Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে 
পর্ব-২৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বাদশ কিস্তি। 


সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের মধুর সম্পর্কের নানা টুকরো স্মৃতি মনে পড়ে জহর-কন্যা কল্যাণী রায়ের। একদিনের ঘটনা। সুচিত্রা-কন্যা মুনমুনের তখন অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছে। মুনমুন নার্সিংহোমে। এদিকে, জহর ফোন করে সুচিত্রাকে বলে দিয়েছেন যে, দিদিভাই, আজ বিকালে কমলা ও কল্যাণী তোমার বাড়ি যাবে। কল্যাণী বলছিলেন, আমরা পৌঁছনোর আগেই আন্টি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। বাহাদুর গিয়ে খবর দিয়েছিল যে, আমরা এসেছি। মা আসছেন খবর পেয়েই আন্টি দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়েছিলেন। দরজার সামনে যেতেই আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে মাকে চমকে দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ওই রকম দোর্দণ্ডপ্রতাপ নায়িকা, যাঁর সঙ্গে সহকর্মীরাই সমঝে কথা বলতেন, তাঁর ওই রকম শিশুসুলভ আচরণ আমরা দেখেছি। গোটা বাড়ি আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। মাকে বলতেন, তোমার ছেলেমেয়েগুলো কী মিষ্টি হয়েছে। আমরা প্রণাম করতে গেলেই বাধা দিয়ে বলতেন, অ্যাই, তোদের বাবা বুঝি এই রকম ঢিপ ঢিপ করে প্রণাম করতে শিখিয়েছে।
সুচিত্রা সেনের সঙ্গে জহর রায়ের অন্তরঙ্গতার আর এক সাক্ষী অভিনেতা ধীমান চক্রবর্তী। সেই ধীমান, যাঁকে ‘অনন্যা’ নাটকে জনৈক দর্শক ‘ভাল্লুকের বাচ্চা’ বলে অপমান করায় সংলাপ থামিয়ে গর্জে উঠেছিলেন জহর। এই নাটকটির নাম অবশ্য অন্য। ‘আমি মন্ত্রী হব’। উল্টোডাঙার কাছে থাকতেন মাস্টারমশাই সুনীল চক্রবর্তী। তাঁর লেখা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সেই সময়কার রাজনৈতিক পটভূমি নিয়ে সাজানো। এক জ্যোতি বসু ছাড়া ডান-বাম কোনও তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বোধ হয় ছিলেন না যিনি ‘আমি মন্ত্রী হব’ দেখেননি। এই নাটকে জহর রায় তাঁর অভিনয়কে স্যাটায়ার কমেডির কোন স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা যাঁরা নাটকটি দেখেছেন, তাঁরা জানেন বিলক্ষণ। শেষদৃশ্যে তাঁর অভিনয় দেখে দর্শকদের চোখে জল চলে আসত। এরকমই একদিন শো দেখতে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। ধীমানবাবু বলছেন, ‘আমার সঙ্গে থাকত জহরদার লাস্ট সিন। আমাদের গ্রিনরুম ছিল দোতলায়। সেদিনও আমরা নাটক শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, দেখি সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছেন ম্যাডাম (সুচিত্রা সেন)। জহরদাকে জড়িয়ে ধরে তিনি অভিবাদন জানালেন, প্রশংসা করলেন। ওঁর মতো ব্যত্তিত্বময়ী অভিনেত্রী একজন কমেডিয়ানকে এভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, এটা ছিল কল্পনাতীত।’
রংমহলেই প্রথম অভিনীত হয় ‘নহবত’ নাটকটি। এই নাটকের মাধ্যমেই প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী আরতি ভট্টাচার্য। জামশেদপুর থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন জহর রায়। আর এই নাটকেই জহরের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ধীমানের। স্মৃতি হাতড়ে বলছেন, ‘জহরদা কখনও থিয়েটার কামাই করা পছন্দ করতেন না। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নাটক, পরিচালকও তিনি। আমার সঙ্গে জহরদার সেই প্রথম অভিনয়। কিন্তু ওঁর সঙ্গে কোনও রিহার্সাল করার উপায় ছিল না। কারণ, জহরদা তখন কোনও একটা ছবির কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। ফ্লাইট থেকে নেমে সোজা চলে এলেন রংমহলে। এদিকে, আমি তো জানি জহরদা স্ক্রিপ্ট ছাড়াও নানা কথা বলেন, অঙ্গভঙ্গি করেন। সত্যদা, হরিধনদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) ভাবছেন শেষরক্ষা হবে কিনা! চরিত্রটা ছোট্ট হওয়ায় মোটামুটি উতরে গিয়েছিলাম সেই যাত্রা।’ তবে, আভ্যন্তরীণ কারণে ‘নহবত’ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটারে সাতের দশকে এই নাটক পুনরায় মঞ্চস্থ হয় এবং দীর্ঘ সাফল্যের সঙ্গে চলে।
‘অনন্যা’ নাটকের সেই দৃশ্যটার কথা এখনও উজ্জ্বল ধীমান চক্রবর্তীর মনে। বলছিলেন, নাটকে যাঁরা টর্চ জ্বেলে আসন দেখিয়ে দিতেন দর্শকদের, তাঁরা তিন-চারটি শো-এর পর সাধারণত নাটক শুরু হয়ে গেলে বাইরে বসেই আড্ডা দিতেন। কিন্তু ‘অনন্যা’র ওই দৃশ্যটার সময় যে যেখানে থাকুন না কেন হলে ফিরে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন। কারণ জহরদা একেক দিন একেক কথা বলতেন। আর কোনদিন ঠিক কী হবে তা কেউ আন্দাজ করতে পারতেন না। নিজের মতো সংলাপ বলতেন জহরদা ঠিকই, কিন্তু ‘কিউ’টা সঠিক জায়গায় দিতেন। ফলে সহশিল্পী কোনও রকম অসুবিধায় পড়তেন না। উনি ইচ্ছে করে মজা করলে অবশ্য আলাদা।’
একমাত্রিক কমেডি নয়, নাট্যমঞ্চে জহর রায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুমাত্রিক অভিনয় ছবির তুলনায় একটু বেশিই দেখা গিয়েছে। ছবির পাশাপাশি থিয়েটারের সঙ্গেও তাঁর ছিল আমৃত্যু সম্পর্ক। যেখানে তিনি শুধু একজন অভিনেতা ছিলেন না, তার সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, প্রযোজনা, পরিচালনা ও আরও অনেক দায়িত্ব একা হাতে সামলাতেন। ১৯৫৪ সালে বন্ধু অজিত চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে জহরের রংমহলে পদার্পণ। সেই থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত হননি কোনওদিন। ’৫৪ সালেই জিতেন বসু ও পি ভি মানসাটা এই প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃত্ব নিলেন। পরিচালক হিসাবে এলেন দুই ভাই— নলিন ও হেমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে রংমহলের শ্রীবৃদ্ধি হল। সে বছর ‘দূরভাষিণী’ নাটকে প্রথম পেশাদার মঞ্চে পা রাখলেন জহর। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাননি। প্রায় সব নাটকেই চলল তাঁর কুশলী অভিনয়।
’৬২ সালে এই প্রেক্ষাগৃহ একটা অদ্ভুত সংকটের মধ্যে পড়ল। কর্তৃপক্ষ রংমহলকে সিনেমাহলে পরিণত করার চেষ্টা শুরু করল। তখন জহর রায়ের অন্যদিক উন্মোচিত হল। যাতে হলটি থিয়েটার হলই থাকে সেই বিষয়ে সাহায্য চাইতে নাট্যসম্রাজ্ঞী সরযূবালাদেবী ও বন্ধু অজিত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ডঃ প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রের সহায়তায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের দ্বারস্থ হলেন জহর। অবশেষে দীর্ঘ আন্দোলনের জেরে ও বিধান রায়ের মধ্যস্থতায় স্থির হয়, রংমহলের পরিচালন ভার শিল্পীদের উপরই থাকবে। সেই মতো হলটি চালানোর যৌথ দায়িত্ব নেন সরযূবালাদেবী ও জহর রায়। তাঁদের নামে কলকাতা পুরসভা থেকে লাইসেন্স বের করা হয়। নাট্য পরিচালনার ভার থাকে বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইদের উপরেই। রংমহল চালানোর দায়িত্ব জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত সরযূবালাদেবীর সঙ্গে পালন করে গিয়েছিলেন জহর রায়।
সুশীল মুখোপাধ্যায় এক জায়গায় লিখেছেন, ১৯৬১ সালে তাঁর ‘অনর্থ’ নাটকে খলনায়কের চরিত্রে কী অভিনয়টাই না করেছিলেন জহর। গোড়ায় তিনি মঞ্চে প্রবেশ করলেই দর্শক হাসতে শুরু করত। পরে তারা বুঝে যায়, এ অন্য জহর। তৃতীয় দৃশ্যে ভিলেনি যখন চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছয়, তার সমতুল্য অভিনয় সে সময়ের মঞ্চে হয়নি।
টালিগঞ্জে সকলেই জানত কারও সঙ্গে ঝঞ্ঝাটে নেই জহর রায়। অথচ, রংমহল বন্ধ হতে বসায় সেই জহরই যখন রুখে দাঁড়ালেন, তখন সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রঙ্গমঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। নায়িকা আরতি ভট্টাচার্যের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। ছ’য়ের দশকে জহরের হাত ধরে ‘মায়ামৃগ’ নাটকে অভিনয়ে আসেন বিশ্বজিৎ। পরবর্তীকালে নীহাররঞ্জন গুপ্তর লেখা ‘উল্কা’ নাটকটি জহরের পরিচালনায় বহুদিন মঞ্চস্থ হয়। এছাড়াও ‘বাবা বদল’, ‘সুবর্ণ গোলক’ সহ একাধিক নাটকে তাঁর অভিনয় অমর হয়ে আছে।
(ক্রমশ)
 সন্তানদের সঙ্গে জহর রায়।
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
10th  May, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যাকে ঘিরে ...বিশদ

11:45:45 AM

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:26:47 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:18:53 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM

মাথাভাঙায় বাইসনের আক্রমণে জখম ৪
সকাল থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ...বিশদ

10:52:42 AM