Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

একবার দেখা দিলি না মা... 

আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত।

 এত সাধনা, কণ্ঠে বেদনা... তারপরও মায়ের দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল না?
 হ্যাঁ, বাবার অনেকবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে। নানাভাবে... নানা জায়গায়। কাকা ছিলেন বাবার একান্ত অনুগামী। বাবা জীবনে যা যা করতেন, প্রতি ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করতেন কাকা। বাবার প্রতি ওঁর ভক্তি ছিল সাংঘাতিক। কারণ আমার দাদু যখন মারা যান, কাকা তখনও মায়ের গর্ভে। বাবা তাই কাকাকে পুত্রবৎ মানুষ করেছিলেন। কাকাও বাবাকে যে কতটা সম্মান করতেন, বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু ওঁর আক্ষেপ ছিল একটাই... মায়ের এত নামগান করেন, তবু কেন তাঁর দেখা পান না। বলতেন, ‘এত করে ডাকি তোকে, আমায় কেন একবার দর্শন দিলি না!’ মনের এই কষ্ট, যাতনা বা জ্বালা যা-ই বলুন, তাঁকে কুরে কুরে খেত। স্নান করে ঠাকুরের কাছে আহ্নিক-পুজো আর পাঁচ জনের মতো তিনিও করতেন। কিন্তু ওঁর আসল পুজো ছিল গান। মায়ের গানকে উনি যে মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে প্রতি শব্দে ভক্তির জোয়ার আসত। সেই জন্যই আলাদা পুজোর দরকার ওঁর অন্তত ছিল না। এখনও কেউ যদি মায়ের সামনে বসে ওঁর কোনও গান গুনগুন করে গায়, তাতেই দেখবেন কী অদ্ভুত শান্তি। খুব বাস্তব কথা বলছি। কোনও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পথে হেঁটে নয়, শুধুমাত্র সাধারণ শ্যামাসংগীত গেয়ে এত জনপ্রিয়তা পৃথিবীতে কেউ পেয়েছেন বলে আমি জানি না।
 দুই ভাইয়ের অন্তরঙ্গতাও তো এক অনুপ্রেরণা...
 হাওড়ায় সরস্বতী পুজোর সময় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বাবা সেদিন কলকাতায় আসবেন। কাকা তখন হাওড়ারই বাড়িতে। সেবার বাবা বেরনোর সময় বলে গিয়েছেন, ও (পান্নালাল) এলে একটা টাকাও কেউ দেবে না। কারণ সেদিন বিকেলে অনুষ্ঠান ছিল... দু’জনেরই। বাবা-কাকার মোট তিনটি অনুষ্ঠান ছিল সেদিন। কিন্তু কাকা তক্কে তক্কে ছিলেন। বাবা যেই বেরিয়েছেন, কাকা ছুটে এসেছেন আমার মায়ের কাছে... ‘টাকা দাও, ঘুড়ি কিনব।’ মা বলছেন, ‘না কোনওমতেই না। তোমার মেজদা বারণ করে গিয়েছেন।’ সে ছাড়বে না। বাচ্চা ছেলের মতো বায়না... জবরদস্তি। আদায় করেই ঘুড়ির কিনতে দে দৌড়। শাসন ছিল... স্নেহও। এইসব ছোট ছোট ঘটনা, এই নৈকট্য তো বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় না! এটা একবোরেই আন্তরিক। আমি বাবা-কাকা সম্পর্কে বলতে শুরু করলে শেষ হবে না...। বাবা বলতেন, ‘আমার কখনও কোনও হিংসে হয়নি। তবে বলতে পারি শ্যামাসংগীতে ওর পর্যায়ে কেউ নেই, আগামীতেও হবে না।’ ‘সাধ না মিটিল আশা না পুরিল...’ বেরোবার পরে ভারতজুড়ে কাকার জনপ্রিয়তা যে শিখর ছুঁয়েছিল, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি।
ফিল্মের গান, ভক্তিগীতি সবই বাবা করেছেন। সব ভক্তিমূলক ছবিতেই বাবার গান থাকত একটা সময়। এরপরে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে নন-ফিল্ম শ্যামাসংগীত করুন। তখন বাবা বলেছিলেন, ‘ওটা পান্নার জন্য। পান্না ছাড়া কাউকে মানাবে না। ওর মতো আন্তরিক নিবেদন আর কারও নেই।’ কাকার আবার ভীষণ ঝোঁক ছিল আধুনিক গান গাইবার। বাবার সব গান ভালোবাসতেন। বাবা বললেন, ‘শ্যামাসংগীতটা তোমার জন্য থাক। তুমি ওটাই গাও।’ তাতে যে সুনাম কাকা পেলেন, তারপর ইচ্ছে থাকলেও আর অন্য গানে ফেরেননি।
 শোনা যায়, পান্নালালবাবু একবার নাকি ভবতারিণীর তুঁতেরঙা বেনারসি পরা রূপ আগেই দেখতে পেয়েছিলেন?
 একবার ফাংশান করে অনেক শিল্পী মিলে ফিরছিলেন ট্রেনে। হঠাৎ কাকা চুপচাপ হয়ে গেলেন। এমনিতে খুব হুল্লোড়ে মানুষ, সবসময় হইহই, মজা করা অভ্যেস। সবার সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে যাবেন... গাড়িতে যখন উঠছেন, দেখা গেল এক চ্যাঙারি মিষ্টি, কচুরি নিয়ে উঠছেন কাকা। সেই মানুষকে চুপচাপ দেখে সবাই অবাক। সবাই জিজ্ঞেস করছেন, ‘কী ব্যাপার, তোর কী হল? চুপ করে গেছিস।’ নির্মলা মিশ্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষেরা ছিলেন সঙ্গী। খানিক পরে কাকা তাঁদের বললেন, ‘দেখতে পাচ্ছি ভবতারিণী মাকে তুঁতে রঙের বেনারসি শাড়ি পরানো হয়েছে।’ সবাই তখন তাচ্ছিল্য করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তখন উনি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে সবাইকে জোর করে নামালেন। বললেন, ‘বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি করে দেব। কিন্তু মায়ের দর্শন করতে হবে।’ সেখানে সবাইকে নিয়ে গিয়ে দেখলেন, মাকে তুঁতে রঙেরই বেনারসি পরানো হয়েছে। সে দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
 মায়ের দেখা না পেয়ে ওঁর কি সংসারে বৈরাগ্য এসেছিল?
 মায়ের জন্য এমন টান যাঁদের থাকে, অপ্রাপ্তিতে তাঁদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। যাতে মন থাকে, তা থেকে মন সরে যায়। কাকা কায়মনোবাক্যে, অন্তর দিয়ে মাকে চেয়েছিলেন। প্রত্যক্ষভাবে হয়তো পাননি। কিন্তু পরোক্ষভাবে পেয়েছেন। দেখুন রামপ্রসাদ যেমন সরাসরি মাকে পেয়েছিলেন, ওঁর সেই সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু কাকা তো মায়ের আশীর্বাদ, পরশ সবই পেয়েছেন। না হলে অমন আকুলতা আসে নাকি গলায়? তবে মাকে না পেয়ে সংসার থেকে সরে গিয়েছিলেন, এ কথা বলা যায় না। উনি চরম সংসারী ছিলেন। আমার তিন খুড়তুতো বোন। তাঁদের ভাত মেখে খাইয়ে দিতেন, চুল বেঁধে দিতেন। এতটাই সংসারী ছিলেন তিনি। সংসারের প্রতি কোনও বিরূপতা কখনও আসেনি।
 শোনা যায়, একটা সময় শ্মশানে গিয়ে বসে থাকতেন?
 হ্যাঁ। বালিতে বারেন্দ্রপাড়ায় আমাদের নিজস্ব শ্মশানঘাট ছিল। উনি প্রায়শই রাতে ওখানে গিয়ে বসে বসে কাঁদতেন। গানও করতেন। কিন্তু সংসার থেকে দূরে গিয়ে নয়।
 আপনি কীভাবে পেয়েছেন তাঁকে?
 গান করি ঠিকই। কিন্তু ওই দুই ভাইয়ের আন্তরিকতা হয়তো খুঁজে পাই না। খুব চেষ্টা করি... অন্তর দিয়ে গাইতে। ওঁদেরই মতো গান করি। কিন্তু ওঁদের দু’জনের মতো হওয়া...! আগামী একশো কেন, দু’শো বছরেও হবে না কেউ। এটা স্পষ্টতই আমার মনে হয়। আর কে কী বলবেন, আমি জানি না। আগামী দু’শো বছরে আর ধনঞ্জয়-পান্নালাল আসবে না।
 শৈশব স্মৃতি...
 আমার কাকা যে একজন এত বড় শিল্পী, মানুষের এত কাছের, এত জনপ্রিয়... আমরা কোনওদিন এসব বুঝতাম না। তিনি এমনভাবে আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন... ইয়ার্কি ফাজলামি কিছু বাদ যেত না! এমনভাবেই চলতেন। আমাদের পরীক্ষা হয়ে গেল। কাকা নিয়ে চলে গেলেন তাঁর কাছে। কাঁকুলিয়া রোডের সেই বাড়িতে চার-পাঁচ দিন থেকে এলাম। দারুণ কাটত সময়টা। কাকা যে কত বড় মাপের মানুষ, সেটা বুঝেছি উনি চলে যাওয়ার পর।
 গানের কথা কী মনে পড়ে?
 যখন গাইতে বসি, দু’জনকেই খুব মনে পড়ে। অনুভব করি, ওঁরা আমার পাশে আছেন। আর সেই সাহসে ভর করেই কত মানুষের সামনে যে গান গেয়েছি...। কাকা যখন বাবার কাছে গান তুলতে আসতেন... বাবা শেখাচ্ছেন, কাকা গান তুলছেন...দুর্লভ এক দৃশ্য। যার সাক্ষী আমি। এগুলো থেকেই তো অনেক কিছু শিখেছি-জেনেছি। পরবর্তীকালে নিজে যখন কোনও অনুষ্ঠানে গেয়েছি, ভাবতে পারবেন না কত বয়স্ক মানুষ এসে আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন। বাধা দিলে বলেছেন, ‘আপনি কার ছেলে, কার ভাইপো দেখতে হবে তো...।’ এই প্রাপ্তি কোথায় রাখি...! এইসব অভিজ্ঞতার পরে স্তব্ধতা ঘিরে ধরে আমায়। এক একটা অনুষ্ঠানে এমনও হয়েছে, শ্রোতা খুব সাংঘাতিক। ধরে নিন, গান শোনার লোকই তারা নয়। বাবা-কাকার নাম করে আমি গাইতে শুরু করেছি, টানা এক ঘণ্টা পিন পড়ার নিস্তব্ধতা। ওঠার পরে চরম হাততালি। এ তো বাবা-কাকারই আশীর্বাদ! তা ছাড়া কোনওমতেই হয় না... হতে পারে না। আমি গান করি, আমার মতো চেষ্টা করি। তার মধ্যে কেউ যদি অসাধারণ কিছু খুঁজে পান, সেটাও বাবা-কাকার আশীর্বাদ।
 তাঁদের থেকে কিছু পাওয়া বাকি থেকে গিয়েছে মনে হয়?
 সে তো বটেই। মনে হয় ওঁরা যদি আরও কিছু দিন কাছে থাকতেন, আরও অনেক কিছু শিখে নিতে পারতাম। আরও ভালো করে নিজেকে তৈরি করতে পারতাম। তখন তো গাছের ফল, পাড়ছি আর খাচ্ছি। সেই গাছ তো আর নেই... কিনে খেতে হবে। মূল্যটা এখন এসে বুঝতে পারি।
 পান্নালালবাবুর শেষের সময়টা মনে আছে?
 তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে বহু রটনা আছে। একমাত্র সত্যি কথা যেটা আমি বাবার থেকে শুনেছিলাম, মাতৃদর্শন না পেয়ে অভিমানে তিনি চলে গিয়েছিলেন। শ্যামা মাকে পেলাম না, এ ছিল তাঁর চরম কষ্ট। আর কোনও রটনা এর মধ্যে ছিল না। অনেক কথা কানে আসে আমাদের, কাগজে ছাপাও হয়, তাঁরা কেউ কোনওদিন তাঁকে দেখেছেন বলে শুনিনি। অথচ তাঁরা নানারকম বলে যান... হাসি পায়। বাইরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সেই ভদ্রলোকের একটা কথা আমার আজও মনে আছে। বলেছিলেন, কালীপুজো মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই কথাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। এই তিন উপকরণের কোনও একটিকে বাদ দিয়ে পুজো হবে না। এই সম্পূর্ণতা খুঁজে পাওয়ার মধ্যেই তো সার্থকতা।
 ছবি ও গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল    
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
15th  November, 2020
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM

অধীর আজ খাচ্ছে সাইবাড়ির রক্ত মাথা ভাত: অভিষেক

02:46:00 PM