Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বাঘের ডেরায়

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক পারিবারিক উৎসবে যোগ দিতে নাগপুরে আমার গৃহিণীর ছোটকাকার বাড়িতে গিয়েছিলাম— সপরিবারে, সআত্মজনে। মোট চোদ্দোজন। উৎসব মিটে গেলে একদিন স্থির হল অ্যাডভেঞ্চার করতে বেরব— যেদিকে দু’চোখ যায়। ছোটকাকা প্রস্তাব দিলেন, ‘তাহলে তোমরা বাঘের ডেরা দেখে এসো। চিড়িয়াখানার বাঘ নয়, জঙ্গলের টাটকা বাঘ। হাতে গরম। জীবনে এই স্মৃতি ভুলবে না।’
আমরা পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী, চারটি শিশু। মেয়েরা মুহূর্তে নস্যাৎ করে দিল এরকম রোমহর্ষক প্রস্তাব। বলল, ‘উরিব্বাস! বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বাঘের মুখোমুখি হতে চাই না।’
ছোটকাকা বোঝালেন, ‘তোমরা গাড়ির মধ্যে থাকবে। খুবই সুরক্ষিত গাড়ি। বাঘ এসে গাড়ির চারপাশ দিয়ে ঘুরে গেলেও ভয়ের কিছু নেই। আমি কয়েকবার তোতলাডো গিয়েছি। অন্তত দু’বার বাঘবাবুরা এসেছিলেন করমর্দন করতে, তবে আমরা দূর থেকে নমস্কার করে বলেছি, সিইউ এগেইন।’
সেদিন বিকেলে বললেন, ‘গাড়ি ও বাংলো—সব বুক করে দিয়েছি।’ জায়গাটার নাম তোতলাডো। নাগপুর থেকে পাঁচ-ছ’ ঘণ্টার গাড়িপথ। তোতলাডোতে একটি ফরেস্ট গেস্ট হাউস আছে, সেখানে পাঁচটি ঘর সংরক্ষিত আমাদের নামে। সাতসকালে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়লাম একটা বড় আকারের গাড়িতে। গাড়িটা বেশ মজবুত। মেয়েরাও দেখে-শুনে রায় দিল, হ্যাঁ, সুরক্ষিত বলা চলে। চোদ্দোজন বসার পরেও আরও দু-তিনটি সিট খালি। ড্রাইভারের চেহারাও বেশ মজবুত। বয়স চব্বিশ-পঁচিশ হবে। মুখে ঘন কালো চাপ দাড়ি। নামটিও জম্পেশ, সিরাজ।
ফেব্রুয়ারির সকালে বেশ ঠান্ডা-ঠান্ডা আবহাওয়া। শহর পেরিয়ে হাইওয়েতে পড়তেই সিরাজ গাড়িতে গতি তুলল। ঝকঝকে পিচ পথ, দু’পাশে সবুজ প্রকৃতি, হু হু করে চলেছে গাড়ি। একটার পর একটা গঞ্জ পড়ছে রাস্তায়, তারপর আবার সবুজ। ঘণ্টা দুয়েক পরে রাস্তায় পড়ল একটি চমৎকার জলাশয়— খিনসি লেক। জল এতটাই স্বচ্ছ যে, অনেক নীচের নুড়িপাথর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট।
কিছুক্ষণ জলবিহার করে কাছাকাছি একটি ধাবায় দুপুরের খাওয়া। কিন্তু এত সব করে বেরতে বেরতে বিকেল। ড্রাইভার সিরাজ একটু খুঁতখুঁত করে বলল, একটু দেরি হয়ে গেল, স্যার।
তোতলাডো পৌঁছতে সন্ধে। যে বাংলাটির সামনে গাড়ি এসে দাঁড়াল, সেই দোতলা বাড়িটির চেহারা দেখে সবাই বলে উঠল, ‘দারুণ, দারুণ’। পাঁচটা ঘরে যার-যার লাগেজ রাখতে বাংলোর চৌকিদার এসে জানতে চাইল, রাতের ডিনার লাগবে কি না। ‘লাগবে’ বলতেই জানাল, এখন মার্কেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকেন পাওয়া যাবে না। অগত্যা ডিমের ঝোল আর ভাত।
—তাই হোক, বলতে—ওদিকে সিরাজ তাগাদা দিচ্ছে, ‘চলুন স্যার, একবার জঙ্গলটা দেখে আসি।’ মেয়েরা আপত্তি করছিল, কী দরকার! এই তো ভালোই ঘোরা হল, কাল সকালে এখান থেকেই ব্রেকফাস্ট খেয়ে বেরিয়ে যাব। কিন্তু আমরা কয়েকজন চাইছি জঙ্গলের ভিতরটা একটু ঘুরে আসতে। এত কাছে এসে জঙ্গল না দেখে ফিরে যাব! সিরাজও বলল, ‘চলুন, স্যার।’
প্রধানত সিরাজের তাগিদেই আবার বেরিয়ে পড়ি। পিচ রাস্তা পেরিয়ে একটু পরেই একটি পাহাড়ি এলাকা। ঘন জঙ্গলে-ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে একটা সরু পথ। সিরাজ সাঁ করে সেই পথে ঢুকে পড়ল, আর সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার ঝাঁপিয়ে পড়ল জঙ্গুলে পথে। সামনে গাড়ির হেডলাইটে দেখা যাচ্ছে সরু পাহাড়ি পথ। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মেয়েরা বলল, ‘ব্যস, অনেক হয়েছে, এবার ফিরে চল।’
সিরাজকে শুনে ঘাড় নেড়ে বলল, ‘ফিরব, সামনে গাড়ি ঘোরানোর জায়গা পেলেই। তবে সেখানেই বাঘের ডেরা। এ সময় তেনারা ঘুরতে বেরন।’
সামনে শুধু সরু পথ, ঘোরানোর কোনও জায়গাই নেই। গাড়ি ক্রমশ সেঁধিয়ে যাচ্ছে আরও আরও দূরে। মিনিট চল্লিশ পার হয়ে গিয়েছে। আমিও বললাম, ‘সিরাজ এবার ফেরো।’
হাওয়ায় পচা মাংসের গন্ধ পেতেই সিরাজ বলল, ‘বাঘেরা নিশ্চয় ডিনার সারছে এখন।’ কী সর্বনাশ! সবাই চেঁচামেচি করাতে সিরাজ সামনে একটা চওড়া জায়গা পেয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল, আর কী আশ্চর্য, হঠাৎ গাড়ির স্টার্ট বন্ধ। সিরাজ চাবি ঘুরিয়ে দু-তিনবার চেষ্টা করার পরেও যখন গাড়ি স্টার্ট নিল না, গাড়ি থেকে নেমে বনেট খুলে কী যেন দেখে বলল, ‘স্যার, গাড়িতে তেল খতম।’
—তেল নেই! সে কী! আমরা চেঁচিয়ে বললাম। এটা ঠিক, সকালে নাগপুর থেকে বেরিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চলেছে, সিরাজ কিন্তু একবারও বলেনি রাস্তায় তেল নিতে হবে। বিরক্ত হয়ে সে কথাই বললাম, ‘তোতলাডো থেকে বেরনোর সময় তুমি দেখে নাওনি তেল আছে কি নেই!’
গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হওয়ায় চারদিক ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। সিরাজের মুখটাও দেখা যাচ্ছে না। গাড়ির ভিতরে তখন মেয়েদের আতঙ্ক আর চেঁচামেচি বেড়েই চলেছে। ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলছে, ‘কী রকম কাণ্ডজ্ঞান তোমার! এতগুলো বাচ্চা সঙ্গে। এরকম বিপদের মধ্যে ফেললে আমাদের। কী হবে এখন!’
সিরাজ গাড়ির ভিতরে থেকে একটা খালি জেরিকেন বের করে বলল, আমি চট করে শহরে গিয়ে তেল নিয়ে আসি।
—কত দূরে শহর?
—যেতে এক ঘণ্টা ফিরতে এক ঘণ্টা।
বললাম, ‘তুমি আমাদের এই জঙ্গলে অন্ধকারে ফেলে রেখে চলে যেতে চাইছ! ইয়ার্কি পেয়েছ!’ গাড়ির ভিতরে তখন হইচই, ভয় তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পচা গন্ধটা তখন যেন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। কাছাকাছি কোথাও নিশ্চয় বাঘের ডেরা আছে। সেই ডেরায় আমাদের রেখে— রেগেমেগে বললাম, ‘তুমি এখন কোথাও যাবে না।’
প্রায় মিনিট পনেরো এরকম তীব্র চেঁচামেচি হওয়ার পর সিরাজ আবার চড়ে বসল গাড়িতে, বলল, ‘দেখি আবার চেষ্টা করে।’ বলে চাবি ঘোরাতেই সবাইকে চমকে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট নিল। তারপর হুশ করে গাড়ি ছুটিয়ে চলল ফিরতি পথে
গাড়ির মধ্যে একরাশ উল্লাস। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী ব্যাপার, সিরাজ, তুমি বললে তেল নেই!’
সিরাজ একগাল হেসে বলল, ‘তেল ছিল স্যার। ট্যাঙ্কে তেল না থাকলে কোনও ড্রাইভার রাস্তায় বেরবে না। আমি দেখলাম, বাঙালি বাবুদের সাহস কতখানি!’
26th  July, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ মলিনা দেবী। প্রথম কিস্তি। 
বিশদ

02nd  August, 2020
স্মৃতিময় 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

02nd  August, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। শেষ কিস্তি।  বিশদ

26th  July, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব ৩২

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। অষ্টম কিস্তি।
বিশদ

19th  July, 2020
একটি নয়, দু’টি দিন 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন মৃদুল দাশগুপ্ত। 
বিশদ

19th  July, 2020
কাছিম 
সৌরভ মিত্র

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। জীববিজ্ঞান ও জলবায়ু-বিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এর আগে তিতিরের বেশ কিছু গবেষণাপত্র এখানে-ওখানে প্রকাশ পেলেও এত বড় মঞ্চে এই প্রথম। এক সপ্তাহের সম্মেলন, আজ চতুর্থ দিন। 
বিশদ

19th  July, 2020
 মার্কেনের ঘোড়া
পাপিয়া ভট্টাচার্য

‘এখন বাজে বারোটা চল্লিশ, আর তুমি বলছ যে তুমি এরপর লাইটহাউসে যাবে আর সব দেখে ফিরবে, তাও হেঁটে?’ ড্রিক একটা লাল বল লোফালুফি করতে করতে বলল। গাঢ় নীল শার্টের উপর একটা লাল জ্যাকেট আর কোমরের নীচে একটা নীল স্ট্রাইপ দেওয়া বড় গাউনের মত পোশাক পরা রূপবান ড্রিককে দেখে মনে হচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা কোনও রাজবংশীয় কিশোর।
বিশদ

12th  July, 2020
 আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩১

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। সপ্তম কিস্তি।
বিশদ

12th  July, 2020
চলার পথে
অপমানেও গৌরব

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বাণীব্রত চক্রবর্তী ।
বিশদ

12th  July, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। ষষ্ঠ কিস্তি।
বিশদ

05th  July, 2020
দু’জন  

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ভগীরথ মিশ্র।
বিশদ

05th  July, 2020
সিনেমার মতো
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

শিলিগুড়িতে সেটল করতে একটু সময় লাগছে শাশ্বতর। শাশ্বত মুখার্জি। কলকাতার বনেদি বাড়ির পরিবেশে মানুষ হওয়াটা কোথাও কোথাও একটু অসুবিধাজনকও বটে। মজ্জায় মজ্জায় মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা।  বিশদ

05th  July, 2020
ফেয়ার-ওয়েল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
(১)

 নাইন-বি এর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে চললেন অলকানন্দা রায়চৌধুরী, ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা ‘অলকা দি’। গতকাল রাত থেকেই হাঁটুর ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়েছে, পা মুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মনের ভিতর যে ব্যথাটা জমে রয়েছে তার কাছে এই হাঁটুর ব্যথাটা তো একেবারেই তুচ্ছ। রেলিং ধরে ধীরে ধীরে একতলার দিকে নামতে শুরু করলেন অলকা।
বিশদ

28th  June, 2020
চলার পথে
ফ্রেদরিকের চিঠি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অমর মিত্র। বিশদ

28th  June, 2020
একনজরে
  বোর্ডের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) হাতে পাওয়ার পরেই ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল আইপিএলের দলগুলি। ...

 অযোধ্যায় রামমন্দিরের জায়গায় যদি মসজিদ নির্মাণ করা হতো, তাহলে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতাম না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। ...

 করোনার আগ্রাসন এখন নবান্নের মূল প্রবেশদ্বার থেকে ১৪তলা পর্যন্ত। একের পর এক আধিকারিক, পুলিস অফিসার, হাউসকিপিং স্টাফ এবং গাড়ির চালক ঘায়েল হচ্ছেন এই ভাইরাসের ছোবলে। ...

কাছারি বাজারের কাপড়পট্টিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মোট ৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন ব্যবসায়ীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম
১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম
১৯৭৫: গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের মৃত্যু
১৯৭৭: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১- সুইস টেনিস খেলোয়ান রজার ফেডরারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৬ টাকা ৭৬.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৮৩ টাকা ১০০.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৪৮ টাকা ৯১.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৬,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৪,০৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৪,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৫,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৫,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী ৫৭/৪১ রাত্রি ৪/১৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র ২৭/২৩ অপঃ ৪/১২। সূর্যোদয় ৫/১৪/৩৫, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৪৫। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১৯ গতে ২/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।।
২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী রাত্রি ২/৩২। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র দিবা ৩/৪৯। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/২০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৪ মধ্যে।
১৭ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: ব্যবসায় উন্নতি হবে। বৃষ: কাজে বিশেষ সাফল্য। মিথুন: কর্মে একাধিক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম১৯৭৫: গীতিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মোট ২০০৫ ...বিশদ

09:06:41 PM

কাজিরাঙ্গায় শিকারির গুলিতে মৃত গণ্ডার 
অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে আজ সকালে একটি মৃত গণ্ডার উদ্ধার করা ...বিশদ

04:35:00 PM

গুজরাতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন 
 গুজরাতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। আজ শনিবার ঘটনাটি ...বিশদ

03:59:00 PM

কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রী হাসপাতাল থেকে মুক্ত 
কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ...বিশদ

03:45:00 PM