Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়: দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের। হারেমের এক বিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর কানে গিয়েছিল বাদশাহেরও। বাদশাহ কাউকে কিছু বুঝতে দেননি, এখন মাসুদ খানের কাছে শুনলেন কয়েকদিন আগে হারেমের এক দারোগা সেই বিবিকে নিয়ে গিয়েছিল কোথাও, সেখানে সেই বিবিকে কোতল করা হয়েছিল এই অবৈধ সম্পর্কের জেরে। খবরটা কানে যেতে দাসোয়ান পাগল হয়ে গিয়েছিল, আজ সে নিজের হাতে বল্লম গিঁথে দিয়েছে গলায়।
শাহেনশাহিতে এ সব খবর খুব যে আলোড়ন তোলে তা নয়, নিত্যদিন এখানে কেউ না কেউ কোতল হয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধে। তবু দাসোয়ান ছিল তসবিরখানার এক দানাদার আদমি। তার চেহারাটাও ছিল দশাসই, তাই তার আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ফিসফিসানি চলল ক’দিন।
ক’দিন পরে ভুলেও গেল সবাই। ভুলতেই হবে কেননা শাহেনশাহিতে চলতে থাকে একের পর এক ঘটনা, একটির জের না মিটতে আর একটি।
তার পরেই যে ঘটনাটা ঘটে গেল বীরবরের জীবনে তা সাংঘাতিক। বাদশাহ বললেন, বীরবরজি, চৌগান খেলার মাঠে হাতির লড়াই হচ্ছে। চলুন দেখে আসি।
হাতির লড়াই দেখা সম্রাটের খুব প্রিয় খায়েস। সম্রাট আকবর এসেছেন গাঢ় সবুজ শেরওয়ানি পরে, বীরবরের গায়ে লাল টকটকে বেনিয়ান। চৌগান খেলার মাঠ তখন ভরে উঠেছে কয়েক হাজার আম-আদমি। দুই পিলবান তাদের হাতি নিয়ে প্রস্তুত। দুই হাতির একটির নাম কাকর যে কিনা চণ্ড প্রকৃতির, এর আগে মেরেছে বেশ কয়েকটা হাতি, কয়েকজন ইনসানও। তবু কাকরকেই লড়াইয়ে আনা হয়েছে যাতে বেশ তুল্যমূল্য লড়াই হয়।
বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উদ্দেশেই তাড়া করল। তার হিংস্র মূর্তি দেখে বীরবর কী করবেন ভেবে পেলেন না। হাতিটা তখন বিপুল বেগে ছুটে আসছে তাঁকে লক্ষ করে। আর একটু পরেই তাঁকে শুঁড়ে জড়িয়ে তুলে আছাড় দেবে। বীরবর ভয়ে কাঁপছেন। সেই মুহূর্তে কী হল, দেখলেন এক ঘোড়সওয়ার তীব্র গতিতে ছুটে এসে তাঁকে তুলে নিলেন ঘোড়ার পিঠে, বাঁচিয়ে দিলেন হাতিটার শুঁড় থেকে, নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। বীরবর ভয়ে চোখ বুজিয়ে ছিলেন, কাঁপছিলেন ঠকঠক করে, হঠাৎ চোখ খুলে দেখলেন স্বয়ং বাদশাহ নতুন জীবন দিলেন তাঁকে।
বীরবরের মুখ দিয়ে শব্দ বেরচ্ছে গোঁ গোঁ করে, শুধু বলতে পারলেন, জাহাঁপনা, হাতিটা আপনাকেও মেরে ফেলতে পারত।
বাদশাহ আকবরও বিড়বিড় করছেন, বীরবরজি, আর একটু হলেই সর্বনাশ ঘটে যেত। বীরবর উপলব্ধি করলেন সম্রাট আকবর তাঁর জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করলেন সেদিন। ভাবতেই পারছেন না একজন সম্রাট তাঁকে এত ভালোবাসেন জেনে!
তার কিছুদিনের মধ্যে বাদশাহের কাশ্মীর ফতে করার খায়েস।
অনেকদিন ধরেই ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দার উপজাতিরা মছলা করছিল বাদশাহের সঙ্গে। তাদের একের পর এক হাঙ্গামায় নিদ ছুটে যাচ্ছিল তাঁর। বাদশা তাদের জব্দ করতে এক বিশাল ফৌজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রাওয়ালপিন্ডি হয়ে অ্যাটকের উদ্দেশে। এক তাগদঅলা মনসবদার জইন খান কোকলতাশকে বলা হল ফৌজ নিয়ে বজাউর হয়ে ঢুকতে, অন্য আর একটি ফৌজ রওয়ানা দিল সামা উপত্যকা দিয়ে লড়াই শুরু করতে।
পেশোয়ার আর সোয়াত নদীর মাঝখানে পাহাড়ি এলাকাতেই মান্দার উপজাতির ঘাঁটি। জইন খান কোকলতাশ আক্রমণে উঠে বাদশাহের কাছে খবর পাঠায়, হুজুর, মান্দার সংখ্যায় অনেক, আরও ফৌজ পাঠান।
ক’দিনের মধ্যে বাদশাহের কাছ থেকে একটি ফরমান পেলেন বীরবর। বীরবরজি, আপনি জংয়ে যেতে চেয়েছিলেন, এবার আপনার সামনে সেই সুযোগ। জইন খান কোকলতাশ এখন বজাউরে আছে ফৌজ নিয়ে। আপনি মির আতিসের কাছ থেকে ফৌজ নিয়ে সামা হয়ে সোয়াত চলে যান। আপনার সঙ্গে আরও ফৌজ নিয়ে যাবেন হাকিম আবুল ফাথ, তাকে বলা হয়েছে কারাকার গিরিপথ হয়ে আরও পুবে যেতে।
চিরকুটটি পেয়ে বীরবর কয়েক লহমা ভাবলেন সোয়াত এলাকার কথা। খুবই খতরনাক এলাকা। ক্রোশের পর ক্রোশ শুধু পাহাড় আর পাহাড়। খতরনাক সব গিরিখাত আর উপত্যকা। তেমনই খরস্রোতা সোয়াত নদী। আরও খতরনাক ওই উপজাতিরা। তবু শাহেনশাহ যখন ফরমান পাঠিয়েছেন, তাঁকে যেতেই হবে।
বিশাল ফৌজ সঙ্গে নিয়ে বীরবল চললেন সোয়াতের উদ্দেশে। বাদশাহ আকবর তখন অ্যাটকে আছেন আরও এক বড় ফৌজ নিয়ে। অ্যাটক পাহাড়ি এলাকায় এক ছোট্ট গঞ্জ। বাদশাহের সঙ্গে দেখা করতেই বীরবরের হাতে হাত রেখে মসাফা করে হেসে বললেন, তাহলে এবার আপনি সত্যিই জংয়ে চললেন? তবে ইউসুফজাইয়ের আফগানরা খুবই খতরনাক। সাবধানে ফৌজ নিয়ে এগবেন।
বলে বাদশাহের স্বর একটু নরম হল, বললেন বীরবরজি, কেল্লার কেউ কেউ আপনাকে মশকরা করে বীরবল বলে ডাকেন। শুনেছি আপনি তাতে রুষ্ট হন।
বীরবর মুচকি হেসে বললেন, না জাহাঁপনা। বল শব্দটার মধ্যে বেশ জোশ আছে। আমার তো বেশ লাগে।
—সহি বাত, বীরবরজি? শব্দটায় জোশ আছে, তাগদও আছে। আমি এই নামটাই আপনাকে দিলাম। আপনি একই সঙ্গে বীরও বটে, আবার তাগদওয়ালাও বটে। এবারের জংয়ে গিয়ে আপনি দেখিয়ে দিন আপনার তাগদ, তাহলে আর কেউ আপনাকে নিয়ে মশকরা করার সাহস পাবে না। আপনি এমন জং করবেন যাতে কাশ্মীর যুক্ত হতে পারে হিন্দুস্তানের সঙ্গে। আকবর বাদশাহের দীর্ঘদিনের সঙ্গী নতুন নামে সাব্যস্ত হয়ে শরম নয়, গর্বিত—ফখর বোধ করলেন। বাদশাহ তাঁর জন্য যা করেন, যা বলেন—সবই অনেক বিবেচনা করে করেন।
—বীরবলজি, আপনি রওয়ানা হন। জইন খান কোকলতাশ আপনার জন্য ইন্তেজার করছেন। বীরবর, না এখন তিনি বীরবল, দীর্ঘ পথ ছুটলেন তাঁর প্রিয় ঘোড়া বিজলির পিঠে। বিজলি কি একটু বুড়ো হয়েছে! তিনি নিজেও কি আন্দাজ করতে পারছেন বয়সের ভার! কত বয়স হল তাঁর! প্রায় ষাট ছুঁতে চলেছেন। দীর্ঘ আঠাশ বছর আছেন বাদশাহের পাশে পাশে। আজ তাঁর উপর দায়িত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ জং ফতে করার।
দীর্ঘ পাহাড়িপথ, অসংখ্য গিরিপথ আর উপত্যকা পেরিয়ে বীরবল যখন পৌঁছলেন, কোকলতাশ বললেন, আমার কাজ শেষ। এখন আমি চাকদারাতেই ফৌজ রেখে চেষ্টা করব আফগানদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে। আপনাকে আর লাগবে না।
বীরবল বুঝে উঠতে পারলেন না কোকলতাশের কথা, বললেন কিন্তু আমার উপর হুকুম আছে আফগানদের উপর আক্রমণ হানতে।
ফৌজ নিয়ে পৌঁছে গেছে হাকিম অল ফাতও। সেও বলল, বাদশাহের হুকুমের কথা। কিছুক্ষণের মধ্যে জইন খানের সঙ্গে বীরবল আর হাকিম অল ফাতের অবনিবনার শুরু। বীরবল কিছুতেই জইন খানের হুকুম শুনতে নারাজ। জইন খান উত্তেজিত হয়ে বললেন, এ সব এলাকা তন্নতন্ন চিনি। আপনি আমার কথা শুনতে নারাজ হলে আমার কিছু করার নেই। আপনি তো সবকিছু একটু বেশি বোঝেন।
খুবই অপমানিত বোধ করলেন বীরবল। মতপার্থক্য চূড়ান্ত হতে জইন খান বললেন, তাহলে আপনি মালাখান্দ গিরিখাত দিয়ে ফিরে যান।
বীরবল তাতে নারাজ কেননা ওই পথ দিয়ে তারা এসেছেন, তাতে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে তাঁদের। তাঁরা বরং ফিরতে চান কারাকার আর মালানদারাই মাঝখানের গিরিপথ দিয়ে।
জইন খানের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি, বলেন, ওই পথ যদি সুবিধের মনে হয়, তাই যান।
জইন খানের হাসির মানে বুঝতে পারলেন না, বীরবল ফৌজ নিয়ে ফিরে চললেন মালানদারাইয়ের দুর্গম উপত্যকার পথে। হাকিম অল ফাত কিন্তু ফিরল না সে-পথে। বীরবলকে নিষেধও করল না।
ক্রোশের পর ক্রোশ পাহাড়ি পথ, কোথাও পথ এত সরু, ঘোড়ার চারটে খুরও ধরে না। বীরবলের সামনে পিছনে কয়েক হাজার ঘোড়সওয়ার, সবাই বেশ সন্ত্রস্ত সরু পথ দিয়ে যেতে হওয়ায়।
দুর্গম পথ দিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ কীভাবে যেন খবর পেয়ে গেল ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দাররা। একটু পরেই দেখা গেল হাজার হাজার শত্রুফৌজ ছুটে আসছে বীরবলদের ফৌজ লক্ষ করে। তখন পালানোর জায়গাও নেই।
বীরবলের ফৌজ তখন পিছন ফিরে পালাতে চেষ্টা করছে, কিন্তু ফিরে যাবে কি! পায়ে-চলা সরু পথে একটি ঘোড়াও দৌড়ে যেতে পারে না। পিছু ফিরতে গিয়ে একে অপরের গায়ে ধাক্কা লেগে হুড়মুড় করে পাহড়ের গা বেয়ে পড়তে শুরু করল। সজোরে পড়ছে ঘোড়াসুদ্ধ ঘোড়সওয়ার। অনন্ত খাদের মধ্যে শব্দ হচ্ছে ঝুপ ঝুপ ঝুপ ঝুপ—
বীরবল শুনতে পাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন তাঁরও নিস্তার নেই। সমস্ত ঘোড়া পড়ছে একের পর এক। চেষ্টা করলেন একটা গিরিপথ বেয়ে পালানোর। হঠাৎ বুঝলেন পিছন থেকে কেউ তলোয়ার চালিয়ে দিল তাঁর শরীর লক্ষ করে। তিনিও—
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘোড়াসুদ্ধ ঝাঁপ দিয়ে পড়ছেন নীচের দিকে। এক বিপুল অন্ধকারের মধ্যে। পড়ার মুহূর্তে মনে পড়ছে আকবর বাদশাহের মুখ, বিড়বিড় করছেন, জাহাঁপনা আমি আপনার কথা রেখেছিলাম, কিন্তু জইন খান আমাকে ঠিক পথ বলে দেয়নি—
ঘোর পাহাড়ি-এলাকা অ্যাকট গঞ্জ, লোকালয় থেকে একটু দূরে, সিন্ধু নদের ধারে বিশাল তাঁবু ফেলেছেন সম্রাট আকবর। চারপাশে আরও অসংখ্য তাঁবু, তার ভিতরে ও বাইরে দু’হাজারি, তিন হাজারি মনসবদাররা সারাক্ষণ ইন্তেজার করছে কখন বাদশাহ তাদের উপর কী হুকুম করবেন।
রাজা বীরবলকে জংয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন না সম্রাট। বীরবলেরই খায়েস তিনি জং ফতে করতে যাবেন বাদশাহের হয়ে। বীরবল দানেশমন্দ আদমি, জং বিষয়ে তেমন রপ্ত নন। তাই সঙ্গে দিয়েছেন হাকিম অল ফাত-এর মতো লড়াইবাজকে।
রোজই একজন-দুজন করে ঘোড়সওয়ার জংয়ের গতিপ্রকৃতি পৌঁছে দেয় বাদশাহের কাছে। হঠাৎ একদিন কোনও সংবাদ না-আসায় খুবই ব্যস্ত হয়ে বীরবলের খবর নিতে পাঠালেন তাঁর একজন বিশ্বস্ত জানদারকে। জওয়ান জানদার ঘোড়া ছুটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সারাদিন কাটালেন খুব পেরেশানির মধ্যে, সন্ধেয় তাদের জন্য ইন্তেজার করছেন সিন্ধুর তীরে, পায়চারি করছেন আর গোঁফে হাত বোলাচ্ছেন, সে সময় ফিরে এল জানদার, সঙ্গে জইন খান কোকলতাশের বারিদ। বাদশাহ ব্যস্ত হয়ে বারিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হল, সারাদিন কোনও খবর পাঠায়নি কেন জইন খান?
দুই ঘোড়সওয়ারকে চুপ দেখে অধৈর্য হয়ে ধমক দিয়ে বললেন, কী হল, কথা বলছ না কেন?
যা খবর পেলেন, বাদশাহের মাথা ঘুরে গেল, টাল সামলে চিৎকার করে উঠে বললেন, সে কী!
দুজনকে চুপ দেখে আবার চিৎকার, জইন খান কোথায়?
জইন খান চাকদারায় আছে শুনে প্রায় উন্মাদের মতো বললেন, বেতত঩মিজটা কেন ওখানে বসে আছে! বীরবলজি গলদ পথে যাচ্ছে দেখেও কেন আহাম্মক তার হাত টেনে ধরেনি! তাকে আমি কয়েদ করব। এক্ষুনি ডাকো তাকে! আমি আন্দাজ করছি তাকে ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে।
বাদশাহ কাঁপছেন থরথর করে। তাঁর খুনশি মূর্তি দেখে তাঁর কাছে যেতে সাহসই পাচ্ছে না কেউ। কাঁপতে কাঁপতে বাদশাহ বসে পড়লেন বিশাল নদের তীরে ঘাসের উপর। সামনে নদীর ছলচ্ছল শব্দ। সূর্য তখন অস্ত গেছে, লাল হয়ে আছে পশ্চিম দিগন্ত। বীরবলকে কোতল করা হয়েছে জেনে মনে হচ্ছিল আকাশের পশ্চিমদিকে যেন খুন ছড়িয়ে আছে রাজা বীরবলের। সম্রাটকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল তাঁবুর ভিতর। সারা রাত নিদ এল না তাঁর চোখে। সারা রাত বিড়বিড় করে শুধু বললেন, কেন আমি আপনাকে ওরকম খতরনাক পাহাড়ি জায়গায় পাঠালাম। কেন আমি—! আপনি তো একজন দানেশমন্দ আদমি। আপনি কাসিদা লিখবেন, গান গাইবেন, আমাকে কিতাব পাঠ করে শোনাবেন, আপনার কি জং ফতে করতে যাওয়া মানায়!
রাতে তাঁকে খানা তৈয়ার করে দিলে তা পড়ে থাকল তাঁবুর একপাশে। পরদিন ভোরে উঠে বললেন, সিক্রি ফিরে যাব। তাঁবু ওঠাও।
সিক্রি ফিরে গিয়ে ঢুকে পড়লেন বাদশাহ মহলে। পানি পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখলেন না। সারাটা দিন শুয়ে রইলেন বেস্তারার উপর, আর বলতে লাগলেন, বীরবলজি, এ আমি কী গলদ করলাম! আমাকে বেসাহারা করে আপনি কোথায় চলে গেলেন? আমার দোস্ত যদি পাশে না-থাকে আমি কী করে—
সম্রাট আকবরের এত বছরের জীবনে কেল্লার কেউ কখনও তাঁকে এভাবে বিপর্যস্ত হতে দেখেনি। খবর পেয়ে যোধামহল থেকে ছুটতে ছুটতে এলেন যোধাবাঈ, বাদশাহের চোখে জল দেখে চমকে উঠলেন, হিন্দুস্তানের শাহেনশাহ কারও জন্য চোখের জল ফেলছেন এ-দৃশ্য বোধ হয় এই প্রথম।
টানা তিনদিন যখন না-নাস্তা, না-খানা কিছুই ছুঁয়ে দেখলেন না বাদশাহ, যোধাবাঈ বললেন, জাহাঁপনা, আপনি কি জানেন, বাদশাহ খাচ্ছেন না বলে কেল্লার কেউই তিনদিন কিছু মুখে দেয়নি!
বাদশাহ চমকে উঠে বললেন, তাই নাকি? ঠিক আছে, খানা লে আও।
তার পরদিন থেকে যে-বাদশাহকে তামাম ইনসানরা দেখল, তিনি অন্য মানুষ। দেওয়ান-ই আমে তাঁর যাওয়া বন্ধ। দেওয়ান কখনও এসে ইন্তেজার করেন বাদশামহলের সামনে দাঁড়িয়ে, বহুক্ষণ পরে বাদশাহ ডেকে পাঠালে নিঃশব্দে তাঁর হাতের পাঞ্জা দিয়ে সই দেন কোনও ফরমান বা ফতোয়ায়। কারও টুঁ শব্দটি আর উচ্চারণ করার জো নেই বাদশাহের সামনে। হঠাৎ একদিন খবর পেলেন বীরবলকে দেখা গেছে চাকদারার পাহাড়ি পথে। বাদশা লাফিয়ে উঠে মির আতিসকে বললেন, আমি জানতাম বীরবলজির মওত হতে পারে না। যাও, ফয়রান চারজন ঘোড়সওয়ার পাঠাও। নিয়ে আসুক বীরবলজিকে।
সাতদিন কেটে গেল, তখনও কোনও খবর নেই। খুনশি হয়ে বললেন, আরও চারজনকে পাঠাও। বেত঩তেমিজরা সেখানে গিয়ে ঘুমোচ্ছে।
দশদিন পরে সবাই ফিরে এল খালি হাতে। বাদশাহের মুখে অন্ধকার ঢেলে দিল কেউ। আবার ঝিমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ সাতদিন পরে আবার খবর এল বীরবলকে দেখা গেছে দিল্লির পথে। আবারও চলল খোঁজাখুঁজি। কিন্তু না, তিনি বীরবল নন।
বীরবলের মওতের দু’মাস পরে প্রবল হতাশ হয়ে সম্রাট হঠাৎ বললেন, দেওয়ানজি, আমি আর সিক্রিতে থাকব না।
দেওয়ান তাজ্জব হয়ে বললেন, কী করবেন, হুজুর?
—আমি লাহোরে থাকব। উঠাও রাজধানী।
এত সাধের কেল্লা ছেড়ে লাহোরে! কিন্তু বাদশাহ অনড়, কিছুতেই বীরবলহীন সিক্রিতে আর থাকবেন না। অতএব—
অল হিজরি ৯৭৭ আগ্রা থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে আকবর এসেছিলেন সিক্রিতে। অল হিজরি ৯৯৪ ফতেপুর সিক্রিতে সতেরো বছর কাটিয়ে সেখান থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে বাদশাহ চললেন লাহোরে, নতুন রাজধানীতে। দিলশঙ্করের পিঠে দু’চোখে জল নিয়ে বাদশাহ আকবর, তাঁর পিছনে বিশাল কাফেলা চলেছে লাহোরের নতুন জীবনে।
সম্রাট বিড়বিড় করে বলছেন, বীরবলজি, আপনার মওত হতে পারে না। আপনি জিন্দা থাকবেন হিন্দুস্তানের আম-আদমির জীবনে। আকবর যতদিন হিন্দুস্তানে বেঁচে থাকবে, আপনিও ততদিন—
(শেষ)
অলংকরণ : সুব্রত মাজী 
10th  February, 2019
রাতের প্যাসেঞ্জার
সৌমিত্র চৌধুরী

 মাসের এক তারিখেই বিএস মানে ‘ভট্টাচার্জি-সমাদ্দার কনসালটেন্সি’ নগদে মাইনে দিয়ে দেয়। কোম্পানির সমাদ্দারবাবু একটু রাগী মার্কা, তবে তপনবাবু অতি অমায়িক সজ্জন মানুষ। খেতে খাওয়াতে ভালোবাসেন। নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করেন আমাকে। আজ ওঁর বাড়িতে ছোট একটা অনুষ্ঠান। আমেরিকা থেকে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছেলে এসেছে বাড়িতে। আমিও সস্ত্রীক নিমন্ত্রিত।
বিশদ

10th  March, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

‘আমি বৃন্দাবনে বনে বনে ধেনু চরাবো’— সেই কৃষ্ণ বৃন্দাবনে এখন বন নেই। যা আছে তা কংক্রিটের বন। তবুও শ্রীরাধাগোবিন্দের সেই লীলাভূমি ধর্মপ্রাণ নরনারীর কাছে আজও অতি প্রিয় স্থান।
বিশদ

10th  March, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫— এই তেরো বছরের রাজত্বকালে ওয়ারেন হেস্টিংস শুধু আলিপুরের এই বিলাসগৃহ নয়, তিনি মোট তেরোটি বাড়িতে বসবাস করেছেন। তাঁর এই গৃহ-প্রীতি নিয়ে সেইসময় বিস্তর আলোচনাও হতো। ডব্লু কে ফার্মিংজারের ‘থ্যাকারস ক্যালকাটা ডিরেকটরি’-তে আছে, ‘হি হ্যাড এ লুক্রেটিভ ম্যানিয়া ফর হাউস বিল্ডিং অ্যান্ড সেলিং।’
বিশদ

10th  March, 2019
ফিরে দেখা
শুচিস্মিতা দেব

‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। বিশদ

24th  February, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ব্রিটিশ আমলে এখানকার শিংরৌলিতে ক্যান্টনমেন্ট হলে এর নাম হয় বেনারস ক্যান্টনমেন্ট। তবে বর্তমানে এটি স্বনামে মহিমান্বিত। ১৯৫৬ সালের ২৪ মে থেকে সরকারি আদেশ বলে বেনারস আবার বারাণসী হয়ে যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 বহু কাল আগে সপার্ষদ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব গঙ্গাবক্ষে নৌকাযোগে পুরী যাচ্ছিলেন। তাঁরা গঙ্গার ধারে ছোট্ট একটি চালা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন বলে ঠিক করেন। ওই চালাটি ছিল ভক্ত এক ব্রাহ্মণের। গৃহকর্তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে মহাপ্রভু বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গের কাঁথাটি ব্রাহ্মণের গায়ে জড়িয়ে দেন। সেই কাঁথা আজও রয়েছে বর্তমান মঠে।
বিশদ

24th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

এক মধ্যরাতে রাজপুতকন্যা ঘুম ভেঙে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাঁহাপনা, রূপমতী কে? আপনি নিদের ঘোরে ‘রূপমতী, রূপমতী’ বলে ডাকছিলেন।পাঁচ সাল হয়ে গেল বাদশা আকবরের রাজত্বকাল, হিন্দুস্থানের হরেক ভাষার সঙ্গে তাঁর পহচানা ঘটছে রোজ।
বিশদ

17th  February, 2019
ফেসবুকের ফাঁস
রমলা মুখোপাধ্যায়

 —‘জানি রে ল্যাপটপ ছাড়া জীবন একেবারে অচল, কিন্তু কী করবি বল? এখন তো বাবা-মায়ের থেকে দূরে থেকেও জীবন চালানো সম্ভব, কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ছাড়া তো ভাবাই যায় না বল!’
—‘ল্যাপটপের প্রসেসরটাই তো খারাপ হয়ে গেছে! সেটার তো অনেক দাম। মাসের মধ্যিখানে হাতে তেমন টাকাও নেই। আর এদিকে আমার তো ভালো মোবাইল সেটও নেই। নেট, ফেসবুক ছাড়া কি একটা দিনও কাটানো যায়?’ বিশদ

17th  February, 2019
বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

03rd  February, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস 

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

03rd  February, 2019
মাঠরাখা
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

আলোটা ভাসতে ভাসতে আঁকড়গোড়ে, ভাড়ালগোড়ে, জিওল নালার মাঠ ঘুরে চক্কর দিয়ে মাঝের-দাঁড়ার মাঠে এসে মিলিয়ে গেল। মেঘগুলোকে নীচে ফেলে চাঁদটা অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিল। 
বিশদ

20th  January, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৪

সন্ধের নিরিবিলি সময়ে তসবিরখানা থেকে বেরিয়ে দাসোয়ান কোথায় চলেছেন কীরকম আলুথালু মুখে দেখে ধন্দে পড়লেন বীরবর।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেতাব দেখাচ্ছে তসবিওয়ালাকে। তসবিরখানায় বসে থাকেন চুপচাপ, তুলিতে রং মাখিয়েও তা খাগের কাগজে মাখাতে ভুলে যাচ্ছেন, কেউ গায়ে হাত দিয়ে নাড়া দিলে থতমত খেয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কাগজের উপর। 
বিশদ

20th  January, 2019
কাকের বাসায় ভালোবাসা 
অমিত ভট্টাচার্য

যদিও গল্পটা পুষ্পদির মুখ থেকে পুরোপুরি শোনা হয়নি, তবে কিছুটা চাক্ষুষ দেখার সুযোগ হয়েছিল।
একদিন হঠাৎ সে হাজির হয়েছিল আমার বাড়ি। আমি তখন বাইরে।
স্ত্রীকে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা বউদি, দাদা নাকি গপ্প নেকে?’
 
বিশদ

13th  January, 2019
একনজরে
  সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা আজও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি। তিন বছর আগে তাঁরা খাদ্য দপ্তরে এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই কার্ড না পাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ...

 লন্ডন, ১৪ মার্চ (পিটিআই): বুধবার রাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়ে সরকারকে দ্বিতীয়বার ধাক্কা দিয়েছেন হাউস অব কমন্সের সদস্যরা। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ভেঙে পড়তে নারাজ। আগামী সপ্তাহের কোনও একটি দিনে শেষবারের মতো চেষ্টা করে দেখতে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের জুট মিলগুলির শ্রমিকদের নতুন বেতন চুক্তি বুধবার বেশি রাতে শ্রম দপ্তরে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সিটু সহ সাতটি শ্রমিক সংগঠন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার জুট মিলগুলিতে প্রতীকী ধর্মঘট থেকে তারা সরে আসছে না। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামী লোকসভা ভোটে হাওড়া জেলার ১৩ হাজার ৫৮২ জন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১৪১৯ জন দৃষ্টিহীন, ২৩০৬ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর
১৮৯২ – লিভারপুল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ - ভারতীয় সাক্ষ্য আইন প্রবর্তন।
১৯০৪ - স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৩৪: রাজনীতিক কাঁসিরামের জন্ম
১৯৩৭ - পৃথিবীর প্রথম ব্লাডব্যাংক চালু হয় শিকাগোতে
১৯৩৯ - বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক জলধর সেনের মৃত্যু
১৯৭৬: অভিনেতা অভয় দেওলের জন্ম
১৯৭৭: অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী হানি সিংয়ের জন্ম
১৯৮৫ – প্রথম ইন্টারনেট ডোমেইন নাম নিবন্ধিত হয়। (symbolics.com)



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৭০ টাকা ৭০.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৬৮ টাকা ৯৩.৯৭ টাকা
ইউরো ৭৭.২৯ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৫২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৪৯/৪৭ রাত্রি ১/৪৫। আর্দ্রা ৫৪/৪৫ রাত্রি ৩/৪৪। সূ উ ৫/৪৯/৫৫, অ ৫/৪১/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১২ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে ৪/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী রাত্রি ৯/০/৫০। আর্দ্রানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩২/৪৫, সূ উ ৫/৫০/২৮, অ ৫/৪০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫/১১ মধ্যে ও ৮/১২/৩২ থেকে ১০/৩৪/৩৬ মধ্যে ও ১২/৫৬/৫১ থেকে ২/৩১/২৪ মধ্যে ও ৪/৬/৬ থেকে ৫/৪০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৮/৬ থেকে ৮/৫৫/২৩ মধ্যে ও ৩/২৪/৩২ থেকে ৪/১৩/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৩/৩ থেকে ১০/১৬/৫১ মধ্যে, কালবেলা ১০/১৬/৫১ থেকে ১১/৪৫/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩/১৪ থেকে ১০/১৪/২৬ মধ্যে।
 ৭ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:  উচ্চতর বিদ্যায় শুভ ফল। বৃষ: পাওনা অর্থ আদায় হবে। মিথুন: উচ্চশিক্ষায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর১৮৯২ – ...বিশদ

07:03:20 PM

দাসপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস 
টোটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল কনেযাত্রীবোঝাই বাস। ...বিশদ

07:55:31 PM

২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা 
১৭টি আসন ছেড়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ...বিশদ

06:51:12 PM

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা 
আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ...বিশদ

05:01:43 PM

২৬৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:02:07 PM