Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

একবার দেখা দিলি না মা... 

আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত।

 এত সাধনা, কণ্ঠে বেদনা... তারপরও মায়ের দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল না?
 হ্যাঁ, বাবার অনেকবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে। নানাভাবে... নানা জায়গায়। কাকা ছিলেন বাবার একান্ত অনুগামী। বাবা জীবনে যা যা করতেন, প্রতি ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করতেন কাকা। বাবার প্রতি ওঁর ভক্তি ছিল সাংঘাতিক। কারণ আমার দাদু যখন মারা যান, কাকা তখনও মায়ের গর্ভে। বাবা তাই কাকাকে পুত্রবৎ মানুষ করেছিলেন। কাকাও বাবাকে যে কতটা সম্মান করতেন, বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু ওঁর আক্ষেপ ছিল একটাই... মায়ের এত নামগান করেন, তবু কেন তাঁর দেখা পান না। বলতেন, ‘এত করে ডাকি তোকে, আমায় কেন একবার দর্শন দিলি না!’ মনের এই কষ্ট, যাতনা বা জ্বালা যা-ই বলুন, তাঁকে কুরে কুরে খেত। স্নান করে ঠাকুরের কাছে আহ্নিক-পুজো আর পাঁচ জনের মতো তিনিও করতেন। কিন্তু ওঁর আসল পুজো ছিল গান। মায়ের গানকে উনি যে মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে প্রতি শব্দে ভক্তির জোয়ার আসত। সেই জন্যই আলাদা পুজোর দরকার ওঁর অন্তত ছিল না। এখনও কেউ যদি মায়ের সামনে বসে ওঁর কোনও গান গুনগুন করে গায়, তাতেই দেখবেন কী অদ্ভুত শান্তি। খুব বাস্তব কথা বলছি। কোনও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পথে হেঁটে নয়, শুধুমাত্র সাধারণ শ্যামাসংগীত গেয়ে এত জনপ্রিয়তা পৃথিবীতে কেউ পেয়েছেন বলে আমি জানি না।
 দুই ভাইয়ের অন্তরঙ্গতাও তো এক অনুপ্রেরণা...
 হাওড়ায় সরস্বতী পুজোর সময় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বাবা সেদিন কলকাতায় আসবেন। কাকা তখন হাওড়ারই বাড়িতে। সেবার বাবা বেরনোর সময় বলে গিয়েছেন, ও (পান্নালাল) এলে একটা টাকাও কেউ দেবে না। কারণ সেদিন বিকেলে অনুষ্ঠান ছিল... দু’জনেরই। বাবা-কাকার মোট তিনটি অনুষ্ঠান ছিল সেদিন। কিন্তু কাকা তক্কে তক্কে ছিলেন। বাবা যেই বেরিয়েছেন, কাকা ছুটে এসেছেন আমার মায়ের কাছে... ‘টাকা দাও, ঘুড়ি কিনব।’ মা বলছেন, ‘না কোনওমতেই না। তোমার মেজদা বারণ করে গিয়েছেন।’ সে ছাড়বে না। বাচ্চা ছেলের মতো বায়না... জবরদস্তি। আদায় করেই ঘুড়ির কিনতে দে দৌড়। শাসন ছিল... স্নেহও। এইসব ছোট ছোট ঘটনা, এই নৈকট্য তো বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় না! এটা একবোরেই আন্তরিক। আমি বাবা-কাকা সম্পর্কে বলতে শুরু করলে শেষ হবে না...। বাবা বলতেন, ‘আমার কখনও কোনও হিংসে হয়নি। তবে বলতে পারি শ্যামাসংগীতে ওর পর্যায়ে কেউ নেই, আগামীতেও হবে না।’ ‘সাধ না মিটিল আশা না পুরিল...’ বেরোবার পরে ভারতজুড়ে কাকার জনপ্রিয়তা যে শিখর ছুঁয়েছিল, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি।
ফিল্মের গান, ভক্তিগীতি সবই বাবা করেছেন। সব ভক্তিমূলক ছবিতেই বাবার গান থাকত একটা সময়। এরপরে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে নন-ফিল্ম শ্যামাসংগীত করুন। তখন বাবা বলেছিলেন, ‘ওটা পান্নার জন্য। পান্না ছাড়া কাউকে মানাবে না। ওর মতো আন্তরিক নিবেদন আর কারও নেই।’ কাকার আবার ভীষণ ঝোঁক ছিল আধুনিক গান গাইবার। বাবার সব গান ভালোবাসতেন। বাবা বললেন, ‘শ্যামাসংগীতটা তোমার জন্য থাক। তুমি ওটাই গাও।’ তাতে যে সুনাম কাকা পেলেন, তারপর ইচ্ছে থাকলেও আর অন্য গানে ফেরেননি।
 শোনা যায়, পান্নালালবাবু একবার নাকি ভবতারিণীর তুঁতেরঙা বেনারসি পরা রূপ আগেই দেখতে পেয়েছিলেন?
 একবার ফাংশান করে অনেক শিল্পী মিলে ফিরছিলেন ট্রেনে। হঠাৎ কাকা চুপচাপ হয়ে গেলেন। এমনিতে খুব হুল্লোড়ে মানুষ, সবসময় হইহই, মজা করা অভ্যেস। সবার সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে যাবেন... গাড়িতে যখন উঠছেন, দেখা গেল এক চ্যাঙারি মিষ্টি, কচুরি নিয়ে উঠছেন কাকা। সেই মানুষকে চুপচাপ দেখে সবাই অবাক। সবাই জিজ্ঞেস করছেন, ‘কী ব্যাপার, তোর কী হল? চুপ করে গেছিস।’ নির্মলা মিশ্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষেরা ছিলেন সঙ্গী। খানিক পরে কাকা তাঁদের বললেন, ‘দেখতে পাচ্ছি ভবতারিণী মাকে তুঁতে রঙের বেনারসি শাড়ি পরানো হয়েছে।’ সবাই তখন তাচ্ছিল্য করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তখন উনি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে সবাইকে জোর করে নামালেন। বললেন, ‘বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি করে দেব। কিন্তু মায়ের দর্শন করতে হবে।’ সেখানে সবাইকে নিয়ে গিয়ে দেখলেন, মাকে তুঁতে রঙেরই বেনারসি পরানো হয়েছে। সে দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
 মায়ের দেখা না পেয়ে ওঁর কি সংসারে বৈরাগ্য এসেছিল?
 মায়ের জন্য এমন টান যাঁদের থাকে, অপ্রাপ্তিতে তাঁদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। যাতে মন থাকে, তা থেকে মন সরে যায়। কাকা কায়মনোবাক্যে, অন্তর দিয়ে মাকে চেয়েছিলেন। প্রত্যক্ষভাবে হয়তো পাননি। কিন্তু পরোক্ষভাবে পেয়েছেন। দেখুন রামপ্রসাদ যেমন সরাসরি মাকে পেয়েছিলেন, ওঁর সেই সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু কাকা তো মায়ের আশীর্বাদ, পরশ সবই পেয়েছেন। না হলে অমন আকুলতা আসে নাকি গলায়? তবে মাকে না পেয়ে সংসার থেকে সরে গিয়েছিলেন, এ কথা বলা যায় না। উনি চরম সংসারী ছিলেন। আমার তিন খুড়তুতো বোন। তাঁদের ভাত মেখে খাইয়ে দিতেন, চুল বেঁধে দিতেন। এতটাই সংসারী ছিলেন তিনি। সংসারের প্রতি কোনও বিরূপতা কখনও আসেনি।
 শোনা যায়, একটা সময় শ্মশানে গিয়ে বসে থাকতেন?
 হ্যাঁ। বালিতে বারেন্দ্রপাড়ায় আমাদের নিজস্ব শ্মশানঘাট ছিল। উনি প্রায়শই রাতে ওখানে গিয়ে বসে বসে কাঁদতেন। গানও করতেন। কিন্তু সংসার থেকে দূরে গিয়ে নয়।
 আপনি কীভাবে পেয়েছেন তাঁকে?
 গান করি ঠিকই। কিন্তু ওই দুই ভাইয়ের আন্তরিকতা হয়তো খুঁজে পাই না। খুব চেষ্টা করি... অন্তর দিয়ে গাইতে। ওঁদেরই মতো গান করি। কিন্তু ওঁদের দু’জনের মতো হওয়া...! আগামী একশো কেন, দু’শো বছরেও হবে না কেউ। এটা স্পষ্টতই আমার মনে হয়। আর কে কী বলবেন, আমি জানি না। আগামী দু’শো বছরে আর ধনঞ্জয়-পান্নালাল আসবে না।
 শৈশব স্মৃতি...
 আমার কাকা যে একজন এত বড় শিল্পী, মানুষের এত কাছের, এত জনপ্রিয়... আমরা কোনওদিন এসব বুঝতাম না। তিনি এমনভাবে আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন... ইয়ার্কি ফাজলামি কিছু বাদ যেত না! এমনভাবেই চলতেন। আমাদের পরীক্ষা হয়ে গেল। কাকা নিয়ে চলে গেলেন তাঁর কাছে। কাঁকুলিয়া রোডের সেই বাড়িতে চার-পাঁচ দিন থেকে এলাম। দারুণ কাটত সময়টা। কাকা যে কত বড় মাপের মানুষ, সেটা বুঝেছি উনি চলে যাওয়ার পর।
 গানের কথা কী মনে পড়ে?
 যখন গাইতে বসি, দু’জনকেই খুব মনে পড়ে। অনুভব করি, ওঁরা আমার পাশে আছেন। আর সেই সাহসে ভর করেই কত মানুষের সামনে যে গান গেয়েছি...। কাকা যখন বাবার কাছে গান তুলতে আসতেন... বাবা শেখাচ্ছেন, কাকা গান তুলছেন...দুর্লভ এক দৃশ্য। যার সাক্ষী আমি। এগুলো থেকেই তো অনেক কিছু শিখেছি-জেনেছি। পরবর্তীকালে নিজে যখন কোনও অনুষ্ঠানে গেয়েছি, ভাবতে পারবেন না কত বয়স্ক মানুষ এসে আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন। বাধা দিলে বলেছেন, ‘আপনি কার ছেলে, কার ভাইপো দেখতে হবে তো...।’ এই প্রাপ্তি কোথায় রাখি...! এইসব অভিজ্ঞতার পরে স্তব্ধতা ঘিরে ধরে আমায়। এক একটা অনুষ্ঠানে এমনও হয়েছে, শ্রোতা খুব সাংঘাতিক। ধরে নিন, গান শোনার লোকই তারা নয়। বাবা-কাকার নাম করে আমি গাইতে শুরু করেছি, টানা এক ঘণ্টা পিন পড়ার নিস্তব্ধতা। ওঠার পরে চরম হাততালি। এ তো বাবা-কাকারই আশীর্বাদ! তা ছাড়া কোনওমতেই হয় না... হতে পারে না। আমি গান করি, আমার মতো চেষ্টা করি। তার মধ্যে কেউ যদি অসাধারণ কিছু খুঁজে পান, সেটাও বাবা-কাকার আশীর্বাদ।
 তাঁদের থেকে কিছু পাওয়া বাকি থেকে গিয়েছে মনে হয়?
 সে তো বটেই। মনে হয় ওঁরা যদি আরও কিছু দিন কাছে থাকতেন, আরও অনেক কিছু শিখে নিতে পারতাম। আরও ভালো করে নিজেকে তৈরি করতে পারতাম। তখন তো গাছের ফল, পাড়ছি আর খাচ্ছি। সেই গাছ তো আর নেই... কিনে খেতে হবে। মূল্যটা এখন এসে বুঝতে পারি।
 পান্নালালবাবুর শেষের সময়টা মনে আছে?
 তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে বহু রটনা আছে। একমাত্র সত্যি কথা যেটা আমি বাবার থেকে শুনেছিলাম, মাতৃদর্শন না পেয়ে অভিমানে তিনি চলে গিয়েছিলেন। শ্যামা মাকে পেলাম না, এ ছিল তাঁর চরম কষ্ট। আর কোনও রটনা এর মধ্যে ছিল না। অনেক কথা কানে আসে আমাদের, কাগজে ছাপাও হয়, তাঁরা কেউ কোনওদিন তাঁকে দেখেছেন বলে শুনিনি। অথচ তাঁরা নানারকম বলে যান... হাসি পায়। বাইরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সেই ভদ্রলোকের একটা কথা আমার আজও মনে আছে। বলেছিলেন, কালীপুজো মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই কথাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। এই তিন উপকরণের কোনও একটিকে বাদ দিয়ে পুজো হবে না। এই সম্পূর্ণতা খুঁজে পাওয়ার মধ্যেই তো সার্থকতা।
 ছবি ও গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল    
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
15th  November, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ভালো ফল করাই এখন লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার। একদিনের সিরিজের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দলকে আরও শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করবেন বলে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ভাঙা রাস্তায় মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। বাচ্চাদের নিয়ে অত্যন্ত সাবধানে যাতায়াত করতে হয়। বেহাল রাস্তায় গাড়ির গতি একটু বেশি হলেই রয়েছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।  ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: এক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। গরিব, অসহায় ছেলে সরকারি সুবিধার আশায় মায়ের মৃত্যুর সরকারি নথির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন বছরভর। এখনও মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট।   ...

সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে জামাত উদ দাওয়ার মুখপাত্র ইয়াহিয়া মুজাহিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাস দমন আদালত। মুজাহিদ ছাড়াও বুধবার জামাতের শীর্ষ নেতা জাফর ইকবালকে ১৫ বছর এবং হাফিজের শ্যালক আব্দুল রহমান মাক্কিকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৮২৯- সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪- ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯১০- ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪- মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭- ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯৭.১৫ টাকা ১০০.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৯২ টাকা ৯১.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০, ০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭, ৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮, ২১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী ৩৪/৫৫ রাত্রি ৮/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র ১৮/৫২ দিবা ১/৩৯। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৯/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী রাত্রি ৫/৪৫। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১২/২৮। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৮ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি 
মেষ: সৃষ্টিশীল কাজে কৃতিত্বের সুযোগ। বৃষ: একাধিক উপায়ে অর্থাগমের সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
ভারতীয় নৌ দিবস১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু১৮২৯- ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: চেন্নাইকে ১-০ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু 

09:32:56 PM

আইএসএল: চেন্নাই ০ বেঙ্গালুরু ১ (৫৫ মিনিট) 

08:52:01 PM

ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। যার আনুমানিক মূল্য ...বিশদ

07:31:00 PM

প্রথম টি-২০: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১ রানে জিতল ভারত

05:33:31 PM