Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও! তুমি আমৃত্যু দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত থেকে সৃষ্টি করবে কালজয়ী রচনা। তোমাকে পৃথিবী মনে রাখবে তোমার সৃষ্টির জন্য।
আবার এল আঘাত। সেই আঘাতে এবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দীর্ণ হলেন। তবে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামী সেই অসম্ভব শোককে চেপে রাখলেন নিজের বিশাল হৃদয়ে। কিন্তু স্ত্রী! শোকে তিনি মগ্ন হলেন। কল্যাণীদেবী তখন সন্তান সম্ভবা। পরবর্তীকালে রমা (কল্যাণী) বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভয়ঙ্কর দিনটির বর্ণনা লিখে রেখে গিয়েছেন তাঁর বিখ্যাত ‘কাছে থেকে দেখা’ গ্রন্থে। তিনি লিখছেন, ‘ধাত্রী মাসীমা প্রত্যহই এসে একবার দুবার আমাকে দেখে যেতেন কিন্তু পালে বাঘ পড়ার দিন হল অন্য ব্যাপার।
সেদিন সকালবেলা থেকে হঠাৎ আমার শরীর খুব খারাপ হয়ে গেল। মাসীমা ধাত্রী মাসীমার কাছে লোক পাঠালেন। কিন্তু মাসীমা এলেন না আবার জোর তলব পাঠান হল। মাসীমা আমাকে ধরে ভগবানকে ডাকতে লাগলেন।...আমার কন্যাটি ভূমিষ্ঠ হল। ডাক্তারবাবু, মাসীমা আর ধাত্রীমাসীমার কথাবার্তায় বুঝলুম— যে সন্তান জন্ম নিল আমার বত্রিশ নাড়ী ছিঁড়ে— সে মৃত।
আমি অবুঝের মত কেঁদে উঠলাম — ডাক্তারবাবু, আপনারা তো কত কায়দা জানেন। আমার খুকীকে বাঁচান ডাক্তারবাবু! ঠান্ডা জল গরম জলে ডোবান ওকে। আমার মনকে বোঝাবার জন্য ওঁরা সবই করলেন। কিন্তু বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছিল আমার দেহের ভেতরেই। কয়েক ঘণ্টা আগেই।’
বাচ্চাটি মারা যাওয়ার পরের দিন রাত্রেই বিভূতিভূষণ স্ত্রীকে লাইব্রেরি থেকে দুখানি বই এনে দিয়েছিলেন। সেই দিনের কথা পরবর্তীকালে স্মরণ করেছেন রমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখছেন,‘ খুকীটি মারা যাবার পরের দিন রাত্রিতেই উনি দুখানা বই এনে দিয়েছিলেন লাইব্রেরি থেকে, আজও মনে আছে। তার মধ্যে একখানা ‘And Quiet Flows the Don’ এর অনুবাদ। খুব ভালো লেগেছিল বইখানা। আমার মনের গভীর বেদনার দিনের সঙ্গী হয়েছিল ওই বইখানি। আজও যখনি বইখানি হাতে পড়ে, তখনি মনে পড়ে সেই বেদনায় নীল দিনগুলির কথা। মাথাধরা নিয়েই ভুলে থাকবার জন্য বই পড়ে যেতাম। বহু চিকিৎসায় ছ-সাতদিন বাদে মাথার যন্ত্রণা কমে।’
দুই
মৃত্যুর পরের জগৎ সম্পর্কে বিভূতিভূষণের আগ্রহ ছিল প্রবল। তিনি মৃত্যুকে বলতেন মানবজীবনের একটা রূপান্তর। মানুষের মৃত্যুর পরের জগৎ আমাদের কাছে দৃশ্যমান নয়। তাই বলে একথা ঠিক নয় যে, মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ হয়ে যায়।
বিভূতিভূষণ ও রমাদেবীর সন্তান বাবলু (তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) তখন খুব ছোট। সেইসময় তিনি মারাত্মক টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। তাঁর জ্বর কিছুতেই কমছে না। পালা করে স্বামী-স্ত্রী ছেলের পাশে বসে থাকতেন। একদিন কল্যাণী দেবী স্বামীকে ছেলের পাশে বসিয়ে স্নান করতে গিয়েছেন। স্নান সেরে ফিরে আসার পর তাঁর বাড়ির পরিবেশটা কেমন অস্বাভাবিক লেগেছিল। তাঁর মনে হয়েছিল বাবলুর কিছু হয়েছে। রমা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, ‘ঘরে ঢুকে আমি দেখলাম উনি দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বসে আছেন বাবলুর শিয়রের পাশে। তাকিয়ে আছেন শূন্যদৃষ্টিতে। কেমন যেন শক্তিহীন, বিবর্ণ মানুষ।... কোন সুদূর থেকে যেন উনি ক্ষীণ গলায় কথা বলছেন— জানো কল্যাণী, তুমি চলে যাওয়ার পরে আমি একটা কাণ্ড করেছি।
আমি অবাক হয়ে ওঁর দিকে তাকালাম। উনি বললেন— আমি নির্দেশ পেলাম, বাবলুর এ অসুখের মোড় ঘুরিয়ে দিতে হলে আমার আয়ু বাবলুকে দান করতে হবে। কে যেন আমাকে বলছে— তুমি পারবে তোমার আয়ু দান করতে? তাহলে বাবলু নীরোগ হয়ে দীর্ঘজীবী হবে—
অবাক হয়ে আমি বললাম— তুমি কী করলে?
উনি বললেন— আমি মনে মনে বললাম— ‘বাবলু আমার প্রাণ অপেক্ষা প্রিয়। বলুন কি করতে হবে? আমার আয়ু দিয়ে যদি আমার বাবলু ভালো হয়ে ওঠে তাহলে আমি তাই করব এখুনি।’
নির্দেশ পেলাম— তোমার দুই পা তোমার ছেলের মাথার ওপর রেখে একমনে প্রার্থনা কর যে, তোমার আয়ু সবটুকু ওকে তুমি দান করলে।
আমি তাই করলাম। দুই পা বাবলুর মাথায় ছুঁইয়ে বললাম— আমার সবটুকু আয়ু আমি ছেলেকে দিয়ে দিলাম। এই আয়ুর বদলে ওকে তুমি দীর্ঘজীবী কর ঈশ্বর।.... এরপরে উনি কিন্তু বেশিদিন বাঁচেননি। বড়জোর মাস আটেক কি বছর খানেক।’
এর কিছুদিন বাদেই ঘাটশিলার এঁদেলবেড়া হ্রদের কাছে কয়েকজন বন্ধু মিলে বিভূতিভূষণ বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে সকলে দেখেন বনের গভীরে একটা আলো জ্বলছে। সবাই মিলে ঠিক করলেন, ওখানে তো কোনও লোকবসতি নেই তাহলে কীসের আলো?
অন্যরা বারণ করা সত্ত্বেও বিভূতিভূষণ সেই আলোর সন্ধানে একাই চলে গিয়েছিলেন।
রমা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, ‘উনি এগিয়ে গিয়ে কি দেখে নাকি চেঁচিয়ে উঠেছিলেন জোরে। আর্তরব উঠেছিল ওঁর মুখ থেকে।
সেই চিৎকার শুনে দু-চারজন এগিয়ে গিয়ে দেখেন ওখানে একটি পরিষ্কার জায়গায় একটি কলসী। পাশেই খাটিয়ায় একটি মৃতদেহ আর দাহকার্যের নানাবিধ উপাচার। প্রদীপ জ্বলছে। মৃতদেহের মুখের কাপড় সরে গিয়েছিল। তাই দেখে উনি চীৎকার করে উঠেছিলেন। কার মুখ দেখেছিলেন উনি সেই মৃতদেহের মুখের কাপড় সরে গেলে? নিজের? সেইরকমই আভাস দিয়েছিলেন বন্ধুদের। (নিজের প্রতিরূপ বা দ্বিতীয় সত্তা দেখতে পাওয়ার ঘটনা বিরল হলেও ইতিহাসে প্রাপ্তব্য। কবি গ্যোটে নিজের অশ্বারোহী প্রতিমূর্তি দেখেছিলেন। এর কিছুদিন বাদেই তাঁর মৃত্যু হয়। জর্মন ভাষায় একে বলে Doppelganger। কথিত আছে মহাপুরুষদেরই কেবল এমন হয় এবং এরূপ দর্শনের পর তাঁরা বেশিদিন জীবিত থাকেন না।)’
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তিনি যেদিন চিরতরে চলে গেলেন সেই দিনটি ছিল তেরশো সাতান্ন সালের পনেরোই কার্তিক, বুধবার। সময় রাত আটটা পনেরো মিনিট।
(ক্রমশ)
ছবি: মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
অলংকরণ: চন্দন পাল 
03rd  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। হাওড়া: এবার আর ব্লক অফিসে নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে জেলা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগকে নিয়ে গিয়ে বৈঠক করতে হবে জেলাশাসকদের। বছরে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত তিন থেকে চারবার যাতে এই বৈঠক করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ...

ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: ইনিংস জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল ‘টিম ইন্ডিয়া’। গত সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছিল কোহলি বাহিনী। সাফল্য ...

সংবাদদাতা, আরামবাগ: বিভিন্ন দাবিতে শনিবার আরামবাগে মিছিল করে সিপিএম। সিপিএমের-১ ও ২ নম্বর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এদিন একটি পথসভাও হয়। আরামবাগের ধামসা বাসস্ট্যান্ডে প্রথমে পথসভা ...

 কলম্বো, ১৬ নভেম্বর: অপ্রীতিকর নানা ঘটনার মধ্যেই শনিবার সম্পন্ন হল শ্রীলঙ্কার ভোট। আর এই ভোটে শ্রীলঙ্কার দিকে বিশেষ নজর ছিল ভারতের। ভারতের মূল চিন্তা মহিন্দা রাজাপাকসে। যদি তাঁর দল পুনরায় ক্ষমতায় ফেরে, তাহলে তা ভারতের জন্য খুব ভালো হবে না, ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ৩১/১৫ রাত্রি ৬/২৩। পুনর্বসু ৪২/৪৪ রাত্রি ১০/৫৯। সূ উ ৫/৫৪/৩, অ ৪/৪৮/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ১/৩৩ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/০ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩৯ মধ্যে।
৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ২৮/২৫/৫০ সন্ধ্যা ৫/১৭/৫৯। পুনর্বসু ৪১/৫৬/২২ রাত্রি ১০/৪২/১২, সূ উ ৫/৫৫/৩৯, অ ৪/৪৯/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৪ মধ্যে ১১/৫৩ গতে ১/৪০ মধ্যে ও ২/৩৩ গতে ৫/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ১০/০/৪৫ গতে ১১/২২/২৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/২৬ গতে ১২/৪৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৪৫ গতে ২/৩৯/৩ মধ্যে।
১৯ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের সুখবর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস১৫২৫ - সিন্ধু প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোগল সম্রাট ...বিশদ

07:03:20 PM

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড 

04:12:19 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের আমিরাবাদ গ্রামে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা 

03:21:29 PM

আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন মহঃ সামি 

03:21:00 PM

ইকো পার্কে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের 

03:11:00 PM