Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

একবার দেখা দিলি না মা... 

আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত।

 এত সাধনা, কণ্ঠে বেদনা... তারপরও মায়ের দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল না?
 হ্যাঁ, বাবার অনেকবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে। নানাভাবে... নানা জায়গায়। কাকা ছিলেন বাবার একান্ত অনুগামী। বাবা জীবনে যা যা করতেন, প্রতি ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করতেন কাকা। বাবার প্রতি ওঁর ভক্তি ছিল সাংঘাতিক। কারণ আমার দাদু যখন মারা যান, কাকা তখনও মায়ের গর্ভে। বাবা তাই কাকাকে পুত্রবৎ মানুষ করেছিলেন। কাকাও বাবাকে যে কতটা সম্মান করতেন, বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু ওঁর আক্ষেপ ছিল একটাই... মায়ের এত নামগান করেন, তবু কেন তাঁর দেখা পান না। বলতেন, ‘এত করে ডাকি তোকে, আমায় কেন একবার দর্শন দিলি না!’ মনের এই কষ্ট, যাতনা বা জ্বালা যা-ই বলুন, তাঁকে কুরে কুরে খেত। স্নান করে ঠাকুরের কাছে আহ্নিক-পুজো আর পাঁচ জনের মতো তিনিও করতেন। কিন্তু ওঁর আসল পুজো ছিল গান। মায়ের গানকে উনি যে মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে প্রতি শব্দে ভক্তির জোয়ার আসত। সেই জন্যই আলাদা পুজোর দরকার ওঁর অন্তত ছিল না। এখনও কেউ যদি মায়ের সামনে বসে ওঁর কোনও গান গুনগুন করে গায়, তাতেই দেখবেন কী অদ্ভুত শান্তি। খুব বাস্তব কথা বলছি। কোনও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পথে হেঁটে নয়, শুধুমাত্র সাধারণ শ্যামাসংগীত গেয়ে এত জনপ্রিয়তা পৃথিবীতে কেউ পেয়েছেন বলে আমি জানি না।
 দুই ভাইয়ের অন্তরঙ্গতাও তো এক অনুপ্রেরণা...
 হাওড়ায় সরস্বতী পুজোর সময় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বাবা সেদিন কলকাতায় আসবেন। কাকা তখন হাওড়ারই বাড়িতে। সেবার বাবা বেরনোর সময় বলে গিয়েছেন, ও (পান্নালাল) এলে একটা টাকাও কেউ দেবে না। কারণ সেদিন বিকেলে অনুষ্ঠান ছিল... দু’জনেরই। বাবা-কাকার মোট তিনটি অনুষ্ঠান ছিল সেদিন। কিন্তু কাকা তক্কে তক্কে ছিলেন। বাবা যেই বেরিয়েছেন, কাকা ছুটে এসেছেন আমার মায়ের কাছে... ‘টাকা দাও, ঘুড়ি কিনব।’ মা বলছেন, ‘না কোনওমতেই না। তোমার মেজদা বারণ করে গিয়েছেন।’ সে ছাড়বে না। বাচ্চা ছেলের মতো বায়না... জবরদস্তি। আদায় করেই ঘুড়ির কিনতে দে দৌড়। শাসন ছিল... স্নেহও। এইসব ছোট ছোট ঘটনা, এই নৈকট্য তো বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় না! এটা একবোরেই আন্তরিক। আমি বাবা-কাকা সম্পর্কে বলতে শুরু করলে শেষ হবে না...। বাবা বলতেন, ‘আমার কখনও কোনও হিংসে হয়নি। তবে বলতে পারি শ্যামাসংগীতে ওর পর্যায়ে কেউ নেই, আগামীতেও হবে না।’ ‘সাধ না মিটিল আশা না পুরিল...’ বেরোবার পরে ভারতজুড়ে কাকার জনপ্রিয়তা যে শিখর ছুঁয়েছিল, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি।
ফিল্মের গান, ভক্তিগীতি সবই বাবা করেছেন। সব ভক্তিমূলক ছবিতেই বাবার গান থাকত একটা সময়। এরপরে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে নন-ফিল্ম শ্যামাসংগীত করুন। তখন বাবা বলেছিলেন, ‘ওটা পান্নার জন্য। পান্না ছাড়া কাউকে মানাবে না। ওর মতো আন্তরিক নিবেদন আর কারও নেই।’ কাকার আবার ভীষণ ঝোঁক ছিল আধুনিক গান গাইবার। বাবার সব গান ভালোবাসতেন। বাবা বললেন, ‘শ্যামাসংগীতটা তোমার জন্য থাক। তুমি ওটাই গাও।’ তাতে যে সুনাম কাকা পেলেন, তারপর ইচ্ছে থাকলেও আর অন্য গানে ফেরেননি।
 শোনা যায়, পান্নালালবাবু একবার নাকি ভবতারিণীর তুঁতেরঙা বেনারসি পরা রূপ আগেই দেখতে পেয়েছিলেন?
 একবার ফাংশান করে অনেক শিল্পী মিলে ফিরছিলেন ট্রেনে। হঠাৎ কাকা চুপচাপ হয়ে গেলেন। এমনিতে খুব হুল্লোড়ে মানুষ, সবসময় হইহই, মজা করা অভ্যেস। সবার সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে যাবেন... গাড়িতে যখন উঠছেন, দেখা গেল এক চ্যাঙারি মিষ্টি, কচুরি নিয়ে উঠছেন কাকা। সেই মানুষকে চুপচাপ দেখে সবাই অবাক। সবাই জিজ্ঞেস করছেন, ‘কী ব্যাপার, তোর কী হল? চুপ করে গেছিস।’ নির্মলা মিশ্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষেরা ছিলেন সঙ্গী। খানিক পরে কাকা তাঁদের বললেন, ‘দেখতে পাচ্ছি ভবতারিণী মাকে তুঁতে রঙের বেনারসি শাড়ি পরানো হয়েছে।’ সবাই তখন তাচ্ছিল্য করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তখন উনি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে সবাইকে জোর করে নামালেন। বললেন, ‘বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি করে দেব। কিন্তু মায়ের দর্শন করতে হবে।’ সেখানে সবাইকে নিয়ে গিয়ে দেখলেন, মাকে তুঁতে রঙেরই বেনারসি পরানো হয়েছে। সে দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
 মায়ের দেখা না পেয়ে ওঁর কি সংসারে বৈরাগ্য এসেছিল?
 মায়ের জন্য এমন টান যাঁদের থাকে, অপ্রাপ্তিতে তাঁদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। যাতে মন থাকে, তা থেকে মন সরে যায়। কাকা কায়মনোবাক্যে, অন্তর দিয়ে মাকে চেয়েছিলেন। প্রত্যক্ষভাবে হয়তো পাননি। কিন্তু পরোক্ষভাবে পেয়েছেন। দেখুন রামপ্রসাদ যেমন সরাসরি মাকে পেয়েছিলেন, ওঁর সেই সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু কাকা তো মায়ের আশীর্বাদ, পরশ সবই পেয়েছেন। না হলে অমন আকুলতা আসে নাকি গলায়? তবে মাকে না পেয়ে সংসার থেকে সরে গিয়েছিলেন, এ কথা বলা যায় না। উনি চরম সংসারী ছিলেন। আমার তিন খুড়তুতো বোন। তাঁদের ভাত মেখে খাইয়ে দিতেন, চুল বেঁধে দিতেন। এতটাই সংসারী ছিলেন তিনি। সংসারের প্রতি কোনও বিরূপতা কখনও আসেনি।
 শোনা যায়, একটা সময় শ্মশানে গিয়ে বসে থাকতেন?
 হ্যাঁ। বালিতে বারেন্দ্রপাড়ায় আমাদের নিজস্ব শ্মশানঘাট ছিল। উনি প্রায়শই রাতে ওখানে গিয়ে বসে বসে কাঁদতেন। গানও করতেন। কিন্তু সংসার থেকে দূরে গিয়ে নয়।
 আপনি কীভাবে পেয়েছেন তাঁকে?
 গান করি ঠিকই। কিন্তু ওই দুই ভাইয়ের আন্তরিকতা হয়তো খুঁজে পাই না। খুব চেষ্টা করি... অন্তর দিয়ে গাইতে। ওঁদেরই মতো গান করি। কিন্তু ওঁদের দু’জনের মতো হওয়া...! আগামী একশো কেন, দু’শো বছরেও হবে না কেউ। এটা স্পষ্টতই আমার মনে হয়। আর কে কী বলবেন, আমি জানি না। আগামী দু’শো বছরে আর ধনঞ্জয়-পান্নালাল আসবে না।
 শৈশব স্মৃতি...
 আমার কাকা যে একজন এত বড় শিল্পী, মানুষের এত কাছের, এত জনপ্রিয়... আমরা কোনওদিন এসব বুঝতাম না। তিনি এমনভাবে আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন... ইয়ার্কি ফাজলামি কিছু বাদ যেত না! এমনভাবেই চলতেন। আমাদের পরীক্ষা হয়ে গেল। কাকা নিয়ে চলে গেলেন তাঁর কাছে। কাঁকুলিয়া রোডের সেই বাড়িতে চার-পাঁচ দিন থেকে এলাম। দারুণ কাটত সময়টা। কাকা যে কত বড় মাপের মানুষ, সেটা বুঝেছি উনি চলে যাওয়ার পর।
 গানের কথা কী মনে পড়ে?
 যখন গাইতে বসি, দু’জনকেই খুব মনে পড়ে। অনুভব করি, ওঁরা আমার পাশে আছেন। আর সেই সাহসে ভর করেই কত মানুষের সামনে যে গান গেয়েছি...। কাকা যখন বাবার কাছে গান তুলতে আসতেন... বাবা শেখাচ্ছেন, কাকা গান তুলছেন...দুর্লভ এক দৃশ্য। যার সাক্ষী আমি। এগুলো থেকেই তো অনেক কিছু শিখেছি-জেনেছি। পরবর্তীকালে নিজে যখন কোনও অনুষ্ঠানে গেয়েছি, ভাবতে পারবেন না কত বয়স্ক মানুষ এসে আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন। বাধা দিলে বলেছেন, ‘আপনি কার ছেলে, কার ভাইপো দেখতে হবে তো...।’ এই প্রাপ্তি কোথায় রাখি...! এইসব অভিজ্ঞতার পরে স্তব্ধতা ঘিরে ধরে আমায়। এক একটা অনুষ্ঠানে এমনও হয়েছে, শ্রোতা খুব সাংঘাতিক। ধরে নিন, গান শোনার লোকই তারা নয়। বাবা-কাকার নাম করে আমি গাইতে শুরু করেছি, টানা এক ঘণ্টা পিন পড়ার নিস্তব্ধতা। ওঠার পরে চরম হাততালি। এ তো বাবা-কাকারই আশীর্বাদ! তা ছাড়া কোনওমতেই হয় না... হতে পারে না। আমি গান করি, আমার মতো চেষ্টা করি। তার মধ্যে কেউ যদি অসাধারণ কিছু খুঁজে পান, সেটাও বাবা-কাকার আশীর্বাদ।
 তাঁদের থেকে কিছু পাওয়া বাকি থেকে গিয়েছে মনে হয়?
 সে তো বটেই। মনে হয় ওঁরা যদি আরও কিছু দিন কাছে থাকতেন, আরও অনেক কিছু শিখে নিতে পারতাম। আরও ভালো করে নিজেকে তৈরি করতে পারতাম। তখন তো গাছের ফল, পাড়ছি আর খাচ্ছি। সেই গাছ তো আর নেই... কিনে খেতে হবে। মূল্যটা এখন এসে বুঝতে পারি।
 পান্নালালবাবুর শেষের সময়টা মনে আছে?
 তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে বহু রটনা আছে। একমাত্র সত্যি কথা যেটা আমি বাবার থেকে শুনেছিলাম, মাতৃদর্শন না পেয়ে অভিমানে তিনি চলে গিয়েছিলেন। শ্যামা মাকে পেলাম না, এ ছিল তাঁর চরম কষ্ট। আর কোনও রটনা এর মধ্যে ছিল না। অনেক কথা কানে আসে আমাদের, কাগজে ছাপাও হয়, তাঁরা কেউ কোনওদিন তাঁকে দেখেছেন বলে শুনিনি। অথচ তাঁরা নানারকম বলে যান... হাসি পায়। বাইরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সেই ভদ্রলোকের একটা কথা আমার আজও মনে আছে। বলেছিলেন, কালীপুজো মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই কথাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। এই তিন উপকরণের কোনও একটিকে বাদ দিয়ে পুজো হবে না। এই সম্পূর্ণতা খুঁজে পাওয়ার মধ্যেই তো সার্থকতা।
 ছবি ও গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল    
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
15th  November, 2020
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
করোনা ভাইরাস ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছর টানা লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার। ...

বাড়ির সামনেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করার সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি সালমা বেগম, মহসিন মল্লিক, রাবেয়া বেগম সহ খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাসিন্দা। আর ...

কালনা থানার সুলতানপুরের উপলতিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম রীনা টুডু(২৩)।  এই ঘটনায় পুলিস মৃতার স্বামীকে আটক করেছে। ...

কেবল মোদি সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইনই নয়, রাজ্যের সম্পর্কযুক্ত একাধিক জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা চাইছে বাম ও কংগ্রেস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮ - কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯০১ - ভাষাতাত্ত্বিকও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০ - বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২ - কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
১৯২৪ -  বিশিষ্ট বাঙালি আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০ - অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১ - সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ।
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৬ টাকা ৭৩.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৩১ টাকা ১০১.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া ৩/২৮ দিবা ৭/৪৬। শতভিষা নক্ষত্র ৫৯/২৫ শেষ রাত্রি ৬/৯। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া দিবা ৮/৫৫। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/২৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১/৮ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৪/৪৬ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  ...বিশদ

09:07:32 PM

আইএসএল: মুম্বই :০ হায়দরাবাদ: ০ (প্রথমার্ধ)

08:29:29 PM

রাজ্যে টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন চারজন
করোনা টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের চারজনের অসুস্থ হওয়ার ...বিশদ

07:22:06 PM

রাজ্যে আজ কতজন পেলেন করোনার টিকা
রাজ্যের ১৫৬০০ জন স্বাস্থকর্মী টিকা পেয়েছেন। এখনও  পর্যন্ত পাওয়া খবর ...বিশদ

07:19:53 PM

প্রথমদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৭% স্বাস্থ্য কর্মী টিকা নিলেন

06:59:00 PM

বাংলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩০০ জন
কোউইন সার্ভার বিপর্যয়ের আজ দেশজুড়ে কতজন করোনার টিকা নিলেন তার ...বিশদ

06:23:00 PM