Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- সপ্তম কিস্তি।

পর্ব-৭

তবে উত্তমকুমার নয়, ভানুর অভিনয় জীবনের মেন্টর বা সবচেয়ে বড় আইকন ছিলেন ছবি বিশ্বাস। গৌতমবাবু বলছিলেন, ‘অবশ্য সেইসময় শুধু বাবা নয়, তখনকার সমস্ত অভিনেতারই গুরুস্থানীয় ছিলেন ছবি বিশ্বাস।’ ‘স্ত্রী’ ছবিতে উত্তমকুমারের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মেলোড্রামাটিক সিন ছিল। সেই দৃশ্যটার রিহার্সাল থেকে টেক পর্যন্ত ভানু হাঁ করে উত্তমকুমারের দিকে তাকিয়ে রইলেন। উত্তমকুমার সেটা ভালোই বুঝেছিলেন, কিন্তু মুখে কিছু বলেননি। শটটা ফাইনালি টেক করার পর উত্তমকুমার ভানুকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কী ভানুদা, হাঁ করে আছিস কেন?’
ভানু চুপ। কোনও কথা না বলে একবার ঢোঁক গিলে আবার ‘হাঁ’ করে উত্তমকুমারের দিকেই তাকিয়ে রইলেন।
উত্তমকুমার তখন হেসে বলেন, ‘আসলে কী জানিস ভানুদা, ভালো অভিনয় এক রকমই হয়। ছবিদার প্রভাব এসে পড়বেই।’ ভানু তখন হেসে বলেন, ‘তাই বলো।’
ছবি বিশ্বাসও ভানুকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন। গৌতমবাবুই বলছিলেন,‘ছবি জ্যাঠামশাইয়ের শেষ ১০-১১ বছর ফিল্ম লাইনে একমাত্র নৃপতি চট্টোপাধ্যায় ছাড়া বাবার মতো আপনার কেউ ছিল না। অথচ বাবার মুখেই শুনেছি ছবি জ্যাঠামশাইয়ের সঙ্গে বাবার আলাপ অত সহজে হয়নি।’ কী রকম? তখন ১৯৪৭-’৪৮ সাল। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়দের একটা দল ছিল সেই সময়, যাঁরা ছোটখাট পার্টের জন্য স্টুডিওপাড়ায় পরিচালকদের পাশে ঘুরঘুর করতেন। প্রদীপকুমার, দেবী মুখোপাধ্যায়ের ভাই গৌতম মুখোপাধ্যায়, দুলাল গুহ, জহর রায়ও সেই দলে ছিলেন। ‘অভিযোগ’ ছবির শ্যুটিং চলছে। ভানুর খুব ইচ্ছে একবার ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ করবেন। কিন্তু ছবি বিশ্বাস পাত্তা দিচ্ছিলেন না।
গৌতমবাবু বলছিলেন,‘আসলে ছবি জ্যাঠামশাই ভেবেছিলেন ফিল্মে চান্স পাওয়ার জন্য বাবা বুঝি জেঠুকে তোষামোদ করবেন। এদিকে বাবাও জেঠুর ওইরকম ব্যক্তিত্ব দেখে কাছে ঘেঁষতে সাহস পেত না।’
এরপর ধীরে ধীরে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটু নাম হল। টাইটেলে, বুকলেটে তাঁর নাম বেরতে শুরু করল। ‘মানদণ্ড’ ছবির শ্যুটিং শুরু হল। তখনই ছবি বিশ্বাস ‘নতুন ইহুদী’ নাটকে ভানুকে দেখেন। পরের দিনই ভানুকে ডেকে খুব প্রশংসা করেন। এরপর থেকে বলতে গেলে ভানুর অভিভাবকের মতো হয়ে যান ছবি বিশ্বাস। পিতৃবিয়োগের সময় ভানুকে অর্থসাহায্য থেকে ভানু যখন ‘কাঞ্চনমূল্য’ ছবি প্রযোজনা করেন, তখনও নামমাত্র পারিশ্রমিকে অভিনয় করে দিয়েছিলেন তিনি। আর সে কী উৎসাহ! দুপুর দুটোয় শ্যুট। সেটে চলে আসতেন প্রায় ঘণ্টা দুই আগে। প্যাক আপের পরেও আড্ডা দিতেন। এমনকী কাজ না থাকলেও সেটে চলে আসতেন। ভানুর সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বজায় ছিল।
একবার পরিচালক অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায় ‘রূপান্তর’ ফিল্মের সেটে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে উচ্চারণ নিয়ে খুব বকাবকি করলেন।
—‘তোমার জিভের আড়ই ভাঙেনি, তুমি অ্যাক্টিং করতে এসেছ।’
যদিও আর কোনও পরিচালক কখনও ভানুর উচ্চারণ নিয়ে অভিযোগ করেননি। এরপর ভানু নিজেই যেচে ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে কথাচ্ছলে উচ্চারণে যদি কিছু ভুল থাকত সেটা ঠিক করে নিতেন।
এরপর ভানুর আর একটু নাম হওয়ার পর সেই অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়ই ‘কপালকুণ্ডলা’ ছবিতে ভানুকে সাইন করাতে আসেন।
ভানু তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বলেন,‘শ্যুটিং-এর আগে কয়েকদিন রিহার্সাল করে নেবেন।’ অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ‘তার কী দরকার! রিহার্সাল করে চুক্তি করার দরকার নেই।’
ভানু তখন বলেন, ‘তা কী করে হয়। একটু উচ্চারণটা দেখে নেবেন না।’ জহর গঙ্গোপাধ্যায়ও মাঝে মাঝে ভানুকে উচ্চারণ এবং ইস্টবেঙ্গল নিয়ে খ্যাপাতেন। গৌতমবাবু হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘এরপর এমন হল ভুল উচ্চারণ শুনলেই বাবা খেপে যেতেন এবং শুধরে দিতেন। বাবা বলতেন বেশিরভাগ বাঙালিরই (ঘটিই হোক কী বাঙাল) স, শ, র আর চন্দ্রবিন্দু’র উচ্চারণ ঠিক নেই। আমার জীবনে দেখেছি বাবা নানা জায়গায় অন্তত একশো লোককে বজ্র (বেশিরভাগ লোক বজরো উচ্চারণ করেন) শব্দের উচ্চারণ ঠিক করে দিয়েছেন।’
এই উচ্চারণ নিয়ে ভানুর পিছনে লাগতেন ছবি বিশ্বাসও। ইস্টবেঙ্গল হারলে বলতেন, ‘আজ ভানুকে ছুটি দিয়ে দাও। বাঙালের পো’র মন খারাপ।’ আবার মোহনবাগান হারলে ভানু পাল্টা বলতেন, ‘ছবিদা হাতের গন্ধ শুকুন। ১৯১১-য় যে ঘি খেয়েছিলেন তার গন্ধ এখনও আছে কিনা দেখুন।’
এমনই সুন্দর সম্পর্ক ছিল। ছবি বিশ্বাস ‘কাঞ্চনমূল্য’ ছবির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েও আলোচনা করতেন ভানুর সঙ্গে। গৌতমবাবু বলছিলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় আর্টিস্ট নির্বাচন নিয়ে বাবার গোঁ ছিল। ছবি জ্যাঠামশাই সেখানে বেশি কথা বলতেন না। কেবল বলতেন ভেবেচিন্তে কাজ করো, ডিস্ট্রিবিউটর টাকা দেবে, তার সঙ্গে বিশেষ ঝগড়া করো না।’
একটা হাসির তরজা গানের দৃশ্য ছিল। ডিস্ট্রিবিউটর চেয়েছিলেন মিন্টু দাশগুপ্তকে। কিন্তু ভানু গোঁ ধরেন, ওই রোলে তুলসী চক্রবর্তীকেই চাই। শেষপর্যন্ত তাঁর কথাই থাকল। অভিনেত্রী নির্বাচন নিয়েও প্রচণ্ড ঝগড়া হয়েছিল। প্রায় ১ বছর শ্যুটিং বন্ধ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভানুর পছন্দের অভিনেত্রীকেই নিতে হয়েছিল।
‘কাবুলিওয়ালা’ ছবি বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হল। ছবি বিশ্বাস বার্লিন গেলেন। ভানুর সে কী আনন্দ! ভেবেছিলেন, নির্ঘাৎ ছবি বিশ্বাসই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পাবেন। তাঁকে দমদম বিমানবন্দরে গিয়ে সি-অফ করেও এসেছিলেন। ছবি বিশ্বাস বার্লিন থেকে ফিরলে টানা এক মাস লাগাতার বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে আড্ডা চলত। ছবি বিশ্বাস যেদিন জাগুলিয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন, সেদিন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়েরও যাওয়ার কথা ছিল। কথা ছিল, বসুশ্রীর সুবোধ মুখোপাধ্যায় গাড়ি চালাবেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রী ও এক নাতি যাবেন। কিন্তু হঠাৎই রেডিও নাটক পড়ে যাওয়াতে শেষপর্যন্ত আর যেতে পারেননি ভানু। তিনি না যাওয়াতে সুবোধ মুখোপাধ্যায়ও যাননি। সেই আফশোস ভানু বয়ে বেড়িয়েছেন আজীবন। কেবলই তাঁর মনে হতো, যদি সঙ্গে থাকতেন তাহলে কিছুতেই দুর্ঘটনা হতো না।
ছবি বিশ্বাসের প্রয়াণ ভানুর মাথার ওপর থেকে যেন ছাদ সরিয়ে নিয়েছিল। বহুদিন পর্যন্ত কাজকর্মে মন বসাতে পারেননি তিনি।
(ক্রমশ)
 ‘লাখ টাকা’ ছবির একটি দৃশ্যে ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুচিত্রণ:ভাস্কর মুখোপাধ্যায় 
12th  January, 2020
 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- অষ্টম কিস্তি।
বিশদ

 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

নজরদার
সঞ্জয় রায়

—‘হ্যাঁ গো চাঁপার মা, এই তো সেদিনই তেল আনালাম। এর মধ্যেই শেষ?’
—‘ও মা অত্তগুলো নোকের রান্না, তা তেল লাগবে নাকো।’ 
বিশদ

অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

বিদ্যাসাগর মশায় কলকাতায় এলেন। বাবা ঠাকুরদাস বুঝতে পেরেছিলেন গাঁয়ের টোলে পড়িয়ে ছেলের কোনও ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। কলকাতার একটা ছাপের দরকার। সব দেশেই সব সমাজে পরামর্শদাতার অভাব হয় না। এমন করে তাঁরা কথা বলেন যে, সেই বিষয়ে তাঁর চেয়ে দিগ্‌গজ পণ্ডিত আর নেই।  
বিশদ

12th  January, 2020
হেঁড়ল
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

ধর! ধর! ধর!ছাগল নিয়েছে রে! হেঁড়লে ছাগল নিয়েছে!
সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া করে সারাদিন খেতে-খামারে খেটে আসা ক্লান্ত মানুষগুলো শুয়েছে, ঠিক তখনই বাগদিপাড়া থেকে সমস্বরে হইচই করে মাঠে নেমে এল কয়েকজন। হাতে টর্চ, লাঠি, কেউবা খালি হাতেই বেরিয়ে এসে ইঁটের টুকরো, শুকনো ঢিল তুলে নিয়েছে হাতে।  
বিশদ

12th  January, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ষষ্ঠ কিস্তি।

 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

জগতে কোন মা কবে ছেলের কাছে এমনধারা গয়না চেয়েছিলেন— আমাদের জানা নেই। এই গয়না চুরি হয় না, এই গয়না সবাই মিলে ভাগ করে নিতে পারে, এই গয়না কারও একার হয় না— দেশের সম্পদ হয়। 
বিশদ

05th  January, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম কিস্তি। 
বিশদ

29th  December, 2019
অথৈ সাগর 

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

29th  December, 2019
হিসেব-নিকেশ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় 

অটোরিকশর পিছনের সিটে, দু’জনের মাঝখানে বসে, প্যাচপ্যাচে গরমে ঘেমেনেয়ে একেবারে কাহিল অবস্থা হচ্ছে বিমলবাবুর। অতি কষ্টে প্যান্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে, মুখের ওপর জমে থাকা ঘামের বিন্দুগুলি মুছে নিয়ে, বিমলবাবু আবার একবার হাতঘড়ির দিকে দেখলেন।  বিশদ

29th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
ডাকনাম ফড়িং
স্বপন পাল

অখিলেশের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়া প্রায় চার বছর হয়ে গেল। তার এই অবসর জীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, অবসর সময় কাটানো নিয়ে সময় খুঁজে বের করা। বই বা খবরের কাগজ পড়ে কতটাই বা সময় কাটানো যায়। টিভি অখিলেশ খুব একটা দেখে না। চোখের ওপর চাপ পড়ে। গেল মাসে ডান চোখটায় ছানি অপারেশন হয়েছে। 
বিশদ

22nd  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

15th  December, 2019
একনজরে
বিএনএ, বারাকপুর: আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভাটপাড়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তিন কাউন্সিলার ওই সভা ডেকেছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে কে বসতে চলেছেন, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনও মেলেনি।  ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: কমল গুহর ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার থেকে দিনহাটায় দু’দিনব্যাপী স্বাস্থ্যমেলা শুরু হল। দিনহাটা সংহতি ময়দানে দুঃস্থ মহিলা ও শিশুকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যমেলা শেষ হবে আজ, রবিবার।  ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে বিয়ের আট মাসের মাথায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর মৃত যুবকের নাম রাজীব মণ্ডল(২৫)। মাস আটেক আগে মুর্শিদাবাদের প্রথমকান্দি গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারের কাছ থেকে ধান নিয়ে ভানিয়ে চাল না দেওয়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাইস মিলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। কয়েকজন রাইস মিল মালিক এই অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অভিযুক্ত রাইস মিলগুলিকে ফৌজদারি মামলা থেকে বেরিয়ে আসার শেষ সুযোগ দিচ্ছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু

18th  January, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দশমী ৫১/১১ রাত্রি ২/৫২। বিশাখা ৪৩/১৫ রাত্রি ১১/৪১। সূ উ ৬/২৩/১, অ ৫/১১/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩৬ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, নবমী ১/২৯/১৮ প্রাতঃ ৭/১/৩৬ পরে দশমী ৫৭/৪/৫ শেষরাত্রি ৫/১৫/৩১। বিশাখা ৪৯/৫১/৯ রাত্রি ২/২২/২১। সূ উ ৬/২৫/৫৩, অ ৫/১০/৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৭/৫৮ গতে ১/৮/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২৭ গতে ৩/৬/৫৫ মধ্যে। 
মোসলেম: ২৩ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: আয় বাড়বে। বৃষ: কর্মরতদের জন্য সুখবর। মিথুন: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৩৬: স্টিম ইঞ্জিনের জনক জেমস ওয়াটের জন্ম১৮৮৩: প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি ...বিশদ

07:03:20 PM

ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল

09:12:25 PM

ভারত ২৩৫/২ (৪২ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

08:40:48 PM

ভারত ১৩৮/১ (২৭ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

07:39:39 PM

কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহন বাগান 

07:36:41 PM