Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

সাল, ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ, ৫ আগস্ট, শনিবার, বেলা প্রায় চারটে। স্থান, কলকাতার বাদুড়বাগান। সময়ের পর্বে একটু পরেই এমন একটি ঘটনা ঘটবে, যা কালের স্রোতে ভাসতে ভাসতে ইতিহাসের কূলে গিয়ে আটকে থাকবে চিরকাল। দুই মহামানব মুখোমুখি। একজন ধর্ম যোগী, একজন কর্মযোগী। একজন দেখছেন ঈশ্বরকে, আর একজন দেখছেন অসীমে এক রহস্যকে। সব মানুষের একত্রিত একটি রূপকে। বহুসাধকের সাধনধারা যে আধারে এসে মিশেছে।
প্রথম সম্ভাষণটিই প্রবাদে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরের শ্রীরামকৃষ্ণ বাদুড়বাগানের ঈশ্বরকে বলছেন, ‘আজ যে আমি সাগরে এসে মিললাম। এতদিন খাল বিল হদ্দ নদী দেখেছি আজ আমি সাগর দেখছি।’ তৎক্ষণাৎ প্রত্যুত্তর, ‘তবে নোনাজল খানিকটা নিয়ে যান।’ যেন খশ্‌ ক঩রে বারুদ মাখানো একটি কাঠির জ্বলে ওঠা।
মধুর শ্রীরামকৃষ্ণের শান্ত উত্তর, ‘না গো! নোনাজল কেন? তুমি তো অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর! তুমি ক্ষীর সমুদ্র।’
এই দৃশ্য, এই কথা ‘কালের’ ফিতেতে চিরকালের জন্যে ধরা থাকল। বাষট্টি বছরের বন্ধুর পথ পেরিয়ে বিদ্যাসাগর এই সঙ্গমে এসেছেন, আর শ্রীরামকৃষ্ণ অতিক্রম করেছেন ছেচল্লিশ বছরের জীবন পথ। দুই কল্পতরু মুখোমুখি। একজন দয়ার, আর একজন ধর্মের। শাস্ত্র বলছেন, দয়া, মানব প্রেম, শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ধর্ম আর কর্ম একটি কাঙ্ক্ষিত সমাহার। শ্রীরামকৃষ্ণ এক দর্পণ; বিদ্যাসাগরের সামনে তুলে ধরে যেন বলতে চাইছেন, এতকাল অপরকে দেখলে, এইবার নিজেকে দেখার সময় হয়েছে। তুমি পণ্ডিত, তুমি বিদ্যার সাগর। অনেক পড়েছ, কিন্তু অন্তরে কি আছে দেখনি। ছেলেদের লেখাপড়া শিখিয়ে আনন্দ পাও। অন্যের দুঃখে তোমার প্রাণ কাঁদে। আমি সব জানি। এই মাস্টার আমাকে সব বলেছে। প্রথম, তোমার বিদ্যানুরাগ। মাস্টারের (শ্রীম) কাছে চোখের জলে বলেছিলে, ‘আমার তো খুব ইচ্ছা ছিল, পড়াশোনা করি, কিন্তু কই তা হল। সংসারে পড়ে কিছুই সময় পেলাম না।’ দ্বিতীয়, তোমার সর্বজীবে দয়া। তুমি তো শুধু বিদ্যার সাগর নও, দয়ারও সাগর। বাছুরেরা মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় বলে তুমি দুধ খাওয়া বন্ধ করেছিলে।
ঘোড়া নিজের কষ্ট বলতে পারে না, তাই তুমি ঘোড়ার গাড়িতে চড়ো না! একদিন তুমি এক ঝাঁকা-মুটেঅলাকে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছিলে। একপাশে পড়ে আছে তাঁর ঝাঁকা। সেই মৃত্যুপথ যাত্রী অসহায় মানুষটিকে কোলে করে বাড়িতে তুলে এনে তুমি চিকিৎসা করেছিলে।
তৃতীয়, তোমার স্বাধীনতাপ্রিয়তা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতের অমিল হল বলে সংস্কৃত কলেজের প্রধান অধ্যক্ষের পদ সঙ্গে, সঙ্গে ছেড়ে দিলে। তোমার চতুর্থ গুণ, লোকের অপেক্ষায় না থাকা। তুমি এক শিক্ষককে ভীষণ ভালোবাসতে। তাঁর মেয়ের বিয়ের আইবুড়ো ভাতে কাপড় বগলে নিজেই চলে গেলে।
তোমার পঞ্চম গুণ, তোমার মাতৃভক্তি আর মনোবল। মা বলেছিলেন, ঈশ্বর! তুমি যদি তোমার ভাইয়ের বিয়েতে না আসো, তাহলে আমার মন ভীষণ খারাপ হবে। তুমি কলকাতা থেকে হাঁটা শুরু করলে। পথ আটকে পড়ে আছে দামোদর। পারাপারের নৌকো নেই। সাঁতরে নদী পার হলে। বিয়ের রাতেই ভিজে কাপড়ে মায়ের সামনে—এই দেখ মা, আমি ঠিক এসেছি।
এই সব অবিস্মরণীয় ঘটনা ঠাকুর যত ভাবছেন,ততই ভাবাবিষ্ট হচ্ছেন। বিদ্যাসাগর বসে আছেন চেয়ারে। সামনে টেবিল। বিপরীত দিকের বেঞ্চে বসেছেন ঠাকুর। একেবারে মুখোমুখি। বিদ্যাসাগরের পরিধানে থান কাপড়, হাতকাটা ফ্লানেলের জামা, পায়ে তাঁর সেই বিখ্যাত চটি জুতো (বিদ্যাসাগরী চটি)। মাথার চারপাশ উড়িষ্যাবাসীদের মতো কামানো। বাঁধানো দাঁত, যখন কথা বলেন, দেখা যায় ঝকঝকে উজ্জ্বল। মাথা দেহের তুলনায় বেশ বড়। প্রশস্ত উন্নত ললাট। সামান্য খর্বাকৃতি। পৈতাটি গলার কাছে দৃশ্যমান। টেবিলের উপর সাজানো রয়েছে কাগজ, কলম, দোয়াত, ব্লটিং পেপার। রয়েছে অজস্র চিঠি, হিসাবপত্রের বাঁধানো খাতা। চিঠিগুলি কিছু দিতে চায় না, কেবল পেতে চায়। সুখের কথা কিছু নেই, শুধু দুঃখের কথা— লম্বা লম্বা ফিরিস্তি। অক্ষরের আর্তনাদ, ‘আমি এক অনাথ বিধবা, আমার অপোগণ্ড শিশুটিকে দেখার কেউ নেই, আপনিই ভরসা।’ ‘আপনি বায়ু পরিবর্তনে গিয়েছিলেন, যথাসময়ে আমরা আমাদের মাসোহারা পাইনি, বড় কষ্টে আছি।’ ‘আপনার স্কুলে ফ্রি ভর্তি হয়েছি, কিন্তু আমার বই কেনবার ক্ষমতা নেই।’ ‘পরিবারবর্গ অনাহারে। আমাকে একটা চাকরি।’ ‘আমি আপনার স্কুলের শিক্ষক, আমার ভগিনী বিধবা হয়েছে। তার সমস্ত ভার আমাকে নিতে হয়েছে। মাইনে না বাড়ালে চালাতে পারছি না।’ ইংরিজি পত্রও আছে, করুণ গাথায় ভরা, My dear Vid, you are the greatest Bengali that ever lived and people speak of you with glowing hearts and tearful eyes, and even my worst enemies dare not say that I am a bad fellow! Behold and help again one who loves you and has no friend who seems to care for him except yourself... I appeal to Issur Chandra Vidyasagar my friend and let him act as Issur Chandra Vidyasagar ought to act... Michael M.S. Dutt
[প্রিয় ভিদ (বিদ্যাসাগর), মহত্ত্বম বাঙালি আপনি, বিরলতম। উদ্দীপিত অন্তরে অশ্রুভরানয়নে মানুষ আপনার জয় গাহে। আমার ভয়ঙ্কর শত্রুরা আমাকে জঘন্য ব্যক্তি বলার সাহস হয়তো পাবে না। আমি আবার আপনার সাহায্যপ্রার্থী; আপনি ছাড়া আর কে আছে আমার! ঈশ্বরচন্দ্র, বন্ধু আমার! আমার সঙ্গে ঈশ্বরের মতোই ব্যবহার করবেন, এই আমার প্রার্থনা—মধুসূদন!] বিদ্যাসাগর যার রক্ষাকর্তা, সে দেনার দায়ে জেলে যাবে! সপরিবারে বিদেশে অনাহারে মরবে! কোনও চিঠিতে নিবেদন, ‘সালিশির দিন নির্ধারিত। আপনি সেদিন এসে আমাদের বিবাদ মিটিয়ে দেবেন।’
শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাসাগরের অতল থেকে রত্নরাজি একে একে তুলে এনে তাঁর সামনে ধরছেন; কারণ এইটিই তাঁর এবারের দায়িত্ব। এই কারণেই তাঁর পৃথিবীতে আসা। দপ্তর খুলেছেন দক্ষিণেশ্বরে। নোটিস (তিনি মজা করে বলতেন লুটিস) ঝুলিয়েছেন, ‘হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ’। হাজার কাজে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন বিদ্যাসাগর। নিজের সাগরে নিজেরই ভরাডুবি। অদ্ভুত একরোখা চরিত্র। মোটা মোটা হিসেবের খাতা, কিন্তু আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। এক ‘হিসাবী-বেহিসাবী’। অন্যের বিপদে সাহায্য করবেন, করবেনই করবেন। ধার করে করবেন। যাদের জন্যে করবেন, তারাই আবার আশ্রয় নেবে নিন্দুকদের দলে।
দুশো বছর পরেও মানুষ কেন মনে রাখবে তাঁকে! বিস্মৃতিপরায়ণ জটিল সৃষ্টি মণ্ডলে, যেখানে সূর্য অস্তাচলে গেলে ভোরের কথা মনে থাকে না। তামসিক নিদ্রা এসে চেতনাকে গ্রাস করে। শ্রীরামকৃষ্ণ নশ্বর বিদ্যাসাগরে অমরত্বের উপাদান খুঁজছেন। ‘বিদ্যাসাগর’ একটি উপাধি। বিদ্যার সাগর। মহা পণ্ডিত। সমসময়ে আরও কয়েকজন ‘বিদ্যাসাগর’ রয়েছেন। বিশেষ একটি সম্মান, কিন্তু এই একটি ক্ষেত্রে সম্মানকেই সম্মানিত করেছেন প্রাপক। খেতাব হয়েছে ধন্য।
ঠাকুর বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাসাগর চেনাচ্ছেন—‘এই দেখো, একে একে দেখো—তোমার কর্ম সাত্ত্বিক কর্ম; সত্ত্বের রজঃ। সত্ত্বগুণ থেকে দয়া হয়। দয়ার জন্যে যে কর্ম করা যায়, সে রাজসিক কর্ম বটে—কিন্তু এ রজোগুণ সত্ত্বের রজোগুণ, এতে দোষ নেই। শুকদেবাদি লোকশিক্ষার জন্যে দয়া রেখেছিলেন— ঈশ্বর-বিষয় শিক্ষা দেবার জন্যে। তুমি বিদ্যাদান, অন্নদান করছ, এও ভালো। নিষ্কাম করতে পারলেই এতেও ভগবান লাভ হয়। কেউ করে নামের জন্যে, পুণ্যের জন্যে, তাদের কর্ম নিষ্কাম নয়। আর সিদ্ধ তো তুমি আছই।’
বিদ্যাসাগর—কেমন করে?
ঠাকুর [হাসতে, হাসতে]—আলু, পটল সেদ্ধ হলে তো নরম হয়, তা তুমি তো খুব নরম। তোমার অত দয়া!
বিদ্যাসাগর [হাসতে, হাসতে]—কলাইবাটা সেদ্ধ তো শক্তই হয়।
ঠাকুর [বড় স্নেহ মাখা গলায়]—তুমি তো তা নয় গো! শুধু পণ্ডিতগুলো দরকচা পড়া। দয়া, ভক্তি, বৈরাগ্য, বিদ্যার ঐশ্বর্য।’
শৈশব থেকেই বাস্তব জীবনের পরীক্ষা ক্রমশই কঠিন থেকে কঠিনতম হয়েছে। চলার পথের দু’ধারে ধনীদের জীবনের তামাশা আর সর্বহারাদের সংগ্রাম দেখেছেন। প্রকৃত ধর্মকে আড়ালে রেখে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য দেখেছেন। তাঁকে বলা যেতে পারে—একটা উর্বর সময়ের সোনার ফসল। অতি উত্তম একটি বীজ থেকে উপ্ত ঋজু একটি বৃক্ষ। বৃদ্ধিই যার ধর্ম। শিকড় ভূমিকে বিস্মৃত হয়নি। বিকাশের অহঙ্কারে পত্রশূন্য হওয়ার আশঙ্কাও ছিল না। পাতার আকারে ঝরেছে করুণা। কথায় কথায় তাঁর চোখে জল আসত। সে নিজের দুঃখে নয়, অন্যের দুঃখে। তাঁর জীবন বহুরকমের কাণ্ডে গাঁথা একটি মূল্যবান মালা।
সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল তখন। না আছে চোগা চাপকান, দামি জুতো, পাগড়ি, বুক পকেটে চেন লাগানো ঘড়ি। হেঁটে কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়ি বীরসিংহে যাওয়া আসা করেন। এমন হাঁটা অন্য কোন মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। অনেক ঘটনার একটি—সেবার তিনি বীরসিংহ থেকে কলকাতায় ফিরছেন হাঁটা পথে। পথে দেখলেন, একটা মাঠের মধ্যে একজন বৃদ্ধ চাষি মাথায় একগাদা মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, দাঁড়িয়েই আছে। ব্যাপারটা কী। জোয়ান ছেলে বৃদ্ধ পিতার মাথায় বোঝা চাপিয়ে বাড়ি মুখো করে দিয়েছে, যেন ‘হ্যাট গরু হ্যাট।’
ছেলের কাণ্ড আর পিতার দুর্গতি। ঈশ্বরচন্দ্রের দু’টি চোখ জলে ভরে গেল। বৃদ্ধের বোঝা নিজের মাথায় তুলে নিলেন। বৃদ্ধের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দু-তিন ক্রোশ দূরে। মালপত্র সমেত অসহায়, অসমর্থ বৃদ্ধকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে বিদ্যাসাগর আবার কলকাতার পথ ধরলেন। চোখের জল তখনো শুকোয়নি। এই হাঁটাপথের বৃত্তান্ত শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্নের লেখায় পাওয়া যায়, ‘তৎকালে আমরা (১৮৪১-৪৬) কলিকাতা হইতে পদব্রজে বাটী যাইতাম। হাটখোলার ঘাট পার হইয়া শালিখার বাঁধা রাস্তায় মোসাট নামক গ্রাম পর্যন্ত যাইয়া, ঐ বাঁধা রাস্তা ত্যাগ করিয়া মাঠের পথ বরাবর পশ্চিমমুখে রাজবলহাট নামক গ্রামে উপস্থিত হইতাম। তথা হইতে বীরসিংহা ছয় বা সাত ক্রোশ (বারো কি চোদ্দ মাইল)।’ বিদ্যাসগর মহাশয়ের এই অক্লান্ত হাঁটা প্রসঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক হবে না, জীবনের প্রায় শেষ অবস্থায় বদহজমে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ, ‘খুব হাঁটুন।’ বিদ্যাসাগরের প্রশ্ন, ‘কতক্ষণ করে হাঁটব?’ চিকিৎসকের উত্তর, ‘যতক্ষণ না ক্লান্ত বোধ করেন।’ বিদ্যাসাগর হাঁটবেন, উত্তম পরামর্শ, যতক্ষণ না অবসন্ন হয়ে পড়ছেন ততক্ষণ; বিদ্যাসাগর হাসছেন আর বলছেন, ‘তাহলে তো দিনরাত হাঁটতে হয়, কারণ হেঁটে আমি কখনো ক্লান্তি বোধ করি না।’ এই অসম্ভব মানুষটি অন্যের কবিতার একটি লাইন ধার করে, একটু পরিবর্তন করে বলতে পারেন, সে অধিকার তাঁর আছে, ‘হাজার বছর ধরে আমি হাঁটিব মানুষের হৃদয়ের পথে।’
একদলা আগুনের মতো ছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব। কারণ তিনি ছিলেন সত্যাশ্রয়ী। চাটুকারিতা, মোসায়েবি সহ্য করতে পারতেন না। অর্থ, বিত্ত, খ্যাতি, প্রতিপত্তি তাঁকে প্রলুব্ধ করতে পারেনি। পরাধীনতা তাঁর চিত্তকে গ্রাস করেনি। তাঁর পক্ষেই বলা সাজত—সত্যের জন্যে সব কিছু ছাড়তে প্রস্তুত, কোনও কিছুর জন্যে আমি সত্যকে ছাড়তে প্রস্তুত নই। তৈলপ্রয়োগে জীবন আর জীবিকার পথকে মসৃণ করতে চাই না। আমি ঘৃণা করি ব্রাহ্মণের শরীরে ক্ষত্রিয়ের তেজ। কোনওভাবেই হার না মানা এক যোদ্ধা। তুমুল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাঁর পথচলা। অর্থাভাব! আমি গ্রাহ্য করি না। শত্রুতা আমার চিরসাথী। মৃত্যুভয়! আমি বহুবার মরতে মরতে না মরে জয় করে বসে আছি। কামানের গোলার সামনে বুক পেতে দিতে পারি। পারি না একটা ব্যাপার সহ্য করতে—নারীর চোখের জল, ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন। মুখবন্ধ খামের মতো এক একটি পরিবার। বেঁচে থাকার সঠিক বার্তাটা কারও পড়ার সুযোগ হল না। বিদ্যাসাগরের একটিই প্রশ্ন—বিপ্লবটা কোথায় হওয়া উচিত ছিল—সিপাহিদের ছাউনিতে? না, পরিবারের আটকাঠ বন্ধ বধ্যভূমিতে! রাজা রামমোহন চিতার আগুন থেকে সতীদের রক্ষা করলেন। বাল্যবিবাহ রোখা গেল না। বাল বিধবারা হয় দুষ্ট ব্যবসায়ীদের ফাঁদে উধাও হল, না হয় চলে গেল কাশী, বৃন্দাবনে পথের ভিখারি হতে। শক্তি সাধকরা গলা ফাটিয়ে কোন মাকে ডাকছেন? পাথরের মা। রক্তমাংসের মা নৈয়ায়িকদের শাস্ত্র-কলে পড়ে যে মাকে ডাকছে ত্রাহি ত্রাহি রবে, সে মা কি মণিকর্ণিকার’ অনির্বাণ চিতার আগুন দগ্ধ না হলে জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তির আশা নেই।
সিদ্ধান্তবাগীশ! আমি বিদ্যাসাগর। ‘বিধবা বিবাহ আমার ‘আইভরি প্রোজেক্ট।’ নতুন জীবন, নতুন সংসারের স্বপ্ন আমি ফেরি করবো—সেই কারণে সর্বস্বান্ত হতেও প্রস্তুত। আমার চলার পথের অন্ধকারে আততায়ীরা ওঁত পেতে আছে, আমি জানি। তবু যে আমি নিরস্ত হব না। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমার ভাল লাগলেও, কেশবচন্দ্রের ব্রাহ্ম সমাজ আমার ধাতে সইল না। পরমহংসদেব দক্ষিণেশ্বরে আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন, আমি কথা দিয়েও কথা রাখিনি। আমি মনে করি পিতা আর মাতাই আমার দেবতা। আলো না জ্বাললে অন্ধকার যে ঘুচবে না! জ্ঞানের আলো, শিক্ষার আলো। পল্লীর ঘরে ঘরে শিশুকণ্ঠে ধ্বনিত হোক জীবনের জয়গান— অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আ-এ আমটি খাবো পেড়ে। জীবনের মন্ত্র ও ধর্ম একটিই ‘সদা সত্য কথা বলিবে।’ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আপনার সংঘাতপূর্ণ, উত্তাল সাগর-সম জীবনটিকে যেন মুঠোয় ধরে রেখেছেন, সাগরে এ-কোন অগ্নি! উপনিষদের নচিকেতা মৃত্যুর দরবারে গিয়েছিলেন এই অগ্নির সন্ধানে। ‘নিঃস্ব হয়ে বিশ্বে এলে দয়ার অবতার/ কোথাও তবু নোয়াও নি শির জীবনে, একবার। নামলে একা মাথায় নিয়ে মায়ের আশীর্বাদ/ করলে পূরণ অনাথ আতুর অকিঞ্চনের সাধ। ওরা ‘বুট’ পায়ে মাঠে নেমেছিল ‘ ভারত- বল’ খেলতে।’ চটির কাছে কয়েক ডজন গোল খেয়ে সম্বিৎ ফিরল। সত্যেন্দ্রনাথের কলম:
সেই যে চটি-দেশী চটি- বুটের বাড়া ধন
খুঁজব তারে আনব তারে এই আমাদের পণ,
এই ‘ বাট খাড়া দাঁড়ি পাল্লা’ মার্কা বচন সর্বস্ব অঙ্গনে আর একবার যে আসতে হবে, কাঁদছে আমাদের প্রাণ।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
13th  September, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে জামাত উদ দাওয়ার মুখপাত্র ইয়াহিয়া মুজাহিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাস দমন আদালত। মুজাহিদ ছাড়াও বুধবার জামাতের শীর্ষ নেতা জাফর ইকবালকে ১৫ বছর এবং হাফিজের শ্যালক আব্দুল রহমান মাক্কিকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের ...

চীন সহ যে কোনও দেশের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী। বৃহস্পতিবার নৌসেনা দিবস উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং। ...

নয়া কৃষি আইনের প্রয়োগ রাজ্যে রুখে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বাম ও কংগ্রেস। তারা চায় অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হোক। আলোচনার মাধ্যমে রাজ্যস্তরে তৈরি করা হোক একটি পাল্টা আইন। ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: এক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। গরিব, অসহায় ছেলে সরকারি সুবিধার আশায় মায়ের মৃত্যুর সরকারি নথির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন বছরভর। এখনও মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৮২৯- সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪- ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯১০- ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪- মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭- ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯৭.১৫ টাকা ১০০.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৯২ টাকা ৯১.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০, ০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭, ৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮, ২১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী ৩৪/৫৫ রাত্রি ৮/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র ১৮/৫২ দিবা ১/৩৯। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৯/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী রাত্রি ৫/৪৫। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১২/২৮। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৮ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি 
মেষ: সৃষ্টিশীল কাজে কৃতিত্বের সুযোগ। বৃষ: একাধিক উপায়ে অর্থাগমের সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
ভারতীয় নৌ দিবস১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু১৮২৯- ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: চেন্নাইকে ১-০ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু 

09:32:56 PM

আইএসএল: চেন্নাই ০ বেঙ্গালুরু ১ (৫৫ মিনিট) 

08:52:01 PM

ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। যার আনুমানিক মূল্য ...বিশদ

07:31:00 PM

প্রথম টি-২০: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১ রানে জিতল ভারত

05:33:31 PM