Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। এখনও মনে আছে, অনেকদিন মণ্ডপে কাটানোর পর চতুর্থীর সকালে বাড়ি ফিরেছিলাম। সরশুনার ভিতরে ক্ষুদিরাম পল্লিতে আমার বাড়ি। কিছুক্ষণ কাটিয়েই আবার ছুট। তখন তো বয়স কম, প্রচণ্ড এনার্জি। বিশ্রামের প্রয়োজন অনুভব করতাম না। সখেরবাজারে পৌঁছে দেখলাম, চৌরাস্তার দিকে মুখ করে লম্বা লাইন। ৩৭ নম্বর রুটের ট্রাম থেকে পিলপিল করে লোক নামছে। প্রথমে মনে হল, বড়িশা সহযাত্রীর পুজো দেখার ভিড়। কয়েক পা হাঁটতেই ভুল ভাঙল। কালো মাথায় ছয়লাপ তো আমারই কাজ দেখার জন্য। মুহূর্তে মনের ভিতরটা কেমন করে উঠল! অথচ এই কাজটা আমি করতেই চাইনি। সে বছরই গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে ওয়েস্টার্ন পেন্টিং নিয়ে পাশ করেছি। পুজো কমিটির প্রস্তাব ফিরিয়েই দিয়েছিলাম। ঐতিহ্যশালী কলেজ, এত ভালো রেজাল্ট—বিরাট কৌলিন্য ছিল আমার। কিন্তু প্রথম দুর্গাপুজোর কাজ করার পর বুঝলাম, এটাও একটা প্ল্যাটফর্ম। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে একজন শিল্পীর অনেক কিছু করা সম্ভব। এই উপলব্ধি দ্বিগুণ হল পরের বছর। সেবার বড়িশার সৃষ্টি সুযোগ দেয় প্রতিমা গড়ার। থিম ছিল কাঠপুতুলের আদলে। শিল্পী অমর সরকার। নতুন আঙ্গিকে প্রতিমা আমিই বানিয়ে ছিলাম। যা আমায় ভব থেকে ভবতোষ সুতারে বদলে দিয়েছে।
কলকাতায় অনেকগুলো দফায় দুর্গাপুজোর পট পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সময় কেন জোয়ার এল? কারণ, আমরা (সমসাময়িক শিল্পীরা) শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর বিষয়-ভাবনা নিয়ে সময় কাটাই না। প্রত্যেকেরই আলাদা আর্ট প্র্যাকটিস রয়েছে। নিরন্তর চর্চাই যে কোনও শিল্প এবং শিল্পীকে উন্নতির পথে পা দিতে শেখায়। আমি, সনাতন দিন্দা, সুশান্ত পাল, আরও কত নাম— প্রত্যেকের নিজস্ব আর্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ও চর্চা রয়েছে। শারদোৎসবের হাত ধরে পাবলিক আর্টে তার প্রভাব অবশ্যই পড়েছে।
২০০০ সালের আগে আমরা মূলত দেখতাম কাঁথির ডেকরেটারদের। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ডিজাইন। সুন্দর কাজ। তারপর আমরা এলাম। পুজোর থিমে নবজাগরণ বলাটা বাড়াবাড়ি, কিন্তু সরাসরি আর্টের প্রভাব পড়ল পুজোয়। ক্রমশ অবলুপ্তির পথে এগিয়ে চলা গ্রামগঞ্জের লোকায়ত শিল্পকে মণ্ডপে তুলে ধরা শুরু হল। পট, টেরাকোটা, কাঠের মুখোশ, গালা পুতুল, টেপা পুতুল, ডোকরা আরও কত কী! তা দিয়েই সাজল শহরের দুর্গাপুজো। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই।
বন্দন রাহার ভাঁড়ের মণ্ডপ কার্যত কলকাতার থিমপুজোর ‘শোলে’। ওই সময় এভাবে এরকম মেটেরিয়াল ব্যবহার করার কথা কেউ ভাবেনি। এত সারল্য। আজ ভাঁড়ের কিছু ভাবা হলে হয়তো সেই উন্মাদনা থাকবে না। কিন্তু তখন মানুষের কাছে ওটাই বিশাল ব্যাপার ছিল।
কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে তাতেও এল ব্যাপক বদল। শিল্পীর নিজস্ব ভাবনার উপস্থাপন এতদিন ছিল না। এবার শুরু হল সেই কাজ। আইডিয়া তুলে ধরার জন্য অনুষঙ্গ হিসেবে আমিও ফোক আর্ট ফর্ম ব্যবহার শুরু করলাম। এটা চলল তিন-চার বছর। তারপর দুর্গাপুজো হয়ে উঠল সরাসরি সামাজিক ইস্যুভিত্তিক থিমের আঙিনা। নারী নির্যাতন, জাতপাত— সমাজের জ্বলন্ত সমস্যা। এখন যেটা চলছে, সেটা পুরোপুরি ‘কনসেপচুয়াল প্র্যাকটিস’। যার সঙ্গে জুড়েছে পাবলিক আর্ট, ইনস্টলেশন আর্টের মতো গালভরা টার্ম। ধর্মীয় বিধি কোথাও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বেড়েছে মানুষের অংশগ্রহণও।
বছরের চারটে মাস শিল্পীরা কখনও গলিতে, কখনও রাস্তায়, কখনও বা মাঠে নিয়ে চলে আসছে তাঁদের স্টুডিও। বিভিন্ন ধরনের শিল্পী-কারিগর এক জায়গায় এসে কাজ করছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে শিল্প সচেতনতা। এটাই বিশাল প্রাপ্তি। কলকাতার মানুষের মনন, চেতনা অনেক বদলে দিয়েছে শহরের দুর্গাপুজোগুলি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আর ১০ বছর পর কল্লোলিনী তিলোত্তমার পুজো বিশ্বের মানচিত্রে স্থায়ী জায়গা করে নেবে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান যে শিল্প ও সংস্কৃতির উৎসব হয়ে উঠেছে, এ একটা বিরাট ব্যাপার।
আমি কোনওদিন নির্দিষ্ট মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। যেমন চাইনি হোয়াইট কিউব গ্যালারির মধ্যে শুধু কয়েকজন মানুষ আমার শিল্পের বোদ্ধা হোক। ছোট থেকেই স্কাল্পচার আমায় আকর্ষণ করত। ২০০০ সালে বুঝতে পারলাম, দুর্গাপুজো আমার প্ল্যাটফর্ম হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের চর্চা। নিষ্ঠাভরা সাধনাও। যাতে মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায়। আস্তে আস্তে তা বেড়েছে। ধর্মীয় আচারবিধির বাইরে বেরিয়ে এসেছে আজকের দুর্গাপুজো। অনেক রক্ষণশীল জায়গা ছিল প্রতিমার আঙ্গিক নিয়ে। সে সব আর নেই।
কিন্তু তৃপ্তি আসেনি। সন্তুষ্টি এলে হয়তো ২০ বছর ধরে টানা কাজ করে যেতেও পারতাম না। নিজের কাজ বলতে গেলে তিনটি থিমের কথা মনে পড়ে। ২০০৬ সালে লেকটাউন প্রদীপ সঙ্ঘে ‘শব্দ কল্প দ্রুম’, ২০০৭ সালে খিদিরপুর ২৫ পল্লিতে ‘মানবজমিন’ এবং ২০১৬ সালে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের ‘বাঁক’। কিন্তু অন্যদের কাজ দেখলেই মনে হয়, কিছুই করতে পারিনি। অনেকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই। ছোট ছোট শিল্পীদের কাজ দেখি। রাত দুটো পর্যন্ত সুরুচি সঙ্ঘের প্রতিমা রং করতে করতেও সহশিল্পীদের বলি, জেনে রাখো, যদি মাটির মূর্তিতে অনায়াস দক্ষতায় কেউ রঙের আগুন জ্বালতে পারে, সেটা সনাতন দিন্দা। গৌরাঙ্গ কুইল্যা একটা গোটা গ্রামকে পরিচালনা করে। ওই দক্ষতা আমার নেই। ও যে মাপে কাজ করে, যত মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে—তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। প্রদীপ দাস কত ভালো করছে। আমাদের থেকে কত ছোট। গতবার সমাজসেবীর থিম করেছিল। এবারও করছে। পার্থ সেনগুপ্তের কাজও দারুণ। গতবার ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সর্বজনীনের শিল্পী। ওদের সবার থেকে শিখি। প্রকৃত শিল্পীর ধর্ম এটাই।
আমার মতে আর্ট সেটাই, যা মানুষের কাজে লাগে। তবেই তো উৎসবের সার্থকতা। ধর্মের দিক থেকে দেখি না আমি। শিল্পী হিসেবে সামাজিকভাবে দেবী দুর্গাকে জনজীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়াই আমার থিম। এখন পুজোকে ঘিরে রয়েছে বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পকলাকে সরাসরি পাকস্থলির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া গিয়েছে। যাবতীয় কর্মকাণ্ড সবই মা দুর্গাকে ঘিরে। আমার কাছে দেবী এখানেই জাগ্রত। আমার কাছে থিম ওটাই। মুম্বইয়ের গণেশ পুজো নয়। এখানে সামাজিকীকরণ অনেক গভীর। মানুষের সঙ্গে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে পুজো। এখানেই শিল্পীর সার্থকতা। শিল্প তখনই সার্থক, যখন তা মানুষের জন্য হয়ে ওঠে। বিলাসিতার জন্য শিল্প—ভাবতেই পারি না।
 অনুলিখন: সৌম্য নিয়োগী  
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল     
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
11th  October, 2020
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
বাড়ির সামনেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করার সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি সালমা বেগম, মহসিন মল্লিক, রাবেয়া বেগম সহ খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাসিন্দা। আর ...

কেবল মোদি সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইনই নয়, রাজ্যের সম্পর্কযুক্ত একাধিক জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা চাইছে বাম ও কংগ্রেস। ...

প্রতিশ্রুতি মতো নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নয় মহিলা ফুটবলার পেলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি। শুক্রবার থেকে কৃষ্ণনগর পুলিস লাইনে শুরু হল তাঁদের চাকরির প্রশিক্ষণ। ...

দলে ফেরার ছয় মাস পর অবশেষে ‘পুরষ্কৃত হলেন’ বিপ্লব মিত্র। তাঁকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮ - কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯০১ - ভাষাতাত্ত্বিকও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০ - বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২ - কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
১৯২৪ -  বিশিষ্ট বাঙালি আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০ - অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১ - সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ।
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৬ টাকা ৭৩.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৩১ টাকা ১০১.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া ৩/২৮ দিবা ৭/৪৬। শতভিষা নক্ষত্র ৫৯/২৫ শেষ রাত্রি ৬/৯। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া দিবা ৮/৫৫। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/২৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১/৮ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৪/৪৬ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  ...বিশদ

09:07:32 PM

আইএসএল: মুম্বই :০ হায়দরাবাদ: ০ (প্রথমার্ধ)

08:29:29 PM

রাজ্যে টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন চারজন
করোনা টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের চারজনের অসুস্থ হওয়ার ...বিশদ

07:22:06 PM

রাজ্যে আজ কতজন পেলেন করোনার টিকা
রাজ্যের ১৫৬০০ জন স্বাস্থকর্মী টিকা পেয়েছেন। এখনও  পর্যন্ত পাওয়া খবর ...বিশদ

07:19:53 PM

প্রথমদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৭% স্বাস্থ্য কর্মী টিকা নিলেন

06:59:00 PM

বাংলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩০০ জন
কোউইন সার্ভার বিপর্যয়ের আজ দেশজুড়ে কতজন করোনার টিকা নিলেন তার ...বিশদ

06:23:00 PM