Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়। 

সত্যজিৎ রায়। নামটা শুনলেই মনে হয় যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। আর সেই মানুষটার জন্মশতবর্ষের দোরগোড়ায় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। পাঠকদের উদ্দেশে প্রথমেই বলি, মানিকদার জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে তাঁর স্মৃতিচারণা করাটা আজকে আমার কাছে খুবই কঠিন। কারণ দীর্ঘদিন আমি তাঁর সান্নিধ্যলাভ করেছি। তাই মানিকদার কথা বললেই একরাশ স্মৃতি ভেসে আসছে। খারাপ লাগে আজকে বয়সের কারণে মানিকদার সঙ্গে কাটানো সেই স্বর্ণযুগের অনেক কথাই আমার স্মৃতি থেকে মুছে যেতে বসেছে। তাই আজকে ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তৈরি হওয়া কিছু স্মৃতিই না হয় আপনাদের সামনে তুলে ধরি। 
১৯৫৪ সালে আমার সঙ্গে প্রথম সত্যজিৎ রায়ের পরিচয়। মিচেল ক্যামেরায় ‘পথের পাঁচালি’র শ্যুটিং শুরু হল। আমি ক্যামেরা কেয়ারটেকার হিসেবে ইউনিটে যোগদান করলাম। সত্যিই বলছি, কোনওদিন ভাবিনি এই সুযোগ পাব। এরপর ১৯৬০ সালে মানিকদা আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তথ্যচিত্রের দায়িত্ব দিলেন। আর সুব্রত মিত্রের উপরে ‘তিন কন্যা’র ক্যামেরার ভার দিলেন। কিন্তু সুব্রতদার চোখের সমস্যার জন্য ওই ছবিটা শেষপর্যন্ত আমিই শ্যুট করেছিলাম। 
মানিকদার কথায় ফিরে আসি। তাঁকে বাইরে থেকে দেখে অনেকেই গম্ভীর ভাবতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একদম ‘মাই ডিয়ার’ মানুষ। সেটে কোনওদিন মানুষটাকে রাগতে দেখিনি। যদি কখনও কাউকে বকে থাকেন, সেটা তাঁর ভালোর জন্যই। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির একটা অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে। কৃষ্ণা বসু বসে রয়েছেন। ঘরে ঢুকলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। ওই দৃশ্যে কৃষ্ণাকে হাসতে হতো। কিন্তু কিছুতেই শটটা মানিকদার পছন্দ হচ্ছে না। তখন মানিকদা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বলে উঠলেন, ‘কৃষ্ণা, তুমি কি বাড়িতে হাসো না?’ শুধু ওই একটা কথা। ব্যস, পরের শটেই ওকে। আবার এই মানুষটারই সেন্স অব হিউমার দেখলে অবাক হতে হয়। ‘অভিযান’ ছবির শ্যুটিং চলছে। আহত নরসিং মানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হাওয়া করছেন ওয়াহিদা রহমান। হঠাৎ এক ফালি চুল ওয়াহিদার চোখ ঢেকে দিল। মানিকদা আমাকেই বললেন ওঁর মুখ থেকে চুল সরিয়ে দিতে। আমি সেটা করতেই মানিকদা ফ্লোরের বাকিদের উদ্দেশে বললেন, ‘রায়কে একটা চান্স দিলাম!’   
ফ্লোরে ছবির কাজ এগতে কেউ যদি সাহায্য করেন, তাহলে সেই মানুষটি যেন মানিকদার কাছে অন্ধের যষ্টির মতো হয়ে উঠতেন। ‘সোনার কেল্লা’র শ্যুটিং চলছে। আমরা যোধপুর থেকে জয়সলমিরের ট্রেনে। প্রায় ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। হোটেলের থেকে বলা হয়েছিল সঙ্গে খাবার রাখতে। কারণ মাঝে সেইভাবে খাবার পাওয়া যায় না। একটা স্টেশনে গাড়ি থামতেই হঠাৎই কামু মুখোপাধ্যায় সিট ছেড়ে উঠে চলে গেল। ফিরে এল ঝুরিভাজা, ডালমুট, মিষ্টি নিয়ে। আমি আর মানিকদা তো রীতিমতো অবাক। মানিকদা জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? পরে জানা গেল,কামু একটি মাড়োয়ারি বরযাত্রীকে ম্যাজিক দেখিয়ে খাবারগুলো নিয়ে এসেছে। মানিকদা তো হেসে অস্থির। মানিকদা কামুকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ফেলুদা অ্যান্ড কোং বেনারসের সরু গলি ধরে মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। মানিকদা বললেন একটা ষাঁড় পেলে খুব ভালো হতো। আমি বললাম, মানিকদা এখন ষাঁড় কোথা থেকে পাওয়া যাবে। আর পেলেও সে ক্যামেরার সামনে আসবে কেন! শ্যুটিং বন্ধ। এদিকে লাইট পড়ে আসছে। কিছুক্ষণ পর শোনা গেল ‘আসছে আসছে’ রব। এখানেও সেই কামু। সে ষাঁড় বাবাজীবনকে একটা মুলোর লোভ দেখিয়ে তাকে লোকেশনে নিয়ে হাজির!
সময়ের সঙ্গে মানিকদার পরিবারের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমার মা ওঁকে ডেকে পাঠাতেন। আমি প্রায়দিনই ওঁর বাড়িতে যেতাম। চিত্রনাট্য তৈরি হলে মানিকদা সবাইকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিতেন। তারপর শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হতো। বউদি (বিজয়া রায়) এলাহি খাবার দাবারের আয়োজন করতেন। এই খাবারের প্রসঙ্গেই বলি, শ্যুটিংয়ের সময় মানিকদা কিন্তু পরিমিত আহার পছন্দ করতেন। শুধু স্যান্ডউইচ খেতেন। তবে খাদ্যরসিক ছিলেন। রুটি আর অড়হর ডালও ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। যোধপুরে শ্যুটিং চলছে। আমরা সেদিন বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি। মানিকদা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খেলে?’। আমি বললাম, ‘খুব ভালো ঘিয়ে ভাজা কচুরি আর জিলিপি খেয়ে এলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে অনিলদাকে (চৌধুরী) নির্দেশ দিলেন, ‘এই, রায় আজকে যা খেয়ে এসেছে, কালই আমার চাই।’
মানিকদা কোনওদিন কম্প্রোমাইজ করে ছবি করেননি। সবচেয়ে বড় কথা শ্যুটিংয়ে কোনও সমস্যার কথা বললে, তিনি সেটা এড়িয়ে না গিয়ে মন দিয়ে শুনতেন। যেমন ‘ঘরে বাইরে’র ইন্ডোর শ্যুটিং রাতে চলছে। তাই লাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাতীলেখা-সৌমিত্র রয়েছেন। আপনাদের হয়তো মনে আছে, ঘরের মধ্যে তিনটে পেল্লাই সাইজের আয়না ছিল। কিন্তু আয়নার জন্য লাইট করতে অসুবিধা হচ্ছে। মানিকদাকে কিছু বলতেই ভয় লাগছে। তারপর মনস্থির করে গিয়ে বলতেই মানিকদা ওঁদের দু’জনকে একটু অ্যাডজাস্ট করে দাঁড়াতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা মিটে গেল। আমারও কাজ হয়ে গেল। ইউনিটকে স্বাধীনতা দিতেও তাঁর জুড়ি ছিল না। একটা ঘটনা মনে পড়ছে। পালামৌতে তখন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলছে। প্যাকআপের পর সন্ধ্যায় সৌমিত্র, শুভেন্দু, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জরা সাধারণত একসঙ্গে আড্ডা মারতেন। একটু আধটু পানাহারও চলত। একদিন সবাই সেরকম আড্ডায় মেতেছেন। একদিন সেখানে হঠাৎই মানিকদা এসে হাজির। সবাই ভয়ে গ্লাস নামিয়ে রেখেছেন। কিন্তু রবি ঘোষ ছিলেন মজার মানুষ। টুক করে গ্লাস তুলে দেখিয়ে বললেন, ‘মানিকদা, আমরা একটু খাচ্ছি।’ মানিকদা হেসে বললেন, ‘বেশ। খাও। আমি তাহলে যাচ্ছি। তবে কাল কিন্তু এখানেই শ্যুটিং। ভুলে যেও না।’ মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলেন মানিকদা।   
শ্যুটিং প্যাকআপের পরেও মানিকদার সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হতো। ছবি নিয়ে কথা হতো। ভালো কোনও বিদেশি ছবি দেখলেই আমাদের সেটা দেখতে বলতেন। আউটডোরে রাতে শ্যুটিংয়ের পর দীর্ঘক্ষণ আমরা একসঙ্গে তাস খেলতাম। কিন্তু লক্ষ করতাম, তারপর একটা সময় উনি ঠিক উঠে চলে যেতেন। তাড়াতাড়ি ডিনার করে ঘরে গিয়ে চিত্রনাট্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন। শ্যুটিং ফ্লোরে আমরা মানিকদার জন্মদিনও পালন করেছিলাম। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলাকালীন মানিকদার জন্মদিন পড়েছিল। বাড়ির বাইরের উঠোনে সাঁওতালি নৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচুর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শ্যুটিং সেরে ফিরে মানিকদা তো দেখে অবাক। বললেন, ‘তোমরা করেছ কী! এটা তো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।’ তবে বুঝতে পেরেছিলাম মুখে বললেও তিনি মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন। মনে পড়ছে ওইদিন সাঁওতাল রমণীদের সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরও নাচের তালে পা মিলিয়েছিলেন।    
মানিকদার সঙ্গে ছবিদার (বিশ্বাস) একটা মজার ঘটনা বলি। তাহলে দুই মহারথী সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ‘দেবী’তে একটা দৃশ্যে ছবিদাকে পড়ে যেতে হবে। ছবিদার হাঁপানি ছিল। তাই ওইভাবে শট দিতে তাঁর আপত্তি ছিল। তিনি করলেন কী, শ্যুটিংয়ের দিন গোটা বুকে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে ফ্লোরে চলে এলেন! বললেন, ‘মিস্টার রায়, বুঝতেই পারছেন আমি তো এই শট দিতে পারব না।’ মানিকদা ছিলেন বুদ্ধিমান। বুঝতেই পেরেছিলেন ছবিদা মজা করছেন। তখন ছবিদাকে সুব্রতদা বললেন, ‘আপনি যতটা পারেন শটটা দিন, আমি ঠিক শট কেটে নেব।’ কিন্তু মানিকদাও নাছোড়বান্দা। ঠিক বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবস্থা করলেন। তারপর দুটো শটে ওকে হয়ে গেল। ছবিদা হেসে মানিকদাকে বললেন, ‘আমি নিজেকে চালাক ভাবতাম। কিন্তু আপনি যে আমার থেকে আরও বড় চালাক সেটা আজকে বুঝতে পারলাম।’    
একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মানিকদা সারা জীবনে প্রচুর পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ওঁর সঙ্গে আমি কখনও বিদেশ সফর করিনি। তবে তিনি জাতীয় পুরস্কার নেওয়ার সময় বেশ কয়েকবার আমি সঙ্গে গিয়েছিলাম। জাতীয় পুরস্কার শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে কী ভীষণ উত্তেজনা হতো। অথচ, ওইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনেও মানুষটার মধ্যে উত্তেজনার লেশমাত্র থাকত না। বিদেশ থেকে ‘গোল্ডেন লায়ন’ কিংবা ‘গোল্ডেন বেয়ার’ পুরস্কার নিয়ে এলেন। আমরা সবাই এয়ারপোর্টে ওঁকে রিসিভ করতে গিয়েছি। তখনও দেখতাম একদম নির্লিপ্ত। আসলে অত বড় মাপের মানুষ বলেই হয়তো সাফল্যকে কখনও তিনি কাজের উপরে স্থান দেননি।  
২৩ এপ্রিল ১৯৯২। মনে হয়, আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা দিন। বেলভিউ থেকে খবর এল মানিকদা আর নেই। যেন আমার দ্বিতীয়বার পিতৃবিয়োগ হল। মনে হয়েছিল পায়ের তলা থেকে যেন মাটিটাই সরে গেল। মানিকদাকে শেষযাত্রায় দেখতে যাইনি। কারণ যে মানুষটার সঙ্গে এত স্মৃতি, তাঁকে সামনে ওই অবস্থায় দেখার শক্তি আমার মধ্যে ছিল না। সারাদিন চুপ করে বাড়িতে বসেছিলাম। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। আমি জানি, আজকে মানিকদার নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আজকে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তাঁর জীবনদর্শন ও কাজকে সেইভাবে উদ্‌যাপন করলাম? বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতবাসী কি তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতে পেরেছে? ১৯৯৭ সালে পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গেস্ট লেকচারার হিসেবে গিয়েছি। মানিকদার ছবি নিয়ে পড়াতে গিয়ে ছাত্রদের থেকে শুনতে হল, ‘আমরা তো হিন্দি ছবি তৈরি করব। আমাদের সেইভাবে শেখান।’ অবাক হয়ে শুধু ওদের দিকে তাকিয়েছিলাম! নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে আরও সিরিয়াস হন। মনে মনে একটা স্বপ্ন দেখি— কলকাতায় সত্যজিৎ রায়ের সমস্ত কাজ নিয়ে একটা বিশ্বমানের সংগ্রহশালা তৈরি হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সত্যজিৎ উৎসাহীরা সেখানে হাজির হয়ে মানুষটাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবেন। জানি এটা বাস্তবায়িত হলেও আমি হয়তো দেখে যেতে পারব না। কিন্তু যেখানেই থাকি না কেন, সেদিন আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না।    
                                                                                                                           অনুলিখন: অভিনন্দন দত্ত
18th  April, 2021
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:18:51 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM