Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন।
এখানকার বিখ্যাত জয়গ্রীব মাধবের মন্দিরকে নিয়েই হাজোর প্রসিদ্ধি। প্রকৃতির এক সুরম্য স্থানে এই পুণ্যতীর্থ হাজো।
কামরূপে কামাখ্যা দর্শনে এলে এক যাত্রাতেই যাতে জয়গ্রীব মাধবের দর্শন পান যাত্রীরা সে কারণেই দেবী মহিমা প্রকাশের মধ্যে মাধব শরণং।
গুয়াহাটি রেল স্টেশনের কাছ থেকে ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে মিনিটে মিনিটে যাচ্ছে হাজোর বাস। সেই বাসেই আমি চলেছি মাধবের পুণ্যভূমি দর্শনে। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর সেতু পার হয়ে আমিনগাঁওয়ের মাটি ছুঁয়ে বাস বাহনে একসময় হাজোতে এলাম।
স্থানীয় দুর্গামন্দিরের পাশে মস্ত একটি তালাওয়ের ধারে নামলাম বাস থেকে। দু’-একজনকে জিজ্ঞেস করে জানলাম হাজোর মূল আকর্ষণই হল মণিকূট পর্বতের ওপর জয়গ্রীব মাধবের মন্দির। দুর্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে তালাওয়ের ধারে ছোট্ট একটি পাহাড়ের ওপর খাড়াই সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই মাধবের মন্দির।
আমি কিছুক্ষণ তালাওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে মৎস্যক্রীড়া দেখে মণিকূটের পাদদেশে এলাম। এই পর্বতটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে একশত বাহু পরিমিত। এখান থেকেই ধাপে ধাপে সিঁড়ি উঠে গেছে মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথের দিকে। আমি মাধবের জন্য তুলসীপাতার মালা, ফুল ও এলাচি দানা নিয়ে দর্শনে গেলাম। প্রবাদ, এই মণিকূট পর্বতে এক এক ধাপ উঠলে লক্ষ লক্ষ পাপ টুটে যায়।
যোগিনীতন্ত্রে হাজো বিষ্ণুপুষ্কর নামে উল্লেখিত। হাজো আগে মণিকূট নামেই অভিহিত ছিল। মণিকূট পর্বতে মাধব মন্দির নির্মিত হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে। একাদশ শতাব্দীর পর অহোম, কোঁচ ও পালবংশের রাজাদের শাসনাধীনে ছিল হাজো। হাজো নামের মধ্যেও অনেকের ধারণা অসমিয়ার ‘হা’ শব্দের অর্থ মাটি। আর ‘গজো’ শব্দের ‘জো’ হচ্ছে পবিত্র ভূমি। এরই সরলীকরণে হাজো। যেহেতু হাজো মুসলমানদেরও এক পবিত্র তীর্থস্থান এবং এখানকার মহিমা মক্কার পোয়া অংশের অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশের মতো পবিত্র তাই একে পোয়া মক্কাও বলে।
যাইহোক, আমি পূজার ডালি হাতে নিয়ে খাড়াই বেয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছলাম। মুগ্ধ হলাম মন্দিরের প্রাকৃতিক অবস্থান দেখে। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের এমন মিলনভূমি আর কোথাও কিন্তু আমি দেখিনি।
লোকমুখে শুনলাম এই পর্বতের গভীর জঙ্গলে অতীতে উর্ব নামে এক ঋষি তপস্যা করতেন। সেই সময় জয়গ্রীব নামে এক দানব খুব অত্যাচার করত ঋষির ওপর। ঋষি তাই বিষ্ণুর শরণ নিলে বিষ্ণু এসে যুদ্ধ করেন জয়গ্রীবের সঙ্গে। সেই যুদ্ধে জয়গ্রীব নিহত হলে বিষ্ণু জয়গ্রীব মাধব নাম নিয়ে শিলারূপ ধারণ করে এখানে বিরাজ করতে থাকেন।
আরও একটি কাহিনী প্রচলিত আছে এখানে। সেটি হল শ্রীবিষ্ণু অনন্তশয়নে থাকা অবস্থায় ব্রহ্মা এবং তাঁর নাভিকমলে বসে সৃষ্টি চিন্তা করার সময় মধু ও কৈটভ নামে দুই দানব তাঁর বেদ চারখানি চুরি করে নিয়ে পালায়। ব্রহ্মার ধ্যান ভঙ্গ হলে তিনি সে কথা বিষ্ণুকে জানান। বিষ্ণু তখন ধ্যানযোগে সব জেনে জয়গ্রীব দানবের রূপ ধরে এই পর্বত থেকে বেদ চারখানি উদ্ধার করেন। বিষ্ণু জয়গ্রীব রূপ ধারণ করেছিলেন বলেই এখানকার বিগ্রহের নাম হয় জয়গ্রীব জনার্দন বা জয়গ্রীব মাধব।
মাধব মন্দিরের কাছেই আছে ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীর মন্দির।
প্রথমেই আমি মাধব মন্দিরে পুজো দিলাম। বিগ্রহ দর্শনে এমনই অভিভূত হলাম যে তা বলবার সাধ্য আমার নেই। পূজারী ব্রাহ্মণ অনেক মন্ত্রধ্বনিতে পূজা করিয়ে ভাবাবেশে আপ্লুত করলেন আমাকে। আমার নিয়ে যাওয়া তুলসী মালা বিগ্রহের গলায় পরিয়ে অন্যের মালা বিগ্রহের গলা থেকে নিয়ে প্রসাদ হিসেবে আমাকে দিলেন। তারপর যা বললেন, তা দারুণ চমকপ্রদ। উনি বললেন, ‘আপনি শ্রীক্ষেত্রে গেছেন কখনও জগন্নাথ দর্শনে?’ বললাম, ‘বহুবার।’
‘এখানে এই যে জয়গ্রীব মাধবকে দেখলেন এই মূর্তি সেই একই উপাদানে গড়া।’
জানতে চাইলাম, ‘কীরকম!’
উনি বললেন, ‘পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তি নির্মাণ সম্বন্ধে যে কাহিনী প্রচলিত আছে এই কাহিনী তার সম্পূর্ণ বিপরীত। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথের মূর্তি যে উপাদানে সৃষ্টি হয়েছিল জয়গ্রীব মাধবের মূর্তিও সেই একই উপাদানে নির্মিত। সেকালে ওড়িশার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন তীর্থস্থান হিসেবে ওড়িশার কোনও অঞ্চলকে প্রসিদ্ধ করার জন্য এবং সেখানে দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠাকল্পে এক যজ্ঞ করেন। যজ্ঞ সমাপনান্তে এক রাতে ইষ্টচিন্তা করে স্বপ্ন দেখলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বলছেন, ‘আমি তোমার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়েছি। কাল ভোরে তুমি একখানি কুঠার হাতে নীলাচলে সমুদ্রতীরে একাকী গমন করবে। সেখানে এক নামহীন অদ্ভুত বৃক্ষ দেখতে পাবে। সেই বৃক্ষটিকে স্বহস্তে সপ্তখণ্ডে ভাগ করবে। মূল খণ্ড দিয়েই আমার মূর্তি নির্মাণ করে বিধিমতো প্রতিষ্ঠা করবে যথাস্থানে।’ স্বপ্নভঙ্গে রাজা অতি প্রত্যুষে কুঠার হাতে একাই চললেন সমুদ্রতীরে। গিয়েই দেখতে পেলেন সেই নামহীন মহান তরু।
স্বপ্নের নির্দেশমতো রাজা সেই কল্পদ্রুমকে সাত খণ্ডে ছেদন করলেন এবং মূল খণ্ড দিয়েই নির্মাণ করলেন শ্রীজগন্নাথদেবের মূর্তি। বলভদ্রদেব ও সুভদ্রার মূর্তিও তৈরি হল আরও দুই খণ্ডে। চতুর্থ খণ্ডটির দ্বারা কাশ্মীরে আদিত্য বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করলেন। পঞ্চম খণ্ডটি নিলেন শুক্রাচার্য। তাই দিয়ে তিনি শেণ্যদিত্য ভগবানের বিগ্রহ স্থাপন করলেন। পরে দেবগুরু বৃহস্পতি ওই বিগ্রহকে শিলামূর্তিতে রূপান্তরিত করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ষষ্ঠখণ্ডটি বরুণদেব নিয়ে এলেন কামরূপে। তার এক ভাগ, মলয়গিরিতে এবং ঊর্ধ্বভাগ এই মণিকূট পর্বতে মাধবমূর্তি রূপে প্রতিষ্ঠা করলেন। সপ্তম খণ্ডটি নিলেন কুবের। সেই খণ্ড দ্বারা তিনি নান্দীশ ভগবানের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মূর্তিটি উত্তর লখিমপুরে বিরাজিত। ইনি মৎস্যাক্ষ মাধব নামে অভিহিত।
পুরোহিতের মুখে এই অভিনব কাহিনী শুনে ধন্য হলাম।
পরে আরও শুনলাম, এক শ্রেণীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ এখানেই হয়েছিল। তাঁদের মতে কুশীনগর অন্য কোথাও নয়, এই হাজোতেই। হাজোর নাম তখন ছিল কুশবৈ। এই কুশবৈই কুশীনগর। গৌতমবুদ্ধ এখানেই সশিষ্য মদনাচল পর্বতে দক্ষিণমুখী হয়ে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এবং তাঁর দেহটি শিষ্যরা মদনাচল পর্বত থেকে নিয়ে এসে মণিকূট পর্বতেই দাহ করেন। (ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
13th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
সাত বছরের ফাঁদে
ভগীরথ মিশ্র 

ভর-দুপুরে সদর বাজার দিয়ে হাঁটছিল শুখা।
পান্তু নাগের গোপন ডেরায় যাচ্ছে সে। কেন জানি, খুব জরুরি তলব দিয়েছে পান্তু।
এলাকার মুকুটহীন-সম্রাট রামতনু শিকদারের বাঁ হাত হল পান্তু নাগ। মানুষজন জলশৌচ জাতীয় যাবতীয় নোংরা-ঘাঁটা কাজগুলো তো বাঁ হাত দিয়েই করে। সেই হিসেবে পান্তু রামতনুর বাঁ হাতই।  
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে।   বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 বিএনএ, বারাকপুর: বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়া পুরসভার আরও পাঁচ বিজেপি কাউন্সিলার তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রাখলেন। তাঁরা যে কোনও দিন ঘরে ফিরতে পারেন ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাস উৎসবকে সামনে রেখে নবদ্বীপে ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। রাসের দিনগুলিতে ফেরিঘাট দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে তাদের পারাপার ও নিরাপত্তা নিয়ে নবদ্বীপের ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি নবদ্বীপ পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনও এনিয়ে তৎপর। ...

রাঁচি, ৭ নভেম্বর (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের দাবি, না খেতে পেয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনাহারে মৃত্যুর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৮ টাকা ৭২.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১২ টাকা ৯৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৪ টাকা ৮০.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৬/৩০ দিবা ১২/২৫। পূর্বভাদ্রপদ ১৫/৫৯ দিবা ১২/১২। সূ উ ৫/৪৮/২৭, অ ৪/৫২/২১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৪ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৫ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৩ মধ্যে। 
২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৫/৫৮/১৯ দিবা ১২/১২/৪৩। পূর্বভাদ্রপদ ১৭/৫৮/২৫ দিবা ১/০/৪৫, সূ উ ৫/৪৯/২৩, অ ৪/৫৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৫০ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৫/২১ গতে ৯/৫৮/২০ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৮/২০ গতে ১১/২১/১৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭/১৬ গতে ৯/৪৪/১৭ মধ্যে। 
১০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: টসে জিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট নিল দিল্লি

07:13:52 PM

আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উচ্চবিদ্যায় ভালো ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬২- সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি পুরুষ ওস্তাদ আলাউদিন খাঁর জন্ম।১৮৯৫- জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

আগামীকাল অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট

09:17:50 PM

এবার হকি বিশ্বকাপ ভারতে
২০২৩ সালে পুরুষদের এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ...বিশদ

05:08:38 PM

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
 মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গড়ার ...বিশদ

05:01:39 PM