Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

হারানো বইয়ের খোঁজে

রূপক বর্ধন রায়: সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে। … কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলাম যে এগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা আছে কেন? … বললেন এগুলো ফেলে দেওয়া হবে, কারণ এগুলো নিয়মিত বেরোয় না আর এগুলো বাঁধাই করা অসুবিধে। আমার খুব অপমান বোধ হল। নিজের কাগজের প্রতি অপমান, গোটা লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি অপমান। ” আমরা যারা সন্দীপদাকে কলেজ জীবন থেকে ওই লাইব্রেরির অনুষঙ্গেই একটু আধটু চিনতাম, তার মানবিক দোষ-গুণের সঙ্গে যাদের অল্প হলেও আত্মিক সংযোগ ছিল তাদেরকে ওনার এই সংরক্ষণ-প্রবণতাই প্রভাবিত করতো সব থেকে বেশি। অনেকের মত, ব্যক্তিগত ভাবে, আমি এই ধারাটা বাড়ি থেকে, মূলত বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি বলে ওকে বুঝতে পারতাম। আমার জীবনের একাধিক বন্ধু, এমনকি অনেক বয়সের বন্ধুও আমি এই আর্কাইভিং-এর সুত্রেই পেয়েছি। সন্দীপদা সেই আড্ডায় একাধারে গর্ব এবং দুঃখ করেই বলেছিলেন, “আজকে, একটাও বাণিজ্যিক পত্রিকার কোনও লাইব্রেরি নেই, কিন্তু লিটল ম্যাগাজিনের আছে, মিনি হলেও আছে।” 
বিগত বারো বছরের প্রবাস যাপনে, নিজের গবেষণা এবং কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পেয়েছি এমনই নানান ‘আর্কাইভ’-এর গল্প সংগ্রহ করার চেষ্টায় থেকেছি। তেমন কাহিনী কখনো মধ্যযুগীয় কোনো শহরের  লোকসাহিত্যের ঝুলি হয়ে ধরা দিয়েছে, আবার কখনও দেড়শো বছর আগের এক হারিয়ে যাওয়া চিত্রকারের নিজের হাতে সই করা বইয়ের প্রথম কপির আকারে। আর, গল্পগুলো আমার পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে-নিতে দেখেছি শেষমেশ তারা শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং সর্বোপরি মানবিক সৃজনশীতালর ঐতিহাসিক ধারবিবরণীই হয়ে উঠতে চেয়েছে, হতে চেয়েছে হাজারো বিভিন্নতার মাঝেই এক অদৃশ্য সমপ্রবাহের বিরাসত। এও তেমনই এক গল্প। 
২০১৯ সালে জার্মানি ছেড়ে দক্ষিণ ফ্রান্সের নিস শহরে বাসা বাঁধার পর থেকে একটা ঠিকঠাক ইংরেজি বইয়ের লাইব্রেরির জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। ফরাসি তেমন জানি না, কাজেই মূগ্ধতার মাঝেও বিরাট বিরাট গ্রন্থাগারগুলো আমায় আমার অপারগতার আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিলো। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। বছর খানেক চলার পর একটা ছোট্টো ইংরেজি গ্রন্থাগারের খবর পাই। নাম, ‘দা আমেরিকান-ইংলিশ লাইব্রেরি’। খুঁজতে গিয়েই হোচট খেলাম। এক ব্রিটিশ গীর্জার ঠিকানা দেওয়া, কিন্তু সে জায়গায় কোথাও বই পত্রের কনো চিহ্নও নেই! কী করা যায় ভাবতে ভাবতে গুগলে পাওয়া টেলিফোন নম্বরে ফোন করলাম। বার তিনেক বেজে যাওয়ার পর এক ভদ্রমহিলা তুললেন। আমার সমস্যার কথাটা বলায় ভদ্রমহিলা খোঁজার রাস্তাটা বাতলে দিলেন। লাইব্রেরি চার্চে নয় চার্চের পিছন দিকে, যেখানে আগে গীর্জার প্রশাসনিক অফিস ছিল, তার বেসমেন্তে অবস্থিত। প্রায় হাতরে হাতরে, বাগান, পিছনের লোহার  গেট, কলিং বেলের শর্ট সার্কিট সামলে, পুরনো সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে বিস্ময়ে খেয়াল করলাম এ এক ঐতিহাসসিক পিঠস্থান, আমার মত সংরক্ষণ পিপাসু বইপোকাদের ঠেক। আলাপ হল টেলিফনে কথা হওয়া ভদ্রমহিলার সঙ্গেও; নাম জুডিথ কিরালি। পেশায় ইতিহাসবিদ, নেশায় এই ঐতিহাসিক লাইব্রেরির ওয়ার্কিং কমিটির মধ্যমণি। কথায় কথায় লাইব্রেরির বিবর্তনের প্রসঙ্গ আসে। জুডিথ্ বলে চলেন, আমি মুগ্ধ শ্রোতার মত শুনি।
নিস শহরের এই আমেরিকান-ইংলিশ লাইব্রের দক্ষিণ ইউরোপের সবথেকে বড় ইংরেজি গ্রন্থাগার। ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তা এই নব্য-গথিক হোলি ট্রিনিটি ইংলিশ গীর্জার ক্যাম্পাসে অবস্থিত। চার্চটি ১৮৬০-১৮৬২ সালের মধ্যে ইংরেজ স্থপতি থমাস স্মিথের বদান্যতায় তৈরি হয়। পরবর্তীতে অ্যারন মেসায়া চার্চ হল এবং দক্ষিণে একটি লাইব্রেরি যোগ করেন। ১৯৫৯ সালে সেই লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয় এবং সেটি বর্তমানের ছোট্ট বাড়িটার বেসমেন্টে উঠে আসে। গ্রন্থাগার স্থাপনা এবং তার পরবর্তী ১০০ বছরের ইতিহাসও কম রোমহর্ষক নয়।  ১৮০০ সালের প্রথম দিকে,  ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ায় আকৃষ্ট হয়ে ইংরেজ অভিজাতরা নিস-এ আসতে শুরু করেন। এরাই  শহরে ইংরেজি ভাষাভাষী নানান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, একটি চার্চ এবং এই ছোট্ট লাইব্রেরি টি চালু করেন। প্রথম প্রথম, মানে ১৮৫২ সালে নিজেদের মধ্যে ধর্মীয় বই বিনিময়ের মাধ্যমে গ্রন্থাগারের কাজ শুরু হয়।  বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাণি ভিক্টোরিয়ার নিয়মিত যাতায়াতের ফলে নিস শহর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে; তার সঙ্গে গ্রন্থাগারেরও। রাণী নিজে সেখানে কখনও গিয়েছিলেন কিনা তা যদিও জানা যায়নি।
কাট টু; ২০১৯ সাল…
নিস ইংলিশ গ্রন্থাগারের অফিসে লিঅঁ (Lyon) পাবলিক লাইব্রেরি থেকে একটি ফোন আসে। জানানো হয় যে তারা কিছু পুরানো বইয়ের বাক্স পেয়েছে; সেগুলোর উপরে নিস লাইব্রেরির স্টিকার লাগানো। অবাক করার মতই বিষয়! ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিঅঁর গ্রন্থাগারে অন্য লাইব্রেরী বাক্স ভর্তী বই থাকলে কতৃপক্ষের তো জানার কথা! তাহলে ঘটেছিল কী?
বস্তুত,  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪৩ সালে, নিস ইংলিশ লাইব্রেরি এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এক জার্মান অফিসার সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করেন। তাতে রক্ষে নেই, লাইব্রেরির বহু মূল্যবান বই তার ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্যও বাজেয়াপ্তও হতে থাকে। তাছাড়া, স্থানীয় ইংরেজি ভাষাভাষী ফ্রিম্যাসন এবং অন্যান্য গোপন ফ্যাসি বিরোধী সংগঠনগুলোও সে  লাইব্রেরিতেই তাদের নিয়মিত বৈঠক। কাজেই, পরিস্থিতি ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় লাইব্রেরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। এমত পরিস্থিতে, লাইব্রেরির বইগুলোকে রক্ষা করার স্বার্থে, প্রত্যেক সদস্য তাদের ব্যক্তিগত দায়িত্বে কিছু পরিমাণে বই নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সুইস কনসুলও বিপুল পরিমাণ বই নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে সাহায্য করেন। ১৯৪৪ সালে আমেরিকান ৬ষ্ঠ নৌবহরের আগমন হেতু পর এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর লাইব্রেরিটি আবারও সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপদ আশ্রয় থেকে বইগুলোও ধিরে ধিরে ফিরে আসতে শুরু করে। এক পুরনো, তৎকালীন ছোট্ট সদস্যা, মিসেস হেলেন ক্যাম্পবেল নাকি জানিয়েছেন, খুব ভুল না হলে ষাটের দশকের প্রথম দিকেও তিনি লিঅঁ থেকে পার্সেল পেয়েছিলেন। এবং সম্প্রতি লিওঁ পাবলিক লাইব্রেরিতে যে বইগুলো পাওয়া গিয়েছিল, তা সুইস কনসুল দ্বারা রক্ষিত বইগুলোরই অংশ। কথাগুলো বলতে বলতে জুডিথের চোখ ছল ছল করে ওঠে। নির্বাক লড়াই, মৌন প্রতিবাদের জোর এমনই! হাজার অত্যাচারের সামনে একটা ছোট্ট শহরের অস্ত্রহীন মানুষের তাদের সংস্কৃতির প্রতি কী  স্থির মমত্ববোধ!
আমাদের প্রথম দিনের আড্ডা শেষ হয়। জুডিথ জানান দিনের কাজ শেষ, এবার বন্ধ করার পালা। ৪০ ইউরোর বার্ষিক গ্রাহক হয়ে, বি্ভোর আমি, সেদিনের মত বেরিয়ে আসি। এরপর কভিড। বছর দেড়েকের সার্বিক স্তব্ধতা। ২০২১ সালের অগাস্ত মাসে ফিরে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই পালটে গেছে। লাইব্রে্রি আজকাল আর রোজ খলে না। সপ্তাহে দুদিন দুঘন্টা, ব্যাস! তবে ভালো দিক, আরো কিছু মানুষ পুরনো বইগুলোর স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যোগ দিয়েছেন। তাতিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়। স্বাধীন তথচিত্র নির্মাতা তাতিয়া কভিডের পর-পরই লাইব্রেরির চিন্তায় ছুটে এসেছেন;  নিয়ে একটি ভিডিও সিরিজ তৈরি করছেন তিনি। এই নিরলস উৎসাহের কারণ জানতে চাওয়ায় তাতিয়া বলেন, “জায়গাটা আমার খুব পছন্দের। এ আরেকটি জগৎ, টাইম-ট্রাভেলের মত। এখানে কোনোরকম নিয়ম-নাইতির বাধ্যবাধকতা নেই। এখানকার আবহাওয়ার স্বাচ্ছন্দ্য আমাকে মুগ্ধ করে। আমাদের এই ছোট্ট লাইব্রেরি আজকের ইঁদুর  দৌড়ের বাইরে এ শহরের মানবিক মুখ।” তাতিয়া এবং লাইব্রেরির অন্যান্য সদস্যরা প্রায়ই তাদের আর্থিক সংগ্রামের কথা বলেন। ব্রেক্সিট এবং কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে তাদের সমস্যার অন্ত নেই। টাকা আসেনা আগের মত। দিনগুলো তবুও কেটে যায়। কিছু প্রাণবন্ত বইপ্রেমীদের রোজনামচার অংশ হিসাবে এই “ছোট্ট” সাংস্কৃতিক ও মানবিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রটি নিজের ছন্দে টিকে থাকে। সঙ্গীত সুরকার এবং কমিটির সচিব ড্রেক ম্যাব্রি যেমন বলেন, “হ্যা, আমাদের একটা লক্ষ্য অবশ্যই আছে, কিন্তু সেখানে পৌছনোর কোনো তাড়া আমাদের নেই।”
এই আমার বিগত ৪ বছরের বৌদ্ধিক আশ্রয়। ২০০, ৩০০, ৪০০ বছরের পুরনো বইগুলোর গন্ধে মজে থাকতে থাকতে, অক্ষরবৃত্তের ইতিহাসে ডুবে যেতে যেতে জুডিথ, তাতিয়াদের অবাক হয়ে দেখি, তাদের সংরক্ষণ প্রবণতা, ইতিহাসের প্রতি তাদের আত্মতসর্গ আমায় আরো ভাবিয়ে তোলে, নিজেকে প্রশ্ন করায়। আমি পারিনা, আমরা পারিনা? তখন সন্দীপদার কথা মনে পড়ে, কলেজ জীবন, ইউনিভার্সটি জীবনের দিনগুলোয়, লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির দুপুরগুলোয় ফিরে যাই মনে মনে। পৃথিবীর দুই প্রান্তের, দুই ভিন্ন সংস্কৃতির, দুটো সম্পূর্ন আলাদা যাপনের অভ্যন্তরে ফল্গু ধারার মত বয়ে চলা মানুষের বোদ্ধিক সমপ্রবাহ এই বিচ্ছিন্নতার যুগেও আশার প্রদীপটুকু জ্বালিয়ে রাখে। এই অনন্ত জ্ঞান প্রবাহের মাঝে, আমি এক বিনম্র আশ্রয় খুঁজে পাই। বুঝি, এমনই আরও অনেক গল্প, সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য, এবং মানবিক সংহতির নিদর্শন আমাদের দৈনন্দিন টানাপোড়েনের আনাচে কানাচেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমার কাজ তাদের খোঁজে লেগে থাকা; ইতিহাস চেতনা নিজেই এক রাজনৈতিক জীবনধারা!
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নামে। বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে এই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত (আইসিসি)। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী নানান কর্মকাণ্ডে জড়িত ...

রাইটস ও রেল বিকাশ নিগমের দেওয়া উপহার ফেরালেন বিহারের আরার সাংসদ সুদামা প্রসাদ। সিপিআই (এমএল)-এর এই সাংসদ লোকসভায় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। উপহার ফেরানোর কথা তিনি রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ...

কলকাতায় জঙ্গি হামলা! তাও আবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভিতরে! কোনও এক ভিভিআইপিকে বন্দি করে নিয়েছে জঙ্গিরা। চারদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা জওয়ানরা। নামানো হয় এনএসজি’র কমান্ডো বাহিনী। ...

দু’দিন কার্যত নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি। আজ, শুক্রবার থেকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ হবে না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার তারা আরও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- রবার্ট ক্লাইভের মৃত্যু
১৮৫৬- বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে
১৮৭৭- গ্রামোফোন আবিস্কার করেন টমাস আলফা এডিসন
১৯৩৯- রাজনীতিক মুলায়ম সিং যাদবের জন্ম
১৯৪৮- বলিউডের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের জন্ম
১৯৬৩- টেক্সাসে খুন হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, হামলায় গুরুতর আহত হন টেস্কাসের গভর্নর জন কোনালি’ও, সন্দেহভাজন লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে ধরা হল দু’দিন পর পুলিসি হেপাজতে তাকে গুলি করে হত্যা করে জ্যাক রুবি
১৯৬৭- টেনিস তারকা বরিস বেকারের জন্ম
১৯৭০- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মারভান আত্তাপাত্তুর জন্ম
১৯৮৬- ট্রেভর বারবিককে হারিয়ে বক্সিংয়ের ইতিহাসে তরুণতম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হলেন মাইক টাইসন
১৯৮৬- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবন্ধী অ্যাথলিট অস্কার পিস্টোরিয়াসের জন্ম
১৯৮৭- সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯৯৫- প্রকাশিত হল কম্পিউটার ইমেজ দিয়ে তৈরি প্রথম ফিচারধর্মী ছবি ‘টয় স্টোরি’
২০০৩- বাগদাদে ডি এইচ এল এক্সপ্রেস নামক পণ্যবাহী বিমানে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত হানে জঙ্গিরা, ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলায় বিমানটির বাঁদিকে পাখা ক্ষতিগ্রস্তগ্রস্ত হয়, জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় সেটি
২০১৬ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৯ টাকা ৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৬ টাকা ১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী ৩২/৫৫ রাত্রি ৬/৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ৯/২০। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে ও ৭/৩৯ গতে ৯/৪৬ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৫ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৩৪ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১৯ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
১৮ বছর পর সিক্যুয়েল, আসছে ‘ভাগম ভাগ ২’, আগামী বছর থেকে শ্যুটিং শুরু

12:24:25 AM

দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ড, চাঞ্চল্য কালিয়াচকে
দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কালিয়াচকে। শুক্রবার ...বিশদ

12:04:08 AM

ব্রাজিল, নাইজেরিয়া ও গুয়ানা সফর শেষ করে নয়াদিল্লি ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:05:49 PM

গুয়াহাটিতে ব্যাপক বৃষ্টি, জলমগ্ন একাধিক এলাকা

09:32:00 PM

ভোপালের সমাতভা ভবনে জেলাশাসক-কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

09:29:00 PM

চেন্নাইয়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন

09:25:00 PM