Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব-৫৫
দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের। হারেমের এক বিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর কানে গিয়েছিল বাদশাহেরও। বাদশাহ কাউকে কিছু বুঝতে দেননি, এখন মাসুদ খানের কাছে শুনলেন কয়েকদিন আগে হারেমের এক দারোগা সেই বিবিকে নিয়ে গিয়েছিল কোথাও, সেখানে সেই বিবিকে কোতল করা হয়েছিল এই অবৈধ সম্পর্কের জেরে। খবরটা কানে যেতে দাসোয়ান পাগল হয়ে গিয়েছিল, আজ সে নিজের হাতে বল্লম গিঁথে দিয়েছে গলায়।
শাহেনশাহিতে এ সব খবর খুব যে আলোড়ন তোলে তা নয়, নিত্যদিন এখানে কেউ না কেউ কোতল হয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধে। তবু দাসোয়ান ছিল তসবিরখানার এক দানাদার আদমি। তার চেহারাটাও ছিল দশাসই, তাই তার আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ফিসফিসানি চলল ক’দিন।
ক’দিন পরে ভুলেও গেল সবাই। ভুলতেই হবে কেননা শাহেনশাহিতে চলতে থাকে একের পর এক ঘটনা, একটির জের না মিটতে আর একটি।
তার পরেই যে ঘটনাটা ঘটে গেল বীরবরের জীবনে তা সাংঘাতিক। বাদশাহ বললেন, বীরবরজি, চৌগান খেলার মাঠে হাতির লড়াই হচ্ছে। চলুন দেখে আসি।
হাতির লড়াই দেখা সম্রাটের খুব প্রিয় খায়েস। সম্রাট আকবর এসেছেন গাঢ় সবুজ শেরওয়ানি পরে, বীরবরের গায়ে লাল টকটকে বেনিয়ান। চৌগান খেলার মাঠ তখন ভরে উঠেছে কয়েক হাজার আম-আদমি। দুই পিলবান তাদের হাতি নিয়ে প্রস্তুত। দুই হাতির একটির নাম কাকর যে কিনা চণ্ড প্রকৃতির, এর আগে মেরেছে বেশ কয়েকটা হাতি, কয়েকজন ইনসানও। তবু কাকরকেই লড়াইয়ে আনা হয়েছে যাতে বেশ তুল্যমূল্য লড়াই হয়।
বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উদ্দেশেই তাড়া করল। তার হিংস্র মূর্তি দেখে বীরবর কী করবেন ভেবে পেলেন না। হাতিটা তখন বিপুল বেগে ছুটে আসছে তাঁকে লক্ষ করে। আর একটু পরেই তাঁকে শুঁড়ে জড়িয়ে তুলে আছাড় দেবে। বীরবর ভয়ে কাঁপছেন। সেই মুহূর্তে কী হল, দেখলেন এক ঘোড়সওয়ার তীব্র গতিতে ছুটে এসে তাঁকে তুলে নিলেন ঘোড়ার পিঠে, বাঁচিয়ে দিলেন হাতিটার শুঁড় থেকে, নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। বীরবর ভয়ে চোখ বুজিয়ে ছিলেন, কাঁপছিলেন ঠকঠক করে, হঠাৎ চোখ খুলে দেখলেন স্বয়ং বাদশাহ নতুন জীবন দিলেন তাঁকে।
বীরবরের মুখ দিয়ে শব্দ বেরচ্ছে গোঁ গোঁ করে, শুধু বলতে পারলেন, জাহাঁপনা, হাতিটা আপনাকেও মেরে ফেলতে পারত।
বাদশাহ আকবরও বিড়বিড় করছেন, বীরবরজি, আর একটু হলেই সর্বনাশ ঘটে যেত। বীরবর উপলব্ধি করলেন সম্রাট আকবর তাঁর জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করলেন সেদিন। ভাবতেই পারছেন না একজন সম্রাট তাঁকে এত ভালোবাসেন জেনে!
তার কিছুদিনের মধ্যে বাদশাহের কাশ্মীর ফতে করার খায়েস।
অনেকদিন ধরেই ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দার উপজাতিরা মছলা করছিল বাদশাহের সঙ্গে। তাদের একের পর এক হাঙ্গামায় নিদ ছুটে যাচ্ছিল তাঁর। বাদশা তাদের জব্দ করতে এক বিশাল ফৌজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রাওয়ালপিন্ডি হয়ে অ্যাটকের উদ্দেশে। এক তাগদঅলা মনসবদার জইন খান কোকলতাশকে বলা হল ফৌজ নিয়ে বজাউর হয়ে ঢুকতে, অন্য আর একটি ফৌজ রওয়ানা দিল সামা উপত্যকা দিয়ে লড়াই শুরু করতে।
পেশোয়ার আর সোয়াত নদীর মাঝখানে পাহাড়ি এলাকাতেই মান্দার উপজাতির ঘাঁটি। জইন খান কোকলতাশ আক্রমণে উঠে বাদশাহের কাছে খবর পাঠায়, হুজুর, মান্দার সংখ্যায় অনেক, আরও ফৌজ পাঠান।
ক’দিনের মধ্যে বাদশাহের কাছ থেকে একটি ফরমান পেলেন বীরবর। বীরবরজি, আপনি জংয়ে যেতে চেয়েছিলেন, এবার আপনার সামনে সেই সুযোগ। জইন খান কোকলতাশ এখন বজাউরে আছে ফৌজ নিয়ে। আপনি মির আতিসের কাছ থেকে ফৌজ নিয়ে সামা হয়ে সোয়াত চলে যান। আপনার সঙ্গে আরও ফৌজ নিয়ে যাবেন হাকিম আবুল ফাথ, তাকে বলা হয়েছে কারাকার গিরিপথ হয়ে আরও পুবে যেতে।
চিরকুটটি পেয়ে বীরবর কয়েক লহমা ভাবলেন সোয়াত এলাকার কথা। খুবই খতরনাক এলাকা। ক্রোশের পর ক্রোশ শুধু পাহাড় আর পাহাড়। খতরনাক সব গিরিখাত আর উপত্যকা। তেমনই খরস্রোতা সোয়াত নদী। আরও খতরনাক ওই উপজাতিরা। তবু শাহেনশাহ যখন ফরমান পাঠিয়েছেন, তাঁকে যেতেই হবে।
বিশাল ফৌজ সঙ্গে নিয়ে বীরবল চললেন সোয়াতের উদ্দেশে। বাদশাহ আকবর তখন অ্যাটকে আছেন আরও এক বড় ফৌজ নিয়ে। অ্যাটক পাহাড়ি এলাকায় এক ছোট্ট গঞ্জ। বাদশাহের সঙ্গে দেখা করতেই বীরবরের হাতে হাত রেখে মসাফা করে হেসে বললেন, তাহলে এবার আপনি সত্যিই জংয়ে চললেন? তবে ইউসুফজাইয়ের আফগানরা খুবই খতরনাক। সাবধানে ফৌজ নিয়ে এগবেন।
বলে বাদশাহের স্বর একটু নরম হল, বললেন বীরবরজি, কেল্লার কেউ কেউ আপনাকে মশকরা করে বীরবল বলে ডাকেন। শুনেছি আপনি তাতে রুষ্ট হন।
বীরবর মুচকি হেসে বললেন, না জাহাঁপনা। বল শব্দটার মধ্যে বেশ জোশ আছে। আমার তো বেশ লাগে।
—সহি বাত, বীরবরজি? শব্দটায় জোশ আছে, তাগদও আছে। আমি এই নামটাই আপনাকে দিলাম। আপনি একই সঙ্গে বীরও বটে, আবার তাগদওয়ালাও বটে। এবারের জংয়ে গিয়ে আপনি দেখিয়ে দিন আপনার তাগদ, তাহলে আর কেউ আপনাকে নিয়ে মশকরা করার সাহস পাবে না। আপনি এমন জং করবেন যাতে কাশ্মীর যুক্ত হতে পারে হিন্দুস্তানের সঙ্গে। আকবর বাদশাহের দীর্ঘদিনের সঙ্গী নতুন নামে সাব্যস্ত হয়ে শরম নয়, গর্বিত—ফখর বোধ করলেন। বাদশাহ তাঁর জন্য যা করেন, যা বলেন—সবই অনেক বিবেচনা করে করেন।
—বীরবলজি, আপনি রওয়ানা হন। জইন খান কোকলতাশ আপনার জন্য ইন্তেজার করছেন। বীরবর, না এখন তিনি বীরবল, দীর্ঘ পথ ছুটলেন তাঁর প্রিয় ঘোড়া বিজলির পিঠে। বিজলি কি একটু বুড়ো হয়েছে! তিনি নিজেও কি আন্দাজ করতে পারছেন বয়সের ভার! কত বয়স হল তাঁর! প্রায় ষাট ছুঁতে চলেছেন। দীর্ঘ আঠাশ বছর আছেন বাদশাহের পাশে পাশে। আজ তাঁর উপর দায়িত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ জং ফতে করার।
দীর্ঘ পাহাড়িপথ, অসংখ্য গিরিপথ আর উপত্যকা পেরিয়ে বীরবল যখন পৌঁছলেন, কোকলতাশ বললেন, আমার কাজ শেষ। এখন আমি চাকদারাতেই ফৌজ রেখে চেষ্টা করব আফগানদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে। আপনাকে আর লাগবে না।
বীরবল বুঝে উঠতে পারলেন না কোকলতাশের কথা, বললেন কিন্তু আমার উপর হুকুম আছে আফগানদের উপর আক্রমণ হানতে।
ফৌজ নিয়ে পৌঁছে গেছে হাকিম অল ফাতও। সেও বলল, বাদশাহের হুকুমের কথা। কিছুক্ষণের মধ্যে জইন খানের সঙ্গে বীরবল আর হাকিম অল ফাতের অবনিবনার শুরু। বীরবল কিছুতেই জইন খানের হুকুম শুনতে নারাজ। জইন খান উত্তেজিত হয়ে বললেন, এ সব এলাকা তন্নতন্ন চিনি। আপনি আমার কথা শুনতে নারাজ হলে আমার কিছু করার নেই। আপনি তো সবকিছু একটু বেশি বোঝেন।
খুবই অপমানিত বোধ করলেন বীরবল। মতপার্থক্য চূড়ান্ত হতে জইন খান বললেন, তাহলে আপনি মালাখান্দ গিরিখাত দিয়ে ফিরে যান।
বীরবল তাতে নারাজ কেননা ওই পথ দিয়ে তারা এসেছেন, তাতে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে তাঁদের। তাঁরা বরং ফিরতে চান কারাকার আর মালানদারাই মাঝখানের গিরিপথ দিয়ে।
জইন খানের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি, বলেন, ওই পথ যদি সুবিধের মনে হয়, তাই যান।
জইন খানের হাসির মানে বুঝতে পারলেন না, বীরবল ফৌজ নিয়ে ফিরে চললেন মালানদারাইয়ের দুর্গম উপত্যকার পথে। হাকিম অল ফাত কিন্তু ফিরল না সে-পথে। বীরবলকে নিষেধও করল না।
ক্রোশের পর ক্রোশ পাহাড়ি পথ, কোথাও পথ এত সরু, ঘোড়ার চারটে খুরও ধরে না। বীরবলের সামনে পিছনে কয়েক হাজার ঘোড়সওয়ার, সবাই বেশ সন্ত্রস্ত সরু পথ দিয়ে যেতে হওয়ায়।
দুর্গম পথ দিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ কীভাবে যেন খবর পেয়ে গেল ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দাররা। একটু পরেই দেখা গেল হাজার হাজার শত্রুফৌজ ছুটে আসছে বীরবলদের ফৌজ লক্ষ করে। তখন পালানোর জায়গাও নেই।
বীরবলের ফৌজ তখন পিছন ফিরে পালাতে চেষ্টা করছে, কিন্তু ফিরে যাবে কি! পায়ে-চলা সরু পথে একটি ঘোড়াও দৌড়ে যেতে পারে না। পিছু ফিরতে গিয়ে একে অপরের গায়ে ধাক্কা লেগে হুড়মুড় করে পাহড়ের গা বেয়ে পড়তে শুরু করল। সজোরে পড়ছে ঘোড়াসুদ্ধ ঘোড়সওয়ার। অনন্ত খাদের মধ্যে শব্দ হচ্ছে ঝুপ ঝুপ ঝুপ ঝুপ—
বীরবল শুনতে পাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন তাঁরও নিস্তার নেই। সমস্ত ঘোড়া পড়ছে একের পর এক। চেষ্টা করলেন একটা গিরিপথ বেয়ে পালানোর। হঠাৎ বুঝলেন পিছন থেকে কেউ তলোয়ার চালিয়ে দিল তাঁর শরীর লক্ষ করে। তিনিও—
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘোড়াসুদ্ধ ঝাঁপ দিয়ে পড়ছেন নীচের দিকে। এক বিপুল অন্ধকারের মধ্যে। পড়ার মুহূর্তে মনে পড়ছে আকবর বাদশাহের মুখ, বিড়বিড় করছেন, জাহাঁপনা আমি আপনার কথা রেখেছিলাম, কিন্তু জইন খান আমাকে ঠিক পথ বলে দেয়নি—
ঘোর পাহাড়ি-এলাকা অ্যাকট গঞ্জ, লোকালয় থেকে একটু দূরে, সিন্ধু নদের ধারে বিশাল তাঁবু ফেলেছেন সম্রাট আকবর। চারপাশে আরও অসংখ্য তাঁবু, তার ভিতরে ও বাইরে দু’হাজারি, তিন হাজারি মনসবদাররা সারাক্ষণ ইন্তেজার করছে কখন বাদশাহ তাদের উপর কী হুকুম করবেন।
রাজা বীরবলকে জংয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন না সম্রাট। বীরবলেরই খায়েস তিনি জং ফতে করতে যাবেন বাদশাহের হয়ে। বীরবল দানেশমন্দ আদমি, জং বিষয়ে তেমন রপ্ত নন। তাই সঙ্গে দিয়েছেন হাকিম অল ফাত-এর মতো লড়াইবাজকে।
রোজই একজন-দুজন করে ঘোড়সওয়ার জংয়ের গতিপ্রকৃতি পৌঁছে দেয় বাদশাহের কাছে। হঠাৎ একদিন কোনও সংবাদ না-আসায় খুবই ব্যস্ত হয়ে বীরবলের খবর নিতে পাঠালেন তাঁর একজন বিশ্বস্ত জানদারকে। জওয়ান জানদার ঘোড়া ছুটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সারাদিন কাটালেন খুব পেরেশানির মধ্যে, সন্ধেয় তাদের জন্য ইন্তেজার করছেন সিন্ধুর তীরে, পায়চারি করছেন আর গোঁফে হাত বোলাচ্ছেন, সে সময় ফিরে এল জানদার, সঙ্গে জইন খান কোকলতাশের বারিদ। বাদশাহ ব্যস্ত হয়ে বারিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হল, সারাদিন কোনও খবর পাঠায়নি কেন জইন খান?
দুই ঘোড়সওয়ারকে চুপ দেখে অধৈর্য হয়ে ধমক দিয়ে বললেন, কী হল, কথা বলছ না কেন?
যা খবর পেলেন, বাদশাহের মাথা ঘুরে গেল, টাল সামলে চিৎকার করে উঠে বললেন, সে কী!
দুজনকে চুপ দেখে আবার চিৎকার, জইন খান কোথায়?
জইন খান চাকদারায় আছে শুনে প্রায় উন্মাদের মতো বললেন, বেতত঩মিজটা কেন ওখানে বসে আছে! বীরবলজি গলদ পথে যাচ্ছে দেখেও কেন আহাম্মক তার হাত টেনে ধরেনি! তাকে আমি কয়েদ করব। এক্ষুনি ডাকো তাকে! আমি আন্দাজ করছি তাকে ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে।
বাদশাহ কাঁপছেন থরথর করে। তাঁর খুনশি মূর্তি দেখে তাঁর কাছে যেতে সাহসই পাচ্ছে না কেউ। কাঁপতে কাঁপতে বাদশাহ বসে পড়লেন বিশাল নদের তীরে ঘাসের উপর। সামনে নদীর ছলচ্ছল শব্দ। সূর্য তখন অস্ত গেছে, লাল হয়ে আছে পশ্চিম দিগন্ত। বীরবলকে কোতল করা হয়েছে জেনে মনে হচ্ছিল আকাশের পশ্চিমদিকে যেন খুন ছড়িয়ে আছে রাজা বীরবলের। সম্রাটকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল তাঁবুর ভিতর। সারা রাত নিদ এল না তাঁর চোখে। সারা রাত বিড়বিড় করে শুধু বললেন, কেন আমি আপনাকে ওরকম খতরনাক পাহাড়ি জায়গায় পাঠালাম। কেন আমি—! আপনি তো একজন দানেশমন্দ আদমি। আপনি কাসিদা লিখবেন, গান গাইবেন, আমাকে কিতাব পাঠ করে শোনাবেন, আপনার কি জং ফতে করতে যাওয়া মানায়!
রাতে তাঁকে খানা তৈয়ার করে দিলে তা পড়ে থাকল তাঁবুর একপাশে। পরদিন ভোরে উঠে বললেন, সিক্রি ফিরে যাব। তাঁবু ওঠাও।
সিক্রি ফিরে গিয়ে ঢুকে পড়লেন বাদশাহ মহলে। পানি পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখলেন না। সারাটা দিন শুয়ে রইলেন বেস্তারার উপর, আর বলতে লাগলেন, বীরবলজি, এ আমি কী গলদ করলাম! আমাকে বেসাহারা করে আপনি কোথায় চলে গেলেন? আমার দোস্ত যদি পাশে না-থাকে আমি কী করে—
সম্রাট আকবরের এত বছরের জীবনে কেল্লার কেউ কখনও তাঁকে এভাবে বিপর্যস্ত হতে দেখেনি। খবর পেয়ে যোধামহল থেকে ছুটতে ছুটতে এলেন যোধাবাঈ, বাদশাহের চোখে জল দেখে চমকে উঠলেন, হিন্দুস্তানের শাহেনশাহ কারও জন্য চোখের জল ফেলছেন এ-দৃশ্য বোধ হয় এই প্রথম।
টানা তিনদিন যখন না-নাস্তা, না-খানা কিছুই ছুঁয়ে দেখলেন না বাদশাহ, যোধাবাঈ বললেন, জাহাঁপনা, আপনি কি জানেন, বাদশাহ খাচ্ছেন না বলে কেল্লার কেউই তিনদিন কিছু মুখে দেয়নি!
বাদশাহ চমকে উঠে বললেন, তাই নাকি? ঠিক আছে, খানা লে আও।
তার পরদিন থেকে যে-বাদশাহকে তামাম ইনসানরা দেখল, তিনি অন্য মানুষ। দেওয়ান-ই আমে তাঁর যাওয়া বন্ধ। দেওয়ান কখনও এসে ইন্তেজার করেন বাদশামহলের সামনে দাঁড়িয়ে, বহুক্ষণ পরে বাদশাহ ডেকে পাঠালে নিঃশব্দে তাঁর হাতের পাঞ্জা দিয়ে সই দেন কোনও ফরমান বা ফতোয়ায়। কারও টুঁ শব্দটি আর উচ্চারণ করার জো নেই বাদশাহের সামনে। হঠাৎ একদিন খবর পেলেন বীরবলকে দেখা গেছে চাকদারার পাহাড়ি পথে। বাদশা লাফিয়ে উঠে মির আতিসকে বললেন, আমি জানতাম বীরবলজির মওত হতে পারে না। যাও, ফয়রান চারজন ঘোড়সওয়ার পাঠাও। নিয়ে আসুক বীরবলজিকে।
সাতদিন কেটে গেল, তখনও কোনও খবর নেই। খুনশি হয়ে বললেন, আরও চারজনকে পাঠাও। বেত঩তেমিজরা সেখানে গিয়ে ঘুমোচ্ছে।
দশদিন পরে সবাই ফিরে এল খালি হাতে। বাদশাহের মুখে অন্ধকার ঢেলে দিল কেউ। আবার ঝিমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ সাতদিন পরে আবার খবর এল বীরবলকে দেখা গেছে দিল্লির পথে। আবারও চলল খোঁজাখুঁজি। কিন্তু না, তিনি বীরবল নন।
বীরবলের মওতের দু’মাস পরে প্রবল হতাশ হয়ে সম্রাট হঠাৎ বললেন, দেওয়ানজি, আমি আর সিক্রিতে থাকব না।
দেওয়ান তাজ্জব হয়ে বললেন, কী করবেন, হুজুর?
—আমি লাহোরে থাকব। উঠাও রাজধানী।
এত সাধের কেল্লা ছেড়ে লাহোরে! কিন্তু বাদশাহ অনড়, কিছুতেই বীরবলহীন সিক্রিতে আর থাকবেন না। অতএব—
অল হিজরি ৯৭৭ আগ্রা থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে আকবর এসেছিলেন সিক্রিতে। অল হিজরি ৯৯৪ ফতেপুর সিক্রিতে সতেরো বছর কাটিয়ে সেখান থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে বাদশাহ চললেন লাহোরে, নতুন রাজধানীতে। দিলশঙ্করের পিঠে দু’চোখে জল নিয়ে বাদশাহ আকবর, তাঁর পিছনে বিশাল কাফেলা চলেছে লাহোরের নতুন জীবনে।
সম্রাট বিড়বিড় করে বলছেন, বীরবলজি, আপনার মওত হতে পারে না। আপনি জিন্দা থাকবেন হিন্দুস্তানের আম-আদমির জীবনে। আকবর যতদিন হিন্দুস্তানে বেঁচে থাকবে, আপনিও ততদিন—
(শেষ)
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
17th  November, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM