Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

স্বাধীনতা অর্জনের পর কেটে গেছে সাত-সাতটা দশক তবু আমাদের ইংরেজ প্রীতি এতটুকু কমেনি। এখনও আমাদের অনেকেই সাহেব সেজে থাকতে বেশি ভালোবাসেন। বাংলার চেয়ে ইংরেজিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন তাঁরা। তাই বিদেশি ভূতের গল্প দিয়েই শুরু করব ‘ছায়া আছে কায়া নেই’-এর দ্বিতীয় পর্ব।
আলিপুরের বেলভেডিয়ারের বাড়ির গায়ে জড়িয়ে আছে অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা। এটি ছিল লাটসাহেবেব পুরনো বাড়ি, বর্তমানে এখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের ন্যাশনাল লাইব্রেরি। এই বাড়িতেই একসময় বসবাস করতেন বহু সুকৃতী ও দুষ্কৃতীর নায়ক বাংলার প্রথম গর্ভনর ওয়ারেন হেস্টিংস। তাঁর আমলেই মহারাজ নন্দকুমারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের রেশ তখনও দেশজুড়ে বহাল ছিল।
১৭৭২ থেকে ১৭৮৫— এই তেরো বছরের রাজত্বকালে ওয়ারেন হেস্টিংস শুধু আলিপুরের এই বিলাসগৃহ নয়, তিনি মোট তেরোটি বাড়িতে বসবাস করেছেন। তাঁর এই গৃহ-প্রীতি নিয়ে সেইসময় বিস্তর আলোচনাও হতো। ডব্লু কে ফার্মিংজারের ‘থ্যাকারস ক্যালকাটা ডিরেকটরি’-তে আছে, ‘হি হ্যাড এ লুক্রেটিভ ম্যানিয়া ফর হাউস বিল্ডিং অ্যান্ড সেলিং।’
হেস্টিংস মানুষটা ছিলেন চঞ্চল, ছটফটে, উচ্ছৃঙ্খল, প্রবল খামখেয়ালি এবং বেপরোয়া প্রকৃতির। একদিন তাঁর বেলভেডিয়ারের বাড়ির পশ্চিমদিকের বাগানে দ্বন্দ্বযুদ্ধ বা ডুয়েলে মেতে উঠেছিলেন দুই যোদ্ধা। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বাংলার দন্ডমুণ্ডের কর্তা বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস এবং অপরজন তাঁরই লাটসভার বিশিষ্ট সদস্য ফিলিপ ফ্রান্সিস। এই দু’জনের মধ্যে সম্পর্কটা প্রথম থেকেই মোটেও মধুর ছিল না।
সেইসময় ইংরেজদের সঙ্গে মারাঠাদের প্রবল ঝগড়া চলছিল। কেউ কেউ মনে করেন মারাঠা যুদ্ধের নীতি নিয়েই তাঁদের দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়েছিল, যা তাঁদের দু’জনকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল দ্বন্দ্বযুদ্ধের ময়দানে। অবশ্য নিন্দুকেরা বলতেন, ওসব নীতি-ফীতি ফালতু কথা। দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল এক ফরাসি সুন্দরী, নীলনয়না, শ্বেতাঙ্গিনীকে কেন্দ্র করে। তাঁর নাম ছিল মাদাম গ্র্যান্ড। শ্বেতাঙ্গিনী, নীলনয়নাই যে দ্বন্দ্বযুদ্ধের মূল কারণ তার কিছুটা আভাস এইচ ই বাস্তিদ তাঁর ‘ইকোজ ফ্রম ওল্ড ক্যালকাটা’ বইতে দিয়েছেন—‘Nearly opposite Alipore Bridge stood two trees. called ‘ The trees of Destruction.’notorious for duels fought under their shade; here Hastings and Francis exchanged shots in the days when European women were few: Jealousy often gave rise to these affairs of honour.’
১৭ আগস্ট ১৭৮০, সকাল ছ’টায় হেস্টিংসের সহকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিয়ার্স এবং ফ্রান্সিসের বন্ধু কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ওয়াটসনের উপস্থিতিতে শুরু হয় ডুয়েল। এই দ্বন্দ্বযুদ্ধে ফিলিপ ফ্রান্সিস পরাস্ত হন। বড়লাটের বন্দুক থেকে ছুটে আসা গুলি গিয়ে বেঁধে তাঁর ডানদিকের ঘাড়ে। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। ফ্রান্সিসকে পড়ে যেতে দেখে হেস্টিংস সহ সবাই ছুটে আসেন।
হেস্টিংস তাঁকে বলেন, আপনার আঘাত তেমন গুরুতর নয় আপনি আমার বাড়িতে চলুন। ফ্রান্সিস ঘৃণাভরে সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন। তখন ঠিক হল প্রাথমিক শুশ্রূষা করে তাঁকে পালকি করে শহরে পাঠানো হবে। সেইমতো ব্যান্ডেজ বেঁধে তাঁকে তোলা হল পালকিতে। কিন্তু জোয়ারের কারণে বাহকরা পালকি নিয়ে আদি গঙ্গা পার হতে পারল না। তারা আবার ফিরে এল বেলভেডিয়ারের বাড়িতে।
এরপর কেটে গেছে প্রায় দুশো উনচল্লিশ বছর, আদি গঙ্গা দিয়েও প্রবাহিত হয়েছে অনেক জল। লাটসাহেবের বাড়ির নর্থ গেটটাই নাকি ছিল ওই বাড়ির সদর দেউড়ি। এখনও বহু মানুষ গভীর রাতে লাইব্রেরির বাড়ির দিক থেকে উত্তরদিকের গেটে আহত, রক্তাক্ত ফিলিপ ফ্রান্সিসসহ ওই পালকি বাহকদের এগিয়ে আসতে দেখেছেন।
লেখক সুভাষ সমাজদার সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বীরবাহাদুরের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। সেদিন ছিল অমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। নিজের হাতটা পর্যন্ত ভালো করে দেখা যাচ্ছিল না। সেদিন ওই দিকের গেট-পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বীরবাহাদুর। হঠাৎই তাঁর কানে ভেসে এল ‘হিপ্পোলো হুকুম্মা’, ‘হিপ্পোলো হুকুম্মা’ শব্দটি। অচেনা শব্দ শুনে তিনি বেশ চমকে উঠেছিলেন। শব্দটা ক্রমশ আরও কাছে চলে এল।
একসময় বীরবাহাদুর দেখলেন, কয়েকজন বাহক একটা পালকি নিয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। আরও কাছে আসার পর তিনি দেখতে পেলেন, পালকির দরজাটা হাট করে খোলা। আর পালকির ভেতরে লম্বা, ঢ্যাঙা চেহারার এক সাহেব দারুণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাঁর সারা মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাঁর বাঁদিকের ঘাড়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা।
এই দৃশ্য দেখে বীরবাহাদুর খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। একটু ধাতস্থ হয়ে তিনি পুবদিকের(জেলখানার দিকে) গেটের পাহারাদার জামিল শেখের নাম ধরে চিৎকার করতে শুরু করলেন। অমনি, চোখের পলকে বাতাসে মিলিয়ে গেল জখমি সাহেবের পালকি।
ইংরেজরা আমাদের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দিয়ে বহুকাল আগেই ভারতছাড়া হয়েছে। কিন্তু ওয়ারেন হেস্টিংস-এর অতৃপ্ত আত্মা আজও নিজের ‘গ্রেভ’ থেকে উঠে চলে আসেন জাজেস কোর্টের পাশের হেস্টিংস হাউসে। এই বাড়িতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি টানা সাতবছর কাটিয়েছিলেন। তারপর ফিরে যান নিজের দেশে এবং সেখানেই পরিণত বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাহলে কীসের টানে তিনি তাঁর মাতৃভূমির ‘গ্রেভ’ ছেড়ে এতবছর বাদেও ছুটে আসেন তাঁর ছেড়ে যাওয়া আবাসস্থলে? একটা কালো কাঠের বাক্স। দেশে ফিরে যাওয়ার সময় যে কোনও কারণে ওই বাক্সটি খোয়া যায়। বিদেশে ফিরেও তিনি তার সন্ধানে লোক লাগিয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রাইভেট সেক্রেটারি মিঃ নেসবিট টমসনকে দুঃখ করে একটা চিঠিও লেখেন— ‘তোমরা আমার সেই হারিয়ে-যাওয়া জিনিসগুলো আজও উদ্ধার করতে পারলে না। আমার সেই কালো কাঠের বাক্সের — গোপনীয় কাগজপ্রত্রগুলোর জন্য কী মানসিক যন্ত্রণাতেই যে কাটাচ্ছি।’
মিঃ টমসন চেষ্টা করেছিলেন সেই জিনিসগুলোর হদিশ করতে। ১৭৮৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যালকাটা গেজেটে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন—
‘এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণকে জানানো যাইতেছে যে প্রাক্তন বড়লাট বাহাদুর ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলাদেশ হইতে চলিয়া আসার সময় তাঁর চৌরঙ্গীর বাড়ি কিংবা আলিপুরে তাঁর নূতন বাড়ি হইতে একটা কালো কাঠের বাক্স হয় চুরি না হয় ভুলক্রমে নিলামে বিক্রয় হইয়া যায়। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি এই জিনিসগুলির সন্ধান দিতে পারেন তাহা হইলে তাঁহাকে মিঃ লারকিনস(হেস্টিংসের বন্ধু) এবং মিঃ টমসন দুই হাজার সিক্কা টাকা দিয়া পুরস্কৃত করিবেন।’ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পাওয়া যায়নি হেস্টিংসের সেই কালো বাক্সটি।
তাই তিনি ঩নিজেই রাত গভীরে চার ঘোড়ায় টানা ব্রুহাম গাড়িতে চেপে হেস্টিংস হাউসের বাগান, দোতলার ঘর ও স্নানঘরে খুঁজে বেড়ান তাঁর সেই অতি গোপনীয় কালো কাঠের বাক্সটি। কিন্তু প্রতিরাতেই তাঁকে ফিরতে হয় শূন্য হাতে।
কিন্ত তিনিই যে বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস তা কী করে জানা গেল। ঐতিহাসিক হেনরি কটন এই ব্যাপারে আলোকপাত করে লিখেছিলেন,‘ যে প্রেতমূর্তি গভীর নিশীথে আকুল হয়ে কিছু খুঁজে বেড়ান তিনি আর কেউ নন— স্বয়ং বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস।’ কী ছিল সেই কালো কাঠের বাক্সটিতে, যার টানে হেস্টিংসকে বারে বারে ফিরে আসতে হয়েছে আমাদের দেশে। সেই বাক্সে ছিল দুটো ছবি এবং হেস্টিংসের ব্যক্তিগত কিছু জরুরি কাগজপত্র ও চিঠি। (চলবে)
10th  March, 2019
রাতের প্যাসেঞ্জার
সৌমিত্র চৌধুরী

 মাসের এক তারিখেই বিএস মানে ‘ভট্টাচার্জি-সমাদ্দার কনসালটেন্সি’ নগদে মাইনে দিয়ে দেয়। কোম্পানির সমাদ্দারবাবু একটু রাগী মার্কা, তবে তপনবাবু অতি অমায়িক সজ্জন মানুষ। খেতে খাওয়াতে ভালোবাসেন। নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করেন আমাকে। আজ ওঁর বাড়িতে ছোট একটা অনুষ্ঠান। আমেরিকা থেকে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছেলে এসেছে বাড়িতে। আমিও সস্ত্রীক নিমন্ত্রিত।
বিশদ

10th  March, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

‘আমি বৃন্দাবনে বনে বনে ধেনু চরাবো’— সেই কৃষ্ণ বৃন্দাবনে এখন বন নেই। যা আছে তা কংক্রিটের বন। তবুও শ্রীরাধাগোবিন্দের সেই লীলাভূমি ধর্মপ্রাণ নরনারীর কাছে আজও অতি প্রিয় স্থান।
বিশদ

10th  March, 2019
ফিরে দেখা
শুচিস্মিতা দেব

‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। বিশদ

24th  February, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ব্রিটিশ আমলে এখানকার শিংরৌলিতে ক্যান্টনমেন্ট হলে এর নাম হয় বেনারস ক্যান্টনমেন্ট। তবে বর্তমানে এটি স্বনামে মহিমান্বিত। ১৯৫৬ সালের ২৪ মে থেকে সরকারি আদেশ বলে বেনারস আবার বারাণসী হয়ে যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 বহু কাল আগে সপার্ষদ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব গঙ্গাবক্ষে নৌকাযোগে পুরী যাচ্ছিলেন। তাঁরা গঙ্গার ধারে ছোট্ট একটি চালা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন বলে ঠিক করেন। ওই চালাটি ছিল ভক্ত এক ব্রাহ্মণের। গৃহকর্তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে মহাপ্রভু বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গের কাঁথাটি ব্রাহ্মণের গায়ে জড়িয়ে দেন। সেই কাঁথা আজও রয়েছে বর্তমান মঠে।
বিশদ

24th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

এক মধ্যরাতে রাজপুতকন্যা ঘুম ভেঙে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাঁহাপনা, রূপমতী কে? আপনি নিদের ঘোরে ‘রূপমতী, রূপমতী’ বলে ডাকছিলেন।পাঁচ সাল হয়ে গেল বাদশা আকবরের রাজত্বকাল, হিন্দুস্থানের হরেক ভাষার সঙ্গে তাঁর পহচানা ঘটছে রোজ।
বিশদ

17th  February, 2019
ফেসবুকের ফাঁস
রমলা মুখোপাধ্যায়

 —‘জানি রে ল্যাপটপ ছাড়া জীবন একেবারে অচল, কিন্তু কী করবি বল? এখন তো বাবা-মায়ের থেকে দূরে থেকেও জীবন চালানো সম্ভব, কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ছাড়া তো ভাবাই যায় না বল!’
—‘ল্যাপটপের প্রসেসরটাই তো খারাপ হয়ে গেছে! সেটার তো অনেক দাম। মাসের মধ্যিখানে হাতে তেমন টাকাও নেই। আর এদিকে আমার তো ভালো মোবাইল সেটও নেই। নেট, ফেসবুক ছাড়া কি একটা দিনও কাটানো যায়?’ বিশদ

17th  February, 2019
বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

03rd  February, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস 

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

03rd  February, 2019
মাঠরাখা
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

আলোটা ভাসতে ভাসতে আঁকড়গোড়ে, ভাড়ালগোড়ে, জিওল নালার মাঠ ঘুরে চক্কর দিয়ে মাঝের-দাঁড়ার মাঠে এসে মিলিয়ে গেল। মেঘগুলোকে নীচে ফেলে চাঁদটা অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিল। 
বিশদ

20th  January, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৪

সন্ধের নিরিবিলি সময়ে তসবিরখানা থেকে বেরিয়ে দাসোয়ান কোথায় চলেছেন কীরকম আলুথালু মুখে দেখে ধন্দে পড়লেন বীরবর।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেতাব দেখাচ্ছে তসবিওয়ালাকে। তসবিরখানায় বসে থাকেন চুপচাপ, তুলিতে রং মাখিয়েও তা খাগের কাগজে মাখাতে ভুলে যাচ্ছেন, কেউ গায়ে হাত দিয়ে নাড়া দিলে থতমত খেয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কাগজের উপর। 
বিশদ

20th  January, 2019
কাকের বাসায় ভালোবাসা 
অমিত ভট্টাচার্য

যদিও গল্পটা পুষ্পদির মুখ থেকে পুরোপুরি শোনা হয়নি, তবে কিছুটা চাক্ষুষ দেখার সুযোগ হয়েছিল।
একদিন হঠাৎ সে হাজির হয়েছিল আমার বাড়ি। আমি তখন বাইরে।
স্ত্রীকে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা বউদি, দাদা নাকি গপ্প নেকে?’
 
বিশদ

13th  January, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামী লোকসভা ভোটে হাওড়া জেলার ১৩ হাজার ৫৮২ জন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১৪১৯ জন দৃষ্টিহীন, ২৩০৬ ...

 লন্ডন, ১৪ মার্চ (পিটিআই): বুধবার রাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়ে সরকারকে দ্বিতীয়বার ধাক্কা দিয়েছেন হাউস অব কমন্সের সদস্যরা। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ভেঙে পড়তে নারাজ। আগামী সপ্তাহের কোনও একটি দিনে শেষবারের মতো চেষ্টা করে দেখতে ...

  সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা আজও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি। তিন বছর আগে তাঁরা খাদ্য দপ্তরে এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই কার্ড না পাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ...

নয়াদিল্লি, ১৪ মার্চ: বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-৩ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ হেরেও বিচলিত নন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর
১৮৯২ – লিভারপুল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ - ভারতীয় সাক্ষ্য আইন প্রবর্তন।
১৯০৪ - স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৩৪: রাজনীতিক কাঁসিরামের জন্ম
১৯৩৭ - পৃথিবীর প্রথম ব্লাডব্যাংক চালু হয় শিকাগোতে
১৯৩৯ - বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক জলধর সেনের মৃত্যু
১৯৭৬: অভিনেতা অভয় দেওলের জন্ম
১৯৭৭: অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী হানি সিংয়ের জন্ম
১৯৮৫ – প্রথম ইন্টারনেট ডোমেইন নাম নিবন্ধিত হয়। (symbolics.com)



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৭০ টাকা ৭০.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৬৮ টাকা ৯৩.৯৭ টাকা
ইউরো ৭৭.২৯ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৫২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৪৯/৪৭ রাত্রি ১/৪৫। আর্দ্রা ৫৪/৪৫ রাত্রি ৩/৪৪। সূ উ ৫/৪৯/৫৫, অ ৫/৪১/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১২ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে ৪/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী রাত্রি ৯/০/৫০। আর্দ্রানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩২/৪৫, সূ উ ৫/৫০/২৮, অ ৫/৪০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫/১১ মধ্যে ও ৮/১২/৩২ থেকে ১০/৩৪/৩৬ মধ্যে ও ১২/৫৬/৫১ থেকে ২/৩১/২৪ মধ্যে ও ৪/৬/৬ থেকে ৫/৪০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৮/৬ থেকে ৮/৫৫/২৩ মধ্যে ও ৩/২৪/৩২ থেকে ৪/১৩/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৩/৩ থেকে ১০/১৬/৫১ মধ্যে, কালবেলা ১০/১৬/৫১ থেকে ১১/৪৫/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩/১৪ থেকে ১০/১৪/২৬ মধ্যে।
 ৭ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:  উচ্চতর বিদ্যায় শুভ ফল। বৃষ: পাওনা অর্থ আদায় হবে। মিথুন: উচ্চশিক্ষায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর১৮৯২ – ...বিশদ

07:03:20 PM

দাসপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস 
টোটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল কনেযাত্রীবোঝাই বাস। ...বিশদ

07:55:31 PM

২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা 
১৭টি আসন ছেড়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ...বিশদ

06:51:12 PM

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা 
আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ...বিশদ

05:01:43 PM

২৬৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:02:07 PM