Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

 ৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা। তিনি তাঁর জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন ভাগলপুরে। তাঁর যখন বারো বছর বয়স সেইসময় তাঁর প্রথম পদ্য ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয় ‘সখা ও সাথী’ নামে এক মাসিক পত্রিকায়। সেই প্রথম পদ্যই তৎকালীন গুণীজনদের প্রশংসা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। অত্যন্ত সাহসী এই মানুষটির পরলোক, প্রেতাত্মা ইত্যাদি ব্যাপারে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। কোনও আড্ডায় এই ধরনের কোনও প্রসঙ্গ উঠলে তিনি হো-হো করে হেসে বক্তাকে অপ্রস্তুত করে প্রায় থামিয়ে দিতেন।
এইরকম ভূত-অবিশ্বাসী মানুষটিও একদিন তাঁদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯০২ সালের কথা, সেইসময় তিনি সপরিবারে ভাগলপুর থেকে চলে এসেছেন ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়া রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে।
মাসটা ভাদ্র, উপেন্দ্রনাথের মা বাড়িতে উদ্‌যাপন করবেন তালনবমী ব্রত। সেই উপলক্ষে বাড়িতে বেশ কয়েকজন অতিথি এসেছেন। তাঁরা রাতের আহার করেই বাড়ি ফিরবেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন উপেনবাবুর অত্যন্ত পরিচিত শ্যামরতন চট্টোপাধ্যায় ও দ্বিজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। দ্বিজেন্দ্রনাথবাবু নাকুবাবু নামেই বন্ধু মহলে বেশী পরিচিত ছিলেন।
কাঁসারিপাড়ার বাড়ির বৈঠকখানায় তখন আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। হঠাৎই নাকুবাবু বললেন, উপেনবাবু আপনার এই বাড়িতে কিন্তু ভূত আছে।
তাঁর কথা শুনে উপেনবাবু সহ সবাই হইহই করে হেসে উঠলেন।
তাঁদের বিদ্রূপাত্মক হাসিতে একটু আহতই হলেন নাকুবাবু, তিনি উষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠলেন, এখন হাসছেন হাসুন! কিন্তু সেই ভূত যখন আপনাদের সামনে এসে দাঁড়াবে, তখন আপনাদের মুখ থেকে আর কোনও কথা বেরবে না।
অতিথিদের মধ্যে একজন তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, আপনি কী করে জানলেন এ বাড়িতে ভূত আছে?
নাকুবাবু বললেন, এক মাস, দু’মাস নয় এই বাড়িতে আমরা বছর খানেক কাটিয়ে গিয়েছি। এখানে আমরা ভাড়া থাকতাম। আমি নিজের চোখে সেই ঘটনা দেখেছি।
উৎসাহী এক অতিথি জানতে চাইলেন আপনি কী দেখেছিলেন বলুন না আমাদের?
নাকুবাবু গুছিয়ে বসে গল্প শুরু করলেন। বললেন, শুনুন তাহলে! আমাদের আগে এই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকতেন, তাঁদের বছর চারেকের একটি ছেলে ছিল। সারাটা দিন সে মার্বেলের গুলি নিয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় খেলে বেড়াত, কখনও কখনও রাতে ঘুম ভেঙে গেলেও সে তার ঘরের মেঝেতে মার্বেল গড়িয়ে দিত। সেই ছেলেটি মারাত্মক কলেরায় একদিন হঠাৎই মারা গেল। আমরা যে ঘরে বসে এখন গল্প করছি এর ওপরের ঘরটাতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলেটি থাকত। ওই ঘরেই সে মারা যায়। তারপর থেকে প্রতিদিন রাত একটার সময় ছেলেটি ওই ঘরে একবার করে মার্বেল ছড়িয়ে দেয়। শান্ত রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে সেই মার্বেল ঠক ঠক করে গড়িয়ে যায় ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথায়। আর সেই শব্দে অতি সাহসী মানুষেরও মশাই বুকের রক্ত হিম হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে ভিতর বাড়ি থেকে অতিথিদের খেতে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছেন উপেন্দ্রনাথবাবুর ভাগ্নে সুশীলচন্দ্র। রাত তখন সাড়ে দশটা। আড্ডা ভেঙে গেল, সবাই রওনা হলেন রাতের আহার সারতে।
খাওয়া সেরে যখন প্রায় সব নিমন্ত্রিতই বিদায় নিয়েছেন ঠিক সেইসময় উপেন্দ্রনাথ তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু শ্যামরতন চট্টোপাধ্যায়কে বললেন, এখন তো প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। আর ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করলেই আমরা শুনতে পাব বালক ভূতের মার্বেলের শব্দ। আজ তুমি রাতটা এখানেই থেকে যাও। আজকেই প্রমাণ হয়ে যাবে সত্যি ভূত আছে কী নেই!
শ্যামরতনবাবু বললেন, আমি তোমাদের এখানে থেকে যেতেই পারি, তবে আমাকে একবার বাড়িতে গিয়ে খবরটা দিয়ে আসতে হবে।
কিছুক্ষণের মধ্যে শ্যামরতনবাবু ফিরে এলেন বাড়ি থেকে। বৈঠকখানার ঘরের আরামকেদারায় তখন নিজের শরীর মেলে দিয়েছেন পরিশ্রান্ত সুশীলচন্দ্র। তাঁদের জন্য তৈরি করা বিছানায় দুই বন্ধু পাশাপাশি শুয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন সেই বালক ভূতের মার্বেল গড়ানোর শব্দ শোনার জন্য।
বাড়ির সবাই তখন যে যাঁর ঘরে শুয়ে পড়েছেন। ঢং করে একবার শব্দ করে দেওয়াল ঘড়ি জানিয়ে দিল সময় আসন্ন। দুই বন্ধুই বিছানার ওপর উঠে বসলেন। আর ঠিক তখনই ওপরের ঘরের মেঝেতে ঠক ঠক ঠক ঠক করে মার্বেল গড়ানো শুরু হল। সেই আওয়াজে দুই বন্ধু বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লেন। উপেন্দ্রনাথ এগিয়ে গেলেন দরজার দিকে। তিনি চাইছিলেন নিজের চোখে পুরো ঘটনাটি দেখতে। শ্যামবাবু বন্ধুর ডান হাতের কনুইয়ের কাছটা চেপে ধরে বললেন, এতরাতে সাহস দেখিয়ে আর কাজ নেই। চলো, শুয়ে পড়া যাক। বন্ধুর কথায় উপেনবাবু শুতে চললেন।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপেন্দ্রনাথ তাঁর দাদা লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে রাতের পুরো ঘটনাটি বললেন। তিনি সব শুনে বললেন, এটা নিয়ে অহেতুক চিন্তা করার কিছু নেই। তবে, একটা কথা মাথায় রেখো, বাড়ির মেয়েরা যেন এই ব্যাপারটা জানতে না পারে। তাহলে অহেতুক ভয় পাবে।
এই ঘটনাটি ঘটার দিন কয়েক পরে শ্বশুরবাড়িতে এলেন লালমোহনবাবুর দ্বিতীয় জামাতা সুবোধচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে তিনিই হবেন পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেদিন রাত একটা নাগাদ তাঁর দরজার সামনে মার্বেল গড়ানোর শব্দ পেয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলেন, তাঁর ঘরের দরজার সামনে একটা ছোট্ট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সুবোধবাবু তাকে চিনতে পারলেন না। তিনি বাচ্ছাটির কাছে জানতে চাইলেন, তুই কে? এত রাতে এখানে কী করছিস?
প্রশ্ন শুনেই বারান্দার সামনে ঘন গাছটির মধ্যে ছেলেটি অদৃশ্য হয়ে গেল। শিউরে উঠলেন সুবোধচন্দ্র। ইষ্টনাম জপতে জপতে তিনি তড়িঘড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন বিছানায়। সেই রাতে তিনি দু’চোখের পাতা আর এক করতে পারেননি।
পরবর্তীকালে এই প্রসঙ্গে উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন, ‘সুবোধের অভিজ্ঞতা ও আমাদের অভিজ্ঞতার দুটি গল্পকে স্বতন্ত্রভাবে উড়িয়ে দেওয়া যত সহজ, একত্রে তত সহজ নয়। দুটি গল্পকে সংযুক্ত করে দেখলে মনে হয়, উভয়ের সমষ্টি থেকে কোনও এক সত্যের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
(ক্রমশ)
ছবি: পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
অলংকরণ: চন্দন পাল
10th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে, সোনার দামবৃদ্ধি। অন্যদিকে, আর্থিক মন্দা। সব মিলিয়ে সোনার বাজার মোটেই ভালো গেল না দেশে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সোনার যে চাহিদা দেখা গিয়েছে, ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সংসার টানতে দীর্ঘ তিন বছর ধরে গঙ্গারামপুর শহরে টোটো চালাচ্ছেন স্কুলপাড়ার বাসিন্দা রীতা সরকার। চার বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গেমস-এর আসর বসতে চলেছে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং (কিট)-এর ক্যাম্পাসে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই আসর বসবে। সাংবাদিক বৈঠক ...

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (পিটিআই): গ্যাস পাইপে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল সাতজনের। জখম হয়েছেন আরও আটজন। রবিবার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন
১৯০১: পরিচালক ও অভিনেতা ভি শান্তারামের জন্ম
১৯৭৩: ভারতের জাতীয় পশু হল বাঘ
১৯৭৮: পরিচালক ও অভিনেতা ধীরেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  November, 2019

দিন পঞ্জিকা

১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৮/৮ রাত্রি ৫/১০। পুষ্যা ৪১/৫ রাত্রি ১০/২১। সূ উ ৫/৫৪/৪৩, অ ৪/৪৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে ৩/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৫ গতে ৩/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৪/১৭/৩৬ দিবা ৩/৩৯/২৭। পুষ্যা ৩৯/১৯/৩৪ রাত্রি ৯/৪০/১৫, সূ উ ৫/৫৬/২৫, অ ৪/৪৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ১১/১ মধ্যে ও ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে, বারবেলা ২/৫/৪৫ গতে ৩/২৭/১৮ মধ্যে, কালবেলা ৭/১৭/৫৮ গতে ৮/৩৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৪/১১ গতে ১১/২২/৩৮ মধ্যে।
২০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। বৃষ: কর্মরতদের শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন১৯০১: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

05:36:00 PM

খড়্গপুরের এসডিপিও সুকমল দাসকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন 

05:34:00 PM

হাসপাতালে ভর্তি নুসরত জাহান
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সংসদ সদস্য ...বিশদ

04:58:35 PM

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অপারেশন করা হয়েছে: মমতা 

04:46:00 PM