Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ। প্রাইম মিনিস্টার ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ সেক্টরে কিছু রিফর্ম চাইছিলেন। ইন ফ্যাক্ট বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তও কিন্তু সেইসময় নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই জানেন সে কথা। আমার সঙ্গে প্রণবদার মোটামুটি পরিচয় হয়ে যায় আটের দশকের মাঝামাঝি। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, যখন তিনি কিছুকালের জন্য দল ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন, সেই সময়টায় পরিচয়টা বাড়ল। আর কংগ্রেস যখন সরকার থেকে চলে গেল, সেই ১৯৮৯-৯১ সালের সময়টায় আমাদের ঘনিষ্ঠতার শুরু। অর্থাৎ প্রায় নিয়ম করে দেখাসাক্ষাৎ। পার্টির কোনও মিটিং কিংবা আলোচনায় যোগ দেওয়া। কোনও বিশেষ কাজে তাঁর সঙ্গে বৈঠক। এভাবে সেই তখন থেকেই আমরা পরস্পরের মানসিকতাও একটু করে বুঝতে শুরু করি।
সেই সময় প্রণবদার একটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমি বেশ চমৎকৃত হয়েছিলাম। অত্যন্ত দ্রুত সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। ছিলেন একজন তীক্ষ্ণ শিক্ষার্থী। যে কোনও অজানা অথবা নতুন পরিস্থিতি কিংবা বিষয়কে বুদ্ধিমত্তা আর শার্প মাইন্ডসেট প্রয়োগ করে দ্রুত বুঝে ফেলার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। যাকে বলা হয় কুইক লার্নার। মনে আছে, ডঃ মনমোহন সিং তখন অর্থমন্ত্রী। আর আমি বাণিজ্যমন্ত্রী। এই ১৯৯১ কিংবা ’৯২ হবে। একদিন একটা ঘটনা ঘটল। ফিনান্সের একটি মিটিং ছিল। প্রণবদা আমাকে মিটিংয়ের পর বললেন, ‘দ্যাখো চিদম্বরম, এফএম (ফিনান্স মিনিস্টার ডঃ মনমোহন সিং) আর তুমি যে ভারতের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ রিফর্ম করে উদারীকরণ করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছ, এটা আমি বেশ বুঝতে পারছি। আর তোমরা দু’জনেই এই রিফর্মটা নিয়ে একপ্রকার বদ্ধপরিকর, সেটাও বেশ বোঝা যায়। আমি নিজে কিন্তু একটু ওল্ড স্কুলের পলিটিশিয়ান। রাজনৈতিক প্রজন্মের ক্ষেত্রেও আমি প্রাচীনপন্থীই বলা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমাদের এই উদারীকরণ আর আর্থিক সংস্কারের যে পরিকল্পনা, এটাকে আমি পূর্ণ সমর্থন করব। আমার বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অর্থনীতিকে চাঙ্গাই করবে।’ প্রণবদা এভাবেই নিজেকে অ্যাডপ্ট করে নিতে পারতেন। সকলেরই মনে আছে নিশ্চয়ই, প্রণবদা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লুটিও) ট্রেড এগ্রিমেন্টে ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে। ফলে তিনি কখনওই নিজের অবস্থান, অভিমত আঁকড়ে বসে থাকতেন না। তিনি ছিলেন বাস্তবপন্থী এক মানুষ।
ঠিক সেই কারণেই তিনি ২০০৯-১০ সালের পর যে বাজেট পেশ করেছিলেন, সেটা ছিল সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং খোলা অর্থনীতির একটি সুচারু মিশ্রণ। যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সঙ্গে লিবারালাইজেশনের সঙ্গে স্টেট কন্ট্রোলের একটা ব্যালান্স রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখানে একটা কথা বলা দরকার। সেই সময় তাঁর সম্পর্কে একটি অভিযোগও উঠেছিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেই সময়সীমায় তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে তৃতীয় স্টিমুলাস প্যাকেজটি দিয়েছিলেন, সেটি হয়তো সঠিক পদক্ষেপ ছিল না। এছাড়া অনেকে এটাও মনে করে যে, ভোডাফোনের ক্ষেত্রে যে কঠোর ট্যাক্স কাঠামো চাপানো হয়েছিল, সেটাও ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, তিনি আর্থিক সংস্কার এবং ধীরে ধীরে অর্থনীতিকে আরও বেশি করে খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সতর্ক ও ভারসাম্যযুক্ত একটি অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাই তাঁকে বলা যেতে পারে কশাস রিফর্মার। অর্থাৎ তিনি সংস্কার করতে চাইতেন, কিন্তু যথেষ্ট সতর্কতা বজায় রেখে।
প্রণববাবু সম্পর্কে একটা কথা খুব চালু রয়েছে। সেটি হল, তিনি কংগ্রেস ও সরকারের ক্রাইসিস ম্যানেজার, কিংবা অল সিজন পলিটিশিয়ান। এটা নিয়ে কিন্তু স঩ত্যিই কোনও সন্দেহ নেই। এই বিশেষণগুলি দেওয়ার কারণ হল, সত্যিই তিনি ছিলেন যে কোনও ক্রাইসিসে আদর্শ নেগোশিয়েটর। সেটা ইন্দো-আমেরিকা পরমাণু চুক্তিই হোক, অথবা ডিএমকে আর কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী জোট। দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা অনেকেই করতে পারে। কিন্তু প্রণববাবু ছিলেন মাস্টার নেগোশিয়েটর। কারণ, প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যে থেকে কিছু একটা মুখরক্ষার ফর্মুলা কিংবা গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র উদ্ভাবন করে ঠিক সহমত নির্মাণে তিনি সফল হয়ে যেতেন। প্রয়োজন হলে নরম হতেন। আবার সময়মতো নিজের কিংবা দল ও সরকারের অবস্থানে অনড় থাকতেন। এ ব্যাপারে আমার সবথেকে বেশি একটি উদারহণই মনে পড়ছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের পরমাণু চুক্তি। যার সমর্থনের জন্য বামপন্থীদের তিনি কীভাবে আশ্বস্ত করেছেন, তা আমরাই জানি। প্রণবদা সর্বদাই ছিলেন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ রাজনীতিতে কোনও চূড়ান্ত বা অনড় সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকের রাজনীতিতে যেটা অনেক বেশি দেখা যায়। সকলেই চরম একটি অবস্থান নিয়ে বসে। অনড় থাকে বিশ্বাস আর মতামতে। অর্থাৎ এক্সট্রিম পজিশন। যা ভারতকে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়েছে আজ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসীদের দল বা সরকারের বোঝা মনে করা হয়। তাঁদের গুরুত্ব নেই। প্রণবদার মতো ঐকমত্য-নির্মাতা রাজনৈতিক ব্যক্তি এখন বিরল।
প্রণবদা প্রতিটি ইস্যুকেই গভীরভাবে অনুধাবন করতেন। তাঁর হয়তো নিজের একটি অভিমত ছিল। কিন্তু যে কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে তিনি প্রত্যেকের মতামত, উত্থাপিত হওয়া প্রতিটি পয়েন্ট শুনতেন চুপ করে। নোট করতেন। আর তারপর সেইসব আলোচনার শেষে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, যাকে বলা যেতে পারে প্রত্যেকের মতামতের যোগফল থেকে সর্বজনগ্রাহ্য নির্যাস। এটা আমি বিভিন্ন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক, মন্ত্রিসভার বৈঠকে লক্ষ্য করেছি। আমি প্রণবদার সঙ্গে ক্যাবিনেটে একাধিকবার বহু বছর ধরে কাজ করেছি। তাই আমি জানি যে, তিনি সরকারের ক্যাবিনেটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। প্রাইম মিনিস্টার (ডঃ মনমোহন সিং) বহু ইস্যুতে সম্পূর্ণভাবে প্রণবদাকে ভরসা করতেন। তিনি জানতেন, কোন ইস্যুতে প্রণবদার অভিমত সর্বাগ্রে প্রয়োজন। আবার একইসঙ্গে আমি দেখেছি, প্রণবদা নিজেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, যোগ্য জুনিয়র এবং রাজনৈতিকভাবে সিনিয়র—দুই ক্ষেত্রেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণবদা বিশেষ সম্মানের জায়গাটি দিতেন। সরকারে থাকাকালীন শারদ পাওয়ারকে গুরুত্ব দিতেন তাঁর অভিজ্ঞতার জন্য।। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন পাওয়ারের সঙ্গে। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্কটি রাজনীতিতে শেখার।
একটা কথা না বললেই নয়। একদিকে যেমন প্রণবদা ছিলেন রাশভারী, সিরিয়াস... আবার অন্যদিকে, তাঁকেই আমি দেখেছি শিশুর মতো খুশি ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে রিঅ্যাক্ট করতে। মনে পড়ছে ২০১২ সালে প্রণবদার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনগুলো। তিনি ছিলেন আমাদের প্রার্থী। সুতরাং তাঁর জয় ছিল আমাদের সকলের দায়িত্ব। অন্যতম অবজার্ভার হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াজুড়ে আমাকেও যথেষ্ট সক্রিয় থাকতে হয়েছে। যেদিন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হল, সেদিন আমিই প্রথম প্রণবদার কাছে গিয়ে বলেছিলাম, ‘কনগ্র্যাচুলেশন। কাউন্টিং শেষ হয়েছে। আপনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।’ হাসতে হাসতে আমি তাঁকে একটি শাল পরিয়ে দিয়ে বললাম, ‘তাহলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন আপনিই।’ সঙ্গে সঙ্গে প্রণবদার মুখ এক অনাবিল হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে গেল। ওই হাসিমুখ আমি ভুলব না। তিনি যে ভীষণ আনন্দ পেয়েছেন, বোঝাই যাচ্ছিল। আর ওই শিশুর মতো সরল ও প্রাণখোলা হাসির মধ্যে থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল যে, এবার তাঁর জীবন ও সাফল্যের মধ্যে যদি সামান্যতম ফাঁকও এতদিন থাকে, সেটি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে।
আজ প্রণবদা নেই। কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের চলমান রাজনীতির কাছে প্রণবদা কীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন? এই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমি একটিই কথা বলব। প্রণবদা ছিলেন একজন আদর্শ ও একান্তভাবেই নিষ্ঠাবান দলীয় সৈনিক। স্বদেশ ছিল তাঁর কাছে সর্বোত্তম। তারপর তাঁর কাছে পার্টিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রণবদা বিশ্বাস করতেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটি ভুমিকা পালন করে। এই ভূমিকার প্রতিফলন প্রণবদার তৈরি করা বহু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ও এআইসিসির রাজনৈতিক প্রস্তাবের মধ্যে প্রতীয়মান হয়ে রয়েছে। ভারতের রাজনীতি তাঁকে মনে রাখবে দলের অনুগত এমন এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, যিনি মনেপ্রাণে সর্বোচ্চ স্থান দিতেন সংসদীয় গণতন্ত্রকে। কোনও সময়ই রাজনীতির ঐতিহ্যশালী রীতি ভাঙেননি তিনি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়, আগাগোড়া বিধিনিয়মে নীতিনিষ্ঠ এক চরিত্র! 
06th  September, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
মোদির মিশন বিহার
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন। যে কোনও একটি সাফল্যকেই তাঁর অনুগামী ও দল রেকর্ড হিসেবে প্রচার করে এবং বিশ্বাসও করে। রেকর্ড করতে কে না ভালোবাসে? তাই এটা কোনও অন্যায় নয়। অপার জনপ্রিয়তা, অপরিসীম ক্যারিশমা, দল ও সরকারের উপর একচ্ছত্র অথরিটি।   বিশদ

08th  November, 2020
হোয়াইট হাউসের 
ভাগ্য গণনা
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কথা। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের চেনা রিংটোন। স্ক্রিনে +৯১... নম্বর, মায়ের। অসময়ে ফোনটা দেখেই নাতাশার ভ্রূ দু’টো একে অপরকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফোন কানে দিতেই বয়ে এল দুঃসংবাদ। আচমকাই মারা গিয়েছেন শ্বশুর। ব্যাঙ্কের কনফারেন্সে স্বামী তখন অন্য শহরে। বাড়ি ফিরে একটা ব্যাগে টুকিটাকি সমস্ত কিছু গুছিয়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। এর মধ্যেই বরকে খবর দেওয়া, প্লেনের টিকিট কাটা...। বিশদ

01st  November, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, দিনহাটা: এক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। গরিব, অসহায় ছেলে সরকারি সুবিধার আশায় মায়ের মৃত্যুর সরকারি নথির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন বছরভর। এখনও মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট।   ...

চীন সহ যে কোনও দেশের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী। বৃহস্পতিবার নৌসেনা দিবস উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং। ...

নয়া কৃষি আইনের প্রয়োগ রাজ্যে রুখে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বাম ও কংগ্রেস। তারা চায় অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হোক। আলোচনার মাধ্যমে রাজ্যস্তরে তৈরি করা হোক একটি পাল্টা আইন। ...

সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে জামাত উদ দাওয়ার মুখপাত্র ইয়াহিয়া মুজাহিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাস দমন আদালত। মুজাহিদ ছাড়াও বুধবার জামাতের শীর্ষ নেতা জাফর ইকবালকে ১৫ বছর এবং হাফিজের শ্যালক আব্দুল রহমান মাক্কিকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৮২৯- সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪- ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯১০- ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪- মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭- ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯৭.১৫ টাকা ১০০.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৯২ টাকা ৯১.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০, ০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭, ৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮, ২১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী ৩৪/৫৫ রাত্রি ৮/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র ১৮/৫২ দিবা ১/৩৯। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৯/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০, চতুর্থী রাত্রি ৫/৪৫। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১২/২৮। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৮ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি 
মেষ: সৃষ্টিশীল কাজে কৃতিত্বের সুযোগ। বৃষ: একাধিক উপায়ে অর্থাগমের সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
ভারতীয় নৌ দিবস১১৩১- পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু১৮২৯- ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: চেন্নাইকে ১-০ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু 

09:32:56 PM

আইএসএল: চেন্নাই ০ বেঙ্গালুরু ১ (৫৫ মিনিট) 

08:52:01 PM

ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ফ্রান্সে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। যার আনুমানিক মূল্য ...বিশদ

07:31:00 PM

প্রথম টি-২০: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১ রানে জিতল ভারত

05:33:31 PM