Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর

পর্ব ২
দুর্গাদেবী আর রামজয়ের বড় ছেলেই ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়— আমাদের ঈশ্বরচন্দ্রের বাবা। ঠাকুরদাসের অন্য ভাইবোনেরা হলেন— কালিদাস, মঙ্গলা, কমলা, গোবিন্দমণি আর অন্নপূর্ণা। ছোট্ট বিদ্যাসাগর কলকাতা যাবার পথে এই ছোটপিসির বাড়িতে গেছিলেন আমরা যথাসময়ে দেখব। এই ঠাকুরদাসের সাত ছেলে। চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিদ্যাসাগর জীবনীতে পরে সংশোধন করে নিলেও প্রথমে ভুল করে লিখেছিলেন বিদ্যাসাগরেরা ছয় ভাই-বোন। পরে ঈশ্বরচন্দ্রের ভাই শম্ভুচন্দ্রের পরামর্শে লেখেন সাত ভাই। ঠাকুরদাস যেমন বাবার বড় ছেলে ছিলেন, ঈশ্বরচন্দ্রও তেমনই ঠাকুরদাসের প্রথম সন্তান এবং পুত্রসন্তান। তাঁর অন্য ভাই-বোনেরা যথাক্রমে দীনবন্ধু, শম্ভুচন্দ্র, হরচন্দ্র, হরিশ্চন্দ্র, ঈশানচন্দ্র, শিবচন্দ্র— তিনটি বোন পরপর মনোমোহিনী, দিগম্বরী, মন্দাকিনী। কথাপ্রসঙ্গে বলে নিই দিগম্বরীর স্বামীকে চণ্ডীচরণ ভুল করে লিখেছিলেন— অঘোরনাথ মুখোপাধ্যায়, তিনি আসলে ছিলেন চট্টোপাধ্যায়। আরও একটা কথা এই ফাঁকে বলে নিই— নইলে এঁড়ে বাছুর নাম দেওয়াটা নিরর্থক মনে হবে। রামজয় স্ত্রীর আশ্রয়ে এসে উঠলেন বটে, কিন্তু অচিরে আলাদা একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে সেখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়েছিলেন। প্রবল আত্মমর্যাদা ছিল তাঁর, নির্লোভ ছিলেন বলেই সংসার ত্যাগ করেছিলেন। যতই হোক এঁড়ে বাছুরের ঠাকুরদা বলে কথা!
আমরা সবাই জানি বিদ্যাসাগর মশায় একসময় আত্মচরিত লিখতে শুরু করেছিলেন, সেই অসমাপ্ত আত্মচরিত-এ বিদ্যাসাগর মশায় ভুবনেশ্বর থেকে ঠাকুরদাসের বংশপরিচয় নিজেই এই ভাষায় লিখে গেছেন: ‘প্রপিতামহ-দেব ভুবনেশ্বর বিদ্যালঙ্কারের পাঁচ সন্তান। জ্যেষ্ঠ নৃসিংহরাম, মধ্যম গঙ্গাধর, তৃতীয় রামজয়, চতুর্থ পঞ্চানন, পঞ্চম রামচরণ। তৃতীয় রামজয় তর্কভূষণ আমার পিতামহ। বিদ্যালঙ্কারের দেহত্যাগের পর, জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সংসারে কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন। সামান্য বিষয় উপলক্ষে, তাঁহাদের সহিত রামজয় তর্কভূষণের কথান্তর উপস্থিত হইয়া, ক্রমে বিলক্ষণ মনান্তর ঘটিয়া উঠিল। তিনি কাহাকেও কিছু না বলিয়া এককালে দেশত্যাগী হইলেন।’
‘বীরসিংহ গ্রামে উমাপতি তর্কসিদ্ধান্ত নামে এক অতি প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।.... রামজয় তর্কভূষণ এই উমাপতি তর্কসিদ্ধান্তের তৃতীয় কন্যা দুর্গাদেবীর পাণিগ্রহণ করেন।.... রামজয় দেশত্যাগী হইলেন, দুর্গাদেবীকে দুই পুত্র ও চার কন্যা নিয়ে পিত্রালয়ে যাইতে হইল।.... কিছুদিনের মধ্যেই.... পিত্রালয়ে কালযাপন.... বিলক্ষণ অসুখের কারণ হয়ে উঠিল.... তিনি স্বীয়বাটীর অনতিদূরে এক কুটির তাঁর পিতা নির্মাণ করে দিলে সেই কুটিরে.... অতিকষ্টে দিনপাত করিতে লাগিলেন।’
‘ঠাকুরদাস প্রথমে বনমালীপুরে ও পরে বীরসিংহে’ পড়াশোনা আরম্ভ করেন। কিন্তু সে সময়ে ইংরেজির চাহিদা হবে— এই অনুমান করে বাড়িতে শিক্ষক রেখে ইংরেজি শিখতে আরম্ভ করেন। এখানে একটি বিষয় পাঠকদের নজরে এসেছে। আমি শুরুতেই গ্রামের নাম লিখেছি বীরসিংহা, এখন দেখছি স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র লিখছেন বীরসিংহ। প্রায় সকলেই গ্রামটির নাম ‘বীরসিংহ’ বলেই জানেন। ঈশ্বরচন্দ্র নিজের উইলে গ্রামের নাম লিখেছেন বীরসিংহ— তবে কেন বীরসিংহা লিখছি? একটা বাড়তি খবর জানিয়ে রাখি, আমরা পুরনো নথিতে গ্রামের নাম ‘বীরসিঙ্গা’ও পেয়েছি। ঈশ্বরচন্দ্রের মধ্যমভ্রাতা শম্ভুচন্দ্র যখন বিদ্যাসাগরের জীবনচরিত লেখেন— তিনিই বীরসিংহা নামটি আদ্যোপান্ত লিখে গেছেন। ‘ভ্রমনিরাশ’ গ্রন্থেও তিনি ‘বীরসিংহা’ নামটি উল্লেখ করেছেন। বীরশিঙ্গা নামটি লোকোচ্চারণে বীরসিংহা হওয়া স্বাভাবিক। সম্ভবত বিদ্যাসাগরকে পুরুষসিংহ বলার সুবাদে গ্রামের নাম লোকমুখে ‘বীরসিংহ’ নামে পরিচিত হয়। এইরকম একটা অনুমান এবং শম্ভুচন্দ্রের সততার কারণে গ্রামটিকে বীরসিংহা নামে উল্লেখ করেছি। বিতর্ক উপস্থিত হলে হয়তো সত্য উদ্ঘাটিত হতে পারে। বীরশৃঙ্গা— বীর যে শৃঙ্গ বাজায়— তা থেকে বীরসিংহা শব্দ আসাটা তো স্বাভাবিকই।
পিতৃদেব ঠাকুরদাসের কথা বলতে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর অসমাপ্ত আত্মচরিতে দুর্গাদেবী শত দুঃখ সয়ে সন্তানদের বড় করে তুলেছিলেন তার বেদনাবিদ্ধ বর্ণনা দিয়েছেন— ‘টেকুয়া ও চরকায় সুতা কাটিয়া, সেই সুতা বেচিয়া’ দুর্গাদেবী সংসারযাপন করে বড় ছেলে ঠাকুরদাসকে চোদ্দো-পনেরো বছরের বড় করে তুললেন। ঠাকুরদাসের হাতের লেখাটি বড় পরিচ্ছন্ন ছিল। বাড়িতে আর পাঠশালায় পড়াশোনা করে বাংলা ভাষাটা ভালোই রপ্ত করেছিলেন। শিখে ফেলেছিলেন জমি-জায়গা আর জমিদারি হিসেব নিকেশের কাজ। ছেলে লায়েক হয়েছে বুঝে রামজয় তাঁকে নিয়ে কলকাতা রওনা দিলেন। মা দুর্গাদেবী আশীর্বাদ করে রওনা করে দিয়ে বলে উঠলেন মঙ্গল কামনায়— দুগ্গা দুগ্গা— মা দুর্গতিনাশিনী— তুমি ওকে রক্ষা করো—
রামজয়ের বড় ভরসা ছেলের ওপর— কত যত্ন করে ব্যাটা সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণ পড়ে শেষ করেছে। ন্যায়ালঙ্কারের চতুষ্পাঠীতে পড়ে সংস্কৃতে বেশ তুখোড় হয়ে উঠেছে, ইংরেজিটাও পড়ে নিয়েছে কাজচলা গোছের শিখেছে, এটার আরও একটু উন্নতি না করলে চলবে না। একজন শিপ সরকার— জাহাজিবাবুকে খুঁজে বের করে দিলেন বাগবাজারের সভারাম বাচস্পতি— তাঁর বাড়িতেই আপাতত উঠেছেন বাপ-ব্যাটায়। একদিন তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিগ্যেস করলেন, এমনিতেই তুমি রোগা-পটকা, তারপর দেখছি তুমি দিন দিন হাড়জিরজিরে হয়ে পড়ছ— কী ব্যাপার? ঠাকুরদাস বললেন, বাবা আমাকে রেখে আবার তীর্থভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছে। দুপুরে একবার খাবার জোটে, রাতে একেবারে উপোসি থাকি— তাতেই এত দুর্বল হয়ে পড়ছি। কথাটা এক অব্রাহ্মণ ভদ্রমানুষ শুনে বললেন, তুমি যদি নিজের হাতে রেঁধে খেতে পার— আমি তোমাকে প্রতিদিন সিধে দেব। ঠাকুরদাস যেন হাতে চাঁদ পেলেন। কিন্তু তবুও সব দিন সামলে উঠে রাঁধতে পারেন না। অভুক্ত থাকতেই হয়। এবার বাকি অবস্থাটা ঈশ্বরচন্দ্রের কলমের লেখা থেকে পড়ে নিন।
‘একদিন, মধ্যাহ্ন সময়ে ক্ষুধায় অস্থির হইয়া, ঠাকুরদাস বাসা হইতে বহির্গত হইলেন এবং অন্যমনস্ক হইয়া, ক্ষুধার যাতনা ভুলিবার অভিপ্রায়ে, পথে পথে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ ভ্রমণ করিয়া, তিনি অভিপ্রায়ের সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পাইলেন। ক্ষুধার যাতনা ভুলিয়া যাওয়া দূরে থাকুক, বড়বাজার হইতে ঠনঠনিয়া পর্যন্ত গিয়া, এত ক্লান্ত এবং ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় এত অভিভূত হইলেন যে, তাহার আর চলিবার ক্ষমতা রহিল না। কিঞ্চিৎ পরেই, তিনি এক দোকানের সম্মুখে উপস্থিত ও দণ্ডায়মান হইলেন; দেখিলেন এক মধ্যবয়স্কা বিধবা নারী ওই দোকানে বসিয়া মুড়ি মুড়কি বেচিতেছেন। তাঁহাকে দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, ওই স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর দাঁড়াইয়া আছ কেন। ঠাকুরদাস, তৃষ্ণার উল্লেখ করিয়া পানার্থে জল প্রার্থনা করিলেন। তিনি, সাদর ও সস্নেহ বাক্যে ঠাকুরদাসকে বসিতে বলিলেন এবং ব্রাহ্মণের ছেলেকে শুধু জলে দেওয়া অবিধেয়, এই বিবেচনা করিয়া, মুড়কি ও জল দিলেন। ঠাকুরদাস যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, ওই স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই।’
(ক্রমশ) অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

আজও তারা জ্বলে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্দীপ রায়চৌধুরী

 ওপার বাংলা থেকে আসা ‘বাঙাল’ ভানুকে শুধু চেহারা দেখেই নাকি ‘জাগরণ’ ছবির জন্য নির্বাচন করেছিলেন বিভূতি চক্রবর্তী। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ বিশদ

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, লালবাগ: লালগোলা ব্লকের বিলবোরা কোপরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চিন্তামণি এবং বয়রা গ্রামে পদ্মা নদীর পাড় মেরামতির কাজ শুরুর আগে শনিবার সকালে নারকেল ফাটিয়ে পুজো দিলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।  ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: শনিবার দুপুরে চাকুলিয়া থানার শিকারপুরে পাটবোঝাই একটি চলন্ত ট্রাক্টরে হঠাৎ আগুন লেগে প্রায় তিন লক্ষ টাকার পাট ভস্মীভূত হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাকুলিয়া হাট থেকে এক ব্যবসায়ী পাট কিনে ট্রাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে বিহারের কিষাণগঞ্জে ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় শর্তে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস চালানোর জন্য দ্বিতীয়বার টেন্ডার ডেকেও তেমন সাড়া মিলল না। রাজ্যের নানা জায়গায় চালাতে ১৫০টি ইলেকট্রিক বাসের জন্য ...

 দোহা, ৭ ডিসেম্বর (এএফপি): আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবানদের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করল আমেরিকা। শনিবার, কাতারে দু’পক্ষের মধ্যে এক দফা আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মাস তিনেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাত্ করেই তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৫- অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর জন্ম
১৯৭১- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৭৪- গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসে রাজতন্ত্রের অবসান
১৯৮০- নিউইয়র্কে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ভক্তের হাতে খুন হলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ পপ গায়ক জন লেনন
১৯৯১- রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯- বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৫/৫৩ দিবা ৮/৩০। অশ্বিনী ৫৩/২৫ রাত্রি ৩/৩০। সূ উ ৬/৮/১৩, অ ৪/৪৮/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ২/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/৪২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে।
২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৩/১৫/৫২ দিবা ৭/২৭/৫৯। অশ্বিনী ৫৩/১০/৩০ রাত্রি ৩/২৫/৫০, সূ উ ৬/৯/৩৮, অ ৪/৪৮/৪৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৩ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৫০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৬/১০ মধ্যে, কালবেলা ১১/২৯/১৪ গতে ১২/৪৯/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৯/২০ গতে ২/৪৯/২৭ মধ্যে।
১০ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের অবসান। মিথুন: স্বকীয়তা বজায় রেখে ...বিশদ

07:11:04 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতল

10:32:44 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩/১ (১০ ওভার) 

09:47:37 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

08:47:23 PM

কোচবিহারে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম ২ 
কোচবিহারে ফের বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। বোমার ঘায়ে জখম দুই তৃণমূল সমর্থক। ...বিশদ

08:23:24 PM

দ্বিতীয় টি২০: ভারত ১৩২/৪ (১৫ ওভার) 

08:19:18 PM