Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


আজ থেকে বছর ত্রিশ, চল্লিশ আগেও ‘তাঁদের’ রমরমা উপস্থিতির কথা অনেক মানুষজনই বেশ বুঝতে পারতেন। সেইসময় কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেশ কিছু পরিত্যক্ত, পুরনো বাড়ি ছিল। সেইসব বাড়ির বিভিন্ন তলায় তাঁরা সপরিবারে বসবাস করতেন। দিনের বেলায় তাঁদের চলাফেরা মোটেই টের পাওয়া যেত না। যেই সূর্যদেব সেদিনের মতো পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়তেন, আর তখনই হাতে আঁকশি নিয়ে এক সাইকেল আরোহী টুক টুক করে একের পর এক ল্যাম্পপোস্টের আলো জ্বালাতে জ্বালাতে হারিয়ে যেতেন এপাড়া থেকে অন্য পাড়ায়। হলদে হয়ে যাওয়া সেই বাল্বের ম্রিয়মান আলো কিন্তু আজকের মতো কোনওদিনই রাস্তা ছুঁতে পারত না। আর তারপরেই শুরু হতো তাঁদের হইহুল্লোড়। কিছু কিছু এলাকার পুরো দখলদারি তাঁরা নিয়ে নিতেন। যেমন বরাহনগর কুটিঘাট অঞ্চলের বসাকবাগানের দীর্ঘ পথটি রাতের বেলায় পার হতে অতি বড় সাহসীরও বুক কেঁপে উঠত। একদিকে বিশাল এক কেয়া ঝোপ, আর রাস্তার ধারে বসাকদেরই কোনও পূর্বপুরুষ সার দিয়ে ছোট ছোট এক ধরনের ফলের গাছ পুঁতেছিলেন। অদ্ভুত আকৃতির সবজে রঙের পাকানো এক ধরনের ফল । ওপরের মোটা সবুজ খোসাটা ছাড়িয়ে ফেললেই বেরিয়ে আসত সাদা শাঁস। অদ্ভুত তার স্বাদ। তাকে আমরা আদর করে জিলিপি ফল বলে ডাকতাম। তবে এই বাগানের সেই কুখ্যাত গাব গাছটিই ছিল মানুষের ত্রাসের কারণ। কারণ ওই গাব গাছে প্রতিবছরই কেউ না কেউ গলায় দড়ি দিতেন। ফাঁসি ঝোলা গাব গাছ নামে সে বিখ্যাত ছিল। অনেকেই এই গাছের তলায় রাত-গভীরে তাঁদের দর্শন পেয়েছেন বলেও শোনা যেত। বর্তমানে সেই গাব গাছ অতীতের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই রাস্তার শেষ মাথার একটি বাড়িও যথেষ্ট কুখ্যাত ছিল। বালিগঞ্জের এক ধনী ব্যক্তির বাগানবাড়ি ছিল সেটি। রাতের দিকে বহু মানুষই সেই বাড়ি থেকে ঘুঙুরের আওয়াজ শুনতে পেতেন।
এই রকমই একটি রাস্তা হল রায় মথুরানাথ চৌধুরী স্ট্রিট। কুটিঘাট রোডের বুক থেকে উঠে মা গঙ্গার গা ঘেঁষে অধুনা লুপ্ত সতীদাহ ঘাট ছুঁয়ে সে এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে প্রামাণিক ঘাট রোডে । এখানেই রয়েছে সেই বিখ্যাত কাঁথাধারী মঠ। বহু কাল আগে সপার্ষদ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব গঙ্গাবক্ষে নৌকাযোগে পুরী যাচ্ছিলেন। তাঁরা গঙ্গার ধারে ছোট্ট একটি চালা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন বলে ঠিক করেন। ওই চালাটি ছিল ভক্ত এক ব্রাহ্মণের। গৃহকর্তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে মহাপ্রভু বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গের কাঁথাটি ব্রাহ্মণের গায়ে জড়িয়ে দেন। সেই কাঁথা আজও রয়েছে বর্তমান মঠে। এই মঠ পেরিয়ে একটু এগোলেই বাঁদিকের সেই ঘাটটি আজও বহু অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘাটটির নাম শিলাঘাট। নকশাল আন্দোলনের শেষক্ষণে একদিন, যেদিনটি আজও কলঙ্কিত হয়ে আছে ‘বরাহনগর কিলিং’ নামে, ওই ঘাটেই খুন করা হয়েছিল অসংখ্য তরুণকে। তারপর তাঁদের ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গায়। তাই রায় মথুরানাথ চৌধুরী স্ট্রিটের ওই অংশটি সম্পর্কে বহু মানুষ নানারকম কথা কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলতেন। বর্তমানে বহুতল বাড়ি ও ভেপার ল্যাম্পের আলো এই অঞ্চলের ভৌতিক বদনাম একদম মুছে দিয়েছে।
তবে কলকতায় এখনও অনেক বিখ্যাত ভুতের বাড়ি আছে। যাদের নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা যায়। যেমন ঐতিহাসিক হেস্টিংস হাউস। এর কুখ্যাতি আজও সমান ভাবে বিদ্যমান। ওই বাড়িটি এখনও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে ভারতের প্রথম বড়লাটের জন্য। তিনি নাকি আজও ওই বাড়িতে মাঝেমাঝেই চলে আসেন। কেন আসেন? সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন ।
তাঁরা আছেন কিংবা নেই তা নিয়ে প্রবল দ্বিমত, তর্কবিতর্ক থাকলেও যাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন তাঁরা আছেন সেইসব মানুষজন অন্ধকার নামলেই নিজেদের সঁপে দিতেন দশরথ-নন্দন ‘শ্রীরামচন্দ্র’-এর চরণে । পারতপক্ষে রাতের অন্ধকারে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরতে চাইতেন না। বেরতে বাধ্য হলে তাঁরা বিড়বিড় করে অবিরাম রামনাম জপতে জপতে কাজ শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে আসতেন। রাতে ঘুমোবার সময় তাঁদের ঘরের সমস্ত আলোই ফটফট করে জ্বলত। তাঁরা বিশ্বাস করতেন — দিনের আলোকে যদি ‘তাঁরা’ ভয় পান, তাহলে ঘরে যদি রাতে আলো জ্বেলে রাখা যায় তাহলে অবশ্যই তেনারা সেই ঘরে প্রবেশ করার সাহস দেখাবেন না। জানি না এইভাবে আলো জ্বেলে সত্যি তাঁদের আটকানো আদৌ সম্ভবপর কিনা!
এবার আপনাদের আমি একটা সত্যি ঘটনা শোনাব। এই গল্পটি আমি শুনেছিলাম এক খ্যাতিমান সাহিত্যিকের মুখ থেকে। আজ থেকে বছর পঁয়ত্রিশ আগের ঘটনা। উত্তরবঙ্গের এক সাহিত্যসভায় যোগ দিতে গিয়েছেন কলকাতার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। সেই দলে নবীনতম সাহিত্যিক হিসাবে সেই লেখকও ছিলেন। পরবর্তীকালে এক সন্ধ্যার আড্ডায় তিনি আমাদের এই গল্পটা শুনিয়েছিলেন।
সময়টা ছিল শীতকাল। দার্জিলিং মেলে চেপে সদলবলে তাঁরা গিয়ে নামলেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখানে তাঁদের জন্য উদ্যোক্তারা সকাল থেকেই গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। গোটা তিনেক গাড়িতে ভাগাভাগি করে লেখকরা উঠে পড়লেন। একসময় গাড়ি গিয়ে পৌঁছল তাঁদের জন্য ঠিক করে রাখা বনবাংলোতে। দুপুরের আহারের পর জমে উঠল জমজমাট আড্ডা। কিন্তু কোথাও যেন তাল কেটে যাচ্ছে। কেন এরকম হচ্ছে! আসলে ওই দলের দুই বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের মধ্যে কোনও কারণে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তখন কথা বন্ধ। তাই বিবাদমান দু’জনেই দু’জনের রসিকতায় কোনওরকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন না। এইভাবে কখন যেন সময় হয়ে গেল বিকেলের সভার। সেই সাহিত্য সভা শেষে তাঁরা যখন আবার বাংলোয় ফিরলেন, তখন বেশ রাত হয়েছে। উদ্যোক্তারা প্রত্যেকের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। আলাদা ঘরে শুতে হবে শোনা মাত্র দলের অন্যতম এক প্রবীণ সদস্যের হৃদকম্পন শুরু হল। কারণ তিনি প্রবলভাবে ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন। এদিকে তাঁর সঙ্গে যিনি রুম শেয়ার করতে পারেন, সেই মানুষটির সঙ্গেই তো আবার প্রবল ঝগড়া চলছে।
এই পরলোকের বাসিন্দারাই সেই রাতে দুই পুরনো বন্ধুর বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছিলেন। ভূত বিশ্বাসী সেই প্রখ্যাত লেখক ও সম্পাদক হাতের কাছে রাখা প্যাড টেনে নিয়ে নাকি লিখেছিলেন, ‘ঝগড়া আপাতত স্থগিত থাক। আজ রাতে তুমি আমার ঘরে শুতে পারবে কি?’ চিঠি পড়ে আর এক বিখ্যাত সাহিত্যিক ও সম্পাদক মৃদু হেসে বন্ধুর সঙ্গে রাত কাটাতে চলে এসেছিলেন।
ভূত নিয়ে লেখক ও শিল্পীদের আগ্রহ এবং উৎসাহ কোনওকালেই নেহাত কম ছিল না। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও প্ল্যানচেট করতেন। তাঁর সেই আসর আলো করে গিয়েছেন বহু বিখ্যাত আত্মা। অপরদিকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং প্রেত দর্শন না করলেও তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় কাশীতে ‘পুত্রের ওপর ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধ সদ্য প্রয়াত পিতার প্রেতকে’ কোনওক্রমে শান্ত করেছিলেন। সেই গল্প কথাসাহিত্যিক তাঁর বন্ধুদের কাছে মাঝে মাঝেই করতেন।
তখনও ‘কপালকুণ্ডলা’ লেখার কাজে হাত দেননি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি তখন নেগুয়া (পূর্ব মেদিনীপুর)-তে থাকতেন। কার্যোপলক্ষে তাঁকে একদিন যেতে হয়েছিল নেগুয়ার বাইরে একটি জায়গায়। সেখানে রাত্রিবেলায় তিনিও শুভ্র বসন পরিহিতা এক রমণীকে দেখেছিলেন। ভূতে বিশ্বাস শুধু ভারতীয় লেখকর বা শিল্পীরাই করতেন এরকম ভাবাটা কিন্তু একদমই অনুচিত হবে। ধরা যাক শেক্সপিয়রের কথা। তাঁর লেখায় তাঁদের উপস্থিতি আমাদের বারেবারে নজরে এসেছে। ‘হ্যামলেট’ নাটকে হ্যামলেট তাঁর বন্ধু হোরাসিয়োকে কী বলেছিলেন একবার মনে করার চেষ্টা করুন। তিনি বলেছিলেন,‘There are more things in heaven and earth Horatio, Than the dreamt of in your philosophy.’
পরবর্তী সংখ্যা থেকে আপনাদের সেইসব কাহিনী শোনাবার চেষ্টা করব। (চলবে)
24th  February, 2019
রাতের প্যাসেঞ্জার
সৌমিত্র চৌধুরী

 মাসের এক তারিখেই বিএস মানে ‘ভট্টাচার্জি-সমাদ্দার কনসালটেন্সি’ নগদে মাইনে দিয়ে দেয়। কোম্পানির সমাদ্দারবাবু একটু রাগী মার্কা, তবে তপনবাবু অতি অমায়িক সজ্জন মানুষ। খেতে খাওয়াতে ভালোবাসেন। নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করেন আমাকে। আজ ওঁর বাড়িতে ছোট একটা অনুষ্ঠান। আমেরিকা থেকে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছেলে এসেছে বাড়িতে। আমিও সস্ত্রীক নিমন্ত্রিত।
বিশদ

10th  March, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

‘আমি বৃন্দাবনে বনে বনে ধেনু চরাবো’— সেই কৃষ্ণ বৃন্দাবনে এখন বন নেই। যা আছে তা কংক্রিটের বন। তবুও শ্রীরাধাগোবিন্দের সেই লীলাভূমি ধর্মপ্রাণ নরনারীর কাছে আজও অতি প্রিয় স্থান।
বিশদ

10th  March, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫— এই তেরো বছরের রাজত্বকালে ওয়ারেন হেস্টিংস শুধু আলিপুরের এই বিলাসগৃহ নয়, তিনি মোট তেরোটি বাড়িতে বসবাস করেছেন। তাঁর এই গৃহ-প্রীতি নিয়ে সেইসময় বিস্তর আলোচনাও হতো। ডব্লু কে ফার্মিংজারের ‘থ্যাকারস ক্যালকাটা ডিরেকটরি’-তে আছে, ‘হি হ্যাড এ লুক্রেটিভ ম্যানিয়া ফর হাউস বিল্ডিং অ্যান্ড সেলিং।’
বিশদ

10th  March, 2019
ফিরে দেখা
শুচিস্মিতা দেব

‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। বিশদ

24th  February, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ব্রিটিশ আমলে এখানকার শিংরৌলিতে ক্যান্টনমেন্ট হলে এর নাম হয় বেনারস ক্যান্টনমেন্ট। তবে বর্তমানে এটি স্বনামে মহিমান্বিত। ১৯৫৬ সালের ২৪ মে থেকে সরকারি আদেশ বলে বেনারস আবার বারাণসী হয়ে যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

এক মধ্যরাতে রাজপুতকন্যা ঘুম ভেঙে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাঁহাপনা, রূপমতী কে? আপনি নিদের ঘোরে ‘রূপমতী, রূপমতী’ বলে ডাকছিলেন।পাঁচ সাল হয়ে গেল বাদশা আকবরের রাজত্বকাল, হিন্দুস্থানের হরেক ভাষার সঙ্গে তাঁর পহচানা ঘটছে রোজ।
বিশদ

17th  February, 2019
ফেসবুকের ফাঁস
রমলা মুখোপাধ্যায়

 —‘জানি রে ল্যাপটপ ছাড়া জীবন একেবারে অচল, কিন্তু কী করবি বল? এখন তো বাবা-মায়ের থেকে দূরে থেকেও জীবন চালানো সম্ভব, কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ছাড়া তো ভাবাই যায় না বল!’
—‘ল্যাপটপের প্রসেসরটাই তো খারাপ হয়ে গেছে! সেটার তো অনেক দাম। মাসের মধ্যিখানে হাতে তেমন টাকাও নেই। আর এদিকে আমার তো ভালো মোবাইল সেটও নেই। নেট, ফেসবুক ছাড়া কি একটা দিনও কাটানো যায়?’ বিশদ

17th  February, 2019
বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

03rd  February, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস 

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

03rd  February, 2019
মাঠরাখা
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

আলোটা ভাসতে ভাসতে আঁকড়গোড়ে, ভাড়ালগোড়ে, জিওল নালার মাঠ ঘুরে চক্কর দিয়ে মাঝের-দাঁড়ার মাঠে এসে মিলিয়ে গেল। মেঘগুলোকে নীচে ফেলে চাঁদটা অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিল। 
বিশদ

20th  January, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৪

সন্ধের নিরিবিলি সময়ে তসবিরখানা থেকে বেরিয়ে দাসোয়ান কোথায় চলেছেন কীরকম আলুথালু মুখে দেখে ধন্দে পড়লেন বীরবর।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেতাব দেখাচ্ছে তসবিওয়ালাকে। তসবিরখানায় বসে থাকেন চুপচাপ, তুলিতে রং মাখিয়েও তা খাগের কাগজে মাখাতে ভুলে যাচ্ছেন, কেউ গায়ে হাত দিয়ে নাড়া দিলে থতমত খেয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কাগজের উপর। 
বিশদ

20th  January, 2019
কাকের বাসায় ভালোবাসা 
অমিত ভট্টাচার্য

যদিও গল্পটা পুষ্পদির মুখ থেকে পুরোপুরি শোনা হয়নি, তবে কিছুটা চাক্ষুষ দেখার সুযোগ হয়েছিল।
একদিন হঠাৎ সে হাজির হয়েছিল আমার বাড়ি। আমি তখন বাইরে।
স্ত্রীকে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা বউদি, দাদা নাকি গপ্প নেকে?’
 
বিশদ

13th  January, 2019
একনজরে
  সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা আজও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি। তিন বছর আগে তাঁরা খাদ্য দপ্তরে এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই কার্ড না পাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ...

 পাটনা, ১৪ মার্চ (পিটিআই): তাঁর বিজেপি ত্যাগ সম্ভবত সময়ের অপেক্ষা। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধোনা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। পাটনা সাহিব কেন্দ্রের এই এমপির ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় তিন বছরে কয়েকটি চিঠির হাতের লেখা সম্পর্কে রিপোর্ট দেয়নি সিআইডি। অথচ, সেইসব চিঠিতে টাকা চেয়ে হুমকি ছাড়াও বিচারবিভাগ সম্পর্কে মারাত্মক অসম্মানজনক মন্তব্য রয়েছে। ...

  সংবাদদাতা, বুদবুদ: বুদবুদে শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুদবুদের মহাকালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই উৎসব এবার দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করছে। শান্তিনিকেতনকে বাদ দিয়ে বাঙালির বসন্ত উৎসব কার্যত অসম্পূর্ণ। তাই দোল উৎসবে শান্তিনিকেতন যেতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর
১৮৯২ – লিভারপুল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ - ভারতীয় সাক্ষ্য আইন প্রবর্তন।
১৯০৪ - স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৩৪: রাজনীতিক কাঁসিরামের জন্ম
১৯৩৭ - পৃথিবীর প্রথম ব্লাডব্যাংক চালু হয় শিকাগোতে
১৯৩৯ - বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক জলধর সেনের মৃত্যু
১৯৭৬: অভিনেতা অভয় দেওলের জন্ম
১৯৭৭: অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী হানি সিংয়ের জন্ম
১৯৮৫ – প্রথম ইন্টারনেট ডোমেইন নাম নিবন্ধিত হয়। (symbolics.com)



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৭০ টাকা ৭০.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৬৮ টাকা ৯৩.৯৭ টাকা
ইউরো ৭৭.২৯ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৫২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৪৯/৪৭ রাত্রি ১/৪৫। আর্দ্রা ৫৪/৪৫ রাত্রি ৩/৪৪। সূ উ ৫/৪৯/৫৫, অ ৫/৪১/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১২ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে ৪/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী রাত্রি ৯/০/৫০। আর্দ্রানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩২/৪৫, সূ উ ৫/৫০/২৮, অ ৫/৪০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫/১১ মধ্যে ও ৮/১২/৩২ থেকে ১০/৩৪/৩৬ মধ্যে ও ১২/৫৬/৫১ থেকে ২/৩১/২৪ মধ্যে ও ৪/৬/৬ থেকে ৫/৪০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৮/৬ থেকে ৮/৫৫/২৩ মধ্যে ও ৩/২৪/৩২ থেকে ৪/১৩/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৩/৩ থেকে ১০/১৬/৫১ মধ্যে, কালবেলা ১০/১৬/৫১ থেকে ১১/৪৫/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩/১৪ থেকে ১০/১৪/২৬ মধ্যে।
 ৭ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:  উচ্চতর বিদ্যায় শুভ ফল। বৃষ: পাওনা অর্থ আদায় হবে। মিথুন: উচ্চশিক্ষায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর১৮৯২ – ...বিশদ

07:03:20 PM

দাসপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস 
টোটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল কনেযাত্রীবোঝাই বাস। ...বিশদ

07:55:31 PM

২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা 
১৭টি আসন ছেড়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ...বিশদ

06:51:12 PM

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা 
আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ...বিশদ

05:01:43 PM

২৬৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:02:07 PM