। ইংলিশ মিডিয়াম নার্সারিতে দিইচি। ওদেশে যাবার কিছুদিন পর খুব গন্ডগোল। ওদের সার্বিয়ান, বসনিয়ান কোয়েশিয়ান কত রকম গুরুপ। আর মারপিট। পাবলোর মাথায় বোমার টুকরো ঢুকল। ওখানে এক জাহাজির সঙ্গে আলাপ হয়। ইউসুফ। ও আমাকে ইন্ডিয়ায় নিয়ে এল ফের। আন্ধেরিতে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হল— সে অনেক কথা। চলো এক কাপ চা খেয়ে যাও। এই তো আমার ঘর। একটা সেন্টার করেছি। আয়া, রান্নার লোক, বাসন মাজার লোক সাপ্লাই করি।’
ঘরে নিয়ে গেল। খাটে শুয়ে আছে একজন সত্তরোর্ধ্ব মানুষ। সস্তার সোফা সামনে। বলল, ‘ইউসুফও গেল। এখন এই লোকটাই আমার বর। ওই দেখ পাবলো।’
আর অন্য একটি শিশু কোলে আশা।
জিজ্ঞাসা করি, ওই বাচ্চাটা কে?
বলল, ‘ইউসুফের। বাচ্চাটা ও নিয়ে গেছে। আমাকে তালাক দিল তো।
খ্রিস্টান হয়ে ওদের চার্চে পাবলোকে বিয়ে করেছি। মুসলমান হয়ে ইউসুফকে। এই লোকটাকে আর বিয়েটিয়ে করিনি। আমি এখন হিন্দু না খ্রিস্টান না মোসলমান জানি না কিনা...।’
বিছানায় শোওয়া লোকটা ভাবলেশহীন।
23rd  August, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

08:05:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে ১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। বৃষ: নতুন ...বিশদ

07:50:00 AM

আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM