Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

নতুন মানুষ
বিভাসকুমার সরকার 

অনন্তরামের আজ বড় আনন্দ। কর্তামশাই আসছেন তার বাড়িতে। আবার একা নন, মেয়ে জামাই সুদ্ধ। সকাল থেকে তার ব্যস্ততার অন্ত নেই। এটা আনছে, ওটা সরাচ্ছে। তার সঙ্গে হাঁকডাক। পাড়ার লোকের চোখ ছানাবড়া। সাদাসিধা, শান্তশিষ্ট, লোকটার হল কী!
কথায় আছে না, কার কপালে কোথাকার অন্ন লেখা আছে, কেউ বলতে পারে না। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের কাছে ছোট একটি গ্রাম রুদড়ায় যার জীবনের তিনকাল কেটেছে, সেই অনন্তরাম না হলে হুগলির চুঁচড়োর—অভয়ানন্দবাবুর বাড়ি চাকরিতে বহাল হয় কী করে! কী করে চাকরিটা হল সে রীতিমতো এক ইতিহাস। বর্তমানের সত্যটা হল, অনন্ত বিপত্নীক অভয়ানন্দবাবুর বাড়ির রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘরদোর পরিষ্কার, বাজার-হাট—এককথায় জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই করে। তবে, শর্ত হল, বছরে একটিবার দিন সাতেকের জন্য ছুটি দিতে হবে সেই কটা দিন ও দেশের বাড়িতে গিয়ে থাকবে। কিন্তু সমস্যা হল অভয়ানন্দবাবুকে নিয়ে—যিনি কিনা এক গ্লাস জলও নিজে গড়িয়ে খেতে পারেন না! ওই সাত দিন তাঁর কী হবে? অনেক ভাবনা-চিন্তার পর একটা সমাধান সূত্র পাওয়া গেল। অভয়বাবুর মেয়েজামাই থাকে বাঁকুড়া শহরে। ওই সাত দিন মেয়ের বাড়িতে কাটাবেন তিনি। সাত দিন পরে অনন্তকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
তা এবার অনন্ত গোঁ ধরেছে, বাবুদের সবাইকে তার গাঁয়ে যেতে হবে। গাঁয়ে গিয়ে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। আসলে শহরে বাবুদের বাড়িতে তার দাম যে কতখানি গাঁয়ের লোককে তাই সে দেখাতে চায়। কাজের লোকের গুরুতর সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অগত্যা তাই অনন্তরামের কথাই রইল। অভয়ানন্দ সপরিবারে এলেন অনন্তরামের ডেরায়।

দুই
রুদড়া গ্রামটি ছোট। রাস্তা-ঘাটে এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন লাগেনি। সংকীর্ণ রাস্তাগুলি জলকাদায় মাখামাখি। কী ভাগ্যি মূল রাস্তাটা কিছুদিন আগে বাঁধানো হয়েছে। নইলে গাড়িতে যাওয়াই মুশকিল হতো। বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়াতেই বেরিয়ে এল অনন্ত—যাকে বলে একেবারে বিগলিত করুণা! অভয়ানন্দের দুটি হাত ধরে বলল—‘আসুন বাবু আসুন।’ তারপর উঠোনে পাতা খাটিয়া দেখিয়ে বলল—‘বসুন আজ্ঞা দয়া করে।’ মেয়ে-জামাইকে এবার আপ্যায়নের পালা। বাড়িতে বউ-ঝি, বাচ্চাকাচ্চা যত ছিল—তারা, প্রতিবেশীরা, অনন্তর ভাই, দাদা, পিসিমা, মাসিমা, ওদের পুত্রকন্যারা—সবাই ততক্ষণে গুটি গুটি এসে সার বেঁধে দাঁড়িয়েছে উঠোনে। কোনও মন্ত্রী, নেতা বা অভিনেতাকে দেখলে জনগণের যে অবস্থা হয়, এদেরও যেন সেই অবস্থা অভয়ানন্দের মনে হতে লাগল—এবার বুঝি খাতা বাড়িয়ে ওরা অটোগ্রাফ চেয়ে বসবে!
ছেলে বিশুর দেখা মিলতেই অনন্ত চোখের ইশারা করে—‘যা কেনে, ওগুলো নিয়ে আয়।’ বিশু যেন তৈরিই ছিল। গোটা দুই-তিন ওরই বয়সি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে তখনি বের হয়ে আসে। কারও হাতে মিষ্টির প্লেট, কারও হাতে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল, গ্লাস। ওরা অতিথিদের সামনে এসে দাঁড়ায়। আর অনন্ত হাত কচলাতে কচলাতে বলে, ‘নেন সকলে এট্টু মিষ্টিজল সেবা করি নেন। কখন বের হইচেন বাড়ি থিকা!’
—এসব কী কাণ্ড করেছ অনন্ত! অভয়ানন্দ প্রায় আর্তনাদ করে ওঠেন।
—আর সময় নষ্ট কোরো না অনন্তদা। ব্যাগ গুছিয়ে চটপট রেডি হয়ে নাও। জামাই বাবাজীবন ফতোয়া জারি করে।
—এ আর এমনকী বাবু! আমাদের প্লেন (প্ল্যান) ছিল, আপুনিদের দুটো মাংস ভাত সেবা করাই। তা হলনি যখুন...
অনন্তর কথার ধরনে হাসি পেয়ে যায় সবার। দিদিমণি অর্থাৎ অভয়ানন্দের মেয়ে কোনওরকমে সামাল দেয়—হবে হবে। আমরা তো আসব আবার। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অনন্তর শিশুকন্যার গাল টিপে দেয় ও। পঞ্চাশের ওপর বয়স অনন্তর। অথচ তার শিশুকন্যার বয়স চার কি বড় জোর সাড়ে চার। জামাই বাবাজীবনের কথায়— ‘ব্যাপারটা রীতিমতো থ্রিলিং।’

তিন
ফেরার সময় সকলের মেজাজ বেশ হালকা। অভয়ানন্দবাবুর মনের কোণে একটা আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধে ছিল অনন্তরাম হয়তো আর ফিরবে না! এখন সেই অনন্তকে বগলদাবা করতে পেরে তাঁর মন এখন ফুরফুরে। সেই ফুরফুরে ভাব সকলের মধ্যে সঞ্চারিত। মেয়ে দীপান্বিতা বলে উঠল—মুকুটমণিপুরের ড্যামে অনেকদিন আসা হয়নি। একটু গাড়ি দাঁড় করাও। আমরা ঘুরব এটা-সেটা খাব।
জামাই দীপ্তিমান গাড়ি দাঁড় করিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় খানিকটা। তারপর শ্বশুরকে আড়াল করে সিগারেটে টান দেয়। একটা হিসেব কিছুতেই মেলানো যায় না। চুঁচড়োর বাড়িতে যে অনন্তরামকে প্রতি মুহূর্তে সাংঘাতিক বলে মনে হয়, এখানে তারই এমন ভিন্নমূর্তি হয় কী করে! সঞ্জীবচন্দ্রের সেই অমোঘবাণী—‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’—এ কি তারই ভিন্নতর প্রতিফলন?

চার
অবশেষে অভয়ানন্দ ফিরে এলেন চুঁচড়োয় নিজের বাড়িতে। সঙ্গে যথারীতি অনন্তরাম। সকালে বারান্দায় অভয়বাবুর কাগজ হাতে আবার একা একা বসে থাকা, আবার সেই হাঁক পাড়া—‘কই অনন্ত চা হল?’ ‘এজ্ঞে যাই বাবু’ বলে অনন্তর চায়ের কাপ হাতে হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসা। সবই ঠিকঠাক আগের মতো! এরই মধ্যে এক সন্ধ্যায় টিভি দেখার সময় বাবুর পায়ের কাছে বসে অনন্ত হাত কচলাতে থাকে—বাবু একটা কথা ছেল। যদি ‘অ্যাডমিশান’ দেন তো বলি।
অভয়ানন্দ তো হেসে খুন—‘অ্যাডমিশন’ নয় হে, বলো পারমিশন।
—ওই হল, আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ। আমার কি আংজিরি’র কিছু ঠিক আছে?
—ওটা আংজিরি নয়, ইংরেজি তা বলো কী বলবে?
—ব্যাপার হল কী!—আবার ঢোক গেলে অনন্তরাম।—ওই যে মোড়ের মাথায় খাণ্ডেলওলা না কে আছে যা দিগের বড় মিষ্টির দোকান গো—তেনারা একটা আইসকিরিমের দোকান দিবেক, লোক চাই। বলি কি আমার ছা টাকে দেশ থিক্যা আনে দুব। নেকাপড়া করলনি, গাঁয়ে বসে যত বদ নেশা-জুয়া খেলা! তা এখানকে এলে মনটা যদি এট্টুখানি ফেরেক। তা বাবু, আপনে যদি ‘অ্যাডমিশান’ দেন!
অভয়ানন্দ হাঁ হাঁ করে আবার ওর ইংরেজির ভুল সংশোধন করতে যান। পরক্ষণেই মনে হয়—কী হবে ওসব কথা বলে! ওর ভুল কি আর জীবনে সংশোধন হবে! কিন্তু প্রশ্ন হল অনন্তরাম ওর ছেলেকে দেশ গাঁ থেকে আনবে, এতে তাঁর ‘পারমিশন’ দেওয়ার কী আছে?
অনন্তরামের অদ্ভুত যুক্তি—চুঁচড়ো তো আপুনকারই দ্যাশ গো, আপুনি ছি চরণে ঠাঁই না দেলে কি আসতি পারতাম কুনদিন এখান কে? তা ছা টাকে যে আনবু—আপুনি এট্টু বলি না দেলে কি হয়!
অনন্তরামের দিকে ভালো করে তাকান অভয়ানন্দ। কয়েকদিন আগের কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। কোষ্ঠকাঠিন্যে খুব ভুগছিলেন। ডাক্তারকে বলতে সে জোলাপ জাতীয় কী একটা ওষুধ দিয়েছিল। তা খেয়েই একেবারে চিৎপটাং! কিছুতেই সামলাতে পারছিলেন না। বিছানা, কাপড়চোপড় নোংরা করে ফেলছিলেন যখন তখন!
তখন অনন্তরামের সে কী তেজ!—‘আমার কি এসব পস্কার করার কথা? পারবনি, লোক দেখে নাও তোমরা।’ এসব শুনে রীতিমতো কান্না পেয়ে যেত অভয়ানন্দের। মনে হতো কেন বেঁচে আছেন? এত হেনস্তার পর বেঁচে থাকার কোনও মানে হয়? একরকম হাতেপায়ে ধরেই সেইবার অনন্তকে সামলাতে হয়েছিল।
অনেক কিছু কবুল করতে হয়েছিল। মেঝেতে শুতে কষ্ট হয় অনন্তর তাই চৌকির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশের পানের দোকানে শোনা গেছে এফএম রেডিওয় ভালো ভালো গান দেয়। অতএব ওকেও একটি এফএম রেডিও কিনে দিতে হবে ইত্যাদি।
অনন্তরামের আর এক কীর্তির কথা মনে পড়ে যায় অভয়ানন্দের। অনন্তরাম তাঁর কাছে আছে, কম দিন তো হল না! মেয়ে দীপান্বিতার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে তখন। অনেক ভাবনা-চিন্তা উদ্বেগ-উত্তেজনার শেষে ভাবছেন, দুদিন একটু হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেবেন!
হঠাৎ এক সকালে অনন্তরাম এক ভদ্রলোককে সঙ্গে করে বাড়িতে এনে হাজির। অভয়বাবু তাঁকে চেনেন না, কোনওদিন দেখেছেন বলেও মনে পড়ে না। ওর সামনেই অনন্তকে জিজ্ঞেস করেন ভদ্রলোক কে? উত্তরে কিছুই বলে না অনন্ত। শুধু হাত কচলাতে থাকে, আর বলে—‘আপুনিই শুনুন না, বাবু কি বলতেছেন!’
অগত্যা শুনতে হয় অভয়ানন্দকে। কী ব্যাপার? না, তিনি তো এখন বাড়িতে একাই থাকেন। একমাত্র মেয়ে ছিল, তার তো বিয়ে থা হয়ে গেল। ছেলেও অনেক দূরে থাকে। কাজেই ভদ্রলোকের প্রস্তাব—অতবড় বাড়ি নিয়ে একা একা না থেকে তা বিক্রি করে দিন। উনিই বাড়িটি কিনে নেবেন। তারপর বাড়ি ভেঙে ওই জমিতে উনি ফ্ল্যাট তৈরি করবেন। অভয়ানন্দ ফ্ল্যাট, নগদ টাকা—সবই পাবেন।
অভয়ানন্দর বুঝতে তখন আর বাকি থাকে না যে, ভদ্রলোক একজন প্রোমোটার। ঝোপ বুঝে কোপ মারতে এসেছেন। আর এর মূলে আছে তারই ‘বিশ্বস্ত সঙ্গী’ অনন্তরাম! ভদ্রলোক আগেভাগে ওকেই হাত করে নিয়েছেন। বাড়ির সব খবরাখবর ওর মারফত-ই জেনেছেন!
ভদ্রতা বজায় রেখে অভয়ানন্দ আগে ভদ্রলোককে কোনওরকমে বিদায় করেছেন। তারপর পড়েছেন অনন্তরামকে নিয়ে—‘তোমাকে এসব কে করতে বলেছে অনন্ত? আমি কি তোমাকে কোনও দিন কিছু বলেছি?’ কী উত্তর দেবে অনন্ত? শুধু হাত কচলাতে থাকে, আর দাঁত বের করে হাসে। ধরা পড়ে গিয়ে কত যেন লজ্জা!
সেই অনন্তরাম আর এই নিভৃত সন্ধ্যায় হাত জোড় করে বসে থাকা অনন্তরামকে কিছুতেই যেন মেলাতে পারেন না অভয়ানন্দ! দেশের বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর সেই অনন্তরামের আজ এ কী পরিবর্তন! অভয়ানন্দের মনে হয়, সেই পুরনো অনন্ত নয়, এ এক নতুন মানুষ বসে আছে তাঁর কাছে।—নিভৃত সন্ধ্যায় যে নিজেকে উজাড় করে দিতে চায়। বউ, ছেলে মেয়ে, নিজের দেশ গাঁ ছেড়ে এই বিদেশে-বিভুঁয়ে ওর একেবারেই মন টেকে না। কিন্তু কী করবে? পেটের জন্যে দুটো পয়সার জন্যে সবই করতে হয়। সবাইকে ছেড়ে একা থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে যেন মাথায় আগুন ধরে যায়। আর তখনই সব উল্টোপাল্টা কাণ্ড করে বসে! নইলে মানুষটা সে তো খারাপ নয়!
একসময় হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে অভয়ানন্দের দুই পা চেপে ধরে অনন্ত—‘আমাকে সাজা দেন গো বাবুমশাই, সাজা দেন। আমি পাপ কম্ম করেছি, আপুনকার কাছে অনেক পাপ কম্ম করেছি।’
—আরে করছ কী তুমি অনন্ত! ওঠো ওঠো।-দু’হাত ধরে ওকে তুলে ধরেন অভয়ানন্দ। এতদিন শুধু নিজের কথাই ভেবেছেন। পান থেকে চুন খসলে চেঁচামেচি করে হইহই করে উঠেছেন। কিন্তু ওর কথা তো কোনওদিন ভাবেননি! এক নতুন মানুষের সন্ধান পেয়ে মনে মনে অবাক হয়ে যান অভয়বাবু। চোখের দুই কোণ কী জানি কেন চিকচিক করতে থাকে তাঁর। 
02nd  February, 2020
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM