Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

পর্ব ১০

পড়াশোনা পুরোদমে চলছে। এর মধ্যে বিয়েও হয়ে গিয়েছে দীনময়ী দেবীর সঙ্গে। তাঁর শ্বশুরমশায় শত্রুঘ্ন ভট্টাচার্য সেকালের এক প্রবাদপুরুষ হয়ে উঠেছিলেন তাঁর শারীরিক শক্তির জন্য। তা নিয়ে কত গল্প গড়ে উঠেছিল। হাতির সঙ্গে লড়াই করতে তিনি ভয় পেতেন না। একবার হাঁটুগেড়ে হামা দেওয়ার ভঙ্গিতে রাস্তায় বসে পড়েন। পাড়ার লোকেরা পিঠে প্রায় দেড়শো কেজি ওজনের ডালের ছালা বসিয়ে দিলে হামা দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে ওই ভারী ছালা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। দীনময়ী দেবীর কথা আমাদের নানা সুযোগে বলে নিতে হবে। বিয়ে হলেও তাতে ঈশ্বরচন্দ্রের লেখাপড়ায় কোনও ব্যাঘাত হতো না। উনি কলকাতার আর তিনি বীরসিংহায়। বড়বাজারের বাড়ির স্যাঁতসেঁতে ঘরের মেঝেতে শুয়ে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হলে মাঝে মধ্যে দেশের বাড়ি চলে যেতে হতো। তখন হয়তো বালিকাবধূর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হতো। অনেক পরে কলকাতার বাদুড়বাগানে নিজের বাড়ি করলে দীনময়ী দেবী সেখানে বাসা পেয়েছিলেন।
ঈশ্বর পড়ছেন একমনে। বিয়ে হলেও পড়ায় কদাচিৎ অমনোযোগী পুত্রকে ঠাকুরদাস প্রহার করতে ছাড়তেন না। কিন্তু তাঁর মাস্টারমশায়রা তাঁকে ছেলের মতোই ভালোবাসতেন। ঈশ্বরের জন্মের পর নাকি ঠাকুরদা তাঁর জিভে কাঠি দিয়ে কী সব লিখে দিয়েছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁর পিতামহের সেই কাণ্ডকারখানার কথা জানতেন। তাই বলতেন— ওই মন্ত্র লেখা থেকেই ঈশ্বরের জিভে মা সরস্বতী বসবাস করেন।
সে যাকগে, ঈশ্বর বছর চারেক দর্শনশাস্ত্র পড়েছিলেন। তাঁর শিক্ষক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার বলতেন, ওকে পড়াবার জন্য আমাকে খুব পড়াশোনা করতে হতো। যা জানতাম না, ওকে পড়াতে গিয়ে সেসবও আমার শেখা হয়ে গিয়েছিল। এমন ছাত্র পেয়েছিলাম বলে আমার খুব উপকার হয়েছিল। এ সময় সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারি মার্শেল সাহেব কোনও কারণে পদত্যাগ করেন। ছোট আদালতের জজসাহেব রসময় দত্ত সেই পদে যোগ দিলেন। সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারি— অথচ রসময়বাবু তেমন সংস্কৃত জানতেনই না। বড় বাড়ির ছেলে তিনি। তারই জোরে বড়কর্তাদের ধরে এই পদ পান। পরে পরে দেখব ঈশ্বরচন্দ্রের সঙ্গে দত্তমশায়ের সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। কে জানে বড়লোক-গরিবের দ্বন্দ্ব কি না, অথবা ইংরেজি-সংস্কৃতের ‘ঝগড়া’ কি না! দত্তজা ছেলেদের সংস্কৃত শ্লোক লিখতে বলতেন। ঈশ্বরচন্দ্র অনেক উৎকৃষ্ট শ্লোক লিখতেন, পরে তার অনেকগুলোই নিজের ‘সংস্কৃত-রচনা’ বইতে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। কেমন লিখতেন তার একটা প্রমাণ অবশ্য পাঠকদের দিতেই হবে।
কিন্তু ছাত্র ঈশ্বরচন্দ্র কতখানি ভালো ছাত্র ছিলেন, তা আগে জানানোর দরকার। দর্শন শ্রেণীতে যখন তৃতীয় বছরে পড়তেন তখন দর্শনশাস্ত্রের পরীক্ষায় একশো টাকা জলপানি পেলেন। কবিতা লেখার জন্য আরও একশো, হাতের লেখার জন্য পুরস্কার আট টাকা, আইনের পরীক্ষায় একেবারে প্রথম হয়ে পেলেন পঁচিশ টাকা— মোট দুশো তেত্রিশ টাকা— ভাবতে পারা যায়! বাবা জোড়াসাঁকোর রামসুন্দর মল্লিকের অফিসে চাকরি করে আট কি দশ টাকা পেতেন। তীর্থ বেড়িয়ে ফেরার পথে কলকাতা হয়ে বাড়ি ফিরতেন— ঈশ্বর সব টাকা বাবার হাতে তুলে দিতেন সামান্য নিজের জন্য রেখে। ওই রেখে দেওয়া টাকা থেকে তাঁর চেয়েও গরিব ছাত্রদের হাতে তুলে দিতেন, ভবিষ্যতের করুণাসাগরের তো সেইই সূত্রপাত। ছেলেমানুষের এইটুকু বুকের খাঁচা— তাতেই যে গরিব-দুঃখীদের জন্য এতখানা জায়গা কী করে তৈরি হয়েছিল— তা তিনিই জানেন, কে জানে সে জন্যই লোকে বলেন কিনা তা ঈশ্বরই (চন্দ্র) জানেন!
ঈশ্বরচন্দ্রকে খুব ভালোবাসতেন কাব্য-শাস্ত্রের অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। একবার তাঁকে দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম এবং দশম চরণের মধ্যে ‘গোপালায় নমোহস্তু মে’ পদ দুটি রেখে একটি দশ পঙ্‌ক্তির কবিতা লিখতে বললে রসিক ছাত্রটি শিক্ষককে জি঩জ্ঞেস করে বসেন— কোন গোপাল নিয়ে লিখব আমি— সামনে যে (জয়) গোপাল আছেন, না, বৃন্দাবনে যে গোপাল থাকেন— কাকে নিয়ে? প্রসন্ন হাসি হেসে অধ্যাপক বললেন, বৃন্দাবনবিহারীকে নিয়েই লেখ। তিনি লিখলেন—
যশোদানন্দকন্দায় নীলোৎপলদলপ্রিয়ে।
নন্দগোপালবালায় গোপালায় নমোহস্তু মে।। ১
বেণুরক্ষণদক্ষায় কালিন্দীকূলচারিণে।
বেণুবাদনশীলায় গোপালায় নমোহস্তু মে।। ২
ধৃতশীতদুকুলায় বনমালাবিলাসিনে।
গোপস্ত্রীপ্রেমলোলায় গোপালায় নমোহস্তু মে।। ৩
বৃষ্ণিবংশাবতংসায় কংসধ্বংসাবিধায়িনে।
দৈতেয়কুলকালায় গোপালায় নমোহস্তু মে।। ৪
নবনীবৈকচৌরায় চতুর্বগৈকদায়িনে।
জগদ্ভাণ্ডকূলালায় গোপালায় নমোহস্তু মে।। ৫
এই সময়ে বড়বাজারে জগদ্দুর্লভ সিংহের বাড়িটি তাঁদের ছাড়তে হয় বাড়ির মালিকের দোষেই। ঈশ্বরচন্দ্রকে পিতা-ভ্রাতাসহ বহুবাজারের পঞ্চাননতলায় আনন্দচন্দ্র সেনের বাড়িতে উঠে আসতে হয়। সেই বাড়িতেই অন্য ঘরে দেশের দু’জন মানুষও পড়া নিয়ে থাকতেন। ফলে ঈশ্বরচন্দ্রের একা মনে হতো না।
ধীরে ধীরে পড়াশোনার নির্দিষ্ট কাল সমাপ্ত হল। গভর্নমেন্ট সংস্কৃত কলেজের শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন ঈশ্বরচন্দ্র। কলেজ থেকেই তিনি সম্মানিত দেশপূজ্য ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি পেলেন। অধ্যাপকরা নিরতিশয় আনন্দিত। কেউ বললেন, ‘আমি ধন্য’, কেউবা বললেন, ‘আমার অধ্যাপনা সার্থক।’ অন্যজনের মন্তব্য ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই অসাধারণ শক্তির অধিকারী।’ প্রত্যেক অধ্যাপক আপন আপন পঠনীয় বিষয় সম্পর্কে আলাদা আলাদা প্রশংসাপত্র দিলেন। তারই সমাহার প্রদত্ত-উপাধির শংসাপত্রটি। এই শংসাপত্রে সম্পাদক হিসেবে সই করেছিলেন সম্পাদক রসময় দত্ত। স্বাক্ষরের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৮৪১ অন্যান্য অধ্যাপকদের স্বাক্ষরের পর। যে শংসাপত্রে ১৮৪১ সালের শেষে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদত্ত হয়েছিল— তা হুবহু উদ্ধার করছি:
অস্মাভিঃ শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরায় প্রশংসাপত্রং দীয়তে। অসৌ কলিকাতায়ং শ্রীযুতকোম্পানীসংস্থাপিতবিদ্যামন্দিরে দ্বাদশ বৎসরান্‌ পঞ্চমাসাংশ্চোপস্থায়াধোলিখিতশাস্ত্রাণ্যধীতবান্ ।
ব্যাকরণম্‌.... শ্রীগঙ্গাধর শর্ম্মভিঃ
কাব্যশাস্ত্রম্‌.... শ্রীজয়গোপাল শর্ম্মভিঃ
অলঙ্কারশাস্ত্রম্‌.... শ্রীপ্রেমচন্দ্র শর্ম্মভিঃ
বেদান্তশাস্ত্রম্‌.... শ্রীশম্ভুচন্দ্র শর্ম্মভিঃ
ন্যায়শাস্ত্রম্‌.... শ্রীজয়নারায়ণ শর্ম্মভিঃ
জ্যোতিশাস্ত্রম্‌.... শ্রীযোগধ্যান শর্ম্মভিঃ
ধর্ম্মশাস্ত্রক.... শ্রীশম্ভুচন্দ্র শর্ম্মভিঃ
সুশীলতয়োপস্থিতস্যৈতস্যৈতেষু শাস্ত্রেষু সমীচীনা ব্যুৎপত্তিরজনিষ্ট। ১৭৬৩ এতচ্ছকাব্দীয় সৌরমার্গশীর্ষম্‌ ঩বিংশতিদিবসীয়ম্‌।
(Sd) Rasamoy Dutta, Secretary.
10 Decr. 1841
ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় অতঃপর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামেই সুপরিচিত হতে থাকলেন— সংক্ষেপে বিদ্যাসাগর। আরও অনেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধিধারী হলেও ‘বিদ্যাসাগর’ বলতে সাধারণত ঈশ্বরচন্দ্রকেই বোঝা শুরু হল।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
02nd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বিতীয় কিস্তি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৩
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
গায়ক চারা
সসীমকুমার বাড়ৈ

—স্যার, ও এসেছে।
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।  বিশদ

23rd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- প্রথম কিস্তি।
বিশদ

16th  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১২
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

16th  February, 2020
একাকী ভোরের খোঁজে
কমলেশ রায়

দিন চলে যায় হিসেব মতন, ভোর-দুপুর-বিকেল। কেমন করে ভোর নামে আকাশের ঝাঁক তারা থেকে বা কোথাও অদৃশ্য জ্যোৎস্নায় উঁকিঝুঁকি দিয়ে বা ভোর বলে কিছু নেই। শুধুই দিন গুটোনো একটা অংশের নাম ভোর। গত চার-পাঁচ বছরে কিছুই জানে না দিব্যেন্দু। 
বিশদ

16th  February, 2020
 সোহিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

এমারজেন্সির ডিউটি ডক্টর ফোন করেছিল, ‘ম্যাম, একবার আসতে হবে।’ এই মুশকিল। ওপিডি করে ওয়ার্ডে রাউন্ডে যাওয়ার কথা। এইসময় আবার এমারজেন্সি? কনসাল্টেশন রুমের বাইরেই অভীক। পেশেন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা, সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী পেশেন্ট পাঠানো এসব ওর কাজ। অভীককে ডেকে নিল সোহিনী, ‘আর ক’জন আছে?’
বিশদ

09th  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১১
বারিদবরণ ঘোষ

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।
বিশদ

09th  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১১

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- শেষ কিস্তি।
বিশদ

09th  February, 2020
আজও তারা জ্বলে 

পর্ব-১০

এছাড়াও বেশ কিছু ছবি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতাছাড়া হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকটি মন্দ ভাগ্যের দরুন। যেমন— নীহাররঞ্জন গুপ্তর একটি গল্প নিয়ে ছবি করা তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল। কিরীটী রায়ের ভূমিকায় প্রদীপ কুমার, নায়িকা সুচিত্রা সেন। ভানুর এই ছবি করা হয়নি। 
বিশদ

02nd  February, 2020
নতুন মানুষ
বিভাসকুমার সরকার 

অনন্তরামের আজ বড় আনন্দ। কর্তামশাই আসছেন তার বাড়িতে। আবার একা নন, মেয়ে জামাই সুদ্ধ। সকাল থেকে তার ব্যস্ততার অন্ত নেই। এটা আনছে, ওটা সরাচ্ছে। তার সঙ্গে হাঁকডাক। পাড়ার লোকের চোখ ছানাবড়া। সাদাসিধা, শান্তশিষ্ট, লোকটার হল কী! 
বিশদ

02nd  February, 2020
 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- নবম কিস্তি। 
বিশদ

26th  January, 2020
 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

26th  January, 2020
দী পা ন্বি তা
বাণীব্রত চক্রবর্তী

পেছন থেকে কে যেন ডাকল। তার নাম ধরে নয়। সমরজিৎ স্পষ্ট শুনেছে, ‘মাস্টারমশাই! একটু থামবেন!’ অফিস থেকে ফিরছিল। বাস থেকে নেমে মিনিট দশেক হাঁটলে তাদের বাড়ি। চার মিনিট হাঁটার পর ডাকটা শুনতে পেয়েছিল। মাস্টারমশাই কেন! সে কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় নিউ ওয়েভ পাবলিশিংয়ে কাজ করে। রবিবার সন্ধেবেলায় ময়ূরাক্ষী পল্লিতে দীপান্বিতাকে পড়াতে যায়। 
বিশদ

26th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ থেকে শীঘ্রই হলুদ জ্বরের টিকা দেওয়া হবে। একদিকে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকা অন্যদিকে পাবলিক হেল্থ নার্সরা সময় মতো টিকাকরণ কেন্দ্রে আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।  ...

নয়াদিল্লি ও গোয়া, ২৩ ফেব্রুয়ারি: ফের দুর্ঘটনায় পড়ল মিগ যুদ্ধবিমান। গোয়ায় রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রশিক্ষণ চলাকালীন ভেঙে পড়ল ভারতীয় নৌসেনার একটি মিগ-২৯ কে বিমান। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের চালক নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...

নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়ার জেরে ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমতে পারে ২৫ শতাংশ। একাধিক সূত্র মারফৎ এ খবর জানা গিয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে প্রায় আড়াই ডলার কমতে পারে গ্যাসের দাম। ...

ওয়েলিংটন, ২৩ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার পরাজয়ের রক্তচক্ষু দেখছে ভারত। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে বেসিন রিজার্ভে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে কিউয়িদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জন্মদিন
১৯৫২ - ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। কয়েক দিন পরেই এটি পুলিস ধ্বংস করে দেয়।
১৯৫৫ – অ্যাপল সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের জন্ম
১৯৫৯ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির জন্মদিন
১৯৬৩ চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালির জন্মদিন
১৯৭২ অভিনেত্রী পূজা ভাটের জন্মদিন
১৯৮২ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ইমানুয়েল ভিলার জন্ম
১৯৮৩ দাবারু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন
১৯৯৩ - ইংরেজ ফুটবলার ববি মুরের মৃত্যু
১৯৯৮ অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের মৃত্যুদিন
২০১১ কমিক্স বইয়ের জনক অনন্ত পাইয়ের মৃত্যুদিন
২০১৮-দুবাইয়ের হোটেলে মৃত্যু অভিনেত্রী শ্রীদেবীর



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.৩০ টাকা
ইউরো ৭৬.০৫ টাকা ৭৯.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ৪২/৫২ রাত্রি ১১/১৫। শতভিষা ২৫/৩৫ অপঃ ৪/২১। সূ উ ৬/৬/৩৯, অ ৫/৩৩/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ১০/৪২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪২ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। 
১১ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, প্রতিপদ ৩৯/১১/১ রাত্রি ৯/৫০/৮। শতভিষা ২৩/১০/৫০ দিবা ৩/২৬/৪। সূ উ ৬/৯/৪৪, অ ৫/৩২/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ১০/৩৫ গতে ১২/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৫/৫ গতে ৯/০/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/২৯ গতে ১১/৫১/৮ মধ্যে। 
 ২৯ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। বৃষ: বাড়তি বিনিয়োগ না করাই ভালো। মিথুন: কর্মসূত্রে দূরযাত্রার সুযোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪৮ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জন্মদিন১৯৫২ - ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ...বিশদ

07:03:20 PM

তাজমহলে পৌঁছলেন সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প 

05:10:56 PM

সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে রণক্ষেত্র দিল্লির জাফরাবাদ, গোলাগুলিতে নিহত এক পুলিস কর্মী 

04:43:21 PM

আগ্রার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 

04:29:00 PM

আমেদাবাদ থেকে আগ্রার উদ্দেশে রওনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

03:32:00 PM