Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

২৭
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা! তাই তিনি আজ বড়ই ব্যস্ত। সমস্ত কর্ম শেষ করতে হবে খুব শীঘ্রই। হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই শেষ হবে এপারের সমস্ত খেলা।
সাল ১৮৯৯, ৮ সেপ্টেম্বর। উইল করলেন মহর্ষি। ওড়িশার সম্পত্তি পেলেন তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ— তিনজনে মিলে পেলেন নদীয়ার বিরাহিমপুর ও রাজশাহীর কালীগ্রাম। কনিষ্ঠভ্রাতা নগেন্দ্রনাথের স্ত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিঃসন্তান, তাই মাসিক বারোশো পঞ্চাশ টাকা তাঁর জন্য ধার্য হল। সব মিলিয়ে ঠাকুর পরিবারের তহবিল থেকে এর জন্য খরচ নির্ধারিত হয়েছিল বাহান্ন হাজার চারশো টাকা।
সাল ১৯০৫। ঠাকুর পরিবারে আবার এক আঘাত নেমে এল। পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর সেই মৃত্যুর হাত ধরেই পরিবারে প্রবেশ করল বিচ্ছেদ-বেদনা। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের বিখ্যাত সন্তানরা ছড়িয়ে পড়লেন নানা দিকে। পিতার উইল অনুসারে জমিদারির মালিক হলেন তিনজন— দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর উইল অনুসারে মাসে পেতেন মাত্র বারোশো পঞ্চাশ টাকা।
পিতার মৃত্যুর ঠিক তিন বছর বাদে ১৯০৮ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসনকেই বরণ করে নিলেন ঠাকুর পরিবারের অন্যতম আর এক কৃতী, সুদর্শন সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি একদিনে ছিঁড়ে ফেললেন সমস্ত মায়ার বন্ধন! কেন এই অহেতুক অভিমান! তিনিও কী তাঁর বারো বছরের ছোট প্রাণাধিক প্রিয় ভাইকে নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করতেন! না! এ ব্যাপারে দুপক্ষের কেউই কিছু লিখে রেখে যাননি। ফলে পুরোটাই রয়ে গেল অন্ধকারে, কালের খাতায় চিরতরে বন্দি হয়ে!
বারোশো পঞ্চাশ টাকা— এই সামান্য অর্থ সম্বল করে পিতার মৃত্যুর তিনবছর পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকো থেকে চিরবিদায় নিলেন। তিনি চলে গেলেন রাঁচিতে। মোরাবাদী পাহাড়ে নবনির্মিত শান্তিধামেই তিনি কাটাবেন তাঁর জীবনের বাকি দিনগুলি।
ভেঙে গেল হাট! কলকোলাহল মুখর জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ি থেকে একে একে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। রবীন্দ্রনাথ গেলেন জমিদারি পরিদর্শনে। কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে অনুসরণ করলেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ। সত্যেন্দ্রনাথ নতুন বাড়ি তৈরি করে জোড়াসাঁকো থেকে বেরিয়ে গেলেন। ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন মহর্ষির তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। চতুর্থ ও সপ্তম পুত্র বীরেন্দ্রনাথ ও সোমেন্দ্রনাথ আক্রান্ত হলেন মানসিক ব্যাধিতে।
শিলাইদহ থেকে রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে। ১৯০৮ সাল, সেই শেষবার। তারপর আর দুজনের কখনও দেখা হয়নি। কবির অত্যন্ত প্রিয় জ্যোতিদাদাও কখনও শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কথা ভাবেননি এবং রবীন্দ্রনাথও চেষ্টা করেননি কখনও রাঁচিতে যাওয়ার। দুই ভাই নিজেদের মধ্যে কী কারণে কেন যে এক অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন তা আমরা আজও জানি না।
ছোটভাই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিশ্চুপ হয়ে বসেছিলেন, ভাইকে চিঠি লিখে অভিনন্দন পর্যন্ত জানাননি। অথচ একসময় এই বারো বছরের ছোটভাইকে তিনি কত না প্রশ্রয় দিয়েছেন। সরোজিনী নাটকের প্রুফ পড়া হচ্ছে। ঘরে আছেন কিশোর রবীন্দ্রনাথ। তিনি তখন তাঁর নতুন দাদার ছায়াসঙ্গী। সরোজিনী পুরোটা শোনার পর রবীন্দ্রনাথ নতুনদাদাকে বললেন, উপসংহারে একটা গান থাকলে ভালো হতো। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্মতি জানিয়ে পিয়ানোতে বসে সুর তুললেন, আর রবীন্দ্রনাথ সেই সুরে বসালেন বাণী—‘জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ, পরান সঁপিবে বিধবাবালা।’ কনিষ্ঠ ভ্রাতার পারদর্শিতায় মুগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘ সরোজিনী প্রকাশের পর হইতেই আমরা রবিকে প্রমোশন দিয়া আমাদের সমশ্রেণীতে উঠাইয়া লইলাম। এখন হইতে সংগীত ও সাহিত্য চর্চাতে আমরা হইলাম তিনজন— অক্ষয় চৌধুরী, রবি ও আমি।’
সেই অসম্ভব মধুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে বলেছিলেন, ‘এইবার ছুটল আমার গানের ফোয়ারা। জ্যোতিদাদা পিয়ানোর ওপর হাত চালিয়ে নতুন নতুন ভঙ্গীতে ঝমাঝম সুর তৈরি করে যেতেন, আমাকে রাখতেন পাশে। তখনি তখনি ছুটে চলা সুরে কথা বসিয়ে বেঁধে রাখবার কাজ ছিল আমার।’
কোথায় হারিয়ে গেল সেইসব সুখের দিন। দুই ভাই সরে গেলেন দুদিকে দুপ্রান্তে। তবে শেষ বেলায়, ১৯২৫ সালে ছোটভাইকে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। তিনি একবার রাঁচিতে আসবার জন্য ভাইকে চিঠিও লেখেন। খুব সম্ভবত সেই চিঠি রবীন্দ্রনাথের হাতে পৌঁছয়নি। ফলে এই পৃথিবীর বুকে আর কোনওদিন দেখা হয়নি দুই ভাইয়ের।
অত্যন্ত প্রিয় নতুন দাদার মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ বারে বারে প্ল্যানচেটে তাঁকে ডেকেছেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথও এসেছেন, নানা উপদেশ দিয়েছেন প্রিয় ভাইকে।
সাল ১৯২৯। চার বছর আগে রাঁচির শান্তিধামে মারা গেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। চার বছর পরে নতুন দাদা দ্বিতীয়বার এলেন ভাইয়ের আহ্বানে, মিডিয়ামের মাধ্যমে।
রবীন্দ্রনাথ জানতে চাইলেন— ‘কে?
— পাঠিয়ে দিলেন তোমার নতুন বৌঠান।
জ্যোতিদাদা। সেদিন আপনার কথা শুনে আমার খুব উপকার হয়েছে— মনকে শান্ত করতে পেরেছি।
— তুমি পারবে আমি জানি।
মৃত্যুর পরমুহূর্তে পরলোকের সঙ্গে সম্বন্ধ কী উপায়ে হয়?
— সে একটা আছন্ন ভাবের ভিতর দিয়ে আসি। ঠিক যেন ঘুম থেকে জাগি। সমস্ত জীবনটাই গত রাত্রের স্বপ্ন বলে মনে হয়।
আমাকে এইমাত্র শমী বলল, একটা পৃথিবী তৈরি করেছে। খুব মজা লাগছে তার। সেটা কী?
— করেছে বটে, কিন্তু ও বলতে নিষেধ করেছে।
আমাকে বলেছে ‘শমীর পৃথিবী’ বলে কিছু একটা রচনা করতে।
— বেশ তো, লিখে দাও না। ওর মনে সত্যই অনেক কিছু খেলছে। ও যেন নতুন আলোক দেখতে পেয়েছে। আমাদের বুড়ো চোখে তা ধরা পড়ে না।...’
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দুবার এসেছিলেন ভাইয়ের পরলোক চর্চার আসরে। প্রথমবার আসেন ৫ নভেম্বর, দ্বিতীয়বার ২৮ নভেম্বর।
 ছবিতে জ্ঞানদানন্দিনী দেবী, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবী ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : চন্দন পাল
08th  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে।   বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019


আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪০- ‘দি বিটলস’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, গায়ক জন লেননের জন্ম
১৯৪৫- সারোদবাদক আমজাদ আলি খানের জন্ম
১৯৪৫- অভিনেত্রী সুমিতা সান্যালের জন্ম
১৯৬৭- কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব চে গেভারার মৃত্যু
২০১৫- সংগীত পরিচালক রবীন্দ্র জৈনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2019

দিন পঞ্জিকা

১৮ আশ্বিন ১৪২৬, ৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ১০/৪৫ দিবা ৯/৫১। মূলা ১৯/২৪ দিবা ১/১৮। সূ উ ৫/৩২/৪৫, অ ৫/১৭/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৪ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১৭ আশ্বিন ১৪২৬, ৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২১/২৭/৩৯ দিবা ২/৮/০। মূলা ৩১/৪৭/১২ রাত্রি ৬/১৫/৪৯, সূ উ ৫/৩২/৫৬, অ ৫/১৯/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১২/৫৪/৩৬ গতে ২/২২/৫৫ মধ্যে, কালবেলা ৭/১/১৬ মধ্যে ও ৩/৫১/১৬ গতে ৫/১৯/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫১/১৬ মধ্যে ও ৪/১/১৬ গতে ৫/৩৩/১৮ মধ্যে। 
মোসলেম: ৫ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: অর্থ প্রাপ্তির যোগ। বৃষ: প্রেম-প্রণয়ে অগ্রগতি। মিথুন: গুরুজনের শরীর সম্পর্কে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৯৪০- ‘দি বিটলস’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, গায়ক জন লেননের জন্ম১৯৪৫-  সারোদবাদক ...বিশদ

07:03:20 PM

এবছর রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন জন বি গুডএনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম ও আকিরা ইয়োশিনো 

03:42:41 PM

মালদহের বৈষ্ণবনগরে নৌকাডুবি, মৃত ৩ 
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবি। ঘটনাটি ঘটে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ...বিশদ

03:18:19 PM

৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়াল কেন্দ্র, উপকৃত হবেন ৫০ লক্ষ কর্মী ও ৬২ লক্ষ পেনশনভোগী 

02:30:04 PM

ফলতার রামনগরে বিসর্জনের বাজি বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২ শ্রমিক 

01:20:11 PM