Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে
পর্ব ২০

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- নবম কিস্তি।


আসলে সংসার ছিল জহর রায়ের ধ্যান-জ্ঞান। বেঙ্গল ফেমাস না হতে পারার জন্য তিনি বম্বে যাননি, এটা তাঁর বিনয়। ঘরকুনো হওয়ার কারণেই তিনি বম্বে গিয়ে বিখ্যাত হওয়ার হাতছানি অনায়াসে উপেক্ষা করতে পেরেছেন।
জহর রায়ের কমেডি অভিনয়ের প্রায় সর্বত্র বুদ্ধিমত্তার ছাপ স্পষ্ট। সোজা পথে হালকা চুটকি তৈরির দিকে তিনি হাঁটতেন না। তাই জহর সৃষ্ট দৃশ্য যথার্থভাবে আহরণ করতে গেলে বা তাঁর কাজের থেকে রসাস্বাদন করতে গেলে নিজেদের চিন্তাধারা আর রসবোধের ব্যাপ্তি ঘটানো প্রয়োজন। প্রয়োজন নিজের জানার পরিধিকে প্রসারিত করা। প্রতি বছর পুজোর সময় তিনি যে কৌতুক নকশা পরিবেশন করতেন ‘মেগাফোন রেকর্ডে’, সেখানে কমেডি নির্মাণে গভীর বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষার ছাপ থাকত সুস্পষ্ট। নিজস্ব স্টাইলে তিনি শ্রোতাদের সঙ্গে একটা টিউনিং করে নিতেন। শ্রোতাও প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব কষতে কষতে মনোযোগী হয়ে উঠত।
জহর এই সব রেকর্ডে ধরা দিতেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। যেমন— ‘ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান চ্যারিটি খেলা’ বা ‘পঞ্চম দিনের টেস্ট ক্রিকেটের ধারা বিবরণী’ সেখানে জহরের দ্রুত কথনের সঙ্গে বিষয়ের সঙ্গতি রয়েছে। ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি শ্রোতারা আমোদটাও চেটেপুটে উপভোগ করেন।
ফুটবল খেলা নিয়ে একটি কৌতুক নকশায় তিনি বলছেন, ‘বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া মাঠে খেলা চলছে। রেফারি পিঠে ত্রিশূল বেঁধে রেখেছেন। বৃষ্টিস্নাত মাঠে বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে রেফারি এ হেন উপায় অবলম্বন করেছেন।’ উঁচু বাড়িতে মাথার উপর ত্রিশূলের মতো দেখতে বাজ-প্রতিষেধক লাগানো থাকত, সেই জিনিসটাই বলার সময় জহর কমিক স্কেচে নিয়ে আসেন। আর একটি নকশায় তিনি বলছেন, ‘টেস্ট ম্যাচ খেলায় টিকিক সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। এদিকে প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে চলেছে প্রবল ঠেলাঠেলি। লাইনে দাঁড়ানো একজন আর একজনকে বলছে, ভিড়ের চাপে আমার প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে, আর আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছেন কেন? লোকটি তখন অসহায়ের মতো উত্তর দিচ্ছে, হাসছি না দাদা। চর্বিতে চর্বিতে ফ্রিকশন হয়ে একটা অটোমেটিক হাসি হচ্ছে বুঝলেন। কিছু মনে করবেন না।’ কমেডি তৈরিতে এই সূক্ষ্মতা একমাত্র জহর রায়ের পক্ষেই সম্ভব। আবার ‘ঘেরাও’ রেকর্ডটিতে রয়েছে উত্তেজক মেজাজ— এভাবেই এই অভিনেতার বাচিক অভিনয়ের সিগনেচার স্টাইল পৌঁছে গিয়েছে শ্রোতাদের কাছে।
একটি পত্রিকার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জহর রায়ের কথা শুনে বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায় যে প্রাণখোলা হাসি হেসেছিলেন, সেটি ছিল এরকমই একটি কমিক স্কেচ। ‘ন্যাপাসুর বধ’। এই ন্যাপাসুর বধ শুনেই সত্যজিতের হাসি ধরা পড়েছিল এক ফোটোগ্রাফারের ক্যামেরায়। সেই ফোটো অমিয় নিবাসের দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছিলেন জহর।
এই ন্যাপাসুর বধ সৃষ্টির পিছনেও রয়েছে একটা চমৎকার গল্প। এই কমিক স্কেচের আইডিয়া তাঁর মাথায় এসেছিল এক বিশ্বকর্মা পুজোর দিন। বিশ্বকর্মা পুজো এমনিতে বিভিন্ন কলকারখানাতেই হয় সাধারণত। সেই রকমই এক কারখানার কর্মীদের বিশ্বকর্মা ঠাকুর নিয়ে প্রলয় নাচন নজরে পড়ে জহরের। এই আইডিয়া নিয়েই পরে ‘ন্যাপাসুর বধ’ তৈরি করেন।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বিশ্বকর্মা পুজোয় পাওয়া আইডিয়া নিয়ে বারোয়ারি পুজোর আদলে দুর্গাপ্রতিমাকে কেন্দ্র করে একটা স্কেচ করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিজয়া দশমীতে ঠাকুর বিসর্জনের পরের দিন সকালবেলা স্কেচের শুরু। নেপালচন্দ্র ওরফে ন্যাপা পাড়ার বেকার ছেলে। ষষ্ঠীর দিন বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা আনতে গিয়ে অসুরটি যায় ভেঙে। তখন আর নতুন অসুর তৈরি করে যে নিয়ে আসবে তার উপায় নেই। সময়ও নেই। পাড়ার সকলে মিলে ঠিক করে এই চারদিন ন্যাপাই মাদুর্গার অসুর সেজে প্রক্সি দেবে। ন্যাপার গায়ের রং কালো। মুখের চেহারাও অসুরের আদলের সঙ্গে মিলে যায়। যাইহোক পুজোর চারটে দিন নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাটল। বিপত্তি ঘটল দশমীর দিন। লরিতে যখন ঠাকুর বিসর্জনের জন্য তোলা হচ্ছে, তখন আর ন্যাপা অসুর সেজে গঙ্গা পর্যন্ত যেতে রাজি নয়। কিন্তু সকলে ধমকে ন্যাপাকে গাড়িতে তুলল। এরপর শুরু হল উদ্দাম ধুনুচি নাচ। সিদ্ধি, গাঁজা খেয়ে সকলেই নেশাগ্রস্ত। তাদের ধুনুচি থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে ছিটকে ন্যাপার শরীরের নানা জায়গায় ফোস্কা পড়তে লাগল। ন্যাপার আর্তচিৎকার উদ্দাম নৃত্যরতদের দল কর্ণপাত করল না। এখানেই শেষ নয়, মা চলে যাবে কৈলাসে আর অসুর ফিরে আসবে কলকাতায়! তা কী করে হয়! প্রতিমার সঙ্গে ন্যাপাকেও গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হল। তবে, সে সাঁতার জানত। সে যতবারই সাঁতরে পাড়ের কাছে আসে, ততবারই সবাই তাকে ইট ছুঁড়ে মারে। অবশেষে ওদের চোখ এড়িয়ে ন্যাপা কোনও রকমে বাগবাজার ঘাটে গিয়ে পাড়ে ওঠে। সেখান থেকে সোজা হাসপাতাল। ওখান থেকে আপাদমস্তক ব্যান্ডেজে মুড়ে হয় তার পাড়ায় প্রত্যাবর্তন।
সংক্ষেপে এই হল ‘ন্যাপাসুর বধ’। দুর্গাপুজোর সময় জহর এই স্কেচটা রেকর্ড করেন। দারুণ বিক্রিও হয়। জহর ঘরানায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেই সময় আরও একদল তরুণ কৌতুকশিল্পী কমেডি করতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। তাঁরা ছোটখাট ফাংশনে জহরের মতো করে ‘ন্যাপাসুর বধ’ করে দেখাতেন। হাততালিও মিলত প্রচুর। তবে, জহর যেভাবে ভিন্ন ভিন্ন কণ্ঠস্বরে অপূর্ব ভঙ্গিমায় ওই স্কেচটির প্রস্তাবনার অংশ অভিনয় করতেন, তার তুলনা ছিল না। কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে কখনও তিনি বৃদ্ধ, আবার কখনও বৃদ্ধা। কখনও ধরিবাজ তো কখনও রকবাজ। কখনও প্রেমিক কখনওবা প্রেমিকা। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সেটাও নিজের মুখে বাজাতেন জহর। তার সঙ্গে নাচ ও গান। চ্যাংড়া ছোকরাদের উদ্যোগে আয়োজিত বারোয়ারি পুজোর প্রস্তুতি পর্ব শ্রোতাদের চোখের সামনে ভেসে উঠত। সেই সঙ্গে এই সৃষ্টির মধ্যে পাড়ার ভদ্রলোক, অবহেলিত বেকার যুবক সম্প্রদায়ের প্রতি স্রষ্টার একটা প্রচ্ছন্ন সহানুভূতি জড়িয়ে থাকত। সাধে কী আর এই স্কেচ সত্যজিৎ রায়কেও প্রভাবিত করেছিল।(ক্রমশ)
 ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ ছবির একটি দৃশ্যে জহর রায়।
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
19th  April, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 
পর্ব-২৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বাদশ কিস্তি। 
বিশদ

10th  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

10th  May, 2020
সুখ চাই 
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী 

সুমন আর ভারতীর বিয়ের আজ সাতান্ন বছর পূর্তি। যখন বিয়ে হয়েছিল সুমনের বয়স সাতাশ, ভারতী তেইশ। দেখতে দেখতে ভারতীর আশি, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দীর্ঘদিন সরকারি ভাষায় বরিষ্ঠ নাগরিক।  
বিশদ

10th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- একাদশ কিস্তি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
জিরাফের গলা 

রজত ঘোষ: দু’দিন হল পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। আজ একটু পরে তাই বিজয় মিছিল বের করবে বিজয়ী দল। টেবিলের মাঝখানে দিস্তাখানেক লিফলেট। তার ওপর একটা পেপার ওয়েট। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গণেশ এতক্ষণ আঙুলের কায়দায় পেপারওয়েটটাকে ঘোরাচ্ছিল।  
বিশদ

03rd  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
মাছভাজা
শ্যামলী আচার্য

হিতেন্দ্রনাথ সান্যালের কথা শেষ হল না। হয় না। ওঁর সাতচল্লিশ বছরের প্রাচীন জীবনসঙ্গিনী আজ অবধি কোনও বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ব্যবহার করতে দেননি। একজন সিনিয়র সিটিজেনের বুকে ব্যথার সামান্য আভাসও তাঁকে বিচলিত করল বলে মনে হল না।
বিশদ

26th  April, 2020
 অথৈ সাগর
পর্ব ২১

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

26th  April, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২১

জহর রায়ের কৌতুক নকশার রেকর্ড করত মূলত মেগাফোন কোম্পানি। পরে পলিডোর কোম্পানি কিছু নকশা রেকর্ড করেছিল। ওদের কোম্পানি থেকে ১৯৭২ সালে বেরয় ‘ফাংশন থেকে শ্মশান’। পরের বছর কেতকী দত্তের সঙ্গে ‘সধবার একাদশী’।
বিশদ

26th  April, 2020
বিশ্বাস করুন
জয়ন্ত দে

বাবুমোহন এখন মানদা হয়ে ক্যামেরাম্যান। গোপালীর মুখে আচার। ‘আস্তে টিকটক হচ্ছে!’
কাজের বউ এখন এ বাড়িতে পা দেবে না। বিপদ যে কোথা থেকে আসে—মোহন নিজেই সাবধান বাণী দিয়েছিল। হাতে হাতে করে নেব। ওর ছুটি। ঘরে কাজ আমরাই সামলাব। সকালবেলা ঘর ঝাঁট দেওয়া, বাসন মাজা। বাসন তো সিঙ্গল নয়, ডাবল ডাবলে চলছে। একবার মাজলে হচ্ছে না। এতদিন নিজে যে খুঁত ধরতেন, এখন তা বুমেরাং হয়ে ফিরছে।
বিশদ

19th  April, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২০

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

19th  April, 2020
একনজরে
  মুম্বই, ২২ মে (পিটিআই): কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি এবং চ্যারিটেবল হাসপাতালের শয্যার ভাড়ার তিনটি ধাপে বেঁধে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। একইসঙ্গে সরকার ঠিক করেছে, এই স্ল্যাবের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য মোট বেডের ৮০ শতাংশ ধরে রাখতে হবে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: করোনা-আতঙ্কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে আর্সেনিক অ্যালবাম-৩০ ওষুধের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। চাহিদার জেরে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীরা ওষুধের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।   ...

  বেজিং, ২২ মে (পিটিআই): করোনা সঙ্কটের মধ্যেও দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে বরাদ্দ বাড়াল চীন। বাজেট বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার করা হয়েছে। অর্থাৎ ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের তিনগুণ। গতবছর চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। ...

 টোকিও, ২২ মে: আগামী বছর টোকিও ওলিম্পিকস আয়োজন নিয়ে প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ওলিম্পিক কমিটির (আইওসি) শীর্ষ কর্তা জন কোটস পরিষ্কার জানিয়েছেন, 'আগামী বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৬-নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮: ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯-জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯৫১-বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৩ মে ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৪৮/২০ রাত্রি ১২/১৮। রোহিণীনক্ষত্র ৫৯/৪৬ রাত্রি ৪/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৭/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৬/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে উদয়াবধি।
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৩ মে ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। রোহিণীনক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/১২ মধ্যে কালরাত্রি ৭/৩২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৭ মধ্যে।
 ২৯ রমজান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০৬-নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু১৯১৮: ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম ১৯১৯-জয়পুরের ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ আরও ৩৯৬ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৬৬৯ 

08:26:36 PM

ইদ পালিত হবে ২৫ মে
আগামী ২৫ মে ইদ পালিত হবে। আজ চাঁদ দেখা যায়নি। ...বিশদ

08:05:14 PM

মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ২,৬০৮ জন, মৃত ৬০ 

08:01:30 PM

সিকিমে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল 
প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল সিকিমে। দিল্লি থেকে ফেরা এক ...বিশদ

07:54:38 PM

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ১২৭ জন 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

07:43:40 PM