Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বিদ্রোহী
বিশ্বজিৎ রায়

তখন বিশ্বযুদ্ধের দামামা থেমেছে। ফলাফলের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষভাবে টের পেতে শুরু করেছে যুদ্ধে-নামা দেশগুলি। ইংরেজ উপনিবেশ ভারতবর্ষের সঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যোগ পরোক্ষ। তবে অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ এদেশের গায়েও লেগেছে। ভারতবাসীর প্রতি ইংরেজদের অত্যাচার কত কদাকার ও পাশবিক হতে পারে, তা প্রমাণ করেছে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ড। সে-সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে ভারতীয় রাজনীতিতে মহাত্মা গান্ধী নতুন নীতির ও প্রতিবাদের ভাষা নির্মাণ করছেন। বলশেভিক বিপ্লবের খবর এদেশে এসে পৌঁছেছে। সেই সূত্রেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে শ্রেণিস্বার্থ যে গুরুত্বপূর্ণ, এই বোধে তরুণেরা সচেতন হয়ে উঠছেন। তাছাড়া এদেশে কাটা-ঘায়ে নুনের ছিটের মতো জ্বালা ধরাচ্ছে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতা। ঠিক এই সময় যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে এসে বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য-অঙ্গনে গভীর ভাবে প্রবেশ করলেন নজরুল ইসলাম। 
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ (১৯২১) কবিতাটি প্রকাশ পেতেই বাঙালি-পাঠক তাঁর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তীব্র ভাবে সচেতন হয়ে উঠলেন। এই নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার জন্য আশীর্বাণী লিখে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যার (১১ আগস্ট ১৯২২) প্রথম পৃষ্ঠায় তাঁর হাতের লেখায় ছাপা হয়েছিল সেই আশীর্বচন। ‘অলক্ষণের তিলক রেখা/ রাতের ভালে হোক্‌ না লেখা,/ জাগিয়ে দেরে চমক্‌ মেরে/ আছে যারা অর্দ্ধচেতন!’ এই চমক মেরে জাগিয়ে দেওয়ার কাজটাকে রবীন্দ্রনাথ সে-সময় নানা ভাবে বিচার করছিলেন। এর আগে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজ পত্র’ (১৯১৪) যখন প্রকাশিত হয়েছিল তখন তিনি আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচানোর কথা বলেছিলেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির বিবেচনা রবীন্দ্রনাথের তারুণ্যকে গ্রাস করতে পারেনি। সামাজিকতার কায়েমি স্থিতিকে নানাভাবে প্রশ্ন করতে চাইছিলেন তিনি। সেই আবেগ একরকমের গতিময় তীব্র কাব্যভাষার জন্ম দিয়েছিল। ‘সবুজ পত্র’-এর পাতায় তার প্রমাণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ‘সবুজ পত্র’-এর প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘আমরা চলি সমুখ পানে’ নামের কবিতা। ঘোষণা করলেন, ‘জাগবে ঈশান,  বাজ্‌বে বিষাণ/  পুড়বে সকল বন্ধ/ উড়বে হাওয়ায় বিজয় নিশান/ ঘুচবে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।’  এই যে উচ্চকিত ঘোষণাময় কবিতার ভাষা তা বিদ্রোহী কবি নজরুলের লেখায় তীব্রতর হয়েছিল।
লেখায় এই চমক নজরুলের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগদীপ্ত স্বভাবের ফল। খুবই আবেগতাড়িত ছিলেন তিনি। সেই আবেগের তলায় মননও ছিল। তবে আবেগের ঢেউ আপাতভাবে বড়ই প্রবল। আর সেজন্যই হয়তো আত্মপ্রকাশের পর্ব থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত নজরুলের লেখার চমক আর দোলাতে বাঙালি পাঠক মজে আছে। কিন্তু সেই গতিময়, স্ফূর্তিদীপ্ত, আবেগতীব্র লেখার পিছনে যে বৌদ্ধিক বিবেচনা ছিল বাঙালি তা খেয়াল করেনি। এতে বাঙালির নজরুলবীক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। 
‘ধূমকেতু’ সম্পাদক নজরুল ‘ধূমকেতুর পথ’ নামে যে ইস্তাহারধর্মী রচনাটি লিখেছিলেন, তাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা জনসাধারণকে খেয়াল করানো হয়। ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারি, তার বেশি বুঝবার ভান করে যেন কারুর শ্রদ্ধা বা প্রশংসা পাওয়ার লোভ না করি। তা সে মহাত্মা গান্ধীর মত হোক আর মহাকবি রবীন্দ্রনাথের মত হোক কিংবা ঋষি অরবিন্দের মত হোক, আমি সত্যিকার প্রাণ থেকে যতটুকু সাড়া পাই রবীন্দ্র, অরবিন্দ বা গান্ধীর আহ্বানে, ঠিক ততটুকু মানব।’ এ-কথা সেদিন মুক্তকণ্ঠে বলা খুব সহজ ছিল না। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় এর আগেই নজরুল লিখেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহী ভৃগু’ – ভগবানের বুকে বিদ্রোহের পদচিহ্ন এঁকে দেওয়া ভৃগুকে যে নিতান্ত আবেগ থেকে স্মরণ করেননি কবি তা এই ‘ধূমকেতু’র পথ  লেখাটি পড়লেই বোঝা যাচ্ছে। ভৃগু যেমন-তেমন ভক্ত নন। পরিপ্রশ্নশীল ভক্ত। ঈশ্বরকে নির্বিচারে গ্রহণ করেন না। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ, গান্ধীর ভক্তরা তাঁদের অনুসরণ করেন মাত্র। কিন্তু তাঁদের কথাটুকু নিজের মতো বাজিয়ে দেখে যেটুকু গ্রহণ করার, সেটুকু গ্রহণ ও যা বর্জন করার, তা  বর্জন করেন না। এই অন্ধ গুরুবাদী ভক্তিতন্ত্র রাজনৈতিক সাধারণতন্ত্রের বিরোধী। এই ভক্তিতন্ত্র সামন্ততন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। নজরুল সাধারণতন্ত্রের পক্ষে। ভৃগু এই পৌরাণিক চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি জনসাধারণকে সাধারণতন্ত্রের মহিমা সম্বন্ধে সচেতন করে তুলছেন। 
এ কথাটি রবীন্দ্রনাথও কি সমকালে বলেননি? সমকালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’ নাটকে বিদ্রোহী ধনঞ্জয় বৈরাগী রাজার অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে প্রজাদের পাড়ায় পাড়ায় গান গেয়ে খেপিয়ে বেড়ায়। এই প্রজারা ধনঞ্জয়কে তাদের হয়ে ভেবে দিতে বললে সে এই ‘অতিভক্তি’র বিরোধিতা করে। কথাটা নিজে বোঝা চাই, যেটুকু বিশ্বাস করার বা গ্রহণ করার সেটুকুই বিশ্বাস করা চাই। রবীন্দ্রনাথ এ কথাটি কেবল ‘মুক্তধারা’ নাটকে আটকে রাখেননি। গান্ধীর সঙ্গে চরকা বিষয়ক বিতর্কেও উত্থাপন করেছিলেন। গান্ধী যখন অহিংসপন্থা ও চরকার কথা বলছেন, তা বুঝে এবং আত্মবিশ্বাস থেকে বলছেন। দলচর গান্ধীবাদীরা কিন্তু যান্ত্রিকভাবে অনুকরণ করছেন মহাত্মাকে। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ যান্ত্রিক চরকাপন্থীদের বিরোধী। নজরুলের বিদ্রোহী ভৃগুপন্থা আসলে ব্যক্তিগত চিন্তার স্বরাজপন্থা। যাঁরা তাঁর কাব্যকথার আবেগে তলিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা কথার সত্যটি মননে উপলব্ধি করতে পারেননি।
নজরুল পূর্ণ স্বরাজের দাবি উত্থাপন করেন এই লেখাটিতে, ‘স্বরাজ-টরাজ বুঝি না, কেননা, ও কথাটার মানে এক এক মহারথি এক এক রকম করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমাণু অংশও বিদেশের অধীন থাকবে না।’  অর্থাৎ ‘মহারথি’দের দার্শনিক-তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার চেয়ে নজরুলের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণের ভাষায় সোজা-সাপ্টা সার্বিক অধিকার। এই সোজা-সাপ্টা ভাষাই ছিল নজরুলের সাংবাদিকতার গদ্যের মূল বৈশিষ্ট্য। হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের কারণ নির্দেশ করতে গিয়ে সহজ কথাটি বলে দিতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের দূরত্ব নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল তাঁর, তখন কবিগুরু নাকি বলেছিলেন, ‘যে ন্যাজ বাইরের তাকে কাটা যায়। কিন্তু ভিতরের ন্যাজকে কাটবে কে?’ ভিতরের ন্যাজের চিহ্ন কী? নজরুল বলবেন ‘টিকিপুর ও দাড়িস্তান’ এই ভিতরের ন্যাজকে ধরে রেখেছে। লোকাচার আর শাস্ত্রাচার ধর্মের সত্যকে মেরে ফেলে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে বড়ো করে তুলছে। নজরুলের জিজ্ঞাসা, ‘মানুষ কি এমনই অন্ধ হবে যে, সুনীতিবাবু হয়ে উঠবেন হিন্দু-সভার সেক্রেটারি এবং মুজিবর রহমান সাহেব হবেন তঞ্জিম তবলিগের প্রেসিডেন্ট?’   
এই টিকিপুর আর দাড়িস্তানের অধিবাসীরা ‘পরশ্রমভোগী’ এ-কথাটা নজরুলের বুঝতে অসুবিধে হয়নি। নজরুল তাঁর প্রিয় বন্ধু মুজফ্‌ফর আহমেদের মতো রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন না, সুস্থিত সাংগঠনিক সামর্থ তাঁর ছিল না। তবে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার কাণ্ডজ্ঞান ছিল। আর সবচেয়ে বড়ো কথা সেই উপলব্ধিকে নির্ভয়ে সাদা কথায় প্রকাশ করতে পারতেন। ‘রুদ্রমঙ্গল’ রচনাটিতে তাঁর নির্ভীক আহ্বান শোনা গেল। ‘জাগো জনশক্তি! হে আমার অবহেলিত পদপিষ্ট কৃষক, হে আমার মুটে-মজুর ভাইরা! তোমার হাতে এ-লাঙল আজ বলরাম-স্কন্ধে হলের মতো ক্ষিপ্ত তেজে গগনের মাঝে উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠুক, এই অত্যাচারীর বিশ্ব উপড়ে ফেলুক – উলটে ফেলুক! আনো তোমার হাতুড়ি, ভাঙো ওই উৎপীড়কের প্রাসাদ – ধূলায় লুটাও অর্থপিশাচ বল-দর্পীর শির। ছোঁড়ো হাতুড়ি, চালাও লাঙল, উচ্চে তুলে ধরো তোমার বুকের রক্ত-মাখা লালে-লাল ঝান্ডা! যারা তোমাদের পায়ের তলায় এনেছে, তাদের তোমরা পায়ের তলায় আনো।’ এই আহ্বান প্রত্যক্ষ, শ্রমশক্তির প্রতি আহ্বান। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দের দুটি ভ্রমণ-কাহিনি – যথাক্রমে সেই ভ্রমণ-কাহিনি দুটি হল ‘বিলাত যাত্রীর পত্র’ ও ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য’। এই দুই ভ্রমণ-কাহিনিতে বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের খেটে খাওয়া মানুষদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ‘বিলাত যাত্রীর পত্র’ ভ্রমণ-কাহিনিতে বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘ঐ যারা চাষা-ভুষা, তাঁতি, জোলা ভারতের নগণ্য মনুষ্য, বিজাতিবিজিত স্বজাতিনিন্দিত ছোট জাত, তারাই আবহমান কাল নীরবে কাজ কোরে যাচ্ছে ... সে তোমরা, ভারতের চিরপদদলিত শ্রমজীবী! তোমাদের প্রণাম করি।’ বিবেকানন্দ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে নজরুলের জন্মের বছরে যাঁদের বন্দনা করেছিলেন যুবক নজরুল ‘রুদ্রমঙ্গল’-এ তাঁদের হাতুড়ি-লাঙল তুলে উৎপীড়কের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বললেন। এঁরা সজাগ হলে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিততন্ত্র নিপাত যেতে বাধ্য। ‘রুদ্রমঙ্গল’ নামটি তাৎপর্যবাহী। রুদ্র ভাঙনের দেবতা। কখনও কখনও ভাঙা গড়ার চেয়েও মূল্যবান। না ভাঙলে মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা করা যাবে কেমন করে! 
বুঝতে অসুবিধে হয় না, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে নজরুল জনগণের পক্ষে পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করছিলেন। সেই দাবি যাতে জনগণের ঐকান্তিক দাবি হয়ে উঠতে পারে সেদিকে তাঁর লক্ষ ছিল, এই সাধারণতন্ত্রের দাবিতে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিত তন্ত্রের কোনো স্থান নেই। নজরুল ভাগ্যের ফেরে আজীবন তো সরব আর থাকতে পারলেন না। সংবেদীমন ডেকে আনল শারীরিক অসুস্থতা, কবি নীরব হলেন। নীরব নজরুলের জীবন অবশ্য দীর্ঘ। কেবল ভারতবর্ষের ভাঙা স্বাধীনতা পর্যন্ত নয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পর্যন্ত ও তার পরেরও কিছুকাল তাঁর জীবনসীমার অন্তর্গত। জীবনে তিন দেশের নাগরিক তিনি। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ ভারতের নাগরিক, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে ওঠার আগে তিনি ভারতের নাগরিক আর স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করার পর ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশে আনা হয়। ১৯৭৬-এ স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর জীবনাবসান। তাঁর সরব দাবি কিন্তু প্রকৃত অর্থে আজও প্রতিষ্ঠিত হল না। ভারতবর্ষ আর বাংলাদেশ দুই দেশের বাঙালি আজ পুরোহিততন্ত্র আর মোল্লাতন্ত্র দুয়ের দাপটের শিকার। ধূমকেতু পথে বিদ্রোহী ভৃগু এখনও হয়ে উঠতে পারেনি তারা। অপেক্ষা অপেক্ষা করে কোনও নায়কের জন্য। কোনও নায়ক কি সত্যই প্রয়োজন! আমরা কি নিজের উপলব্ধিতে সবাই রাজা হয়ে ওঠবার আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারি না!  নজরুল জয়ন্তী আসে যায় – তাঁর চমক লাগানো বাণীর অন্তরালে যে সুদৃঢ় সাধারণতান্ত্রিক পরিকল্পনা তা আমাদের, বাঙালিদের,  অধরাই থেকে যায়।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
28th  May, 2023
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা  পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৫৪ শতাংশ, কোচবিহারে ৭৭.৭৩ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

05:56:30 PM

নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায় ভোটের হার ০ শতাংশ
শুরু হয়ে গেল গণতন্ত্রের উৎসব। আজ ছিল প্রথম দফার ভোট। ...বিশদ

05:55:46 PM

ফুলবাগান এলাকায় গার্ডরেল ভেঙে দুই শিশু সহ ৪ জনকে ধাক্কা মারল গাড়ি, উত্তেজনা

05:37:00 PM

মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে রোড শো গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের

05:16:34 PM

গুয়াহাটিতে র‌্যালি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার

05:09:34 PM

পুনের আহমেদনগর রোডে একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন

04:59:21 PM