পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। খদ্দেরদের দিব্যি পান সেজে দিচ্ছে কুঞ্জ, লাল সুতো, কালো সুতোর বিড়ির তাড়া খুলে গুনে গুনে বিড়ি দিচ্ছে, পয়সা নিচ্ছে গুনে, আবার ভাঙানিও দিচ্ছে টাকার হিসেব করে। ছোট একটা কাঠের বাক্সের ওপর চেরা একটু ফাঁক দিয়ে টাকা-পয়সা রাখছে একেবারে পাকা দোকানির মতোই।
অবাক হতেই হয়, সেই আমাদের কুঞ্জ! চেহারাটা আগের চেয়ে একটু চেকনাই হয়েছে, সেই রোগা-পটকা ভাবটা আর নেই। পরনে ডোরাকাটা লুঙ্গি, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি।
কুঞ্জর চোখ এড়িয়ে গিয়ে বসি মানিকদার মিষ্টির দোকানের বেঞ্চে। এই ক’টা বছরে কী বদলটাই না হয়ে গেল! আমাদের ছোটবেলার রাজবল্লভী মন্দিরের লাগোয়া এই হাটতলায় ছিল দু-তিনটে মাত্র দোকান, মাটির দেওয়াল আর টিন কিংবা খড়ের চালার। মানিকদার জ্ঞাতিরাই আর একটা মিষ্টির দোকান খুলেছে, মুদি দোকানও হয়েছে দুটো, একটা ওষুধের দোকান, চায়ের দোকান, মনিহারি দোকানও শোভা বাড়িয়েছে। সবক’টাই পাকা ঘরের। গুল্টিয়া গ্রামেই বা ক’টা পাকা বাড়ি ছিল তখন? হাতে গুনে বলা যেত। আর এখন একতলা, দোতলা বাড়ির তো ছড়াছড়ি।
বদল তো হবেই, দুনিয়ার নিয়মই যে তাই, বদলেরই শুধু বদল হয় না কখনও। মুড়ি তেলেভাজা খেতে খেতে ছেলেবেলাটার আঘ্রাণ পেতে থাকি মনে মনে। অদ্ভুত এক আমেজ লাগে শীতের সকালে। আগেকার মতোই মাঠের আনাজ-পাতি মাথায় করে এনে চাষিরা এসে বসছে হাটতলায়। কচুপাতায় গেঁড়ি-গুগলি, কুঁচো চিংড়ি আর অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে জ্যান্ত চারাপোনা নিয়ে বসেছে দু-একজন মেছুনি আর জেলে। একে একে আসতে শুরু করেছে ক্রেতারাও।
এককালে কেবল শুক্রবারই নাকি হাট বসত এখানে, তখন থেকেই নাম হয়ে যায় হাটতলা, পরে কবে থেকে যেন প্রতিদিনের বাজার বসতে থাকে। হবে নাই বা কেন, এ তল্লাটে বাজার বলতে তো সেই রাজবলহাটে, মাইলখানেক দূরে।
চোখ যায় পানের দোকানটার দিকে, বেশ বাহারি করেছে কিন্তু কুঞ্জ। দোকানের মাথায় টিনের পাতে বড় বড় করে লেখা ‘কুঞ্জর পান’। অক্ষরগুলোর ওপর আবার গোল গোল রুপোলি চাকতি সাঁটা, তার নীচে রঙিন কাগজের ঝালর, আলো পড়ায় চিকমিক করছে। দোকানের টিনের গায়ে কোনও হিন্দি সিনেমার নায়িকার হাসিমুখ আর বিলোল চাউনির যুগলবন্দি।
মাথা থেকে জিজ্ঞাসা চিহ্নটা আর সরতে চায় না, সেই কুঞ্জ আমাদের? কখনও কি ভুলতে পারব বাংলার মাস্টার চণ্ডীবাবুর সেই কথাটা?
সেবার ক্লাস ফাইভের হাফ ইয়ারলি পরীক্ষায় ফেল করে গেল কুঞ্জ। ক্লাসে এসে চণ্ডীবাবু বলেছিলেন, ‘তোর দ্বারা আর কিস্যু হবে না রে কুঞ্জ। এক কাজ কর, টিনের চাল থেকে গোলা পায়রা ধরে বাজারে বিক্রি কর, দুটো পয়সা হবে। তোর বাবাকেও টাকা ঢালতে হবে না। সঙ্গে কাউকে নিবি, যে পায়রা বিক্রির টাকাটা গুনে নিয়ে তোকে দেবে।’
চণ্ডীবাবুর আর দোষ কী, কুঞ্জর মতো অমন মোটা মাথার ছাত্র সারাজীবনে দুটি আর তাঁর চোখে পড়েনি।
তখন আমরা আরও নিচু ক্লাসে পড়ি। মাস্টারমশাই একদিন প্রশ্ন করলেন, ‘বল তো কুঞ্জ আম বানান কী?’
কেউ কিছু বলার আগেই উঠে দাঁড়িয়ে জোর গলায় কুঞ্জ বলে দিল ‘ত-এ হ্রস্ব ই দন্ত্য ন’। ওই এক মস্ত দোষ তার। আরে মনে মনে একটু ভেবে নিয়ে তারপর তো বলবি। তা নয়, হুড়মুড় করে তার আগে বলা চাই।
আরেক দিন গৌরমাস্টার প্রথমেই সবাইকে সাবধান করেদিলেন— ‘অ্যাই, সবাই একসঙ্গে বলবি না, যাকে জিগ্যেস করব শুধু সে-ই উত্তর দিবি।’ আমরা সবাই চুপ। তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা কুঞ্জ, বল তো, রামচন্দ্রের বাবার নাম কী?’
‘আজ্ঞে, মদন।’ চটপট উত্তর তার, কেননা সে তো একশো ভাগ নিশ্চিত যে, রামের বাবার নাম মদন ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
অনেকদিন পরে কথাটা মনে পড়লে সত্যিই ভাবতে হয়েছে, আচ্ছা, রামের বাবার নাম মদন হলে আদৌ কি অশুদ্ধ হতো রামায়ণ? কুঞ্জর মনে-গড়া রামায়ণে হয়তো সেদিন তিনি মদন নামেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাঁর অযোধ্যা ছিল হয়তো অন্য কোথাও কিংবা লক্ষ্মণ, সীতা— এঁরাও হয়তো অন্য কোনও নামে, চেহারায় কুঞ্জর মানসপটে বিচরণ করতেন। তার সেই মনোজগতে ঢুকতে না পারার অক্ষমতা কি আমাদেরই ছিল না?
আর একদিনের স্মৃতি। ফটিক মাস্টার একদিন ক্লাসে এসেই প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কেউ তিনজন মহাপুরুষের নাম বলতে পারো?’
যথারীতি কুঞ্জরই গলা শোনা গেল সবচেয়ে আগে— ‘আজ্ঞে তা হলে বাড়ি থেকেই বলি’, বলেই গড়গড় করে সে তার তিন কাকার নাম বলে দিল। আমরা সবাই হতভম্ব। ফটিক মাস্টারের হাতের কঞ্চিটা এবার সশব্দে আছড়ে পড়ল টেবিলের ওপর। দাঁতে দাঁত চেপে তিনি বললেন, ‘তোর ওই মাথাটা বালিশে রাখার নয়, বুঝলি? আজ থেকে মাথার নীচে একখানা থান ইট রেখে শুবি, তবে যদি মাথাটা খোলে। গাধা কোথাকার!’ এক এক সময় ফিচলেমি মনে হলেও সেটা করার মতো পাকোলো বুদ্ধিই তো ছিল না কুঞ্জর। যখন যেমন মাথায় আসত অমনি সে বলে দিত অবলীলাক্রমে। এজন্যে মারও তো কম খায়নি, ইশকুলে, বাড়িতে সর্বত্র। একটু কেমন পাগলাটে আর ন্যালা-ক্যাবলা বলে কেউ কেউ রাস্তায় তার মাথায় চাটি মেরে, ওই যাকে বলে একটু হাতের সুখ করে চলে যেত। কুঞ্জ কিন্তু কিছু বলত না, শুধু অবাক হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত, যেন এমনটাই পাওনা ছিল তার। কখনও খুব বেশি পিটুনি না খেলে আমরা তার চোখে অবশ্য জল দেখিনি।
হঠাৎই একদিন ইশকুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল কুঞ্জর। দেখা হতে জিগ্যেস করি, ‘কী রে, ইশকুলে যাবি না?’ মাথা নেড়ে তার সরল স্বীকারোক্তি— ‘মাস্টাররা ঠ্যাঙায় যে।’ হক কথা।
চণ্ডীবাবুর তিন-তিনটে ছড়ি ভেঙেছে হয়তো তাকেই ঠেঙাতে গিয়ে। চতুর্থ ছড়িটা আর তাঁর হাতে ওঠা দেখতে হয়নি কুঞ্জকে, তার আগেই তার বাবা তাকে ছাগল চরানোর কাজে লাগিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও কি নিস্তার আছে তার, মজা করার জন্যে তাকে খ্যাপাতে ছাড়ত না পাড়ার ছেলেরা।
মাঠ থেকে একদিন তিনটে ছাগলের গলায় বাঁধা দড়ি ধরে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে আসছে কুঞ্জ। মুকুন্দদা তার পাশে গিয়ে ভালো মানুষের গলায় বললে, ‘কী রে, মাঠ থেকে ফিরছিস এত বেলায়।’
ক্যাবলাকান্ত বলে সচরাচর কেউ তার সঙ্গে ভালো করে দুটো কথাও বলে না, মুকুন্দদার মতো বড়সড় একজন মানুষ যে অমন আদর করে কথা বলেছে, এতেই আনন্দে গলে গেল কুঞ্জ। একগাল হেসে সে উত্তর দিল, ‘হ্যাঁ গো মুকুন্দদা, বেলা হয়ে গেল।’
মুকুন্দদা জিগ্যেস করল, ‘তা তুই একা চার-চারটে ছাগল সামলাতে পারিস?’
ভ্রু কুঁচকে কুঞ্জ বলে, ‘তোমার চোখে কি ন্যাবা হয়েছে, দেক্চো না তিনটে ছাগল?’
মোক্ষম খোঁচা এবার মুকুন্দদার, ‘এই তো দেখছি তোর ডানদিকে দুটো কালো, বাঁদিকে পাটকিলেটা আর মাঝখানে তুই, তাহলে মোট চারটে হল না?’
আর যায় কোথায়, কুঞ্জ এবার তার বাপান্ত করে ছাড়লে। কেউ কল্পনা করতে পারবে, সেই কুঞ্জ আজ একটা পানের দোকানের মালিক? হোক না ছোট, দোকান তো বটে।
কত কী যে করত কুঞ্জর বাবা, তার মাথাটা ভালো করার জন্য আরিন্দিপুর থেকে ওঝা ডেকে এনে ঝাড়ফুঁক করানো, কুলেকালের ফকিরের মাদুলি পরানো, মানত করা, রাজবল্লভীর মন্দিরে পুজো দেওয়া— যখন যে যা বলত, তাই করত তার বাবা। রহিমপুরের পার্থ ডাক্তারই শুধু বলেছিল, এতসব করার দরকার নেই, কারও কারও এমন হয়, আবার বড় হলে সব ঠিক হয়ে যায়। সত্যিই কিন্তু পরে একদম স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল কুঞ্জ। আর আজ তো দেখছি, দিব্যি একটা দোকান সামলাচ্ছে। সে তো সত্যি সত্যিই পাগল ছিল না, তাকে পাগল করে দিতে চাইত আর পাঁচজনেই।
একসময় বাপের কাছেই কিছুটা হিসেবপত্তর শিখে গেলে হাটতলায় কুঞ্জকে এই দোকানটা খুলে দেয় তার বাবাই। প্রথম দিকে ছেলেকে নিয়েই বসত, পরে কুঞ্জ একাই সামলাতে শিখে যায়। বেশ ভালোই তো চালাচ্ছে দেখছি। শুনলাম, এই দোকানটা তার প্রাণ একেবারে। সাতসকালে এসে দোকান খোলে, দুপুরে ঝাঁপ বন্ধ করে বাড়ি যায় স্নান-খাওয়া করতে। বিকেল হতে না হতেই আবার এসে বসে দোকানে। টুকটাক বিক্রিবাটা চলে সেই রাত দশটা পর্যন্ত।
কুঞ্জর খদ্দেরদের বেশির ভাগই চাষি, মজুর, রিকশওয়ালা। আবার বাবুদের কেউ কেউ হাওড়া যাবার বাসে ওঠার আগে তার দোকানের একখিলি পান মুখে পুরে নেয়। রোজ সকালে দোকানে পান দিয়ে যায় বাউরি। আর কুঞ্জ মাঝে মাঝে সাইকেলে চড়ে দূরের জাঙ্গিপাড়ার বাজার থেকে পানের মশলাপাতি কিনে আনে। সেখানে এগুলোর দাম একটু সস্তা পড়ে। একসময় ফাঁকা দেখে গিয়ে দাঁড়াই কুঞ্জর দোকানের সামনে। আমার মুখের দিকে খানিক একটু ভ্রু কুঁচকে সে তাকিয়ে থাকে, ঠিক যেন চিনতে পারছে না। স্বাভাবিক। মাঝে গড়িয়ে গেছে অনেকগুলো বছর, কালের পলিও তো কিছু পড়েছে আমার চেহারায়। কুঞ্জকে আর ধন্দে না রেখে বলি, ‘কী রে চেনা যাচ্ছে না, আমি সমীর, একসঙ্গে পড়তুম মনে পড়ে?’ এবার জ্বলজ্বল করে ওঠে ওর চোখ দুটো। এক লাফে দোকানের টাট থেকে নেমেই জড়িয়ে ধরে বলে, ‘কবে এলি? তুই যে এমন ধারা বদলে যাবি, কী করে জানব বল! সেই যে কলকাতায় চলে গেলি আর তো পাত্তাই নেই!’
একথা-সেকথা বিনিময়ের পর জানতে চাই— ‘তা বিয়ে থা করেছিস?’
সলজ্জ উক্তি তার ‘সামনের ফাগুনে সন্তু নেগির মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে মোটামুটি ঠিকই হয়ে গেছে। একদিন পঞ্চানন্দতলায় সাবিত্তিরই তাকে নিকে করবে বলে পাকা কতা দিয়েচে।’
সোৎসাহে বলি, ‘বাঃ, খুব ভালো খবর, পরের বারে এসে যাব তোর সংসার দেখতে।’
দু-চারজন খদ্দের ইতিমধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি পা বাড়াই, ‘আবার আসিস’ বলে কুঞ্জ উঠে বসে দোকানের টাটে।
গ্রামে এলেই হুমড়ি খেয়ে ধেয়ে আসে হারানো দিনগুলোর সুখ-স্মৃতি। কলকাতায় ফিরে তার রেশটুকু উপভোগ করতে না করতেই পট যায় ঘুরে। ব্যস্তসমস্ত জীবনে মন খুঁজে পায় না আলসেমি করার সময়।
জমি-জমার নিষ্পত্তির ব্যাপারেই আবার যখন ছুটতে হল গ্রামে, মাঝখানে কেটে গেছে তিন-তিনটে বছর। প্রতিবারের মতো দেখা করতে বেরই এর-তার সঙ্গে। কারও বাড়িতে তেলেভাজা-মুড়ি, কারও নারকেল নাড়ু, কারও বা গাছের পেয়ারা খেতে খেতে বেলা কাটে।
বিকেলের দিকে গিয়ে দাঁড়াই কুঞ্জর দোকানের সামনে, সবে দোকান খুলছে তখন। এবার আর চিনতে ভুল হয়নি তার। প্রথমেই জিগ্যেস করি, ‘কী রে, বিয়ে করেছিস তো শুনেছি, তা কেমন চলছে সংসার? বউকে দেখাবি তো?’
ম্রিয়মাণ হয়ে এদিক-সেদিক তাকিয়ে চাপা গলায় জানাল যে, একটু ঝামেলা হয়ে গেছে। বউ একদিন তাকে না জানিয়ে টকি দেখতে গিয়েছিল। দোকান থেকে ফিরে তাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ নিয়ে যখন একথা সে জানতে পারে, রাগে তার মাথা গরম হয়ে যায়। সাবিত্তিরির সব জামাকাপড় আলনা থেকে টেনে উঠোনে নামিয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। টকি থেকে ফিরে এসে তার এই কাণ্ড দেখে সাবিত্তিরিও এক কাপড়েই বাপের বাড়ি চলে যায়। আর ফেরেনি। তাকে ফিরিয়ে আনতে দু-তিনবার গিয়েওছিল কুঞ্জ, কিন্তু বউয়ের খুব দেমাক, সে বলেছে, ‘তোমার সঙ্গে ঘর আর করব না, তুমি সব পারো, কোন দিন আমাকে পুড়িয়ে মারবে।’
‘তা বলে মাথা গরম করে এমন কাজ কেউ করে কুঞ্জ?’ বলে তাকাই ওর দিকে। মাথা নিচু করে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে কুঞ্জর আক্ষেপ— ‘কী করি বল, আমার মাথার দোষ যে। রাগলে আর সামাল দিতে পারি না।’ শুনে খারাপ লাগে। তাকে মাথা ঠান্ডা রাখার উপদেশ দিয়ে ফিরি সেদিনকার মতো।
কলকাতায় ফেরার দিন বাসে পাশের সিটেই পেয়ে গেলাম স্কুলের আর এক সহপাঠীকে। এক সময় কুঞ্জর কথা উঠতেই সে শোনাল আর এক কাহিনী। রাগ করে সাবিত্রীর ঘর ছেড়ে যাওয়াটা নাকি একটা অজুহাত মাত্র। আসলে মাদুলি, তাগা-তাবিজ ধারণ সেও কম করেনি। তারপরেও ছেলেপুলে হল না দেখে সাবিত্রী এখন গেছে অন্য কুঞ্জবনে।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী