Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ক্ষণ-জন্মা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমৃদ্ধ দত্ত: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সংসদ মার্গ, নয়াদিল্লি-১১০০১। বিকেল সাড়ে ৫টা। ৮ নভেম্বর, ২০১৬। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের জরুরি মিটিং। ৫৬১ তম। ‌ভারত সরকারের ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি শক্তিকান্ত দাস জানতে চাইছেন, প্রস্তাবটি সম্পর্কে বোর্ডের মতামত কী? যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেটির ভালো ও মন্দ কী কী হতে পারে? 
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেল সকলের দিকে তাকালেন। আলোচনা শুরু হল। প্রায় এক ঘণ্টা সকলে মতামত দিলেন। কিন্তু কী সেই প্রস্তাব? কীই বা সিদ্ধান্ত হল সাম্প্রতিককালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠকে? প্রস্তাবটি হল—ভারত সরকার চাইছে ১,০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হোক। আর সিদ্ধান্ত... সেটা সকলেরই জানা! 
মিটিং শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ড তাদের মিনিটস বুকে লিপিবদ্ধ করল সেই সিদ্ধান্ত, পরামর্শ এবং মতামত। কী ছিল সেখানে? বলা হয়েছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেন্ট্রাল বোর্ড দীর্ঘ আলোচনার পর মনে করছে, যে উদ্দেশ্যে এই নোটবাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নিতে চাইছে, তা সফল হবে না। কালো টাকা আর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে প্রভাব পড়বে সামান্যই। কেন? রিপোর্টে লেখা হল, এর কারণ সিংহভাগ কালো টাকা এখন ক্যাশে রাখাই হয় না। সোনা এবং রিয়াল এস্টেটেই রয়েছে সবথেকে বেশি ব্ল্যাক মানি। তাই নোট বাতিল করে লাভ নেই তেমন।  শুধু তা-ই নয়, সেই রিপোর্টে সরকাকে সতর্কও করা হল—একবার এই দুই প্রধান নোট বাতিল করে দিলে, জিডিপির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। কারণ, পর্যটন, মেডিক্যাল, রিয়াল এস্টেট, পরিষেবা এবং কনস্ট্রাকশন এসব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  কারণ এই সেক্টরগুলি মূলত চালিত হয় নগদে।
 পৌনে সাতটা। মিটিং শেষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই মনোভাব এবং মতামত তৎক্ষণাৎ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে জানিয়ে দিলেন ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি শক্তিকান্ত দাস। 
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গ। নয়াদিল্লি। রাত ৮টা।
প্রধানমন্ত্রী প্রি-রেকর্ডেড ভাষণে দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন, আজ রাত থেকেই এক হাজার এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গোটা দেশ চমকে গেল। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল কোটি কোটি ভারতবাসীর। কিন্তু সেটার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ড সদস্যরা বুঝলেন তাঁদের ওই সব মিটিং, মতামত, রিপোর্টের কোনও মূল্য নেই। সরকার এই সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে আগেই নিয়েছে। সুতরাং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতামত চাওয়া নিছক এক প্রতীকী ভদ্রতা ছিল। গভর্নর উর্জিত প্যাটেল অবশ্য আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে, এরকম কিছু ঘটতে চলেছে। কারণ, বিগত কিছু মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় দেশের কয়েকটি মিন্ট অর্থাৎ টাঁকশালে ২,০০০ টাকার নতুন নোট ছাপা হচ্ছে। তাঁকে বলা হল, ওই টাকা আরও বেশি করে রিলিজ করো। যাতে এই নোট বাতিলের হাহাকার বেশি ছড়াতে না পারে। পরদিন উর্জিত প্যাটেল ঘোষণা করলেন, ১০ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্কে পাওয়া যাবে ২,০০০ টাকার নোট।
কিন্তু কত টাকা পাওয়া যাবে সেদিন ওই বড় নোটে? মাত্র ৯৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। আর কত মূল্যের নোট বাতিল হয়ে গেল? প্রায় ১৭ লক্ষ কোটি টাকা! এই বিরাট শূন্যতা পূর্ণ করা যাবে কীভাবে? যাবে না! যায়ওনি। তাই গোটা ভারত লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ল। হাহাকার করল। হাজার হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে গেল। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হল। প্রান্তে প্রান্তে আত্মহত্যার ঘটনা হল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রতিটি টাঁকশালে নির্দেশ দেওয়া হল তাড়াতাড়ি আরও বেশি বেশি করে ২,০০০ টাকার নোট ছাপাও। সঙ্গে নতুন ৫০০ টাকা। কিন্তু তা কীভাবে বিলি হবে? কেন এটিএম থেকে! কোটি কোটি মানুষ লাইন দিয়েছে তার সামনে। টাকা ছাপা হচ্ছে। কিন্তু লাইন কমছে না। কেন? 
কারণ, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ২ লক্ষ ২০ হাজার এটিএম মেশিনের মধ্যে চারটি কাস্কেট ছিল। দুটো ৫০০ টাকার, একটি ১,০০০ ও একটি ১০০ টাকার নোটের। এর মধ্যে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল। ২,০০০-এর নোট ছাপা তো হচ্ছে, কিন্তু এটিএমে থাকবে কোথায়? ওই আকারের কাস্কেটই তো নেই এটিএমে! অতএব মানুষ লাইন দিয়ে যখন এটিএমের সামনে পৌঁছচ্ছে, তখন প্রথম তারা পাচ্ছে শুধুই ১০০ টাকার নোট। অল্পসময়ের মধ্যে যা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হাহাকার কমল না।
 তাহলে কী করতে হবে? এই ২ লক্ষাধিক এটিএম রিক্যালিব্রেট করতে হবে। অর্থাৎ নতুন একটি কাস্কেট তৈরি করে বসাতে হবে, যেখানে ২,০০০ টাকার নোট রাখা যায়। সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘ! কেন? কারণ, ব্যাঙ্ক, এটিএম নির্মাণকারী সংস্থা, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং সুইচ অপারেটরদের সমন্বয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হয়, যা দীর্ঘ ও জটিল এক পদ্ধতি। প্রত্যেকটি এটিএম মেশিনকে পরিদর্শন করতে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের। একে বাইরে লম্বা লাইন আর যখন তখন এটিএম মেশিন বন্ধ করে এসব কাজ করা সম্ভব নাকি? মাঝরাতে কতটাই বা করা সম্ভব? অতএব এই নতুন নোটের জন্ম দিয়ে সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। 
অবশেষে যখন ২,০০০ টাকার নোট বেশি বেশি করে বাজারে এল তখন কী কী হল? ১) খারাপ প্রিন্টিং। মহাত্মা গান্ধীর মুখের উপর তাঁরই সেই ছবির ছায়া ছাপা হয়েছে। ২) বর্ডারলাইন  ঠিক ছিল না ৩) রং এবং শেডস বিভিন্ন নোটে পৃথক। এসবের সাইড এফেক্ট? গ্রামাঞ্চলে সর্বাগ্রে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হল হাজার হাজার হাই রেজোলিউশন ফোটোকপি করা নোট পেয়ে। অপরাধীরা তা চালিয়ে দিয়েছে। এবং সর্বোপরি, ক্রমে দেখা গেল শহর অথবা গ্রাম, সিংহভাগ মানুষই নিতে চায় না এই বড় নোট। ২০১৮ সালে বাজারে মোট চালু নোটের ৩৭ শতাংশ ছিল ২,০০০ টাকা। সেই সংখ্যা কমতে কমতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে হয়েছে ৯ শতাংশ। 
২০২০ সাল থেকে এই নোট ছাপাই বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন! কারণ, অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় তারা জানতে পেরেছিল, এই টাকাকে মানুষ বিশ্বাস করছে না। আর সিংহভাগ মানুষ ব্যবহারও করে না। নেয়ও না। দেয়ও না। তাই সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবশেষে ঘোষণা করল, ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে কিংবা বদলে নিতে পারবে দেশবাসী। কিন্তু নোট বাতিল হচ্ছে না।  নোট বৈধ। তাহলে ফেরৎ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে কেন? উত্তর নেই। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই টাকা জমা নেওয়া বা বদল  চলবে। তারপর? এই নোট অবৈধ হয়ে যাবে? উত্তর নেই। তাই বৈধ হওয়া সত্ত্বেও এই নোট আর কেউ এখন লেনদেন করছে না। 
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারায় মানুষ। পাহাড়ি আবহাওয়ার প্রতি বিশ্বাস নাও থাকতে পারে। রাজনীতিকে বিশ্বাস না করাও স্বাভাবিক। নিজের ভাগ্যে বিশ্বাস হারানোর কথা শোনা যায়। কিন্তু ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর এবং তৎপরর্তী ঘটনাপরম্পরায় স্বাধীনতার পর এক আশ্চর্য মনোভাবের জন্ম দিয়েছে ভারতবাসীর মনে। এই প্রথম সাধারণ মানুষ বৈধ টাকার নোটকেই আর বিশ্বাস করছে না! 


ভারতের সিংহভাগ কালো টাকা ছড়িয়ে আছে সোনায়, বেনামি সম্পদে, বিদেশি মুদ্রা এবং জমি-বাড়ির লগ্নিতে। ঠাকুমার পুরনো কাঠের সিন্দুকে নগদ টাকা কোনও ব্যবসায়ী রেখে দেয় না! কে বলেছেন একথা? ২০১২ সালে ভারত সরকারের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস দপ্তরের এক রিপোর্টে একথা লিখেছিলেন স্বয়ং চেয়ারম্যান। তাতে আরও লেখা হয়েছিল, কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে ১৯৪৬ সালে এবং ১৯৭৮ সালে দু’বার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই দু’টি সিদ্ধান্তই চরম ব্যর্থ। পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে যে, নোট বাতিল করে জনসাধারণের সঙ্কটই শুধু বেড়ে যায়। কালো টাকার কিছু‌ই যায় আসে না। 
২০১৪ সালের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বোর্ড পরামর্শ তথা প্রস্তাব দিয়েছিল, নতুন ৫,০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট ছাপার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। মূল্যবৃদ্ধি এবং কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এই দুই ক্ষেত্রেই বড় অঙ্কের নোট কার্যকর হয়। মোদি সরকার সেই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে বলে, যত ছোট নোট থাকবে, ততই কমবে কালো টাকা। অথচ ২০১৬ সালের ১৮ মে হঠাৎই ভারত সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানায়, ২,০০০ টাকার নোট চালু করার কথা ভাবা যেতে পারে। এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হোক। কেন? কারণ, তখন থেকেই সরকার স্থির করেছিল নোট বাতিল করা হবে! 
ঠিক তিন মাস আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনের কাছে অর্থমন্ত্রক জানতে চেয়েছিল, ‘নোট বাতিল করা হলে, সেই সিদ্ধান্তটি কেমন হবে বলে আপনি মনে করেন? রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় দীর্ঘকালীন  মেয়াদে কোনও লাভ হলেও হতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত প্রস্তুতি ছাড়া এরকম সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতির উপর যে প্রচণ্ড ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে সেটা সামাল দেওয়া দুঃসাধ্য! অনেক বেশি মূল্য  চোকাতে হবে! তাই নোটবাতিল না করে অন্য কোনও বিকল্প নিয়ে ভাবা উচিত!’ ঠিক ছ’মাস পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন রঘুরাম। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে একই পথে হাঁটেন পরবর্তী গভর্নর উর্জিত প্যাটেলও। একের পর এক রিপোর্ট, একের পর এক গভর্নরের মতান্তরকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন? 
২০১৩ সালের জুন মাসে পুনের ‘অর্থক্রান্তি’ নামক একটি সংস্থার প্রধান অনিল উকিল জানতে পারলেন, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছে নরেন্দ্র মোদির। মহারাষ্ট্রের লাতুরের এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তখন অন্য কাজ ছেড়ে ভারতের অর্থনীতির সংস্কার নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন। তিনি কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে আমেদাবাদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। যদি একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়। ১০ মিনিট চেয়েছিলেন। সোর্স মারফৎ। কিন্তু তিনি ভবিষ্যৎ ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যে প্রেজেন্টেশন দিলেন সেটা মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেড় ঘন্টা ধরে দেখলেন। কিন্তু কোনও মন্তব্য করেননি। পরের বছর যখন সত্যিই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন মোদি, অনিল উকিলের ডাক পড়ল বেশ কয়েকবার। নানাবিধ বিষয়ে তাঁকে কথা বলতে বলা হয়েছিল অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে। ২০১৩ সালে অনিল উকিল ৯০ মিনিট ধরে যে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন মোদির সামনে, সেটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ভারতে চালু থাকা নোট বাতিল করে দিতে হবে! আবার নতুন করে নোট চালু করতে হবে। এটাই হবে অর্থসংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ! ২০১৪ সালে তাঁকে ডেকে পাঠানোর পর সেই একই প্রস্তাব ও প্রেজেন্টেশন কয়েক বছর ধরে তিনি দিয়েছিলেন মোদি সরকারকে। কার সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে বলা হয়েছিল? হাসমুখ আদিহার সঙ্গে। ভারত সরকারের ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সেক্রেটারি! 
ঘটনাচক্রে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ঠিক সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল। অনিল উকিলের দ্বিতীয় প্রস্তাব কী ছিল? ভারতের ট্যাক্স প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বদলে দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়াও কি চালু হয়েছে? ইনকাম ট্যাক্স প্রথার বিপুল বদল কি তারই ইঙ্গিত নয়?
04th  June, 2023
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM