Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রাজধানী  কলকাতা 
গেল দিল্লিতে
হরিপদ ভৌমিক

কলকাতা একদিন গ্রাম ছিল। ডিহিদার আস্তানা গাড়লে ‘ডিহি কলকাতা’ নাম পায়। ১৬৭৬ সালে কবি কৃষ্ণরাম দাসের ‘কণিকা মঙ্গল’-এর সময়কালে ‘পরগনা-কলকাতা’কে পাই। ১৬৯৮ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে কলকাতা-সুতানটি-গোবিন্দপুর তিনটি গ্রাম মিলে জমিদারি সত্ত্ব লাভ করে ইংরেজ কোম্পানি। এই সময় থেকে তারা কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ধীরে ধীরে পলাশির যুদ্ধের পর ভারতের শাসক হন। সেই সময় থেকে ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান নগরীর মধ্যে মুকুটমণির সম্মানে সম্মানিত ছিল কলকাতা। লর্ড ক্লাইভ স্বদেশে ফিরে গেলে সমগ্র দেশে একটা বিশৃঙ্খলা ভাব দেখা যায়।
উনিশ শতকের মধ্যভাগে সিপাহী বিদ্রোহের পর দিল্লির মোঘল সাম্রাজ্যের সূর্য অস্তাচলে, এই সময়কালে কলকাতার জাতীয় ভাবনার বীজ রোপিত হয়। এই প্রসঙ্গে রসরাজ অমৃতলাল বসু স্মৃতিকথায় লিখেছেন— ‘১৮৬৭-৬৮ সালে ভারতবর্ষে ‘ন্যাশনাল’ নামের চার অক্ষরের স্বাধীনতার বীজমন্ত্র যিনি প্রথম দিয়েছেন তাঁর নাম নবগোপাল মিত্র। লোকে বলত, ‘ন্যাশনাল নবগোপাল’। উনিশ শতকের নয়ের দশকে প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হল। ইংরেজ সরকারের বিষদৃষ্টি পড়ল বাংলা ও বাঙালির উপর।
১৮৯৮ সালে কার্জন সাহেব কলকাতায়  আসেন। বুদ্ধিজীবী মানুষেরা ভাবলেন এবার হয়তো নিয়মের শাসন চালু হবে। উল্টোটা হল। কার্জন হয়ে উঠলেন বাঙালি বিদ্বেষী। ১৯০৩ সালে শুরু হল কার্জন বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন। বুদ্ধিমান বাঙালি জাতটাকে খোঁড়া করে দিতে কার্জন শুরু করল নতুন ভাবনা-চিন্তা। খবরে প্রকাশ পেল তিনি দেশভাগ বা সীমান্ত বিন্যাসের ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন। বাংলার গা ছুঁয়ে একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান প্রদেশ গড়ে তুলতে পারলে মোচকে দেওয়া সহজ হয়ে যাবে বাঙালির মেরুদণ্ড।
অন্যদিকে, বাঙালির হিন্দু-মুসলমান ঐক্য যাতে ভেঙে না যায় তার মুক্তির উপায় হিসাবে ‘রাখী বন্ধন’ (১৯০৫) অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সমবেত প্রতিবাদ সংগঠিত হতে শুরু করে। ৭ আগস্ট তারিখে টাউন হলে বিরাট জনসভা, দোকানপাট-স্কুল-কলেজ সবকিছু মিলিয়ে পুরোপুরি কলকাতা বন্ধ। টাউনহলে এত মানুষ হলো যে ভিতরে এবং বাইরে আলাদা মঞ্চ করে বক্তব্য রাখতে হলো। রবীন্দ্রনাথ লিখলেন— ‘আশ্বিনের তিরিশে বাংলাদেশ বিভক্ত করে সরকারিভাবে, কিন্তু সেটা যে ঈশ্বরের অভিপ্রায় নয় তা প্রমাণ করতে হবে আমাদের। ঐ দিনটিকে আমরা উদযাপন করব রাখী বন্ধনের ভিতর দিয়ে। যাতে ফুটে উঠবে বাঙালি জাতির অবিচ্ছিন্ন একতার বাণী।’
১৯০৫ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ৩০ আশ্বিন সার্বজনীনভাবে রাখী বন্ধন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ সরকার বাংলায় ধর্মীয় বিভেদের বিষ-বাতাস ছড়িয়ে দিতে প্রচার করল রাখী বন্ধন হিন্দুয়ানির মাতামাতি, এই উৎসব হিন্দু জাগরণের উৎসব। ধীরে ধীরে সরাতে শুরু  করল মুসলিম সম্প্রদায়কে।
১৯১০ সালে বড়লাট অর্থাৎ গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্চ কলকাতায় এলেন। এই সময় প্রতিদিন কলকাতা জুড়ে স্বদেশি আন্দোলন যেমন বেড়েছে, তেমনি সরকারি দমন-পীড়নও বেড়েছিল। ৮ জানুয়ারি ১৯১১ তারিখে গিরিশ ঘোষের ‘মীরকাশিম’ নাটকটির অভিনয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২ মার্চ তারিখে ডালহৌসিতে পুলিসের গাড়ি ভেবে ভুল করে অন্য একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করার অপরাধে ১৮ বছরের ননীগোপাল মুখার্জি গ্রেপ্তার হন। ১৯ মার্চ এক ঘোষণায় জানানো হয় ‘জলপথে বা স্থলপথে গুরমুখী ভাষায় মুদ্রিত ‘স্বদেশী সেবক’ বহন করা বা রাখা নিষিদ্ধ করা হল।’
চারিদিকে আন্দোলন জোরদার হতেই,  আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দিতে বঙ্গভঙ্গ রোধ করা হবে বলে প্রচার করা হল,  খবরটি দিল ‘দি ইংলিশ ম্যান’— সেই সংবাদটির উদ্ধৃতি দিয়ে অমৃতবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে— ‘শোনা যাচ্ছে বঙ্গভঙ্গ রোধ করা হবে। বেকারকে পদত্যাগ করতে হবে— পুনগর্ঠিত বঙ্গের গভর্নর হবেন স্যার জন হেয়ার্ট।’  খবরটি প্রকাশিত হল ৯ জুন ১৯১১ সাল।
১৯১১ সালে জুলাই-আগস্ট মাসে দুটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটেছিল। ২৯ জুলাই তারিখে প্রথম আই.এফ.এ শিল্ড ফুটবল খেলা শুরু হয় ইস্ট ইয়র্ক দলের সঙ্গে মোহন বাগান দলের। ১১ জন বাঙালি খেলোয়াড় খালি পায়ে বুট জুতো পরা গোড়া সৈন্যদের মুখ থেকে জয়ের গৌরব ছিনিয়ে সাহেবী লালমুখগুলোকে কালো দিয়েছিল। সেই ফুটবল যুদ্ধ জয়ের উন্মাদনা স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দু পত্রী ‘কলকাতা সংক্রান্ত’ বইতে লিখেছেন— ‘আলেকজান্ডারের দিগ্বিজয়ের সমকক্ষ হয়ে উঠল যেন ঘটনাটা। কলকাতা উল্লাসে মাতল, উল্লাসে উন্মাদ। মানুষের আবেগের ছাপ সংবাদপত্রের পাতাতেও সংবাদে, রিপোর্টে সম্পাদকীয় মোহন বাগানের ‘ইমমর্টাল ইলেভেন’-এর সংবর্ধনা। নির্বাক দর্শক হয়ে বসে নেই কবির কলম। সুরেন্দ্রনাথের ‘বেঙ্গলী’-র পাতায় বেরল এক প্রশান্তি গাঁথা। ‘থ্যাঙ্কস মাই ফ্রেন্ড ফুটবল রিনাউন
ফর ব্রিইংইং দ্য ব্রিটিশ টিমস ডাউন
এ ভিকট্রি গ্র্যান্ড টু বি হোল্ড,
সিরিন অ্যান্ড নোবল— ব্রাইট অ্যান্ড বোল্ড।’
ইংরেজি স্তব গানকে হার মানাতে কবি  করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে তুলে নিলেন বাংলা ছন্দের একতারা—
‘জেগেছে আজ দেশের ছেলে
পথে লোকের ভিড়,
অন্তঃপুরে ফুটল হাসি
বঙ্গ রূপসীর।
গোল দিয়েছে গোরার দলে
বাঙালির আজ জিত,
আকাশ ছেঁয়ে উঠছে উধাও
উন্মাদনার গীত।’
ফুটবল-যুদ্ধের এই জয় তাই তখন হয়ে উঠেছিল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের আসন্ন অবশ্যম্ভাবী জয়ের প্রতীক।’
৭ আগস্ট ১৯১১ তারিখে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা ১৬৬ নং বহুবাজার স্ট্রিটে স্বদেশি মেলার উদ্বোধন হয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির প্রস্তাবে এ.চৌধুরি সভাপতি হন ও উদ্বোধন করেন।  ১১ আগস্ট দিন স্বদেশি মেলায় প্রবেশাধিকার ছিল শুধু মহিলাদের। ১২ তারিখে প্রায় ৬০ হাজার লোক মেলা দেখতে যায়। তাই মেলা কমিটি আরও এক সপ্তাহ মেলা খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৭ তারিখে মেলার পুরস্কার বিতরণী সভায় ভূপেন্দ্রনাথ বসু সভাপতিত্ব করেন। ৫ নভেম্বর তারিখে ঘনঘন জনসভা করে রাজা আসার আগেই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে জনমত তুঙ্গে তোলার আবেদন রাখেন। সকলে আশা করতে শুরু করেছে নতুন গভর্নর হয়তো নিজের মহানুভবতায় দু’টুকরো বাংলাকে জুড়ে দেবেন। জেলায় জেলায় সই সংগ্রহ শুরু হয়।
একদিকে ফুটবল যুদ্ধে সাহেবদের হারিয়ে আনন্দে যখন আত্মহারা, স্বদেশি মেলার জনসমর্থন স্বদেশি আন্দোলনকে জোরদার করার প্রস্তুতি চলছে— তখন রাজভবনে চলছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের খসড়া তৈরির প্রস্তুতি। পরের মাসে ২৫ তারিখে হার্ডিঞ্চ রচিত ষড়যন্ত্রের খসড়াটি বিলেতের উদ্দেশে পারি দিল। সে খসড়াটির অফিসিয়াল নাম হল— ‘অফিসিয়াল ডেসপ্যাচ রিলেটিং টু দ্যা ট্রান্সফার অফ দ্যা শিট অফ গভর্নমেন্ট ফ্রম ক্যালকাটা টু দিল্লি।’ ২৫ আগস্টে লেখা এই ডেসপ্যাচের শব্দ সংখ্যা ৮ হাজারের মতো, ২৬টি পরিচ্ছদ। দ্বিতীয় পরিচ্ছদ থেকেই রাজার কাছে নিবেদন কী কী কারণে কলকাতা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মূল বক্তব্য
(১) দিল্লি সবচেয়ে নির্ভরশীল আদর্শ জায়গা।
(২) বঙ্গ বিভাগের ফলে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক আবহাওয়া ঘনিয়ে উঠেছে, তার থেকে দূরে থাকার জন্য ভারতের রাজধানীর এই প্রদেশিক পরিমণ্ডল থেকে স্থানান্তরিত হওয়া জরুরি।
(৩) ‘সুপ্রিম গভর্নমেন্ট’ কখনও ‘প্রভেন্সিয়াল গভর্নমেন্টে’-এর গায়ে গা লাগিয়ে থাকতে পারে না। দুটি গভর্নমেন্টের বর্তমান সদর দপ্তর কলকাতায়।
(৪) বিশেষ কোনও পরিস্থিতিতে কলকাতা কীভাবে গড়ে উঠেছিল তা অবশ্যই আমাদের অজানা নয়।
(৫) সারা দেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তার হওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দেশের মাঝামাঝি জায়গায় হওয়া উচিত।
(৬)  ভৌগলিক, ঐতিহাসিক আর রাজনৈতিক— এই তিনটি বিচার্য বিষয়কে মনে রাখলে দিল্লিই সবচাইতে যোগ্য স্থান।
(৭) যোগাযোগ আর প্রাকৃতিক পরিবেশে সাতটা মাস নিশ্চিন্তে কাটাতে পারা যাবে।
(৮) ১ অক্টোবর থেকে ১ মে— প্রখর গ্রীষ্মে সিমলা পাড়ি দিতে অর্থ এবং সময়  দুটোই ব্যয় হবে সামান্য।
(৯) দিল্লিতে রাজধানী উঠে এলে ভারতের রাজন্যবর্গ,  উত্তর ভারতের সমস্ত সম্প্রদায় তো বটেই, সারা ভারতবর্ষের মানুষ উল্লসিত হবে।
(১০) পাণ্ডব-কৌরবের যুদ্ধের কারণে হিন্দুদের কাছে দিল্লি পবিত্র স্থান। মুসলমান সম্প্রদায় কৃতজ্ঞতায় নুইয়ে পড়বে কারণ তাদের প্রাচীন রাজধানীর হৃত গৌরব ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
১২ ডিসেম্বর ১৯১১— মধ্যাহ্ন থেকে অপরাহ্ণ সমস্ত বাঙালি উৎকণ্ঠিত হয়েছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জ বঙ্গভঙ্গ নিয়ে কী ঘোষণা করে জানার জন্য। দিল্লির দরবারে সমারোহের শেষ মুহূর্তে সবাইকে বিস্মিত করে রাজা নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে লর্ড হার্ডিঞ্চের হাত থেকে তুলে নিলেন একখণ্ড কাগজ। আর ঘোষণা করলেন— ‘রাজধানী ফর্ম ক্যালকাটা টু দ্যা এনসিয়েন্ট ক্যাপিটাল অফ দিল্লি’ স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।
বিনামেঘে বজ্রপাত হল। শুধু কলকাতা নয়, ভারতবর্ষ নয়, রাজার নিজের দেশের রাজনীতিকরাও চমকে উঠেছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর ‘ইংলিশম্যান’ পত্রিকা রাজধানী বদলের জন্য সরাসরি আঙুল  তুললেন লর্ড হার্ডিঞ্চের দিকে।  কাগজে কাগজে প্রতিবাদের সংবাদ, চিঠি, কবিতা, ছড়া, কার্টুন ছাপা হতে থাকে। একটি কার্টুনের ছবিতে দেখা গেল রাজার রাজভবন শূন্য, সামনে ছেঁড়া কাপড় পরে শুকনো মুখে খোঁচা দাড়ি-গোঁফ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, পাশে প্ল্যাকার্ডে লেখা— ‘খালি  বাড়ি, ভাড়াটে চাই।’ তিনদিনের   দিনই হার্ডিঞ্চ দিল্লিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ফেললেন। সত্যি সত্যি ভারতের প্রথম রাজধানী কলকাতা তিন তিনটে দিন অবধারিত মৃত্যুর সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াই চালিয়েও শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে আশ্রয় নিল ইতিহাসের কবরখানায়।
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
02nd  April, 2023
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM