Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

—‘তুমি পারবে?’
—‘আপনি বললেই পারব। এ আর কঠিন কী?’
প্রশ্নটা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর। আর উত্তর? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী। আর দ্বিতীয়জন গোয়ালিয়রের রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া। পেরেছিলেন প্রণবদা। প্রচুর হইচই... বিতর্ক। প্রণবদাকে টলানো গেল না।
দু’বছর পরের ঘটনা। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান আর কে তলোয়ারের কাছে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ গেল, লোনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সরকারের জন্য নয়। কয়েকজন ব্যক্তির জন্য। তলোয়ার অস্বীকার করলেন। সরকার অসন্তুষ্ট হল। বিষয়টি গেল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রণবদা ডেকে পাঠালেন তলোয়ারকে। বললেন, ‘আপনার নাম রাজকুমার, না রামকুমার আমি জানি না। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ মানেননি তলোয়ার। প্রণবদাও তাঁর কর্তব্য করেছিলেন। অপসারিত হলেন তলোয়ার। স্টেট ব্যাঙ্কের আইন সংশোধন করে।
’৬৯ সালে রাজ্যসভার সদস্য হয়ে সংসদে প্রবেশ করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর আমাদের শিক্ষাগুরু ডঃ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। সেই বছরই আর একটি নাম যুক্ত হয়েছিল সংসদীয় রাজনীতিতে—প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দেবীবাবু আর প্রিয়দার মাধ্যমে তখন ঠিকঠাক পরিচয়টা হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চিনেছিলাম অবশ্য আরও দু’বছর আগে থেকে। আলাপ ছিল না। আর পরিচয় মাত্রই তিনি হয়ে গেলেন প্রণবদা। ’৭২ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। সিদ্ধার্থবাবু (সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়) মুখ্যমন্ত্রী। ওই নির্বাচনের আগে অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রণবদারা কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আমি তখন চাকরি ছেড়ে রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এরপরই এল বিধাননগরে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন। সাংগঠনিক নির্বাচন। তখন আমি প্রণবদার সঙ্গে কাজ করেছি। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতার শুরু। প্রণবদা জাহাজমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার হলেন। ১৯৭৩ সালে। ডেপুটি মিনিস্টার ব্যাপারটা তো এখন উঠেই গিয়েছে। সেই সময়ে ছিল। প্রণবদা যে আমাকে কতটা স্নেহ করতেন, তার প্রমাণ পেলাম সেবার। মাত্র ২৬ বছরে বয়সে আমাকে ‘ন্যাশনাল ইনস্ট্রুমেন্টে’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ডিরেক্টর করলেন।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’বছরের মধ্যে হাইকমান্ডের এতটা কাছাকাছি এসে যাওয়া... এ সম্ভব হয়েছিল শুধু তাঁর বাস্তববোধ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য। ’৭৪ সাল থেকেই সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে প্রণবদার। আর সেই সূত্রে রাজস্ব এবং ব্যাঙ্কিংয়ের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। মনে আছে, ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার দিনই প্রণবদা, দেবীবাবুর রাজ্যসভার নির্বাচন ছিল। আমরা সবাই বিধানসভায় ছিলাম। প্রণবদা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
১৯৭৭ সালে কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেল কংগ্রেস। ইন্দিরা গান্ধী, প্রণবদা, প্রিয়দা সবাই পরাজিত। কিন্তু কী আশ্চর্য, আমি জিতে গেলাম। এমপি হয়ে দিল্লি গেলাম। ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের মাত্র তিনজন জিতেছিলেন। ভোটে জিতলাম বটে, কিন্তু প্রণবদার সঙ্গে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। ’৭৮ সালে কংগ্রেসের বিভাজন হল। কোনও প্রবীণ নেতাই ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে থাকলেন না। কেবল প্রণবদা রয়ে গেলেন। এবং (অবসরপ্রাপ্ত জাস্টিস জে সি) শাহ কমিশনে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে অস্বীকার করলেন প্রণবদা। আর ওই ঘটনার পরেই ইন্দিরা গান্ধীর কাছে প্রণবদার অপরিহার্যতা বেড়ে গেল। আশি সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমাদের কংগ্রেস(স) শোচনীয়ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল। হারলাম আমরা সবাই...। প্রণবদা সেবার ভোটে হেরেও বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য করা হল তাঁকে। সভার নেতাও করা হল।
মনে পড়ে, ১৯৭৮-এর কোনও এক সময় সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রণবদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেখেই একগাল হেসে আমাকে বলেছিলেন, ‘কী, এখন আমায় গালিগালাজ করবে তো?’ উত্তরে বলেছিলাম, ‘তা কেন? বরারর আপনাকে শ্রদ্ধা করে এসেছি। এখনও করি।’ ’৮৩ সালে প্রিয়দার ইন্দিরা কংগ্রেসে ফিরে এলাম। প্রণবদা তখন কেন্দ্রে প্রবল পরাক্রমী মন্ত্রী। সেই সময় ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হল বটে, কিন্তু সেই ঘনিষ্ঠতা বা বিশ্বাস ফিরে এল না।
১৯৮৪ সাল। নিহত ইন্দিরাজি। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেন। এবং প্রণবদার খারাপ সময়ের শুরু। ’৮৫তে প্রিয়দা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। এরপরই প্রণবদা কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন। তাঁকে কারণ দর্শানোর কোনও চিঠিও দেওয়া হয়নি। সাংবাদিক প্রীতীশ নন্দী প্রণবদার একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। যার হেডলাইন ছিল, ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ।’ শোনা যায়, তারই ভিত্তিতে প্রণবদার বহিষ্কার।
এরপর সাতাশির বিধানসভা নির্বাচন। প্রিয়দার দেওয়া টিকিটে আলিপুর থেকে জিতলাম। প্রণবদা নতুন দল গড়ে ‘রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেসে’র নামে অনেক প্রার্থী দিয়েছিলেন। কিন্তু একজনও জিততে পারেননি। ’৮৯ সালে প্রণবদা ফিরে গেলেন কংগ্রেসে। তাঁকে কংগ্রেসের অর্থনৈতিক সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল। মনে আছে, দিল্লিতে জওহর ভবনে একটা ছোট্ট ঘরে বসতেন তিনি।
১৯৯১ সালের লোকসভা ভোট। রাজীব গান্ধীর হত্যার পর। নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী হলেন। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হল প্রণবদাকে। তখন আবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হল বটে, তবে কোনওদিনই আমি প্রণববাবুর গোষ্ঠীতে ছিলাম না। প্রিয়দার লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলাম। তা সত্ত্বেও ’৯৩তে আমি প্রণবদাকে রাজ্যসভায় ভোট দিই। এরপরেও ’৯৯ সালেও তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছি। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তাঁকে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
২০০১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে ছিলাম বলে নিত্য যোগাযোগ ছিল প্রণবদার সঙ্গে। কিন্তু মতভেদটা শুরু হল ওই সময়। প্রণবদা তখন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি। কংগ্রেসের মিটিংয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া উচিত। কিন্তু প্রণবদা মানলেন না। বললেন, ‘যতক্ষণ শরিক হিসেবে মমতার সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ আছে, ততক্ষণ কোনওভাবেই সমঝোতা হতে পারে না।’ খুব রাগারাগি করলেন আমার প্রস্তাবে। আমিও রেগে পাল্টা জবাব দিলাম। সম্পর্ক ছিন্ন হল কংগ্রেসের সঙ্গে। যোগ দিলাম তৃণমূলে। এবং বিধায়ক হলাম। এত মতপার্থক্যের পরও কিন্তু আমার প্রতি প্রণবদার স্নেহের ঘাটতি হয়নি।
মনে আছে, ২০০৪ সালে রেল কলোনির সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। বুলুও (সুখেন্দুশেখর রায়) সঙ্গে ছিল। আমরা দেখা করতে গিয়ে দেখি, এনগেজমেন্ট পেপারে লেখা আছে সেনাপ্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। প্রণবদা তখন আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। এদিকে সেনাপ্রধানের দেখা করার সময় এগিয়ে আসছে। প্রণবদা তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘আর্মি চিফকে বলো ১৫ মিনিট পরে দেখা করব। এখন আমি সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এমনই ছিলেন প্রণবদা। কে কত বড় মাপের অফিসার, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোনওদিনও না।
২০০৯-এ লোকসভায় জিতে এমপি হলাম। প্রণবদা তখন লোকসভার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়ে অনেকবার প্রণবদার ঘরে গিয়েছি। সংসদে তাঁর অফিস ঘরে মমতার নিয়ে যাওয়া কেক কেটে জন্মদিনও পালন করতে দেখেছি প্রণবদাকে। লোকসভায় অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রণবদা অত্যন্ত ভাল বক্তৃতা দিতেন। তথ্যে ভরপুর থাকত তাঁর ভাষণ। তাঁর বক্তৃতার সময় গোটা সভায় থাকত পিন পতনের নীরবতা। তখন থেকেই দেখেছি, প্রণবদা ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। এবং কী অসাধারণ তাঁর স্মৃতিশক্তি।
কলকাতায় আশুতোষ কলেজের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। আমি তখন কলেজের গভর্নিং বডির প্রধান। ‘রাষ্ট্রপতি’ প্রণব মুখোপাধ্যায়কে কলেজের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালাম। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় উনি আসতে পারলেন না। মাস দুয়েক পরে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফোন... প্রণবদা। ফোন ধরেই বললেন, ‘তোমার কলেজের ফাংশানে যাব।’ নিজে ডেট দিলেন। এবং এলেনও যথা সময়ে। মঞ্চে উঠেছিলেন ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা নিয়ে। কিন্তু আমার এক অনুরোধেই সেই ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা সরিয়ে দিলেন। পুরোটা বললেন ঝরঝরে বাংলায়। এই ঘটনা ভুলব না। মানুষের মন জয় করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল প্রণবদার।
এক পার্টি বা গোষ্ঠীতে না থাকলেও আমি বরাবর প্রণবদার গুণগ্রাহী। কাজেকর্মে বরাবর তাঁকে অনুসরণের চেষ্টা করেছি। তিনি ভারতবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে অভিজাত এবং ধনী পরিবারের সদস্য না হয়েও শুধু মেধা, পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে একজন মানুষ দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছতে পারে। এবং হয়ে উঠতে পারে নির্ভরশীলতা ও অপরিহার্যতার প্রতীক। ইংরেজিতে যাকে বলে ডিপেন্ডেবল অ্যান্ড ইনডিসপেন্সেবল। দেশবাসী মনে রাখবে তাঁকে। অনুসরণ করবে...।
.........................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
06th  September, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:56:28 PM

বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও: মমতা

02:45:58 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:39:36 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:37:39 PM

১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেয়নি কেন্দ্র, ভোটের পর আমরা বাড়ির টাকা দেব: মমতা

02:37:39 PM

ওরা আবাসের টাকা বন্ধ করেছে: মমতা

02:33:29 PM