Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। আসলে রাস্তার যে নর্দমা দিয়ে জল সরে যাওয়ার কথা, তাও কানায় কানায় পূর্ণ।
লোকেশ বিছানায় যাব যাব করছে। কিন্তু যেতে পারছে না। একটা দুশ্চিন্তা— যদি ঘরের ভিতরে জল ঢুকে যায়!
হঠাৎ সামনের বারান্দায় কোলাপসিবল গেট ধরে নাড়াবার আওয়াজ। প্রথমে আস্তে আস্তে। তারপরে বেশ জোরে।
বাধ্য হয়েই লোকেশ চেয়ার থেকে উঠে বাইরের আলোটা জ্বালায়। কিন্তু দরজা খুলতেই— মা, তুমি এত রাতে এই বৃষ্টির মধ্যে! শিগগির ঘরে আসো। লোকেশ তাড়াতাড়ি তালাটা খুলে দেয়— কীরকম ভিজে গেছ বলো তো।
—থাকতে পারলাম না রে খোকা। যে হারে বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তাঘাট সব জলের তলায়। আর এদিকটার কথা তো আমার জানা। পূর্তদপ্তরের লোকেরা, ইঞ্জিনিয়াররা যে কী পরিকল্পনা করে, কী কাজ করে তাও আমার অজানা নয়। খালি রাস্তা উঁচু করা। যাতে রাস্তায় জল না জমে। কিন্তু নর্দমাগুলির ঢাল ঠিক রেখে যে গভীর করা প্রয়োজন, তা করে না। ফলে মুষলধারায় বৃষ্টি হলেই নর্দমা দিয়ে অত জল ঠিক মতো সরতে পারে না। আর বাড়িগুলি নিচু হয়ে যাওয়ার ফলে, সেগুলি জলে তলিয়ে যায়। তারপর কাজও ঠিকমতো হয় না।
—তাই বলে, এইরকম বৃষ্টির মধ্যে কি কেউ ঘর থেকে বের হয়। পথে যদি তোমার কোনও বিপদ হতো। লোকেশ ইতিমধ্যে আলমারি খুলে তাকগুলি খুঁজে খুঁজে মায়ের পরার জন্য শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ বের করে পরতে দিয়েছে।
— ওই যে বললাম, তোর মুখটা হঠাৎ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল। দিদিভাই আর বউমাও যেন আমার কথাই বলছে। এই, ওদের গলার আওয়াজ পাচ্ছি না কেন রে? ওরা কি সব ঘুমিয়ে পড়েছে? হুঁ ঘুমিয়ে পড়াটাই তো স্বাভাবিক। রাত তো আর কম হল না। তার ওপর যেভাবে বৃষ্টি পড়ছে। শেষ কথা কয়েকটি মনে মনে বলে ওঠে লাবণ্যদেবী।
—ওরা কেউ নেই মা।
—এটা তুই কী বলছিস, নেই মানে!
—ওরা এখানে থাকে না।
—দিদিভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। বউমা নিশ্চয়ই ওকে দেখতে ওর শ্বশুরবাড়ি ক’দিনের জন্য গেছে। বউমা তো আবার ফিরেও আসবে।
—ওরা কেউ আর এ বাড়িতে ফিরে আসবে না।
—তুই নিশ্চয়ই তাহলে ওদের সঙ্গে খুব অশান্তি করেছিস। দিদিভাইয়ের বর বা শ্বশুরবাড়ির লোক হয়তো তোর পছন্দের হয়নি। তুই দিদিভাইয়ের এই বিয়েটাকে মন থেকে মেনে নিতে পারিসনি। কেন না, দিদিভাই তোর একমাত্র সন্তান। তোর অন্যরকম আশা ছিল। শুধুমাত্র বউমাই বোধহয় এই বিয়েটা চেয়েছিল। আর তুই অশান্তির ভয়ে তা মানতে বাধ্যও হয়েছিলি। কিন্তু পরে বউমাকে সব সময় কথা শুনিয়েছিস। এটা তো ঠিক নয়। তাই বউমা তোকে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমি তো তোকে চিনি লোকেশ।
—না মা, তুমি যেমনটা বলছ, তা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। তবে হ্যাঁ, আমি চেয়েছিলাম, পর্ণার জীবনটা যেন আমার মতো যন্ত্রণার না হয়। ছোটবেলায় ওর ভিতর যে জিনিসগুলি আমি লক্ষ করেছিলাম, বা ওর মাস্টারমশাইরা ওর সম্পর্কে তাঁদের যে ধারণার কথা আমাকে বলেছিলেন, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ও জীবনে একটা জায়গায় নিশ্চয়ই পৌঁছাতে পারবে। আর পাঁচটা মেয়ের মতো ওর জীবনটা সাদামাটা হবে না।
—কেন ওকি জীবনে কিছুই করতে পারেনি। শুধু বিয়েটাই ওর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। আর সেই বিয়েটাও পরে ওর জীবনে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
—না, তা ঠিক নয়। ও বর্তমানে একটা কোম্পানির আইটি সেক্টরে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে আছে। মাস গেলে একটা ভালো অঙ্কের টাকাও পায়। ওর বরও তাই।
—তাহলে?
—শোনো, আইটি সেক্টরের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ বলতে সেরকম একটা কিছু নেই। কোম্পানি ইচ্ছে করলে যখন-তখন ছাড়িয়ে দিতে পারে। তারপর অন্য নতুন কোনও কোম্পানিতে চাকরি পেলে তো ভালো। নাহলে কিছুই করার নেই। যতদিন কাজ করতে পারবে, মানে কোম্পানি খুশি হয়ে তোমাকে রাখবে, সেই সময়ে যেটুকু সঞ্চয় করতে পারবে, তাই তোমার কাছে থাকবে। কিন্তু তা আর কতটুকু। আর ওদের জীবনযাত্রার যে ধরন। বছরে একবার করে বেড়ানো চাই। এরপর যেখানে থাকে, সেখানকার বাজারদর। ছেলের পড়াশোনা। কাজেই বুঝতে পারছ।
—সত্যিই লোকেশ, তুই আজও আগের মতো রয়ে গেলি। সেই পুরনো ভাবধারায় বিশ্বাসী। আর থাকবি নাই বা কেন। তুই তো আমারই ছেলে। আমারও সবসময় এক অনিশ্চয়তার ভয়। অনেক কিছু কল্পনা। কিন্তু বাস্তবটা যে অন্যরকম, সেটা বুঝতে পারি না। মেনে নিতে চাই না। শোন, দিদিভাইয়ের ভবিষ্যৎটা সুখেরই হবে। ওকে তো আমি জানি। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ বাস্তববাদী। তবে আমার আর তোর মতো কিছুটা হলেও, একটা আবেগ আছে। এটাই ভয়ের কারণ। তবে দুশ্চিন্তা করিস না। ওর ওপর তোর বাবার ও আমার আশীর্বাদ সবসময় আছে। ভাগ্য করেই তুই দিদিভাইয়ের মতো একটা মেয়ে পেয়েছিস। আর বউমাও ভালো রে। আসলে বউমার রাগটা আর জেদটা বড্ড বেশি। যেটা দিদিভাইও মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। বউমার এই রাগ ও জেদের পিছনে অবশ্য কারণও আছে। আসলে ও বাবার বাড়ি থেকে সেরকম কিছুই একটা পায়নি। যা প্রতিটি মেয়েই পেতে আশা করে। সেটাই ও আমাদের কাছ থেকে পেতে চেয়েছিল। আমরাও হয়তো তা ওকে ঠিকমতো দিতে পারিনি। তাই অশান্তি হতো। আমিও ওকে ভুল বুঝে চলে গেলাম।
দুই
সেদিনও একত্রিশে ভাদ্র ছিল। বিশ্বকর্মা পুজো। লোকেশ ওদের একটা বড় ঠিকাদারি সংস্থার পুজোর অনুষ্ঠান থেকে আর সব সহকর্মীর মতো বড় একটা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে সকাল সকাল বাড়ি ফিরেছিল। সকলে মিলে আনন্দ করে করে খাবে বলে। বৃষ্টি তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বাড়ি ফিরে কোলাপসিবল গেট ধরে নাড়াতেও কেউ দরজা খুলে সামনের বারান্দায় আসে না। তখনও চেঁচিয়ে ডাকা শুরু করে। পর্ণা এসে তালাটা খুলে দেয়।
—কী করছিলি? মা-মেয়েতে মিলে ঘুমোচ্ছিলি নিশ্চয়ই? মেয়ে কোনও কথা বলে না।
—এই মিষ্টির প্যাকেটটা ধর। তোর পছন্দের মিষ্টি ক্ষীরকদম্ব আছে। লোকেশ ছাতা বন্ধ করতে করতে মিষ্টির প্যাকেটা মেয়ের হতে ধরিয়ে দিতে যায়।
—তোমার আদরের মাকে গিয়ে দাও। বলতে বলতে পর্ণা ঘরের ভিতর ঢুকে যায়।
লোকেশ ভিতরে ঢুকে বুঝতে পারে। পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট। ও অবশ্য এই ব্যাপারে অভ্যস্ত। প্যাকেটটা নিয়ে তাই সোজা মায়ের কাছে চলে যায়— কী হয়েছে মা?
—কী আবার হবে। শোন, তুমি এখন তোমার আদরের মেয়ে পেয়েছ। বউ পেয়েছ। কাজেই আমার কোনও কথাই বিশ্বাস করবে না। তোমার কাছে এখন আমার কোনও মূল্যই নেই। নিছক তোমার বাবার দৌলতে আমার মাসিক পেনশনের টাকাটা আছে। আর এই বাড়িটা তোমার বাবা করে গেছেন। তাই এই বাড়িতে এখনও চারটি খেয়ে-পরে থাকতে পারছি। না হলে, এতদিনে তোমরা সকলে মিলে আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এই বাড়ি থেকে বের করে দিতে।
—এসব তুমি কী বলছ মা! তোমায় ছাড়া আজও আমি ভালোভাবে বাঁচতে পারব না। লোকেশ বলে ওঠে।
—বাজে কথা। তবে হ্যাঁ, একটা সময় মুহূর্তের জন্য হলেও, তুমি আমার মুখটা না দেখে কিছুতেই থাকতে পারতে না। যাই হোক, আমি আর কিছুতেই তোমাদের কাছে থাকব না। তুমি তোমার বউ-মেয়েকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকো। আমার পাস-বইটা দিয়ে দাও। এই জন্যই এতক্ষণ তোমার অপেক্ষা করেছি। বউমার কাছে চেয়েছিলাম। ও তোমার কথা বলেছে।
তিন
মায়ের বাঁধানো ছবিটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে সমানে পূর্বস্মৃতি রোমন্থন করে চলেছে লোকেশ। ওর দু’চোখ বেয়ে জলের ধারা পড়ছে।
ক্ষোভে দুঃখেই মা সেদিন ওর কাছ থেকে চলে গেছিল। তাই আজ মাকে সামনাসামনি পেয়ে ও বলে ফেলল— মা আজ যেটা তুমি বুঝতে পারছ, সেদিন সেটা কেন পারলে না গো। তাহলে তো এত কষ্ট এত যন্ত্রণা এতদিন ধরে আমাকে পেতে হতো না। তুমি আমাকে ছেড়ে না গিয়ে তোমার বউমা দিদিভাইয়ের সঙ্গে আনন্দেই থাকতে পারতে। তুমি তো আমাকে ভালো করেই জানো মা। আর পাঁচটা ছেলের মতো আমি নই। আমি মোটেও যুগোপযোগী নই। তোমার আর বাবার ধাতটাই তো পেয়েছি।
—ভুল করেছিলাম রে। বড্ড ভুল করেছিলাম। আসলে আমি বুঝতে চাইনি, দুটো মানুষ মানসিক দিক থেকে কখনওই হুবহু এক হতে পারে না। তারা যতই পরস্পর আপনজন হোক না কেন। তারপর বউমা অন্য একটা বাড়ি থেকে এসেছে। যথেষ্ট বয়সেই এসেছে। বাচ্চা বয়সে আসলে না হয় একটা কথা ছিল। আমি ওর ভিতর আমাকেই যেন দেখতে চেয়েছিলাম। যেটা অবাস্তব। তাই ওইদিন বউমা, বিশেষ করে দিদিভাই তোর সম্পর্কে আজে-বাজে কথা যখন আমাকে শুনিয়ে বলতে লাগল, আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না। আমরা নাকি বিনা পয়সায় শুধুমাত্র বাড়ির কাজের জন্য রান্নার জন্য তোর বিয়ে দিয়েছি। বউমার জীবনটা নষ্ট করেছি। দিদিভাইয়ের জীবনটাও আমাদের জন্য নষ্ট হয়েছে।
—যাক, এসব কথা এখন থাক মা। আজ যখন অনেকদিন বাদে তুমি স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছ, আর তোমাকে কিছুতেই ছাড়ব না। আমি এখনই, না এখন তো অনেক রাত হয়ে গেছে। ওরা নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে পড়েছে। কাল, কাল সকালেই তোমার ফিরে আসার কথাটা তোমার দিদিভাই, বউমাকে ফোনে জানিয়ে দেব। দেখবে, ওরা ক’দিনের জন্য হলেও চলে আসবে। তখন ভীষণ মজা হবে। বলা যায় না, তোমাকেও ওরা এবার ওদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে। নাতনির পুতিকে প্রথম দেখতে পাবে। ওর মুখটা একেবারে তোমার দিদিভাইয়ের মতো। বাচ্চটা যে কী দুষ্টু হয়েছে, কী বলব!
একটা এসি ট্যাক্সি এসে চার রাস্তার মোড়ে দাঁড়াল। দরজা খুলে একে একে বেরিয়ে আসে প্রতিমা, পর্ণা, অয়ন ও ওদের ছ’বছরের বাচ্চা পুগুন। কিন্তু বাড়ির সামনে এসে সকলে দেখতে পায়, কাজের দিদি সামনের বারান্দায় একটা চেয়ারের ওপর গালে হাত দিয়ে বসে আছে। চোখ দুটি যেন ভেজা।
—বাবা! পর্ণা চেঁচিয়ে ডেকে উঠেই ঘরের ভিতর ঢোকে।
—দাদান, তুমি কী করছ! পুগুনও চেঁচিয়ে ডাকতে ডাকতেই ঘরে ঢুকে যায়।
সকলে ঘরের ভিতর ঢুকে দেখতে পায়— টেবিলের ওপর একটা ডায়েরি খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। সামনেই একটা চেয়ার। ডায়েরির পাতার ওপর বাঁদিকে তারিখটা লেখা আছে— একত্রিশে ভাদ্র, চোদ্দোশো ছাব্বিশ।
—মাম মাম, দাদান কি স্টার হয়ে গেছে? পুগুন পর্ণাকে জিজ্ঞেস করে ওঠে।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী 
10th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: ইনিংস জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল ‘টিম ইন্ডিয়া’। গত সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছিল কোহলি বাহিনী। সাফল্য ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: ভোট যে বড় বালাই। তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নীতি, আদর্শ বা পরিকল্পনাকে আপাতত শিকেয় তুলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে কার্যত ‘ডিগবাজি’ খেল ...

সংবাদদাতা, গাজোল: চড়া দামের ঠেলায় পড়ে এবার ভাতের হোটেলগুলিতেও কোপ পড়েছে ‘ফ্রি পেঁয়াজ’-এর উপর। সেইসঙ্গে চাউমিন বা এগরোলের মধ্যেও কমেছে পেঁয়াজের পরিমাণ। শসার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জোড়াতালি।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় লজিস্টিকস বা পণ্য পরিবহণ ও মজুত রাখা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়তে উৎসাহী বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে তাদের। ওই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হতে পারে বলে শনিবার দাবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ৩১/১৫ রাত্রি ৬/২৩। পুনর্বসু ৪২/৪৪ রাত্রি ১০/৫৯। সূ উ ৫/৫৪/৩, অ ৪/৪৮/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ১/৩৩ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/০ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩৯ মধ্যে।
৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ২৮/২৫/৫০ সন্ধ্যা ৫/১৭/৫৯। পুনর্বসু ৪১/৫৬/২২ রাত্রি ১০/৪২/১২, সূ উ ৫/৫৫/৩৯, অ ৪/৪৯/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৪ মধ্যে ১১/৫৩ গতে ১/৪০ মধ্যে ও ২/৩৩ গতে ৫/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ১০/০/৪৫ গতে ১১/২২/২৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/২৬ গতে ১২/৪৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৪৫ গতে ২/৩৯/৩ মধ্যে।
১৯ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের সুখবর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস১৫২৫ - সিন্ধু প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোগল সম্রাট ...বিশদ

07:03:20 PM

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড 

04:12:19 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের আমিরাবাদ গ্রামে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা 

03:21:29 PM

আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন মহঃ সামি 

03:21:00 PM

ইকো পার্কে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের 

03:11:00 PM