শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সুমন এবার ভাড়া গাড়ির চালককে তাড়ার ভঙ্গিতে বলে, ‘ছেড়ে দিন গাড়ি। এখানে দাঁড়ালে পুলিসের নজর পড়তে পারে।’
অনীক তার পাশে বসা প্রণবকে দেখে নিশ্চিন্ত হাসি হাসে, ‘যাক! শেষ অবধি আমাদের বার্ষিক মিলনোৎসবটি বাস্তবায়িত হল! যা গ্যাঁড়াকলে পড়েছিলাম! পরশু থেকে বুক ফেয়ার... অনেকগুলো নতুন বই বেরুবে... ছোটাছুটি চলছে!’
প্রণব বিরক্তভাবে বলে, ‘তার মধ্যে ছোটাছুটি করে আসার কী দরকার ছিল? কতবার বললাম, বাড়ি থেকে তোকে পিক-আপ করে নেব, রাজিই হলি না!’
অনীক আনমনাভাবে বলে, ‘আসলে মেট্রো চড়ার শখ হল, কতদিন চড়িনি।’
সুমন সামনের এগিয়ে আসা সর্পিল ফ্লাই-ওভারের দিকে চোখ রেখে বলল, ‘লোকেরা তোকে চিনতে পারে? নিশ্চয়ই অটোগ্রাফ চায়? সত্যি তোর জন্য গর্বে আমাদের বুক ভরে ওঠে। আমাদের সেই নাকু আজ এত বড় লেখক!’ অনীকের লম্বা নাক আর নামের মিশেলে বন্ধুদের এই দুষ্টুমির নামটি শুনে হেসে ফেলে সকলে। গাড়ি স্পিড তোলে, এবার প্রণব বলে, ‘তাহলে বন্ধুগণ, নিয়মমাফিক আমাদের সেলফোনগুলো আমরা বন্ধ করে দিই?’ প্রণবের কথার লেজ ধরে অনীক কেমন গাঢ় গলায় বলে, ‘ও ইয়েস, লেটস গেট কাট অব ফ্রম দি ওয়ার্ল্ড! তারপর শৈশবের সোনালি দিনগুলোতে ডুব মারব তিনজনে।’ বড্ড গাঢ় হয়ে আসে অনীকের গলা, অন্য দু’জনকেও বুঝি ছুঁয়ে যায় মন কেমন করা মায়া...
একটু যেন আনমনা হয়ে পড়ে তিনজন, নিজেদের ফোনগুলিকে অফ করে দেয় আঙুলের চাপে এক এক করে। ব্রিজের নীচে আলসেমির চাদর মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে গঙ্গা, খোলা জানলা পেয়ে হু হু করে বাতাস এসে এলোমেলো ঝাপ্টা মারে তিনজনের চোখে-মুখে, স্মৃতিতে...
এটা তিন বন্ধুর একটা খেলা। গত পাঁচ বছর ধরে চলছে। তিন বাল্যবন্ধু বছরে একদিন একসঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। সারা দিনটা কাটায় নিজেদের সুখ-দুঃখের রোমন্থনে। বউ-বাচ্চাদের ফেলে, জগৎ-সংসার থেকে বিমুক্ত হয়ে নতুন নতুন ঠিকানায় পৌঁছে যায় ছেলেবেলার একাত্মতায় ভর করে। সুমন লন্ডন থেকে তার কর্পোরেট কর্তার ঝকঝকে পরিচয় ছুঁড়ে ফেলে ছুটে আসে, প্রণব ত্যাগ করে আসে তার ব্যারিস্টারি গাম্ভীর্য। এদের মধ্যে সফলতম অনীক সেনগুপ্ত... বাংলার লোকপ্রিয় লেখক, তার যশের মুকুটটি সেদিন নামিয়ে রেখে খোলা হাওয়ায় ভেসে যায়।
‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। মিঃ আগরওয়ালের ব্যবস্থা চমৎকার, কুকটাও নাকি লা জবাব...’
বাংলোটা সত্যিই সুন্দর। পরিপাটি ব্যবস্থা। সাজানো ড্রয়িং রুম, হাত-পা ছড়িয়ে বসতেই গরম গরম ফুলকো লুচি আর আলুর দম হাজির। সুমন তার ঢাউশ ব্যাগটি খুলে স্কচের বোতল বার করতেই সেটির সদ্ব্যবহারে তৎপর হয় তিন বন্ধু। আড্ডা শুরু হয়। এই তিন বন্ধুর শৈশব কেটেছে ভবানীপুরে। পাড়ার রাস্তায় ক্রিকেট বল পেঁদিয়ে... আদি গঙ্গায় ঝাঁপাঝাঁপি করে! স্কুলের বাঁদরামি করে কানমলা খেয়েছে একসঙ্গে... ইন্দিরা সিনেমা হলের লাইনে মেয়েদের পিছনে লেগে তর তর করে বড় হয়েছে তিনজনে। ক্রমশ বেলা গড়ায়... জীবনের খুঁটিনাটি বোঝাপড়া, আনন্দ দুঃখ ফেনিল ধারায় বহমান হতে থাকে। বছরের এই একটা দিন যে কেন আজও এমন অমূল্য রয়ে গেছে তাদের কাছে, আরও একবার সেকথা উপলব্ধি করে তারা। শীতের দুপুর এবার বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোদ ম্লান মেদুর। ওরা বসে আছে লনে, সামনে শান্ত মেয়েটির সৌজন্যে ধীর প্রবাহিতা গঙ্গা। চায়ে চুমুক দেয় সুমন, ‘দারুণ কাটল বল দিনটা?’
নদীটির মতো শান্ত মুখে অনীক হঠাৎ বলে, ‘আজ যাবার আগে তোদের কিছু কথা আমি বলতে চাই।’
কী ছিল অনীকের কথাটিতে? সুমন ও প্রণব কেন যে এমন ত্রস্ত হয়ে ওঠে? বড্ড যেন নিথর দৃষ্টি তাদের লেখক বন্ধুর চোখ দুটিতে... যেন সে তার পারিপার্শ্বিক থেকে চলে গেছে অনেক দূরে।
‘সুমন-প্রণব, তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলিস, কিংবা বলব, এখনও আছিস। তোরা কী কোনও দিনই টের পাসনি যে আমি তোদের ভালোবাসার পাশাপাশি তোদের হিংসাও করতাম? হয়তো টের পাসনি, কারণ আমি খুব সাবধান ছিলাম সে বিষয়ে। তোদের দু’জনের সঙ্গে আমার অবস্থার আকাশ-পাতাল ফারাক ছিল। আমার বয়স যখন পাঁচ বোন অনিতার বয়স তিন... আমাদের বাবা-মা দু’জনে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। সম্ভবত ঋণশোধ করতে না পারার দরুন। মামা বাড়ির হেফাজতে বাচ্চা দুটিকে ফেলে রেখে তারা কেটে পড়লেন। মামারবাড়িতে ফাই-ফরমাস খেটে বড় হতে থাকি আমরা...’
প্রণব হাত তুলে প্রসঙ্গটির সমাপ্তি টানতে চায়, ‘এসবই আমাদের জানা... পাস্ট ইজ পাস্ট... কে এসব মনে রেখেছে বল তো? তুই এখন বাংলাদেশের, আমাদের গর্ব!’
অনীক কেমন তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে, ‘হাঃ! গর্ব! প্রণব তোদের ছিমছাম দোতলা বাড়িটা কী সুন্দর ছিল! তোর বাবা ব্যারিস্টার প্রমথ মুখার্জির সোনালি নেমপ্লেট! তুই ছিলি আদরের ধন কুলপ্রদীপ পুত্র, বাপ-মায়ের বুকের পাঁজর। টলটলে ভালোবাসার সংসার ছিল তোদের। আমার ভীষণ লোভ হতো অমন একটা সংসারের জন্য... বাবা-মায়ের জন্য!’
সুমন বিরক্তভাবে বলে, ‘আজ এত বছর পর কেন যে তুই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে বসলি! এটা স্বাভাবিকই ছিল অনীক, ঈর্ষা হতেই পারে।’ অনীক সুমনের দিকে তাকায়, ‘তোরা তো জমিদার ছিলিস। গঙ্গার গা ঘেঁষে তোদের বাড়িটাকে আমরা বলতাম রাজবাড়ি। ঠাকুর-চাকরে ঠাসা জমজমাট সংসার ছিল তোদের, জন্মদিনে ফ্লুরিসের কেক, রবিবারে পার্ক স্ট্রিটে লাঞ্চ! কিন্তু তোরা দু’জনেই অনাথ হাঘরে আমাকে বুঝতে দিসনি তফাতটা... বিন্দুমাত্র অহংকার ছিল না তোদের!’
রোদে তেজ মরে এল, সুমন উসখুস করে, ‘নে এবার থাম। ফিরতে হবে তো!’
‘হ্যাঁ! ফিরতে হবে, তাই বলতেও হবে। শুনে নে। তখন আমরা ক্লাস টেন, তোরা সাইন্স, আমি আর্টস! আমাদের বাড়ির রকে ক্যারাম খেলার ঠেক ছিল। সেখানে আমার বোন অনিতা আর ওর বন্ধু সুন্দরী মিতাও এসে জুটত। লক্ষ করলাম, তোরা ওদের দেখলে চঞ্চল হয়ে উঠিস... তোদের চারজনের মধ্যে একটা গোপন স্রোত বইতে দেখলাম...’
‘প্লিস, তুই থাম—’ সুমন বাধা দেয়।
অনীক কিন্তু থামে না। ‘আমার হিংসা দাউদাউ করে জ্বলে উঠল জানিস? প্রণব, তোর অনিতাকে পছন্দ করাতে আমার খুশি হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু হইনি। মিতা আর সুমনের দৃষ্টি বিনিময়ের গভীরতা আমাকে জ্বালাত! আমি গরিব, আমি সুন্দর নই, আমার কোনও প্রেমিকা জুটবে না। শালা, ভগবান আবার তোদের জিতিয়ে দেবেন? নো! নেভার!’
অনীক নিজের আঙুলগুলি নিয়ে খেলা করতে করতে স্বগতোক্তির মতো বলে, ‘মিতাকে যে আমারও দারুণ পছন্দ ছিল! সুন্দরী, দারুণ গান গায়। কিন্তু সুমনের মতো শাঁসাল পার্টি ফেলে আমার মতো ফেকলুকে সে কেনই বা পাত্তা দেবে? এইসময়, প্রথমবার ভগবান আমার দিকে মুখ তুলে চাইলেন। সুমন, তোর বাবা লন্ডনে চাকরি সূত্রে সপরিবার চলে যাওয়া মনস্থ করলেন। বন্ধু বিচ্ছেদের বেদনা নয়, প্রবল আনন্দ হল আমার। আমার পথের কাঁটা দূর হবে এবার।’
নিজের মনেই হেসে উঠে অনীক বলে, ‘কিন্তু কী কপাল! সুমন চলে যাবে জেনে মিতা ভেঙে পড়ল খুব। সুমনকে চিঠি লিখল একটা। অনিতা সেই চিঠি সুমনের কাছে পৌঁছবার ভার দিল আমায়।’ সুমন চমকে যায়। ‘মিতা আমাকে চিঠি লিখেছিল?’
‘লিখেছিল, কিন্তু তোর কাছে পৌঁছল না। আমি সেটা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিলাম তো! মিতা জানল, সুমনই চিঠিটা ফেলে দিয়েছে। সুমনের এই প্রেমের খেলা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে অন্তরায়!
‘আমাদের হায়ার সেকেন্ডারি তখন শিয়রে, রকের আড্ডা ভেঙে দিলাম। সুমন তুই মিতার কথা মাঝে মাঝে তুলতিস, আমি তোকে বলেছিলাম মিতাদের রক্ষণশীল পরিবারের বিধি-নিষেধের কথা। ফোনও ছিল না ওদের, আর তুই মানুষটা তো চিরকাল ভদ্র আর মুখচোরা!’
সুমন এখন সিগারেট খায় না, ফস করে সে প্রণবের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট তুলে ধরায়। ‘তার মানে মিতা সারাজীবন আমাকে একটা ফ্লাট ভাবল?’ ‘চিন্তা করিস না। সুমনদার প্রতি অবিচল আস্থায় বড় একটা ছেদ বোধহয় পড়েনি মিতার। তোর চিরকুমার স্টেটাসটাও ওকে গভীরে কোথাও সান্ত্বনা জুগিয়েছে।’
বলে চলে অনীক, ‘মিতাকে কায়দা করে অজগরের মতো পাকে পাকে জড়িয়ে ধরলাম, ক্ষতস্থানে প্রলেপ লাগিয়ে যখন বেশ বশ করে আনছি, তখন দেখি অনিতা আর প্রণব গল্পে মশগুল রাস্তার ধারে। অনিতা জানে মিতার প্রেমপত্রের কথা, ভবিষ্যতে প্রণবকে যদি বলে দেয় সে কথা? শয়তানের মগজ বলল, অনিতার সঙ্গে প্রণবের প্রেম-বিয়ে আমার ভবিষ্যতের জন্য ডেঞ্জারাস। আমি সিধা চলে গেলাম প্রণবের মায়ের কাছে।’
প্রণব এবার অঙ্ক মেলানোর ভঙ্গিতে বলে, ‘তুই মাকে বলেছিলিস অনিতার শরীরে বড় রকম মেয়েলি প্রবলেম আছে, ও কোনও দিন মা হতে পারবে না। মায়ের সে কী কান্না, বংশলোপের আশঙ্কা! শেষ পর্যন্ত মাকে আমি কথা দিলাম, অনিতার সঙ্গে আর দেখা করিনি।’
অনীক মাথা নাড়ে। ‘হ্যাঁ! অনিতা আর মিতাকে আমি শান্তিনিকেতনে পড়তে রাজি করালাম। মামাবাড়ি ছেড়ে কলেজ স্ট্রিটের মেসে চলে গেলাম। অনিতা বিএ পাশ করে একটি জাপানি ক্লাসমেটকে বিয়ে করে চলে গেল জাপানে। দুটি মেয়ে নিয়ে সুখেই আছে।’
প্রণব বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে বলে, ‘মাকে তুই মিথ্যে বলেছিলি!’
‘উপায় ছিল না যে! ভগবানের অবিচারের সঙ্গে লড়াই চলছে! নিজের ভাগ্য নিজে গড়ব। মিতা কলাভবনেই পড়াত। বাড়ির অমতে আমায় বিয়ে করল বলে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক থাকল না। আমি লেখালেখির জগতে পা দিলাম, একটু একটু করে নাম হল, তোদের সঙ্গে আবার যোগাযোগও হল, মনে হল এবার আমি জিতে গেছি।’
শীতের কুয়াশা কেমন অস্পষ্ট করে দিচ্ছে তিন বন্ধুকে। তারা বসে আছে তিনটি স্থির মূর্তি! ‘ভেবেছিলাম জিতে গেছি, কিন্তু নাঃ! জিতলাম কোথায়?
শান্তিই তো পেলাম না। বিবেকের কাছে জবাবদিহি চলছে সারাজীবন। মিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিলনের মুহূর্তে মনে হতো আমাদের মধ্যে সুমন রয়ে গেছে। বাচ্চাও হল না একটা! হিংসার জ্বালায় যাদের এত ভালোবাসি তাদের সকলকে কষ্ট দিলাম। তোরা আমায় ক্ষমা করে দিস প্লিস—’ নিজের হাতের পাতায় মুখ ঢাকে অনীক। ফেরার পথে তিন বন্ধুই গাড়িতে বসে আছে নির্বাক। তিনজনই ডুবে আছে নিজেদের ভাবনায়। সুমন আর প্রণবের মনে হচ্ছে, সন্দেহের জট খুলে গেল এতদিনে! এবারের মেমরি ট্রিপটায় জীবনটাকে আগাগোড়া অন্যভাবে ফিরে দেখা হল যেন!
গাড়িটা রবীন্দ্র সদনকে সামনে রেখে দাঁড়ায়। অনীক নেমে বলে, ‘আজ বড় শান্তি হল রে। এবার মোবাইলগুলো অন করে দে। চলি।’ হাত নেড়ে ভিড়ের মধ্যে চকিতে অদৃশ্য হল অনীক।
সত্যিই তো! মোবাইলগুলোও অফ রয়ে গেছে। গাড়িটা ডানদিকে মোড় নেয়। অন্যমনস্কভাবে মোবাইল অন করে চমকে যায় প্রণব! প্রচুর মিসড কল! বউ চুমকিরই বেশি! বুকটা কেঁপে ওঠে প্রণবের। তাড়াতাড়ি চুমকিকে ফোন লাগায়। ফোনে শোনে চুমকির কান্না, ‘কতবার বলেছি ফোন অফ করে এভাবে যেও না তোমরা। একবার খোঁজও নিলে না সে কেন এল না? কেমন মানুষ তোমরা?’
‘কার কথা বলছ চুমকি?’
‘অনীকদা সকালে তোমাদের মিট করতে রাস্তা পার হতে গিয়ে এক্সাইডের মোড়ে বাসের চাকায় পিষে স্পটডেড... সারাদিন কলকাতা তোলপাড়... লোকেরা বাস পুড়িয়ে দিয়েছে... পোস্টমর্টেম হল... নন্দনে খানিকক্ষণ বডি ছিল... আমি মিতার সঙ্গে আছি। এখন আমরা পিজি হাসপাতালের সামনে দিয়ে ক্যাওড়াতলা শ্মশানের দিকে যাচ্ছি... তোমরা কোথায়?’
প্রণবের হাত থেকে সেলফোনটা খসে পড়ে। জ্ঞান হারাবার আগের মুহূর্তে সে দেখতে পায় কাচে মোড়া ফুলে ঢাকা শববাহী গাড়িটা চলেছে ঠিক তাদের সামনে সামনে।