Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

তর্পণ
মীনাক্ষী সিংহ

এই মাত্র শ্রাদ্ধকার্য সম্পন্ন হল, শেষ হল প্রথাগত তর্পণ। শেষ হল— না শুরু হল? নিরুচ্চার স্বগত প্রশ্নে বিদ্ধ হল অনুপমের রক্তাক্ত হৃদয়। এই রক্ত কেবল হৃদয়ের ক্ষত উৎসারিত নয়, এ পরম্পরাবাহিত বংশগত রক্ত বন্ধনের উত্তরাধিকার।
বাবার পুষ্পচন্দন শোভিত ছবির দিকে তাকাল অনুপম। সেই পরিচিত প্রশান্ত মুখ, সেই স্বস্নেহ চাহনি, সেই নীরব অভিব্যক্তি। আজ অশৌচান্তের তর্পণ যেন অনুপমের মনোদর্পণ— তাতে টুকরো টুকরো ছবি দিয়ে সাজানো স্মৃতির কোলাজ। এমনভাবে ভাবেনি কোনও দিন। অনুপম আবার দৃষ্টি ফেরাল বাবার ছবির দিকে।
পুরোহিতমশাই বললেন, ‘আপনার কাজ শেষ— এবার উঠতে পারেন।’ অপরাজিতা এগিয়ে এল—
‘একটু চা খাবে— চলো’।
আসন ছেড়ে অনুপম তাকাল। আত্মীয়, বন্ধু, চেনামুখ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে, মৃদু কণ্ঠে বাক্যালাপ। ওকে দেখে এগিয়ে এল কেউ কেউ। ভদ্রতাসূচক সমবেদনা, কিছু কথা। পাশের টেবিলে বাবার ছবিতে ফুলমালার স্তূপ, ধূপ জ্বলছে— বাতাসে তার গন্ধ— পাশে জমেছে সন্দেশের বাক্স।
এরা সবাই এতদিন কোথায় ছিলেন? বাবাকে সবাই কি চিনতেন? স্বগত প্রশ্নে অনুত্তর জিজ্ঞাসায় তাকাল অনুপম। এঁরা বেশির ভাগই মায়ের বন্ধুর দল, স্কুলের সহকর্মীরা। একপাশে অপরাজিতার বাবা-মা, দাদা-বউদি, অন্যদিকে ওর কিছু আত্মীয়ের চেনা মুখ, অনুপমের কলেজের অধ্যাপক সহকর্মীরা কেউ কেউ। সবাই বোধহয় বাবাকে চিনতেন না, আজ এসেছেন অনুপমের বাবা অরুণাভ সেনের শ্রাদ্ধবাসরে আমন্ত্রিত অতিথিরূপে।
টুকরো কথা, মৃদু হাসি, কিছু আলাপ-সংলাপের মধ্য দিয়ে অনুপম এগিয়ে চলে, তার সাদা ধুতি চাদরে যেন শোকের ছায়া আঁকা। অবিন্যস্ত চুলে উঁকি দিচ্ছে ধূসর ছায়া। না, প্রথাগতভাবে মস্তক মুণ্ডন করেনি সে। বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে চুল কামাতে হবে— এই প্রথায় বিশ্বাসী নয় সে। হয়তো আরও অনেক কিছুতেই বিশ্বাস নেই তার, তবু রীতি পালন করতে হল। কেন? নিজেকেই প্রশ্ন করল অনুপম। অপরাজিতার মা একবার বলেছিলেন,
—তোমার মা’র কথা ভেবেই তো এসব করতে হবে অনুপম।
—মা’র কথা? চমকে তাকিয়েছিল অনুপম।
বিনতাদেবী একটু অপ্রস্তুত হয়ে থেমে গিয়েছিলেন।
লোকজনের ভিড় একটু একটু করে কমে গেল। ব্যালকনিতে এসে সিগারেট ধরিয়ে অনুপম বসল। সামনে কয়েকটা বাড়ির পিছনে ছোট পার্ক। হঠাৎ মনে হল এ সময় তাদের দার্জিলিঙে থাকার কথা। অপরাজিতা আর অধিরাজকে নিয়ে এক সপ্তাহের ছুটি কাটাতে দার্জিলিঙে পৌঁছবার পরদিনই বাবার আকস্মিক চলে যাওয়ার খবরে ফিরে আসতে হল। সব প্ল্যান মাটি। অপরাজিতা, অধিরাজ আশাহত। কত পরিকল্পনা ছিল। অনুপমের মনেও ছিল সংশয়। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক তো ছিন্ন সুতোর মতো, সেটাও কেটে গেল। একবার মনে হয়েছিল— কী লাভ ফিরে গিয়ে। শেষ দেখাও হল না। জীবনের বেশি সময়টা বাবাকে ছাড়াই তো কাটল— আর লোক দেখানো ভড়ংয়ের কী-ই বা দরকার।
হঠাৎ-ই ছেলের দিকে তাকিয়ে কী যেন হল। ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উঁকি দিল মনে। তার চলে যাওয়ার খবরে অধিরাজ কী করবে? মনে মনে কেঁপে উঠল অনুপম। তারপরই সব প্ল্যান ভুলে হোটেলের বিল মিটিয়ে তাড়াহুড়ো করে কলকাতার ফ্লাইট। কাঞ্চনজঙ্ঘার স্বর্ণশিখর দেখা হল না। মনে হল বাবাও প্রায় সারা জীবন কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো কুয়াশায় ঢাকা রয়ে গেলেন। অপরাজিতা ফেরার সময় বলেছিল—
—অনেক লস হল।
অনুপম তাকাল— ‘কোনটা লস?’
চুপ করে গেল অপরাজিতা।
‘পিস হ্যাভেন’ থেকে নিষ্প্রাণ অরুণাভ সেনের মরদেহ অনুপমকেই আনতে হল। মা বাড়িতে। কাকু সঙ্গে আসতে চেয়েছিল— অনুপম বলেছিল, ‘না থাক। আমি একাই পারব।’ সব কাজ শেষে বাড়ি ফিরে মা’র দিকে তাকাল অনুপম। মাকে ঘিরে বসে অপরাজিতার মা, পাড়ার দু-একজন মহিলা, মা’র স্কুলের কলিগ সুজাতামাসি।
সকলের দিকে তাকিয়ে দেখল অনুপম, তারপর মা’র কাছে এসে দাঁড়াল।
—সব কাজ হয়েছে নিয়ম মতো? অমিতা প্রশ্ন করলেন। মা’র দিকে তাকাল অনুপম।
—আমি সব নিয়ম জানি না, মানি না-ও। তুমি সব নিয়ম মেনেছ তো, তাহলেই হবে।
চকিতে চোখ তুলে তাকালেন অমিতা। ছেলের কাছা গলায় মূর্তি দেখে থমকালেন একটু। তারপর নিজেকে দেখলেন। না— সাদা থান পরেননি। হাতে, গলায়, কানে সব অলঙ্কারই আছে, তবে কপালে বড় লাল টিপটা নেই। সিঁদুর কি পরতেন স্বামীর কল্যাণে? আবছা রেখা হয়তো রয়ে গিয়েছে। খুব কি বদলে গেছেন অরুণাভের মৃত্যুতে— বাইরে বা ভিতরে। অনুপম প্রশ্ন করল মাকে, নিজেকেও।
লাল পাড় কোরা শাড়ি পরা অপরাজিতার দিকে তাকিয়ে বলল— ‘একটু চা খাওয়াবে?’
দশ বছরের অধিরাজ অচেনা চোখে তাকাল বাবার দিকে। বাবার এই চেহারা আর পোশাক তার অচেনা। তার ছোট্ট মনে প্রশ্ন জাগল— দাদুর জন্য কি বাবা আজ এমন অন্য মানুষ। অথচ দাদু তাদের সঙ্গে থাকেননি কোনও দিন। অনেক দূরে থাকতেন একা একা। সে থাকত মা-বাবা আর ঠামির সঙ্গে কলকাতায়। তাদের সঙ্গে থাকেন ছোট দাদু—বাবার কাকু। তিনিই বাড়ির অভিভাবক। দাদু বোলপুর থেকে বছরে এক বা দু’বার আসতেন তাদের কাছে। খুব আদর করতেন তাকে, অনেক গল্প শোনাতেন বোলপুর, শান্তিনিকেতনের। দু’দিন পরেই ফিরে যেতেন। ছোট্ট অধিরাজ সবটা বুঝত না শুধু মনে হতো এ বাড়িতে বোধহয় দাদুকে কেউ চায় না। তবুও দাদু আসতেন, নাতিকে আদর করতেন। বাবাকে ডাকতেন ‘খোকন’ বলে। এ নামে বাবাকে আর কেউ ডাকে না। রাজের হাসি পেত, অত বড় একজনের নাম ‘খোকন’।
কাছা গলায় বাবাকে আড়চোখে দেখল রাজ। তারপর একে একে তাকাল সকলের দিকে। আশ্চর্য, কেউ তো কাঁদছে না। পাশের বাড়ির বীরেনদাদু মারা গেলে ওদের বাড়ির সকলের কী কান্না। হঠাৎ-ই অধিরাজের চোখটা জ্বালা করে উঠল। মনে হল দাদুকে কি তাহলে কেউ একটুও ভালোবাসত না। আর তো দাদু বোলপুর থেকে কোনও দিন আসবেন না, তার শান্তিনিকেতনের গল্প শোনাও বন্ধ হয়ে যাবে। দার্জিলিঙে বেড়ানো হল না বলে মনে মনে একটা কষ্ট হচ্ছিল ক’দিন— আজ মনে হল সেই কষ্টটা আর নেই, তার বদলে অন্য কী একটা কষ্ট হচ্ছে মনে মনে।
সন্ধেবেলা। সারা দিন শ্রাদ্ধের সাত-সতেরো নিয়ম। লোকের আনাগোনার পর এখন বাড়িটা নিঝুম। রাজ ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয়। ওপাশের ঘরে কাকু টিভিতে সংবাদ প্রবাহ দেখছে প্রতিদিনের মতো— মা বোধহয় ওখানেই বসে আছে। অপরাজিতা ব্যস্ত রান্নাঘরে। অনুপম বারান্দায় এল। একটু পরে অপরাজিতা এসে পাশে বসল।
—তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো। কাল আবার নিয়মভঙ্গের পালা, অনেক কাজ।
—আমার আর কী কাজ। ক্যাটারার তো বলাই আছে। একশোজনের আয়োজন— বড় কিছু নয়। ওরাই সামলে নেবে।
—সে তো সামলাবে। তবে লোকেদের আপ্যায়ন তো আমাদেরই কাজ, অনেক খাটুনি হবে।
হঠাৎ কী হল অনুপমের। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে একটু যেন অন্য সুরে বলে উঠল—
একদিন না হয় বাবার জন্য একটু খাটুনি হলই। আগেও বাবার জন্য কিছু করনি। পরেও করতে হবে না। শ্বশুরের জন্য একটু কষ্ট না হয় করলে অপরাজিতা।
—আমাকে বলছ কেন? তোমার বাবার জন্য এ বাড়িতে তোমরাই বা কবে কী করেছ— তুমি, তোমার মা, কাকু? আজ উনি মারা যাওয়ার পর আমায় কর্তব্য শেখাচ্ছ?
অনুচ্চ কণ্ঠে কথাগুলো বলে চলে গেল অপরাজিতা। চমকে উঠল অনুপম। স্ত্রীর কথায় যেন চমক ভাঙল তার। সত্যি, বাবার জন্য তো সারাজীবনে কিছুই করা হয়নি। তার পাঁচ বছরের স্মৃতি জড়ানো বোলপুরের ছোট্ট একতলা বাড়িটার কথা মনে পড়ল। সেই ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে পাঠ ভবনে যাওয়ার অস্পষ্ট স্মৃতি মনে এল। তারপর তো একদিন সব ছেড়ে কলকাতায় চলে আসা, উত্তর শহরতলির দু-কামরার ঘরে মা’র সঙ্গে থাকা। পাশের ঘরে কাকু। মাঝে মাঝে মাসিরা আর বীরভূম থেকে মেজো কাকা আসত। আর মাঝে মাঝে একটা করে পোস্ট কার্ডে বাবার চিঠি আসত— গোটা গোটা অক্ষরে লেখা—
‘খোকন সোনা, কেমন আছ? পড়াশোনা করছ তো? ভালো আছ খোকন? অনেক দিন তোমায় দেখি না।
আশীর্বাদ নিও।
— বাবা’
বানান করে চিঠি পড়ত ছোট অনুপম। পাশের ঘরে কাকুর অফিসের বন্ধুরা তখন তুমুল আড্ডার আসরে মশগুল। মাও চা-জলখাবার নিয়ে সেই আসরে যোগ দিত। ছোট্ট অনুপম তখন ইস্কুলের পড়া নিয়ে ব্যস্ত। ধীরে ধীরে বড় হতে হতে সব সয়ে গেল। মা’র স্কুল, কাকুর অফিসের কাজের সঙ্গে সঙ্গে তার পড়াশোনার চাপও বাড়ল। তারপর সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ অনুপম বন্ধুদের নিয়ে অন্য জগতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বাবার কথা কী তখন মনে পড়ত? তারও পরে আরও বড় হয়ে বাবার কথা ভেবেছে কোনও দিন তেমনভাবে?
জীবন তখন নিজস্ব গতিতে চলেছে। পড়াশোনা, কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন, রোম্যান্টিক কল্পনায় বিভোর হয়ে থাকা তরুণ অনুপমের জীবনে বাবার জন্য কতটুকু জায়গা ছিল। মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়া। বউদি আর আদরের ভাইপোর সঙ্গে কাকুও সেই সফরের সঙ্গী, গাইড। অনেক ভেবেও আজ অনুপমের মনে পড়ল না কোনও দিন বাবা তাদের সঙ্গে ছিলেন কি না।
কখনও-সখনও বীরভূম থেকে মেজো কাকা-কাকিমা এসে ছোট দেওরের বিয়ের কথা বলতেন। শেষ পর্যন্ত কাকুর বিয়েটা হল না। তাদের মা-ছেলের সংসারে কাকু, কিংবা কাকুর একক সংসারে তারা মা-ছেলে রয়ে গেল। বাবা রইলেন শান্তিনিকেতনে, একা— একেবারে একা।
আজ হঠাৎ অনুপমের মনে হল— ঠিক ছিল না। ঠিক ছিল না। কিন্তু তখন তো ভাবেনি এসব, অথচ ভাবা উচিত ছিল। প্রথম প্রথম কেউ কেউ, মা’র স্কুলের সহকর্মীরা বাবার কথা জিজ্ঞেস করত, ক্রমে ক্রমে গুঞ্জন থেমে গেল। বড় হতে হতে অনুপমও বুঝে গেল বাবা-মা আসলে দু’জন দুই ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা। কাকু অবশ্য তাকে খুব স্নেহ করে, তবু মাঝে মাঝে বাবার কথা ভেবে আনমনা হতো সে, একটা সূক্ষ্ম কাঁটা বিঁধত মনে, অথচ কোনও দিন মাকে স্পষ্ট করে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। আর এতদিন পরে এই মধ্য চল্লিশের যাপিত জীবনে এ নিয়ে ভাবার অবকাশও নেই। হয়তো আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যে অভ্যস্ত জীবন অনেক অনুত্তর অস্বস্তিকর প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়েছে। কখনও-সখনও বাবা আসতেন তাদের বাড়িতে। দু’দিন থাকতেন অতিথির মতো, কেমন মায়াময় চোখে দেখতেন তাঁর খোকনকে, যে তখন অধ্যাপক অনুপম সেনের নির্মোকে বাবার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে ক্রমেই সরে গিয়েছিল। তারপর বাবা ছোট ভাইয়ের সংসারে তাদের রেখে ফিরে যেতেন।
এর মধ্যে যৌবন উন্মেষের উত্তাল প্রহরে অপরাজিতার সঙ্গে পরিচয়, প্রণয়, পরিণয়। আধুনিক সমাজ আর অহেতুক প্রশ্ন করে না সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে। তাই তাদের বিয়েতে সবই হল সাড়ম্বরে। কাকুই বরকর্তা। বাবা এলেন, শান্ত ধীর মানুষটি বহিরাগত অতিথির মতো চারদিন পরে ফিরে গেলেন। খোকন ও বউমাকে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কথা বলে গেলেন। তারা দু’জনে একবারই মাত্র গিয়েছিল, তখন অধিরাজ চার বছরের।
আজ শ্রাদ্ধবাসরে মন্ত্রোচ্চারণের সময় বার বার অনুপমের মনে পড়ছিল বাবার সৌম্যশান্ত মূর্তি। জীবনে অপ্রাপ্তি যে এক ধরনের বিষাদমগ্ন প্রশান্তি আনে, তাঁর চেহারায় ছিল সেই ছাপ। স্ত্রীকে ধরে রাখতে পারেননি। জোরও করেননি, একমাত্র সন্তানের ওপরও অধিকার খাটাননি। কেন?
এ প্রশ্ন আগে অনেকবার মনে জাগলেও এড়িয়ে গিয়েছে অনুপম। সত্যের মুখোমুখি হতে কি ভয় পেয়েছিল, সাজানো জীবনের ছক ভাঙার আশঙ্কায় সংশয়িত চিত্ত ছিল। স্বাচ্ছন্দ্য সাফল্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার সোপান বেয়ে ওঠা জীবনে আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়নি।
অথচ, শ্মশানে, শ্রাদ্ধকর্মে বারবার বাবার নাম গোত্র উচ্চারণে নিজের উত্তরাধিকারের স্বীকৃত সত্যকে মানতেই হয়েছে, শোধ করতে হয়েছে অপরিশোধনীয় পিতৃঋণ।
এই মুহূর্তে তার হাতে ধরা বহু পুরনো এক ছবিতে ধরা আছে তিন প্রজন্ম। শান্তিনিকেতনে ছাতিমগাছের তলায় তারা তিনজন। বাবার পাশে সে আর বাবার কোলে তার ছেলে অধিরাজ। একই পদবিধারী তিন প্রজন্ম, পরম্পরার প্রতীক। হঠাৎ অনুপমের মনে হল বড় হয়ে রাজ যদি তাকে অস্বীকার করে দূরে চলে যায় কোনও দিন। তার শূন্যতা ভরাবে কে? স্ত্রী সন্তানের সংসারে সেও কি বহিরাগত হয়ে থাকবে বাবার মতো?
অরুণাভ সেন, অনুপম সেন, অধিরাজ সেন— তিন প্রজন্ম যে এক রক্ত বন্ধনে বাঁধা, এই সত্য অলীক স্বপ্ন নয়, নয় কুয়াশা ঘেরা। জীবনে বাবাকে তেমনভাবে গ্রহণ করেনি। দূর থেকে সম্পর্ক সূত্রে ছিল বাঁধা। আজ তর্পণ শেষে দর্পণে নিজের ছায়া দেখে শিহরিত হল। তার মনোদর্পণে ভেসে উঠল পরম্পরাবাহিত তিন প্রজন্মের ছবি— বাবা আর ছেলের মাঝখানে নিজেকে চিনতে অনুপমের আজ আর ভুল হল না।
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
05th  April, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহারের মাথাভাঙায় ৬/২৭৪ বুথের এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

08:44:22 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত

08:41:22 AM

তৃণমূলের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, বক্সিরহাটের বারোকোদালি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা

08:40:19 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমলনাথ

08:37:47 AM

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার চান্দামারি অঞ্চলের রাজপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

08:35:45 AM

ভোট দিলেন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভা ভোটের প্রার্থী কে আন্নামালাই

08:35:01 AM