Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন।
কোলহাপুর থেকেই আমি রওনা দিলাম সৌন্দত্তির পথে। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ভবানীমণ্ডপের অদূরে শিবাজি পুতলা থেকে অটো নিয়ে সিটি বাসস্ট্যান্ডে এলাম। প্রচণ্ড ভিড়ের বাসে রওনা দিলাম কর্ণাটকের পর্বতবাসিনীদেবী ইয়েলাম্মাকে দর্শন করতে। সময়টা ১৯৮৮ সাল।
রামদুর্গের পথ ধরে নিপ্পানির পার্বত্য প্রদেশে শঙ্কেশ্বর, হাক্কোড়ি, হওরগী, গোকক হয়ে ঘটপ্রভা নদীর কূলে কূলে ইয়েরগোট্টি, নোল, মানোলী অতিক্রমের পর দশ ঘণ্টারও বেশি সময় জার্নি করে অবশেষে মলপ্রভা নদীর তীরে সৌন্দত্তিতে এলাম। প্রকৃতির যে অনবদ্য রূপ সেখানে আমার দৃষ্টিগোচর হল তা এককথায় অবর্ণনীয়। দু’চারজন ছাড়া বাসযাত্রীদের প্রায় সকলেই নেমে পড়লেন এখানে। আমিও নেমে পড়লাম। বাস ওই দু’চারজন যাত্রীকে নিয়েই চলে গেল পাহাড়ের বাঁক ঘুরে ওপরে সৌন্দত্তি গ্রামে।
আমরা তাহলে এখানে নামলাম কেন? আসলে ভিড়ে ঠাসা এই বাসের প্রায় সব যাত্রীই দেবদাসী। তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমার ভালোই পরিচয় হয়েছিল। তাঁদেরই নির্দেশে আমি নামলাম। ওঁরা বললেন, এখানকার যোগড়বামি সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান না করে সৌন্দত্তির মন্দিরে প্রবেশ করতে নেই। সৌন্দত্তির অধিষ্ঠাত্রী ৫১ (৫২) পীঠের অন্তর্গত দেবী ইয়েলাম্মা আছেন কোঙ্গরের (পাহাড়ের) উপর। এখানে দেবীর ‘অঙ্গ’ পড়েছিল। তাই পুণ্যকামী নর-নারীরা দেবীপক্ষে, নবরাত্রে এবং বিশেষ বিশেষ দিনে এখানে ছুটে আসেন।
আমি মুগ্ধ চোখে এখানকার দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে লাগলাম। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে নর-নারী আসছেন এখানে। একদিকে ঘন নীল মলপ্রভার বিশাল জলধারা, অপরদিকে মরুভূমির মতো ধু-ধু করছে বালি।
তারই কোল ছুঁয়ে সার্কাসের তাঁবুর মতো ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি। আর আমার পিছনে রঙিন পাথরের সুন্দরী সৌন্দত্তির সিদ্ধাচল পর্বত। মতান্তরে রামগিরি।
যাই হোক, আমার দেবদাসী সহযাত্রীদের সঙ্গে কুণ্ডের কাছাকাছি যেতেই একদল বৃহন্নলা এসে তাদের কোলে নিয়ে নাচ শুরু করে দিল। কেন এমন হল? শুনলাম যাঁরা দেবী ইয়েলাম্মার নির্দেশ অমান্য করে তারাই জন্মান্তরে বৃহন্নলা হয়ে জন্মায়। তাই কৃপাবশত দেবীর নির্দেশানুযায়ী এঁরাই হলেন এই সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান পূজা করানোর একমাত্র অধিকারী। আমার সঙ্গিনী দেবদাসীরা একজন বৃহন্নলা পুরোহিতকে ঠিক করলেন। তাঁরই পৌরোহিত্যে আমরা কুণ্ডস্নানের জন্য এগিয়ে গেলাম। কুণ্ডের ধারে তখন বিগতযৌবনা কয়েকজন দেবদাসী—মাথায় ইয়েলাম্মার প্রতিমূর্তি নিয়ে নাচগান করছেন। আর দলে দলে বালিকা, কিশোরী ও যুবতীরা বসে আছেন স্নানের প্রতীক্ষায়। এঁরা সবাই দেবদাসী হবেন। সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান করে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে ‘নিম্মান্না’ করতে হবে। তারপর পদব্রজে অথবা গোযানে যেতে হবে ইয়েলাম্মার মন্দিরে। আগামীকাল মাঘীপূর্ণিমা। খুব ভোর থেকে দেবদাসী করণ শুরু হবে।
এখানকার নিয়মানুযায়ী মেয়েরা কুণ্ড স্নানের পর ওপরে উঠে এলে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে পোশাক পরিবর্তন করতে হবে। অনেকে আবার নগ্ন হয়েই স্নান করে পোশাক পরিবর্তন করেন। এখানে পুরুষ-নারী সবাই স্নান করে পাপমুক্ত হয়ে মন্দিরে খাবার খান। কিন্তু সহস্রাধিক লোকের স্নানের ফলে কুণ্ডের যা অবস্থা হল তাতে আর স্নান করার প্রবৃত্তি হল না আমার। শুধু কুণ্ডের জল মাথায় নিলাম। সঙ্গিনী দেবদাসীরা অনেক করে বোঝালেন আমাকে, এত দূর থেকে এসেছেন আপনি, এখানকার নিয়ম রক্ষা করুন, ‘নিম্মান্না’ করুন। নাহলে এই তীর্থে আসার কোনও ফলই হবে না আপনার। আমি হাসিমুখে তাঁদের প্রণাম জানালাম।
এবার ‘নিম্মান্না’র ব্যাপারটা একটু খুলে বলি। নববস্ত্র পরিধানের পর বৃহন্নলারা সবার মুখে নিমপাতা গুঁজে দেবেন। তারপর নিমপাতার গুচ্ছ কোমরের সামনে, পিছনে, দুই পাশে লাগাতে হবে ও হাতে নিমপাতা নিয়ে বৃহন্নলা নাচের তালে তালে সত্যাম্মার মন্দির প্রদক্ষিণ করতে হবে। যেহেতু আমি স্নান করিনি তাই আমাকে দিয়ে ‘নিম্মান্না’ করানো গেল না। তবে দর্শনে বাধা রইল না। তাই দেবী সত্যাম্মা, যোগীনাথেশ্বর, একনাথেশ এবং যোগড়বামি সত্যাম্মাকে দর্শন করে ধন্য হলাম। দর্শন শেষে এবার সৌন্দত্তির তীর্থভূমিতে যাত্রা। যাওয়ার আগে কোলপুরবাসিনী দেবদাসী সঙ্গিনীরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আনা খাবার কিছু আমাকে খাইয়ে দিলেন। তারপর বললেন, ‘ওপরে কিন্তু দিশা পাবেন না। তাই সঙ্গ ছাড়বেন না আমাদের। আমরা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলে আপনিও রয়ে যাবেন আমাদের সঙ্গে।’ বলে দুটি টাঙ্গা ভাড়া করে পাহাড়ের উচ্চস্থানে ইয়েলাম্মার মন্দির প্রাঙ্গণে রওনা হলাম সকলে। এই পাহাড়ে গোরু টানা টাঙ্গা চলে। টাঙ্গা থেকে যেখানে নামলাম সেখানে তখন লক্ষাধিক নরনারী ও দেবদাসীদের ভিড়। তাই বহু চেষ্টা করেও ওখানে কোনও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা গেল না। অবশেষে নিকটবর্তী থানার সামনে কাঁটা তার দিয়ে ঘেরা বাগানের মাটিতে খোলা আকাশের নীচে শতরঞ্চি বিছিয়ে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হল। সারারাত এইভাবে এখানেই থাকতে হবে আমাদের। এখানে শুধু আমরা নই আরও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।
এইভাবে রাত্রিযাপন করা হল। শেষরাতে দেবদাসীদের কয়েকজন আমাকে বললেন, ‘চলুন বাবুজি, আপনাকে দেবী দর্শন করিয়ে আনি। ভোরে দেবীকরণ শুরু হলে আর এর ধারেকাছেও যেতে পারবেন না।’ অতএব দর্শনে চললাম। সে কী প্রচণ্ড ভিড়! মাঘ মাসের এই রাত্রি শেষেও ঘেমে উঠলাম। অবশেষে খাপটির মধ্যে পৌঁছলাম মন্দিরে। আহামরি মন্দির নয়। তবুও সতীদেহ প্রভাবে এত মান্যতা দেবীর। দেবী এখানে ভয়ঙ্করী। ইনি ইয়েলাম্মা। তাঁর নির্দেশ অমান্য করলে ফল ভালো হয় না। বহুকষ্টে সেই দেবীকে দর্শন করে মনোবাসনা পূর্ণ করলাম। মন্দিরের অন্যপ্রান্তে ব্রাহ্মমুহূর্তের প্রতীক্ষায় শয়ে শয়ে মেয়েরা দেবদাসী হওয়ার জন্য বসে আছে। শুনলাম, দেবদাসী হওয়া মানে দেবীর সঙ্গে—বিবাহের পর আর কোনও পুরুষের সঙ্গে বিবাহ করা যায় না। যারা করে তাদের জীবনের ওপর অভিশাপ নেমে আসে। তাদের স্বামীদের অকালমৃত্যু হয় এবং দেবীগণও জন্মান্তরে বৃহন্নলা হয়ে জন্মায়। এখানকার প্রশাসনের বক্তব্য, এই প্রথার উচ্ছেদ কখনও সম্ভব নয়। অতএব এই প্রথা চলতেই থাকবে। ১৯৮৮ সালে আমি যে বছর গিয়েছিলাম সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী সে বছর মোট তিন হাজারের বেশি মেয়ে দেবদাসী হয়েছিলেন।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
15th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলি টাকা খরচ করেও তার শংসাপত্র জমা দিচ্ছে না। এ নিয়ে কারিগরি শিক্ষা ডিরেক্টরেটের তরফে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্র চিঠি পেয়েও সাড়া দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এবার কড়া চিঠি দিল ভোকেশনাল এডুকেশন ও ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। এবার তার থিম পর্যটন এবং চাকরি। সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই পর্যটন শিল্পে চাকরির পরিসর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতায় আজ, সোমবার থেকে চাকরির মেলা শুরু করছে পর্যটন মন্ত্রক। ...

হিউস্টন, ২২ সেপ্টেম্বর: অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার নির্ঘণ্টও রয়েছে। কিন্তু মার্কিন সফর চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদির পাতে থাকছে কী কী পদ? খাবার-দাবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে বিশেষ কোনও অনুরোধ করেননি। তাঁর খাবার তৈরির দায়িত্বে থাকছেন শেফ কিরণ ...

শ্রীনগর, ২২ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর কেটে গিয়েছে টানা ৪৯ দিন। এখনও থমথমে উপত্যকা। স্বাভাবিক হয়নি মানুষের জীবনযাত্রা। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে সাপ্তাহিক বাজার বসল শ্রীনগরের রাস্তায়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৩৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৩৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  September, 2019

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, নবমী ৩২/৫১ রাত্রি ৬/৩৭। আর্দ্রা ১৫/১ দিবা ১১/২৯। সূ উ ৫/২৮/৫৭, অ ৫/২৯/৪১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৮/৪১ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১১/৫ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩০ গতে ৪/০ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/০ গতে ১১/৩০ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন ১৪২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, নবমী ১৯/৪৮/৫৫ দিবা ১/২৪/১৪। আর্দ্রা ৫/৩৮/১৫ দিবা ৭/৪৪/৮, সূ উ ৫/২৮/৫০, অ ৫/৩১/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৭ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ১০/৫৯ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে, বারবেলা ২/৩০/৫০ গতে ৪/১/১০ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৯/১০ গতে ৮/১৯/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৩০ গতে ১১/৩০/১০ মধ্যে। 
২৩ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বৃষ: কর্মে উন্নতি। মিথুন: কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি প্রাপ্তি। কর্কট:  ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম১৯৩২: ...বিশদ

07:03:20 PM

নদীয়ার কলেজে বোমাবাজি, জখম ২
নদীয়ার মাজদিয়া কলেজে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। টিএমসিপি-এবিভিপি একে অন্যের বিরুদ্ধে ...বিশদ

06:28:00 PM

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা চন্দননগরে
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার ...বিশদ

06:23:18 PM

ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী কেমন হচ্ছে কর্মচারীদের বেতন
ক্যাবিনেটেও অনুমোদিত হয়ে গেল ষষ্ঠ বেতন কমিশন । নতুন এই ...বিশদ

05:49:00 PM

ফায়ার লাইসেন্স ফি কমাল রাজ্য
ফায়ার লাইসেন্স ফি ৯২ শতাংশ কমিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ...বিশদ

04:54:52 PM