Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১
‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব
মৃত্যু-অমৃত করে দান ।
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ...।।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন নিখুঁত শরীরে পৃথিবীকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে। অস্ত্রোপচারে তাঁর প্রবল আপত্তি ছিল। ডাঃ নীলরতন সরকারও তাঁর পক্ষে ছিলেন। ডাঃ সরকার অন্য চিকিৎসকদের বলেছিলেন, ‘দেখুন, রবীন্দ্রনাথকে সাধারণ রোগীর মতো দেখবেন না। তাঁর স্নায়ু, তাঁর শিরা উপশিরা দৈহিক গঠন সবই অসাধারণ। আমাদের ডাক্তারি শাস্ত্রের নির্দেশ রবীন্দ্রনাথের মতো মহাপুরুষের দেহের পক্ষে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।’
কবিও চাননি তাঁর অপারেশন করা হোক। অপারেশন হয়েছিল তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তিনি বার বার, হাজার বার বলেছিলেন, ‘শরীরে খুঁত নিয়ে মরতে চাই না। বয়স হয়েছে, বিদায় নেবোই তো, স্বাভাবিকভাবেই সব শেষ হোক, কাঁটা ছেঁড়া কেন?’
তবু অপারেশন হল! ডাক্তার ললিতমোহন ব্যানার্জি কবির অপারেশন করলেন। আর সত্যি হল রবীন্দ্রনাথের কথা। অপারেশনের প্রবল ধকল সহ্য করতে পারল না তাঁর শরীর। কবির প্রিয় ঋতু ছিল বর্ষাকাল, আর তাঁর তিরোধানের দিনটি ছিল বাইশে শ্রাবণ।
পালঙ্কে শুয়ে আছেন আচ্ছন্ন রবীন্দ্রনাথ। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তাঁর পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ছিলেন ডাঃ জ্যোতিষ রায়। সেইসময়, শেষ মুহূর্তে পরিবারের কেউ একজন তাঁর কানের কাছে মুখটি নিয়ে গিয়ে শোনাচ্ছেন ‘শান্তম অদ্বৈতম’ মন্ত্র, তার পাশাপাশি চলছে অবিরাম ব্রহ্মসঙ্গীত। আর এর মাঝেই ডাঃ জ্যোতিষ রায় কবির নাড়ি টিপে ঘোষণা করলেন — ‘সব শেষ’। জীবনের হাত ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিলেন আমাদের প্রাণের কবি, মননের কবি, এই পৃথিবীর কবি— বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পরলোকচর্চায় প্রবল ভাবে বিশ্বাসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই তাঁর মৃত্যুর কয়েকবছর পরে তিনি এলেন রাজেন্দ্রলাল আচার্যের পরলোক চর্চার আসরে। ২৮ অগ্রহায়ণ ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের ‘দৈনিক মাতৃভূমি’ পত্রিকায় রাজেন্দ্রলাল আচার্য সম্পর্কে প্রতিবেদক লিখছেন,‘রাজেন্দ্রলাল আচার্য বাবু ইতঃপূর্ব্বে— বিশেষ ‘বাঙ্গালীর বল ও বাঙ্গালীর ধর্মগুরু’ নামক ২য় খণ্ডের পুস্তক প্রকাশ করিয়া বঙ্গ সাহিত্যে পরিচিত হইয়াছেন।’ অতএব এটা ধরে নেওয়া যেতে পারেই যে তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পরিচয় ছিল।
দিনটি ছিল ২৩ ডিসেম্বর ১৯৪৫ সাল। রাজেন্দ্রলাল আচার্য তাঁর ‘মৃত্যুর পরপারে’ গ্রন্থে কবির সঙ্গে তাঁর একান্ত আলাপচারিতার কথা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি লিখছেন, কবিকে আমি অনুরোধ করে বললাম, আমি একটা বই লিখছি, সেই বইয়ের জন্য আপনার মহাযাত্রার বর্ণনাটি লিখে নিতে চাই।
কবি বললেন, তা বেশ লিখে নাও। কবি বলতে থাকলেন, আর আমিও শুরু করলাম লেখা— আমি কলকাতায় যখন দেহত্যাগ করলুম, তখন দেখলুম যে দেহ থেকে একটা সাদা কুয়াশা যেন বেরিয়ে এল। আমার সেই পরিত্যক্ত দেহ ঘিরে আমার আত্মীয়-পরিজনরা তখন কাঁদছে। আমি তাদের বলার চেষ্টা করলুম, আমি মরিনি, এই তো আমি তোমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তারা আমার কোনও কথাই শুনতে পেল না, কাঁদতেই থাকল। তাদের জন্য আমার সেইসময় বড়ই কষ্ট হচ্ছিল। তাই তাদের কথা ভেবে আবার আমি চেষ্টা করলুম আমার সেই পরিত্যক্ত দেহে প্রবেশ করবার। বার বার চেষ্টা করলুম, কিন্তু পারলুম না। সে সময় আমার চেহারাটা ছিল ধোঁয়ার মতো। হাত-পা সবই তখন আমার ছিল, তবে সবটাই ধোঁয়া দিয়ে যেন তৈরি। তখনও পর্যন্ত আমি বুঝতে পারিনি যে আমার মৃত্যু হয়েছে।
যখন আর পরিত্যক্ত শরীরে ফেরা গেল না তখন আমি একটু বিরক্তই হয়ে পড়লাম। আর এমন সময় দেখলাম আমার চারপাশে কয়েকজন মানুষ এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে জ্যোতি বেরচ্ছিল। তাঁদেরই একজন আমাকে মধুর কণ্ঠে হাসতে হাসতে বললেন, কবি আপনি তো আর বেঁচে নেই, আপনার মৃত্যু হয়েছে।
আমি বললুম, কখন আমার মৃত্যু হল!
তিনি হাসতে হাসতে বললেন, আমাদের সঙ্গে এবার চলুন, সত্যিই আপনার মৃত্যু হয়েছে। এখানে থেকে কোনও লাভ নেই। বৃথাই কষ্ট পাবেন।
আমি বললাম, আমায় কোথায় নিয়ে যাবেন?
তিনি বললেন, চলুন কোনও ভয় নেই। আপনার জন্য যে স্থান নির্দিষ্ট আছে, আমরা আপনাকে সেখানেই নিয়ে যাব।
বললাম, চলুন তাহলে।
শুরু হল আমাদের পথ চলা। তাঁরা আমাকে এক ঘন কুয়াশাপূর্ণ স্থান দিয়ে নিয়ে চললেন সামনের দিকে। দীর্ঘ সে যাত্রা। একসময় আমি তাঁদের বললাম, দেখুন আমার শরীর বড়ই অবসন্ন হয়ে পড়েছে। আর যে আমি হাঁটতে পারছি না।
তখন তাঁদের মধ্যে থেকে একজন বললেন, আর আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। এই কুয়াশাচ্ছন্ন পথের শেষ হবে সামনে। ওই দেখুন সামনেই আলো দেখা যাচ্ছে। আর একটু কষ্ট করুন।
আমি খুব ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করলুম। একটুখানি গিয়েই দেখি চারিদিকে বেশ আলো জ্বলছে— যেন চাঁদের আলো— কিংবা তার চেয়েও যেন জোর আলো।
আমি তাঁদের বললুম, আমি তো আর চলতে পারছি না। এইখানে একটু জিরিয়ে নিই। এই বলে সেখানেই বসে পড়লুম এবং পরক্ষণেই শুয়ে পড়লুম সেই ভূমির ওপর। শুতে শুতেই এমন ঘুম এল যে আর কিছুই জানি না। কদিন ঘুমিয়ে ছিলুম তা বলতে পারব না। একদিন আমার ঘুম ভাঙতেই দেখি আমার পিতা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁকে দেখে আমি তাড়াতাড়ি উঠে প্রণাম করলাম। তিনি বললেন, রবি, ভয় নেই, আয় আমার সঙ্গে। আমি তোকে নিতে এসেছি।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলুম, সত্যিই কি আমি মারা গিয়েছি?
তিনি হেসে বললেন, সত্যিই তুই মারা গিয়েছিস রবি। এখন তোর নতুন জীবন আরম্ভ হয়েছে। এ শুধু ও-পার আর এ-পার। এরই নাম মৃত্যু।
আমি বললাম, এর জন্য তবে মানুষের এত ভয় কীসের?
তিনি বললেন, কিছু ভয় নেই। লোকে জানে না তাই ভয়ে মরে। চল না দেখবি চল।
বাবার পাশাপাশি আমিও হাঁটতে শুরু করলাম।
মৃত্যুর প্রবল হানাদারিতে কবির জীবন থেকে নানাসময়ে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছেন তাঁর বহু প্রিয়জন। তাই বোধহয় মৃত্যুকে তিনি আর ভয় পেতেন না। বরঞ্চ ভালোবাসতেন, গভীর মমত্ববোধ ছিল মরণের প্রতি। তাই তিনি মৃত্যুর উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন এই অনবদ্য কবিতাটি—
‘মৃত্যুও অজ্ঞাত মোর। আজি তার তরে
ক্ষণে ক্ষণে শিহরিয়া কাঁপিতেছি ডরে।
সংসারে বিদায় দিতে, আঁখি ছলছলি
জীবন আঁকড়ি ধরি আপনার বলি
দুই ভুজে।
ওরে মূঢ়, জীবন সংসার
কে করিয়া রেখেছিল এত আপনার
জনম-মুহূর্ত হতে তোমার অজ্ঞাতে,
তোমার ইচ্ছার পূর্বে? মৃত্যুর প্রভাতে
সেই অচেনার মুখ হেরিবি আবার
মুহূর্তে চেনার মতো। জীবন আমার
এত ভালোবাসি বলে হয়েছে প্রত্যয়,
মৃত্যুরে এমনি ভালো বাসিব নিশ্চয়।
স্তন হতে তুলে নিলে কাঁদে শিশু ডরে,
মুহূর্তে আশ্বাস পায় গিয়ে স্তনান্তরে।’
(ক্রমশ)
অলংকরণ: চন্দন পাল 
13th  October, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (পিটিআই): গ্যাস পাইপে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল সাতজনের। জখম হয়েছেন আরও আটজন। রবিবার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে, সোনার দামবৃদ্ধি। অন্যদিকে, আর্থিক মন্দা। সব মিলিয়ে সোনার বাজার মোটেই ভালো গেল না দেশে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সোনার যে চাহিদা দেখা গিয়েছে, ...

সংবাদদাতা, কাটোয়া: আজ সোমবার কাটোয়ার ঐতিহ্যবাহী কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ৬৬টি পুজো কমিটি। শোভাযাত্রা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হবু শিক্ষকদের নিয়োগ করার আগে বহু চাকরিদাতা সংস্থাই তাঁদের ডিগ্রি যাচাই করে নেয়। এনসিটিই বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের মাধ্যমেই তা করা হয়। এতদিন এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করেছিল এনসিটিই।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন
১৯০১: পরিচালক ও অভিনেতা ভি শান্তারামের জন্ম
১৯৭৩: ভারতের জাতীয় পশু হল বাঘ
১৯৭৮: পরিচালক ও অভিনেতা ধীরেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  November, 2019

দিন পঞ্জিকা

১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৮/৮ রাত্রি ৫/১০। পুষ্যা ৪১/৫ রাত্রি ১০/২১। সূ উ ৫/৫৪/৪৩, অ ৪/৪৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে ৩/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৫ গতে ৩/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৪/১৭/৩৬ দিবা ৩/৩৯/২৭। পুষ্যা ৩৯/১৯/৩৪ রাত্রি ৯/৪০/১৫, সূ উ ৫/৫৬/২৫, অ ৪/৪৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ১১/১ মধ্যে ও ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে, বারবেলা ২/৫/৪৫ গতে ৩/২৭/১৮ মধ্যে, কালবেলা ৭/১৭/৫৮ গতে ৮/৩৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৪/১১ গতে ১১/২২/৩৮ মধ্যে।
২০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। বৃষ: কর্মরতদের শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন১৯০১: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

05:36:00 PM

খড়্গপুরের এসডিপিও সুকমল দাসকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন 

05:34:00 PM

হাসপাতালে ভর্তি নুসরত জাহান
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সংসদ সদস্য ...বিশদ

04:58:35 PM

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অপারেশন করা হয়েছে: মমতা 

04:46:00 PM