হিসেব-নিকেশ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
অটোরিকশর পিছনের সিটে, দু’জনের মাঝখানে বসে, প্যাচপ্যাচে গরমে ঘেমেনেয়ে একেবারে কাহিল অবস্থা হচ্ছে বিমলবাবুর। অতি কষ্টে প্যান্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে, মুখের ওপর জমে থাকা ঘামের বিন্দুগুলি মুছে নিয়ে, বিমলবাবু আবার একবার হাতঘড়ির দিকে দেখলেন। প্রাক্তন সহকর্মী তাপসের সঙ্গে গল্প করতে করতে বেশ দেরি করে ফেলেছেন। এবার ঘরে ফিরলেই শুরু হবে স্ত্রী সুতপার মুখঝামটা। অটোরিকশর ঝাঁকুনির সঙ্গে পাশে বসা মাঝবয়সি মহিলার কনুইয়ের গুঁতো খেতে খেতে বিমলবাবুর মনে হল, এর চেয়ে একটা বাতানুকূল ট্যাক্সি ধরে দমদম ফিরে গেলেই বোধহয় ভালো হতো। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হল, এখন মাসের শেষ, এই সময় একজন পেনশনহীন অবসরপ্রাপ্ত মানুষের কি আর শুধু শুধু এতগুলি টাকা খরচ করা সাজে?
বছর দু’য়েক আগে, পূর্ব যাদবপুরের নিজস্ব ফ্ল্যাট বিক্রি করে দমদমে ভাড়ার ফ্ল্যাটে উঠে আসার পর থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন কারও সঙ্গেই আর যোগাযোগ রাখেননি বিমলবাবু। কিন্তু প্রাক্তন সহকর্মী তাপসের ব্যাপারটা একটু আলাদা। তাপস শুধু সহকর্মীই নয়, বিমলবাবুর ভালো বন্ধুও। চরম বিপদের দিনে যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন একমাত্র তাপসকেই পাশে পেয়েছিলেন বিমলবাবু, তাই আজ ওর অনুরোধ রাখতেই হল।
মাস ছয়েক আগে দশটা-পাঁচটার চাকরি জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে তাপস। এখন অখণ্ড অবসরের সঙ্গে স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ আর বছর চারেকের নাতনিকে নিয়ে ওর সুখের সংসার। তাপস আজ হেসে হেসে বলছিল, রিটায়ারমেন্টের পরেও ও-ই সংসারের কর্তা, ছেলে, বউমা দু’জনে চাকরি করলেও ওর মুখের ওপর কেউ কোনও কথা বলে না। নাতনি এ বছর বাঘাযতীনের কাছে একটি নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তাই যাতায়াতের সুবিধার জন্য কল্যাণপুরের পৈতৃক ভিটে বেচে দিয়ে নিউ গড়িয়ায় তিন কামরার ফ্ল্যাট কিনেছে তাপস। আজ বুদ্ধপূর্ণিমাতে ছিল, ‘কল্পতরু অ্যাপার্টমেন্ট’-এর সেই নতুন, পনেরোশো স্কোয়্যার ফিটের বাসস্থানের গৃহপ্রবেশ। বারবার ফোন করে গৃহপ্রবেশের দিন আসার জন্য অনুরোধ করেছিল তাপস।
অনেকদিন পর আজ আবার প্রাণখুলে গল্প করলেন বিমলবাবু। ভেবেছিলেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন, কিন্তু তাপসের জোরাজুরিতে অনেকক্ষণ থাকতে হল। তাপসের স্ত্রী মাধবী খুব যত্ন করে খাওয়াল বিমলবাবুকে, বারংবার বারণ করা সত্ত্বেও সুতপার জন্য প্রসাদি সিন্নি, ফল-মিষ্টি, আর অন্যান্য খাবার-দাবার গুছিয়ে প্যাক করে দিল। তাপস আর মাধবী দু’জনেই অনেকবার করে বলল, সুতপাকে নিয়ে আর একদিন আসতে, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করতে। ব্যাপারটা অসম্ভব জেনেও স্মিত হেসে সম্মতি জানালেন বিমলবাবু।
গৃহপ্রবেশের আগেই ফ্ল্যাটটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে তাপস, আর ওর সাজানো সংসার দেখলে তো চোখ জুড়িয়ে যায়, শুধু একটা ব্যাপারে খটকা লাগল বিমলবাবুর। একসঙ্গে থাকলেও তাপসের ছেলে, বউমা, ওদের থেকে একেবারেই আলাদা। বাচ্চা মেয়েটাকে দাদু, ঠাকুমার হেফাজতে দিয়ে তাপসের ছেলে সারাক্ষণ নিজের বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেতে থাকল। আর বউমা তার বাপের বাড়ির লোকজনদের নিয়ে। মনে হল, দুটো বিপরীত মেরু একই ছাদের তলায় সহাবস্থান করছে। পরের প্রজন্মকে এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না বিমলবাবু। এদের সবকিছুই কেমন অস্বচ্ছ লাগে। ঠিক যেমন এখন ঘোলাটে লাগে নিজের একমাত্র ছেলে বিতানের চালচলন, ওর ব্যবহার।
ভাবতে ভাবতে একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন, পাশের ভদ্রমহিলার কর্কশ স্বরে ‘দাদা নামুন’ শুনে সম্বিত ফিরল বিমলবাবুর হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়লেন। চালকের হাতে কুড়ি টাকার নোটটা দিয়ে ফিরতি পয়সার অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি ঢুকে পড়লেন কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের ভিতর।
(দুই)
মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন পেরিয়ে যেতেই চোখ বন্ধ করে নিলেন বিমলবাবু। জানলার বাইরের নিকষ কালো অন্ধকার বা ভিতরে থাকা লোকজন কিছুই আর দেখতে ইচ্ছা করছে না। বেশিক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকতেও ভালো লাগছে না বিমলবাবুর, তাই মাঝে মাঝে চোখ খুলে চারপাশ দেখে নিচ্ছেন। ভাবছেন কতক্ষণে পৌঁছবেন, বেচারি সুতপা একা রয়েছে। এতক্ষণে তো ওর পছন্দের সিরিয়ালগুলিও শেষ হয়ে গিয়েছে।
চাঁদনিচক স্টেশনে চোখ খুলে চারপাশ দেখতে দেখতে একটা হিরো টাইপ ছেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়ানো মেয়েটার দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলেন বিমলবাবু। একটু দূর থেকে হলেও পারিজাতকে চিনতে বিমলবাবুর কোনও অসুবিধাই হল না। গত দু’বছর ধরে সচেতনে, অবচেতনে, সারাক্ষণ এই মেয়েটার কথাই তো ভেবে চলেছেন। কতবার মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছে ওর কথা ভেবে। পুরনো কথা মনে পড়লে এখনও বিমলবাবুর বুকের ভেতরটা হু হু করে ওঠে। কয়েক বছর আগে, এক হালকা শীতের সন্ধ্যায় প্রথমবার পারিজাতকে দেখেন বিমলবাবু। কাঁধের একপাশে রাখা লম্বা চুল, কপালে লাল টিপ, লাল-সবুজ কাঞ্জিভরম শাড়ি আর হালকা সোনার গয়নাতে ওকে লক্ষ্মী প্রতিমার মতো মনে হচ্ছিল। সেদিন খালি গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়েছিল মেয়েটা, প্রভু আমার, প্রিয় আমার, পরম ধন হে। না, আর ভাবতে পারছেন না বিমলবাবু। বিমলবাবুর সাজানো সংসার, মান সম্মান সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে ওই মেয়েটার জন্য। ওর জন্যই আগেভাগে চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়েছে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পুরনো প্রতিবেশীদের কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেন না। ওর জন্যই কষ্টের টাকায় কেনা নিজের ফ্ল্যাট বেচে দিয়ে ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতে হচ্ছে। ওর জন্যই আজ সুতপার হার্টের অবস্থা এত খারাপ। হাসিখুশি, মিশুকে সুতপা রাগী আর খিটখিটে হয়ে গেছে, ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্ধ করে নিয়েছে নিজেকে। আর ওর জন্যই বিতান কলকাতার ভালো চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে কম মাইনেতে নতুন চাকরি নিয়ে, বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছে।
(তিন)
ফর্সা, সুদর্শন বিমলবাবু আত্মীয় পরিজনদের কাছে হীরের টুকরো ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন। বেসরকারি চাকরি করলেও বিয়ের সম্বন্ধ এসেছিল অনেক। মা, বাবা আর বাড়ির বড়রা অনেক দেখেশুনে বেছে নিয়েছিলেন সুতপাকে। বিমলবাবুর মনে প্রথম থেকেই একটা সংশয় ছিল, ছোট পরিবারের বড় হওয়া সুতপা কি পারবে রক্ষণশীল যৌথ পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিতে? কিন্তু বিয়ের পর বিমলবাবু নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। শ্বশুরবাড়িতে শুধু মানিয়ে নেওয়াই নয়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুতপা সকলের খুব আপনজন হয়ে উঠল। বিয়ের বছর দেড়েকের মধ্যেই সুতপার কোল আলো করে এল বিতান। সবকিছু বেশ ভালোই চলছিল, কিন্তু যখন বিতানকে স্কুলে ভর্তি করার সময় এল তখন একটু একটু করে অসুবিধারা জানান দিল। বিমলবাবুর ইচ্ছা ছিল একমাত্র ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াবেন, কিন্তু মফস্সলে তেমন ভালো স্কুল কোথায়? তাই একরকম বাধ্য হয়েই কলকাতায় ভাড়াবাড়িতে উঠে এলেন। তারপর তিল তিল করে সঞ্চয় করে, একদিন কিনে ফেললেন একটা দু’কামরার ফ্ল্যাট। সুতপাও মাথার ওপর নিজস্ব ছাদ পেয়ে একটু একটু করে সাজিয়ে নিল নিজের ছোট্ট সুখী পরিবার। সুন্দরভাবে, স্বচ্ছন্দে এগিয়ে চলল বিমলবাবুর নির্ঝঞ্ঝাট জীবন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ওলটপালট হওয়া শুরু হল বিতানের বিয়ের পর। পারিজাত, বিতানের স্ত্রী হয়ে বিমলবাবুর সংসারে আসার পর।
(চার)
একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পারিজাতের খোঁজ পান বিমলবাবু। এমএ পাশ, রবীন্দ্রসঙ্গীত জানা, উচ্চবিত্ত পরিবারের, শান্ত স্বভাবের, গৃহকর্মে নিপুণা মেয়ে। মাস ছয়েকের মধ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল বিতান। পারিজাতের বাবা একমাত্র মেয়ের বিয়েতে প্রাণ খুলে খরচা করলেন। বিমলবাবুর বারণ সত্ত্বেও, গয়না, আসবাবপত্র, প্রচুর দানসামগ্রীর সঙ্গে আত্মীয় স্বজনদের দেওয়ার জন্য তিরিশটা দামি নমস্কারি শাড়ি দিলেন। বউভাতের দিন পারিজাতকে দেখে নিমন্ত্রিতরা বিমলবাবু আর সুতপার পছন্দের খুব তারিফ করল। কেউ আবার বলল, বিতান আর পারিজাত একেবারে রাজযোটক। পরিচিতদের কাছে ছেলের বউয়ের প্রশংসা শুনে সুতপার আনন্দ আর ধরে না। নামী কলেজ থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বিতানের অনেক মেয়েবন্ধু ছিল। ছেলের পছন্দের সেইসব অত্যাধুনিক মেয়েদের বদলে ওঁদের পছন্দের শান্তশিষ্ট, ঘরোয়া পারিজাতকে পুত্রবধূ হিসাবে পেয়ে বিমলবাবুও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
তবে এইসব আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। বিয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই পারিজাতের আসল রূপ ধরা পড়ল। সংসারে মন নেই, শ্বশুর-শাশুড়ির দিকে নজর নেই, সারাক্ষণ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। প্রায় সব ছুটির দিনগুলিতেই বিতানকে সঙ্গে নিয়ে পারিজাত সিনেমায় যেত, শপিং করত, কিছু না জানিয়ে বাইরে ডিনার করে ফিরত। সুতপা কিছু বললেই শাশুড়িকে একঝুড়ি কথা শুনিয়ে দিত পারিজাত। পাছে আরও ঝগড়া হয় সেই ভয়ে, সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে চুপ থাকাটাকেই শ্রেয় মনে করলেন বিমলবাবু। বিতানও সারা সপ্তাহ অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকত, সাংসারিক ব্যাপারে মাথা গলাত না। তাতে অশান্তি আরও বাড়ল। প্রায় রোজই ছুতোয়-নাতায় সুতপার সঙ্গে অশান্তি করত পারিজাত। একদিন, এইরকমই ছোট্ট একটা অশান্তির পর কাউকে কিছু না বলে, সেজেগুজে বেরিয়ে গেল পারিজাত।
তার পরের কথা ভাবলে এখনও চোখে জল এসে যায় বিমলবাবুর। দিনটা ছিল রবিবার। লোকাল থানার পুলিস সবার সামনে দিয়ে পুলিসের গাড়িতে তুলল বিমলবাবু আর বিতানকে। বধূ নির্যাতন আর পণ নেওয়ার অপরাধে দু’দিন হাজতবাস করতে হল ওদের। অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুতপাকে আর এত নির্যাতন সহ্য করতে হল না। খুনের দায়ে অভিযুক্ত আসামির জন্যও অনেকসময় মানবাধিকার কর্মীরা সোচ্চার হয়, এনজিও এগিয়ে আসে সাহায্যের জন্য। কিন্তু ৪৯৮-এ ধারায় অভিযুক্তদের পাশে কখনও কেউ থাকে না, কোনও সংস্থা বাড়িয়ে দেয় না সাহায্যের হাত। বিমলবাবুর মান-সম্মান সব গেল, দূরে সরে গেল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাই। সেই বিপদের সময় সহকর্মী তাপসকেই শুধু পাশে পেয়েছিলেন বিমলবাবু। তাপসই নিজের দায়িত্বে ছাড়িয়ে এনেছিল ওদের। ডিভোর্সের মামলা চলল প্রায় বছরখানেক। পরিচিতদের অবান্তর প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে নাজেহাল হতে হল। হাজতবাস করার জন্য বিমলবাবুকে চাকরিটাও ছাড়তে হল নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা আগেই। পারিজাতের খোরপোষের টাকা দেওয়ার জন্য বেচতে হল অনেক কষ্টে কেনা, একটু একটু করে সাজানো, সাধের ফ্ল্যাটটা। বিতান, সব দোষ বাবা-মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে কলকাতার বাইরে চাকরি নিয়ে চলে গেল। সুতপাকে নিয়ে বিমলবাবুও চলে এলেন নতুন জায়গায়, নতুন ভাবে সবকিছু শুরু করতে।
(পাঁচ)
চোখ বন্ধ করে পুরনো কথা ভাবতে ভাবতে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েকটা স্টেশন। বেলগাছিয়া পার হবার পর চোখ খুলে নড়েচড়ে বসলেন বিমলবাবু। আশপাশের যাত্রীদের দেখে বুঝলেন, পারিজাত আর ওর সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতাটা অনেকেই ভালো চোখে দেখছে না, বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীদের উষ্মায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরাটা ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। একজন যাত্রী এগিয়ে গিয়ে জোর গলায় ওদের আচরণের প্রতিবাদ করল। বাকিদের বেশিরভাগই সমর্থন করল তাকে। ছেলেটার পাল্টা জবাবে শুরু হল কথা কাটাকাটি। পারিজাত কিংকর্তব্যবিমূঢ়, চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটার ঔদ্ধত্য দেখে যাত্রীরা মারমুখী হয়ে উঠল। পরের স্টেশনে ট্রেন থামতেই হিড়হিড় করে টেনে, প্ল্যাটফর্মে নামাল দু’জনকে। এতদিনে মানসিক শান্তি পেলেন বিমলবাবু, পরিতৃপ্ত মনে ভাবলেন, আজ পারিজাত নিশ্চয় বুঝতে পারছে জনসমক্ষে অপমানিত হলে কেমন লাগে।
29th December, 2019