Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে
পর্ব ১৭

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- ষষ্ঠ কিস্তি।

উদ্বাস্তু-ভরা বঙ্গে ভানু যখন নিজেকে ধীরে ধীরে বাঙালদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে প্রতিপন্ন করে তুলছেন, জহর তখন হাতের কাছে যা রোল পেয়েছেন তাই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছেন। জল যেমন যখন যে পাত্রে থাকে, তখন সেই পাত্রের আকার নেয়। ঠিক তেমনই জহরের এই যে কোনও চরিত্রে এঁটে যাওয়ার চেষ্টাটাই হয়তো তাঁকে বড় পরিচালকদের অন্য রকমের চিত্রনাট্যে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।
সত্যজিৎ রায় প্রথমে ‘পরশপাথর’ ছবিতে ছোট্ট রোল দিয়েছিলেন— তুলসী চক্কোত্তি অভিনীত পরেশ দত্তের চাকর ‘ব্রজহরি’। দশ বছর পরে হাল্লার মন্ত্রী। ঋত্বিক ঘটকও তাই। প্রথমে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ছবিতে কনস্টেবলের এক চিলতে রোল। সাত বছর বাদে ‘সুবর্ণরেখা’র অনেকখানি জুড়ে ফাউন্ড্রি ওয়ার্কশপের ‘ফোরম্যান মুখুজ্জে’। নিয়েছিলেন ‘বগলার বঙ্গদর্শন’-এও, কিন্তু ছবিটা শেষপর্যন্ত হয়নি। শেষে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’য় যখন জহর গেঁয়ো মাতালের চরিত্র করছেন, তখন প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া জহর।
ভানু আর জহরকে দর্শক কমেডিয়ান হিসেবেই মনে রেখেছেন, একথা সত্যি। পর্দায় দর্শক ওঁদের দেখলেই হেসে লুটোপুটি খেতেন। আর পরিচালকরাও ভানু-জহরকে দু-একটা সিনে গুঁজে দিতেন। তাতে কমিক রিলিফও হতো, আবার ছবির গুরুত্বও বাড়ত। এই আক্ষেপ পরবর্তীকালে ভানুর লেখাতেও ধরা পড়েছে। তরুণ মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে জহর সম্পর্কে বলেছেন, ‘ওঁর গায়ে কমেডিয়ানের তকমা জুড়ে দেওয়া অনুচিত।’ ‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘ছিন্নপত্র’, ‘একটুকু বাসা’, ‘এখানে পিঞ্জর’, ‘ঠগিনী’ ছবিতে জহরকে নিয়েছিলেন তিনি। ‘পলাতক’-এ জহরের অভিনয় নিয়ে এখনও উচ্ছ্বসিত তনুবাবু। তাঁর মতে, ‘এক কবিরাজ, কিন্তু অসম্ভব যাত্রাপাগল, সন্ধের পর রোগী দেখে না, শুধু রিহার্সাল করে। ওর মেয়ের বিয়ে হয় বাউন্ডুলে এক ছেলের সঙ্গে। এতে ওর ইন্ধন ছিল। বিয়ের রাতে সে উধাও। মেয়েটা চুপ করে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে। এই সময়ে জহরদা পিছন থেকে ঘরে ঢুকে পড়লেন কিছু একটা খোঁজার অছিলায়। বাবার অসহায় অবস্থা, তার অপরাধবোধ এত সুন্দর ফুটিয়ে তুললেন! এটাই আসল জহর রায়!’
খানিক নামডাক হওয়ার পরে ভানু ছোটখাট রোল নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জহরের বাছবিচার ছিল না জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। ভানু যেখানে আড়াইশো টাকা নিচ্ছেন রোজ, জহর নিচ্ছেন মোটে সত্তর। তা নিয়ে ভানুর কাছে বকুনিও খেয়েছেন। কত যে ছবি জহর করেছেন তার হিসেব নেই! অন্তত পৌনে তিনশো তো বটেই! ভানুর ছবির সংখ্যাও এর আশপাশেই। আর দু’জনে একযোগে করেছেন প্রায় ৮৩টি ছবি। দুই বন্ধুই এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। সরাসরি তাঁদের নামেই ছবি হয়েছে— ‘এ জহর সে জহর নয়’, ‘ভানু পেলো লটারী’ আর ‘ভানু গোয়েন্দা জহর এ্যাসিস্ট্যান্ট’। মজার কথা, এর মধ্যে যেটিতে জহরের নাম নেই, সেটিও কিন্তু আদ্যন্ত জহরময়। এই সৌভাগ্য ‘একলব্য শিষ্য’ জহরের গুরু চ্যাপলিনেরও হয়নি, হয়নি লরেল-হার্ডিরও। ‘চাটুজ্যে-বাঁড়ুজ্যে’ ছবিতে ভানু-জহরকে দিয়ে লরেল-হার্ডির ঢঙে কমেডি করানোরও চেষ্টা হয়। তার জন্য হার্ডির ঢঙে গোঁফও ছেঁটেছিলেন জহর। ‘দেবর্ষি নারদের সংসার’ এবং ‘হাসি শুধু হাসি নয়’ ছবির মধ্যমণিও তিনিই।
‘পরশপাথর’ ছবিতে যখন ‘ব্রজহরি’র চরিত্র করছেন জহর রায়, ততদিনে বাংলা ছবিতে অন্তত দশ বছর হয়ে গিয়েছে তাঁর। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘সদানন্দের মেলা’, ‘জয় মা কালী বোর্ডিং’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’,‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’...। পাশেই দাপটে অভিনয় করছেন তুলসী চক্রবর্তী, তুলসী লাহিড়ী, অজিত গঙ্গোপাধ্যায়, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদারেরা। তবু তার মধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন জহর এবং তাঁর দোসর ভানুও। একজনের আদরের ‘ভেনো’, অন্যজনের ‘জহুরে’।
বরং এই আদ্যপ্রান্ত হাসির বাইরে এমন কিছু কিছু চরিত্র জহর পেয়েছেন এবং করেছেন, যা তাঁকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছে। কে ভুলবে ‘বাঘিনী’ ছবির শুরুতেই সেই চোলাই ঠেকের মালিককে? যে কিনা পুলিসের তাড়া খেয়ে পালায়, মা মরা মেয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করে, তার পর পায়ে পেরেক বিঁধে সেপটিক হয়ে মরে। আবার উৎপল দত্তের পুরোপুরি রাজনৈতিক ছবি ‘ঘুম ভাঙার গান’। সেই ছবিতে আবার কী অন্য পরতের অভিনয় তাঁর! সংলাপ বলার সঙ্গে সারা শরীরকে ব্যবহার করার অনন্যতাই ছিল জহরের অভিনয়ের বৈশিষ্ট। কোথাও কম, কোথাও বেশি—ঠিক যেখানে যেমনটা দরকার। এই বিষয়ে বিশ্বসেরা কমেডিয়ানদের সঙ্গে তাঁর অভিনয়রীতির মিল চোখে পড়ে।
কয়েকটা ছবিতে গানের লিপ দেওয়ার সঙ্গে জহরের অনবদ্য কমেডি অভিনয়ের কথা দর্শক কী করে ভুলবেন! ১৯৫৮ সালে ‘ভানু পেলো লটারি’ ছবিতে ‘ব্রহ্মা যখন দাঁড়িপাল্লায়...’, একই বছরের ‘সূর্যতোরণ ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘ওরা তোদের গায়ে মারবে লাথি চিরদিন...’, সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবিতে কামু মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যদের সঙ্গে জহর রায় নিজেও গলা মিলিয়েছেন সেই কালজয়ী গানে— ‘আছো হেথা যত আমির ওমরা’ বা ১৯৭১ সালের ‘ছদ্মবেশী’ ছবিতে ‘মোসাহেব লাল’ জহরের লিপে অনুপ ঘোষালের গাওয়া ‘ছো ছো ছো ক্যায়া শরম কি বাত...’ সবকটা দৃশ্যেই জহরের শরীরী অভিনয় মনে রাখার মতো। গান ছাড়াও ‘ভানু গোয়েন্দা জহর এ্যাসিস্ট্যান্ট’ ছবির যে দৃশ্যে মঞ্চে নাচ হচ্ছে এবং জহর রায় সেই অবস্থায় মঞ্চে ঢুকে লিলি চক্রবর্তীকে খুঁজছেন নাচতে নাচতে। শারীরিক সক্ষমতার এহেন নিদর্শনই প্রমাণ দেয় তাঁর অভিনয়ের পরিমিতিবোধের। প্রমাণ হয়, তিনি হালকা চালের কোনও অভিনেতা নন, যথার্থ অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের এক অভিনেতা।
(ক্রমশ)
‘এ জহর সে জহর নয়’ ছবির একটি দৃশ্যে সুপ্রিয়াদেবী ও জহর রায়
 অলঙ্করণ: চন্দন পাল
22nd  March, 2020
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
১৭৩ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

12:53:00 PM

শীতলকুচিতে ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত ভোটার
ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত ভোটার। কোচবিহারের শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির ঘটনা। ...বিশদ

12:48:38 PM

রাজ্যের তিন লোকসভা আসনে ভোটকে কেন্দ্র করে মোট ২৭৪ টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে, যার মধ্যে ১৯৫ টির সমাধান করা হয়েছে

12:41:14 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৩৩.২৮ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২৫.২০ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ২৪.৮৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:38:01 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ২১.৮২ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ১৮.২৬ শতাংশ, অসমে- ২৭.২২ শতাংশ, বিহারে- ২০.৪২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ২৮.১২ শতাংশ ভোট পড়ল

12:37:02 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ১৬.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ২২.৬০ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৩০.৪৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ১৯.১৭ শতাংশ, মণিপুরে- ২৭.৬৪ শতাংশ ভোট পড়ল

12:30:20 PM