Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম কিস্তি।
পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হল। ভানু রাজি হলেন। তখন রাম চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘ইচ্ছে করলে কিন্তু আমি তোমাকে তুলে নিয়ে যেতে পারতাম।’ কথাটা কানে যেতেই ভানু ফের স্বমূর্তিতে। বললেন, ‘অতই সহজ। আমারে পাইতা কই। একছুটে আমি ছাদে গিয়া উঠতাম। রাম চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘তাহলেই রেহাই পেতে ভেবেছ।’ ভানু সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘পাইতাম, পাইতাম। তোমার মাথায় তো আর মাসল নাই। উপর থিকা একখান আধলা ইট ঝাড়তাম তোমার মাথায়, তখন যাইতা কই।’ একথা শুনে রাম চট্টোপাধ্যায় আর না হেসে পারেন!
আর একবার কালীঘাটের নেলো মস্তান এসে ভানুকে বলল, ‘তোমাকে যেতেই হবে, মনে রেখো আমি কালীঘাটের নেলো।’ ভানু বললেন, ‘কিছুতেই যামু না, তুমিও মনে রাইখ আমি ঢাকার ভুলো।’ একবার এক ভদ্রলোক এসে বিনা পয়সায় ফাংশন করার জন্য আস্তিন গুটিয়ে বললে, ‘আমি নর্থ ক্যালকাটার ছানা।’ ভানুও চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমি সাউথ ক্যালকাটার মাখন।’ আসলে ভয়ডর বলে সত্যিই কিছু ছিল না তাঁর। অথচ কেউ যদি এসে বলত, ‘খুব বিপদ, দয়া করে উদ্ধার করে দিন’ তাহলে আনন্দ সহকারে কাজ করে দিতেন।
তবে ছোট থেকেই সাহসী বোহেমিয়ান টাইপ লোকেরা ছিল তাঁর বিশেষ পছন্দের। কার থেকে পেয়েছিলেন এসব! অভিনয়টা ছিল তাঁর রক্তে। বাবা জিতেন্দ্রনাথ ছিলেন ঢাকার নবাব এস্টেটের মোক্তার। মা সুনীতিদেবী, সরকারি শিক্ষা বিভাগের চাকুরে। সরোজিনী নাইডুর আত্মীয়া। এঁদেরই পুত্র সাম্যময়। ডাকনাম ভানু। ‘তবে ডাকাবুকো স্বভাবটা বোধহয় ঠাকুমার থেকেই পেয়েছিল বাবা’, বলছিলেন ভানু-পুত্র গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসলে সুনীতিদেবী ছিলেন সেইসময় বেঙ্গল বোর্ডের প্রথম ভারতীয় ইনস্পেক্টর অব স্কুলস। একবার যাচ্ছিলেন দার্জিলিং। তাড়াহুড়োয় উনি ইংলিশ লেডিদের কামরায় উঠে পড়েন। এক মেমসাহেব তখনই তাঁকে নেমে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। তখন উনি হাতজোড় করে বলেন, ‘তাড়াতাড়িতে উঠে পড়েছি। পরের স্টেশনেই নেমে যাব।’ মেমসাহেব তো কোনও কথা শুনতে নারাজ। জোর করে তাঁর বাক্স-প্যাঁটরা চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল। ব্যস, আর যায় কোথায়। চুলের মুঠি ধরে সেই মেমসাহেবকে উত্তম মধ্যম দেন। মারের চোটে মেমসাহেব অজ্ঞান। ট্রেনের গার্ড সুনীতিদেবীকে অ্যারেস্ট করবেই। শেষে তাঁর জাঠতুতো ভাই ও জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আইসিএস পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় ত্রাতা হয়ে দেখা দেন। ১৯০৫ সালের সেই ঘটনা তখনকার দিনে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর খুবই প্রিয়পাত্র ছিলেন ভানু। পুরো ঢাকা ইউনিভার্সিটি তাঁকে ‘স্যার’ বলতেন। শুধু ভানুর কাছে তিনি ছিলেন ‘সত্যেনদা’। ১৯৪১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ওঁর জন্মদিন প্রথম উদযাপন করেছিলেন ভানুই। তা এই সত্যেন বসুর সঙ্গেও ভানুর আলাপের সূত্রপাত এইরকমই একরোখা স্বভাবের কারণে। কলেজের হোস্টেলে সরস্বতী পুজো। সেখানে ভানুও নিমন্ত্রিত। খুব ঘটা করে পুজো, এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। কোথা থেকে একজন পঙ্গু মুসলমান ভিখারি কাঁদো কাঁদো মুখে দু’মুঠো খাবার চাইতে এলেন। একদল ছাত্র তাঁকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যাপারটা চোখ এড়াল না ভানুর। একটু পরেই আমোদ-আহ্লাদ তুঙ্গে উঠল। খাবার নিয়ে ছোঁড়াছুঁড়িও শুরু হল। আর থাকতে না পেরে সোজা রান্নাঘরে গিয়ে টান মেরে সব খাবার মাটিতে ফেলে দিলেন। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘আমিও খামু না, কাউরে খাইতেও দিমু না।’
বাধা দিতে এল কয়েকজন। কয়েকটাকে বেধড়ক ঠ্যাঙালেন। বাকিরা এগনোর সাহস পেল না। কিন্তু ঘটনার জল বহুদূর গড়াল। প্রায় সবাই ভানু ওরফে সাম্যময়ের বিরুদ্ধে। তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অধ্যাপক সত্যেন বসু। সেই শুরু। তারপর থেকে ছাত্র ভানুর ঢাকাই কুট্টিদের নকশায় মজে গিয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীও। একবার এক যাত্রা সম্মিলনী সত্যেন বসুকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আর্জি নিয়ে এল। তাদের বললেন, ‘আরে আমাকে কেন, ভানুকে নিয়ে যাও।’ তাতেও তারা শুনলেন না। শেষে তাদের রসগোল্লা খাইয়ে বিদায় দেওয়ার সময় বললেন, ‘আরে আমার কাছে শুধু গোল্লা পেলে, ভানুর কাছে গেলে রসটা পাবে।’ এই সম্পর্ক সত্যেন বসু মারা যাওয়া পর্যন্ত অটুট ছিল। জন্মদিনের দিন শত ব্যস্ততা থাকলেও মাস্টারমাশাইয়ের বাড়িতে সেদিন তিনি যেতেনই।
হাতিবাগান থিয়েটার পাড়াতেও ভানুর এরকম সাহসের একটা গল্প চালু আছে। গাড়ি নিয়ে স্টার থিয়েটারে ‘পরিণীতা’র শো করতে যাচ্ছেন। পথে একটি ঘটনা দেখে থমকে দাঁড়ালেন। একদল চ্যাংড়া ছেলে অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরে তাঁর ফতুয়া, ধুতির কোঁচা ধরে টানছে। মাথায় রক্ত উঠে গেল ভানুর। গাড়ি থেকে সটান নেমে গিয়ে বাছাধনদের এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি লাগিয়ে দিলেন। নিমেষে সকলে হাওয়া। কিন্তু অবাক করলেন তুলসী চক্রবর্তী নিজেই। বললেন, ‘আহা অত রাগিস কেন, একটু মজা করে যদি ওরা আনন্দ পায়, পাক না।’
এই একরোখা মানুষটি আবার নিজের জীবনে মজা করার সুযোগ পেলেও ছাড়তেন না। ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলে যে তাঁকে ঘরে রাখা যেত না সে তো আগেই বলেছি। আর ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তাঁর দারুণ হৃদ্যতা ছিল।
সালে, আপ্পারাও, বেঙ্কটেশ, ধনরাজ আর আমেদ খান। ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চপাণ্ডব তখন ময়দান কাঁপাচ্ছে। সালে একদিন ভানুকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমহারা নাম কেয়া হ্যায়? নাম ‘ভানু’ শুনে সালে তাঁকে বলেন, ‘তুম যিতনা দুবলা হ্যায়, তুমহারা নাম ভি ওয়সা হ্যায়। দেখো হামারা নাম কিতনা বড়া হ্যায়। পুথম পরমাভিল বাবখান আবদুল রদ্দার সালে।’
একথা শুনেই ভানু বলে ওঠেন, ‘ইয়ে আসলে এটা আমার ডাকনাম। মেরা আসলি নাম হ্যায় অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আ-য় আমটি আমি খাব পেড়ে, ই-তে ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে...।’ ভানু লিখেছেন, ‘এরকমভাবে ৯-কার যেন ডিগবাজি খায় পর্যন্ত বলে শেষে আমি ভানু ব্যানার্জি বললাম। সালে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে আমার মুখের দিকে চেয়ে থেকে বলল বাপরে ইতনা বড়া নাম!
(ক্রমশ)
অনুচিত্রণ:ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
অলংকরণ: চন্দন পাল
29th  December, 2019
 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- নবম কিস্তি। 
বিশদ

26th  January, 2020
 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

26th  January, 2020
দী পা ন্বি তা
বাণীব্রত চক্রবর্তী

পেছন থেকে কে যেন ডাকল। তার নাম ধরে নয়। সমরজিৎ স্পষ্ট শুনেছে, ‘মাস্টারমশাই! একটু থামবেন!’ অফিস থেকে ফিরছিল। বাস থেকে নেমে মিনিট দশেক হাঁটলে তাদের বাড়ি। চার মিনিট হাঁটার পর ডাকটা শুনতে পেয়েছিল। মাস্টারমশাই কেন! সে কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় নিউ ওয়েভ পাবলিশিংয়ে কাজ করে। রবিবার সন্ধেবেলায় ময়ূরাক্ষী পল্লিতে দীপান্বিতাকে পড়াতে যায়। 
বিশদ

26th  January, 2020
 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- অষ্টম কিস্তি।
বিশদ

19th  January, 2020
 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

19th  January, 2020
নজরদার
সঞ্জয় রায়

—‘হ্যাঁ গো চাঁপার মা, এই তো সেদিনই তেল আনালাম। এর মধ্যেই শেষ?’
—‘ও মা অত্তগুলো নোকের রান্না, তা তেল লাগবে নাকো।’ 
বিশদ

19th  January, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

12th  January, 2020
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

বিদ্যাসাগর মশায় কলকাতায় এলেন। বাবা ঠাকুরদাস বুঝতে পেরেছিলেন গাঁয়ের টোলে পড়িয়ে ছেলের কোনও ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। কলকাতার একটা ছাপের দরকার। সব দেশেই সব সমাজে পরামর্শদাতার অভাব হয় না। এমন করে তাঁরা কথা বলেন যে, সেই বিষয়ে তাঁর চেয়ে দিগ্‌গজ পণ্ডিত আর নেই।  
বিশদ

12th  January, 2020
হেঁড়ল
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

ধর! ধর! ধর!ছাগল নিয়েছে রে! হেঁড়লে ছাগল নিয়েছে!
সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া করে সারাদিন খেতে-খামারে খেটে আসা ক্লান্ত মানুষগুলো শুয়েছে, ঠিক তখনই বাগদিপাড়া থেকে সমস্বরে হইচই করে মাঠে নেমে এল কয়েকজন। হাতে টর্চ, লাঠি, কেউবা খালি হাতেই বেরিয়ে এসে ইঁটের টুকরো, শুকনো ঢিল তুলে নিয়েছে হাতে।  
বিশদ

12th  January, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ষষ্ঠ কিস্তি।

 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

জগতে কোন মা কবে ছেলের কাছে এমনধারা গয়না চেয়েছিলেন— আমাদের জানা নেই। এই গয়না চুরি হয় না, এই গয়না সবাই মিলে ভাগ করে নিতে পারে, এই গয়না কারও একার হয় না— দেশের সম্পদ হয়। 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

29th  December, 2019
হিসেব-নিকেশ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় 

অটোরিকশর পিছনের সিটে, দু’জনের মাঝখানে বসে, প্যাচপ্যাচে গরমে ঘেমেনেয়ে একেবারে কাহিল অবস্থা হচ্ছে বিমলবাবুর। অতি কষ্টে প্যান্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে, মুখের ওপর জমে থাকা ঘামের বিন্দুগুলি মুছে নিয়ে, বিমলবাবু আবার একবার হাতঘড়ির দিকে দেখলেন।  বিশদ

29th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
একনজরে
 আগ্রা, ২৫ জানুয়ারি: কথায় বলে প্রেমের কোনও বয়স হয়না। এই প্রবাদবাক্যটি ফের একবার বাস্তবে ধরা পড়ল। আর তার ঘটল খোদ তাজমহলেরই শহর আগ্রায়। যার রূপকার ...

 ওয়াশিংটন: আরও একবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন
১৯৩৬: জনগণের জন্য লন্ডনে শুরু হল বিবিসি-র সম্প্রচার
১৯৩৯: আমেরিকায় নিয়মিতভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু
১৭৮২ – বাঁশের কেল্লা খ্যাত বিপ্লবী তিতুমীর তথা সৈয়দ মীর নিসার আলীর জন্ম
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির বাণিজ্যিক পেটেন্ট করেন।
১৯৬৯: অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯: চিত্রপরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৮৬: বিশিষ্ট সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৯: ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামনের মৃত্যু
২০০২ - নাইজেরিয়ার লেগোস শহরে এক বিস্ফোরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুন গৃহহীন হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৫ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
26th  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে ...বিশদ

07:03:20 PM

গিরিশ পার্ক এলাকায় ১১ মাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

04:55:03 PM

আনন্দপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেঁধে লুটতরাজ দুষ্কৃতীদের, তদন্তে পুলিস 

04:18:31 PM

৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান

04:15:59 PM

৪৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:36 PM