Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

 অথৈ সাগর
পর্ব ১৭

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

বেথুন সাহেব তো চলে গেলেন। বিদ্যাসাগরের চোখের জল আর শুখোয় না। কিছু আর ভালো লাগে না তাঁর। মনে মনে ঠিক করলেন— তবে আর কোন মায়ায় পড়ে থাকব বেথুন বিদ্যালয়ের সেক্রেটারির পদ আঁকড়ে ধরে। নিজেই সে কথা লিখে গিয়েছেন— ‘যে মহাত্মার অবিচলিত অধ্যবসায়ে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত, যিনি উহার প্রাণ, তিনিই যখন জন্মের মতো চলিয়া গেলেন, তখন আর এ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখিতে প্রবৃত্তি হয় না।’ তবুও এই বিদ্যালয় নিয়েই তো সব বন্ধন। কাজ করে যান, কিন্তু কায়া নেই, শুধু ছায়া নিয়ে কর্তব্যসাধন।
এদিকে সংস্কৃত কলেজের কত কাজ বাকি। যখন পড়াশোনা করতেন, তখন কোথায় এই প্রতিষ্ঠানের গলতি, কোথায় এর সংশোধন করতে হবে, রং-রিফু করে এর উন্নতি ঘটানো সম্ভব তা ভাবতেন। তাই নজরে এল বিশেষ করে এর ইংরেজি বিভাগের খুঁড়িয়ে চলা। অমনি একটা রিপোর্ট লিখে পাঠিয়ে দিলেন শিক্ষা সংসদে। কতজন নতুন শিক্ষকের প্রয়োজন, পুরনো শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চলছে না, তাঁদের বদলি আনতে হবে। মাইনে বাড়াতে হবে, নইলে ভালো শিক্ষক কী করে পাওয়া যাবে। অন্তত সত্তর থেকে নব্বই টাকা দিতেই হবে। এছাড়া পরিকাঠামোর উন্নতির জন্যে যা করণীয় সেগুলোও করতে হবে। ছাত্র আকর্ষণ করতে হবে। পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত বইগুলো বদলে দিয়ে যেগুলোর কার্যকারিতার সঙ্গে সাহিত্যমূল্যও আছে— সেগুলো বেছে আনতে হবে। অশ্লীলতা বর্জন করতে হবে— নইলে ছাত্র-শিক্ষক উভয়েই বিড়ম্বনার শামিল হন। এ জন্যে বই ছাপতে হবে, না হলে লেখকদের দিয়ে পুঁথি নকল করাতে হবে। বাংলা ও বাঙালির উন্নতিই তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। এজন্যই সমাজ-সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা-সংস্কারেও মন দিতে হবে। একটা ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ বা একটা ‘চরিতমালা’, ‘সীতার বনবাস’ দিয়ে কাজ হবে না। আরও আরও বই লেখাতে হবে, লিখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে অন্য ভাষার বই অনুবাদ করতে হবে। আপাতত হিন্দি, সংস্কৃত আর ইংরেজি থেকে অনুবাদের কাজ করতে হবে, তার সঙ্গে চাই প্রাথমিক জ্ঞানের জন্যে রিডার জাতীয় বই। তার প্রস্তুতি চলতে লাগল— আমরা পরে পরে দেখব সে সব।
আর একটা কাজ করতে হবে— অত জাতপাতের বিচার করলে তো শিক্ষার প্রসার হবে না। সংসারে কি শুধু ব্রাহ্মণ-কায়েস্থরাই পড়াশোনা করবে! অথচ সংস্কৃত কলেজ যাঁরা স্থাপন করেছেন তাঁরা ওই পুরনো ধারাটাই বজায় রাখার পক্ষপাতী। শূদ্রের ছেলে সংস্কৃত পড়ে পণ্ডিত হবে! তারাই উপাধি পেয়ে বামুন কায়েতদের পড়াবে। সমাজে পাতক হবে না। আস্তাকুঁড়ের এঁটো পাতার স্বগগে যাবার আশা। হায় কী কলি এ কী হবে গরুড় হবেন মশা গো!
যেই ভাবা অমনি কাজে নেমে পড়লেন। ফতোয়া জারি করলেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে— এবার থেকে সংস্কৃত কলেজে পাঠ্য সব বিভাগেই ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য জাতির সন্তানরাও পড়তে পারবেন, এ জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হচ্ছে। অমনি গরম তেলে জলের ছিটে পড়ল। সমাজ একেবারে ভেস্তে যাবে! বিদ্যাসাগর জানেন— ওরা দু’-চার দিনের জন্যে তড়পাবে, তারপরে যেই শূদ্র মানুষের চাপ পড়তে লাগবে— তখন সব তাঁরই ইচ্ছেমতো হবে। বিদ্যাসাগরই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার সূর্যতোরণটি খুলে দিয়ে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের স্বর্ণদ্বারটি খুলে দিলেন। ব্রাহ্মসমাজে পৈতে খুলে ফেলার কাজটা শুরু হয়েছিল বটে। বিদ্যাসাগর সেই যে জাতপাতকে ঢেউয়ের ধাক্কায় সরিয়ে দেওয়ার জন্য সাগরে যে ঢেউ তুললেন, তাতেই সমাজের টলমলানি দেখা দিলে আর সমগ্র বাঙালি জাতি নির্বিশেষে ‘তুমি ঊষার সোনার বিন্দু’ বলে তাঁর চরণে প্রণত হল। চিত্তের স্বাধীনতার বিধান না হলে কি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আসতে পারে। এই মানুষটাই গ্রামের চাষিভুষোর কাছে শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র করেছেন। আর সরকার গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করার মাধ্যমে শিক্ষাকে সর্বজন সুখায় মন্ত্রের উচ্চারণ করার আগে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে নিজের জন্মস্থান বীরসিংহা গ্রামে একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় খুলে বসলেন। মনে রাখতে হবে কিন্তু এই বিদ্যাসাগর মশায়ই অবৈতনিক সংস্কৃত কলেজে বেতন ছাড়া বিদ্যার্জন পূর্ণ হবে না— এই আন্দোলন তুলে একক চেষ্টাতেই সংস্কৃত কলেজে পড়তে হলে বেতন দিয়ে পড়তে হবে— এই নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সেই বিদ্যাসাগর গাঁয়ে বিদ্যালয় খুলে সেখানে মাইনে দিতে হবে না— এই প্রথাই চালু করলেন। মনে রাখতে হবে কলকাতা আর বীরসিংহার মতো বাংলার হাজারো গ্রামে হাজারো তফাত। পড়াশোনা নেই বললেই চলে। তাদেরকে বিদ্যালয়মুখী করতে হবে— তারা তো স্কুল কী জিনিস তা জানেই না। তাছাড়া বিদ্যালয় খুলছেন যিনি তিনি তো শুধু বিদ্যাসাগর নন, করুণার সাগরও। যখন গাঁয়ে আসতেন সিকিটা-আনিটা-আধুলিটা-টাকাটা কাপড়ের খুঁটে বেঁধে আনতেন— গরিবের ছেলে দেখলেই তাদের দিয়ে তিনি ফতুর হতে যে বড্ড ভালোবাসতেন। কিন্তু শিক্ষক মশায়দের প্রাপ্য না দিলে বিদ্যাস্থানে দৈন্য দেখা দেবে জানতেন, তাই বরাবরই তাঁদের উপযুক্ত মাইনে দেওয়ার জন্যও তিনি মুক্তহস্ত। তিনি ধারই ধারতেন না কবে সরকার এই গ্রামীণ বিদ্যালয়ের জন্যে অর্থ মঞ্জুর করবে— তার জন্য বসে থেকে। প্রতিমাসে বীরসিংহার বিদ্যালয়ের জন্য তাঁর প্রায় তিনশো টাকা খরচ হতো। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনশো টাকার দাম একবার হিসেব করে দেখলে এত দিন পরেও আমাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে। এই টাকা দিয়ে শিক্ষকদের বেতন, ছাত্রদের জন্য স্লেট-পেন্সিল বই-পত্তরের খরচারও সামাল দিতে হবে। এর ওপর গাঁয়ে মেয়েদের জন্যও স্কুল খুলেছেন। নৈশ বিদ্যালয়েরও একটা খরচ আছে— এইসব সামলে নিজের বইপত্তর কেনা, কাগজ-কলমের খরচের জন্য একটা বরাদ্দ রেখে সংসার চালাবার জন্য কত টাকা যে হাতে রইল ভাবতে গেলেই সেই পুরনো প্রবাদটাই মনে পড়ে যায়— হাতে রইল শুধু পেন্সিল। মোট বেতনের পরিমাণ পাঁচশো, তার প্রায় চারশোয় চলে যেত দান খয়রাতে। এ হিসেব আমরা করছি। কিন্তু গোপন হিসেব আমরা জানি না— এর জন্য তাঁকে প্রয়োজনে টাকা ধারও করতে হতো। ধার করে দান করার উদাহরণ খুঁজতে গেলে মনে হয় প্রথমেই বিদ্যাসাগরের কথা মনে পড়বে। বোধ হয় বড় সাক্ষী হিসেবে কবি মধুসূদন দত্তের নাম মনে আসবে এই সূত্রে।
বিদ্যাসাগরের দেখাদেখি নিশ্চয়ই নয়, সরকারের এডুকেশন কাউন্সিলও ভাবছিল গ্রামে গ্রামে নর্মাল স্কুল স্থাপন করার কথা। এই স্কুলের পড়ুয়াদের একটা বড় ভবিষ্যৎ ছিল— এখান থেকে পাশ করলে স্কুলে চাকরি পাওয়া খুব সহজ হতো। নর্মাল স্কুল খোলার প্রথম সুযোগেই বিদ্যাসাগর মশায় তাঁর সমবয়সি বন্ধু, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্তকে শিক্ষক হিসেবে ঢুকিয়ে দিলেন, শুধু শিক্ষক নয়— একেবারে প্রধান শিক্ষক হিসেবে। এমনি করে চাকরি পান পণ্ডিত রামকমল ভট্টাচার্য মশায়ও।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব ১৭

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- পঞ্চম কিস্তি। 
বিশদ

15th  March, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

15th  March, 2020
আশীর্বাদ অনন্ত
তপনকুমার দাস

‘মা তুমি?’ দরজা খুলেই সামনে দাঁড়ানো পরমাকে দেখে চমকে ওঠে অভিজাত। প্রায় দেড় বছর পরে বাড়ির দরজায় দাঁড়ানো মাকে দেখলে অবাক না হয়ে উপায় কী?  বিশদ

15th  March, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৫
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৫

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

08th  March, 2020
দোল
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

এই বাড়িটা তোমার? এত সুন্দর! পথে আসতে-আসতে এর কথাই তুমি বলছিলে আমায়? এই কথা বলে ফেলিনি ঘুরে ঘুরে বাড়িটি দেখতে থাকল।
আহামরি কিছু নয়। খুব সামান্য এক মাটির বাড়ি। ট্যারাবাঁকা। মাথায় টালিখোলা। এদিক-ওদিক ভাঙা-ফাটা। বাড়ির সামনে একটু ফাঁকা জমিন, সেখানে প্রাচীন এক কদমগাছ।   বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- তৃতীয় কিস্তি।  বিশদ

01st  March, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৪
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

01st  March, 2020
সংবর্ধনা
বিপুল মজুমদার

‘আমাদের ক্লাবের একটা নিয়ম আছে দাদা। প্রত্যেক বছর ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দু’জনকে আমরা সংবর্ধিত করি। একজন আপনার মতো প্রথিতযশা কেউ, অন্যজন আমাদের এই সুজনপুরের কোনও কৃতী সন্তান। এ বছর উত্তম মণ্ডলকে আমরা বেছে নিয়েছি। ওই কোণের দিকে হলদে জামা পরা যে মানুষটিকে দেখছেন ওই হল উত্তম। 
বিশদ

01st  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বিতীয় কিস্তি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৩
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
গায়ক চারা
সসীমকুমার বাড়ৈ

—স্যার, ও এসেছে।
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।  বিশদ

23rd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- প্রথম কিস্তি।
বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা প্রতিরোধে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রতিদিন চার লক্ষ বোতল পানীয় জল সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই)। মুখ্যমন্ত্রী ...

বিএনএ, বহরমপুর: বাংলাদেশেও করোনার দাপট শুরু হয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করল বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্তের যেসব এলাকায় কাঁটাতার নেই সেখানে জওয়ানরা কার্যত ত্রিস্তরীয় ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২৯ মার্চ: করোনার জেরে রেলের প্রায় দেড় কোটি পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। এনটিপিসির (নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরিস) প্রায় ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে, সেই ব্যাপারে সঠিক উত্তর দিতে পারছে না রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডও ...

দুবাই, ২৯ মার্চ: পুলিসের উর্দি গায়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহসী ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রাক্তন ক্রিকেটার যোগিন্দর শর্মাকে কুর্নিশ জানাল আইসিসি। তাঁকে ‘রিয়াল লাইফ হিরো’ বলে অভিহিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাটি। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের খেতাব জয়ের অন্যতম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব চিকিৎসক দিবস
১৮৯৯ - বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯: রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক গান্ধীজির
১৯৪৫: অস্ট্রিয়াকে আক্রমণ করল সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৫৬- বাংলা ভাষার রূপকথার বিশিষ্ট রচয়িতা ও সংগ্রাহক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদারের মৃত্যু
১৯৫৬: পরমাণু পরীক্ষা করল সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৬৫- বাঙালি সাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৭৯ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট জ্যাজ্ সঙ্গীত শিল্পী, পিয়ানো বাদক এবং অভিনেত্রী নোরা জোন্সের জন্ম
১৯৮১: ওয়াশিংটন ডিসি’র এক হোটেলের বাইরে জন হিঙ্কলে নামে এক ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনকে গুলি করেন
১৯৮৬ - স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড় সার্জিও র্যামোসের জন্ম
২০০২- বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আনন্দ বক্সীর মৃত্যু
২০১৩ - মার্কিন কবি ও শিক্ষাবিদ ড্যানিয়েল হফম্যানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৫৯ টাকা ৭৫.৩১ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬০ টাকা ৯২.৮৬ টাকা
ইউরো ৮০.৮৪ টাকা ৮৩.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
28th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৬ চৈত্র ১৪২৬, ৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) ষষ্ঠী ৫৪/১১ রাত্রি ৩/১৫। রোহিণী ২৯/১৭ অপঃ ৫/১৮। সূ উ ৫/৩৪/৫৩, অ ৫/৪৭/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১৭ গতে ২/২৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৭ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৪ গতে ৪/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৪০ মধ্যে।
১৬ চৈত্র ১৪২৬, ৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার, ষষ্ঠী ৪২/৪৭/৫১ রাত্রি ১০/৪৩/৫১। রোহিণী ১৯/৫৮/২৮ দিবা ১/৩৬/৬। সূ উ ৫/৩৬/৪৩, অ ৫/৪৭/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৭ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১১/১৫ গতে ২/২০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৮/৬ গতে ৮/৩৯/২৮ মধ্যে।
৫ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব চিকিৎসক দিবস১৮৯৯ - বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত মোট ২২৭ জন 

11:49:49 PM

করোনা: তেলেঙ্গানায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ৬ জন 

11:15:52 PM

তারাপীঠ মন্দিরের জেনারেটর রুমে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ১টি ইঞ্জিন 

09:12:28 PM

করোনা: দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৭ 

09:08:28 PM

 করোনা: রাজ্যে আক্রান্ত আরও ২

09:00:11 PM